Ajker Patrika

নিজেদের স্ত্রীদের সঙ্গে পরকীয়া করত চার বন্ধু, একজনকে খুন করে অটোরিকশা ছিনতাই: পিবিআই

উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০: ০৩
গ্রেপ্তার মো. আলমগীর (২৫) ও সদর আলী ওরফে সোহরাব (৪৭) । ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার মো. আলমগীর (২৫) ও সদর আলী ওরফে সোহরাব (৪৭) । ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা জেলার ধামরাইয়ে দুই বছর আগে অটোরিকশাচালক সাইদুর রহমানকে হত্যার পেছনে পরকীয়া প্রেম ও ছিনতাইয়ের ত্রিভুজ চক্র ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় সদর আলী ওরফে সোহরাব (৪৭) ও মো. আলমগীরকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উত্তরার ঢাকা জেলা পিবিআই কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কুদরত-ই-খুদা।

এসপি মো. কুদরত-ই-খুদা জানান, ধামরাইয়ের বাইশাকান্দার কেষ্টখালী গ্রামের একটি ধানখেত থেকে ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর সকালে অজ্ঞাতনামা এক পুরুষের লাশ উদ্ধার করে ধামরাই থানা-পুলিশ। ওই ঘটনায় এসআই আব্দুল জব্বার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন এবং নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করেন। নিহত ওই ব্যক্তি অটোরিকশাচালক সাইদুর রহমান। পরে ক্লুলেস মামলাটি পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে তদন্তভার আসে পিবিআইয়ের ওপর।

কুদরত-ই-খুদা আরও জানান, তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর এলাকায় ৪ সেপ্টেম্বর অভিযান চালিয়ে সদর আলী ওরফে সোহরাবকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে দেওয়া তাঁর তথ্যের ভিত্তিতে মানিকগঞ্জের সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এসপি কুদরত-ই-খুদা বলেন, এদিকে গ্রেপ্তারের পর আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদে ও রিমান্ডে সদর আলীকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে হত্যাকাণ্ডের চাঞ্চল্যকর ঘটনা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের আদালতে পাঠানো হলে তাঁরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে এসপি কুদরত জানান, ভিকটিম সাইদুর রহমান, আসামি সদর আলী, আলমগীর ও জুয়েল বন্ধু। তাঁরা একই বাসায় পাশাপাশি বসবাস করতেন। যার সুবাদে সদর আলীর স্ত্রীর সঙ্গে জুয়েলের অনৈতিক সম্পর্ক তৈরি হয়। একপর্যায়ে আলমগীরের সহায়তায় জুয়েল সদর আলীর স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যান।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, এদিকে সদর আলী ভুক্তভোগী সাইদুরের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। অপরদিক আলমগীরও জড়াতে চান। বিষয়টি বুঝতে পেরে সাইদুরের সঙ্গে আসামি সদর আলী ও আলমগীরের তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। অন্যদিকে সদর আলীর স্ত্রী জুয়েলের সঙ্গে ছয় মাস থাকার পর সদর আলীর কাছে চলে আসেন।

কুদরত-ই-খুদা বলেন, মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সাইদুরকে হত্যার পরিকল্পনা করেন আলমগীর, সদর আলী ও জুয়েল। পরে নগদ টাকার প্রয়োজন হলে সাইদুরকে ফুঁসলিয়ে রাতে গান শোনার অজুহাতে বাইরে নিয়ে যান তাঁরা। পরে ফেরার পথে কেষ্টখালী গ্রামের স্থানে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে, হাত ও পায়ে রশি দিয়ে বেঁধে কোমরে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে মৃতদেহ ফেলে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান তিন বন্ধু। পরে অটোরিকশাটি ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে ভাগাভাগি করে নেন তাঁরা।

এক প্রশ্নের জবাবে এসপি কুদরত-ই-খুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসামিদের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামি জুয়েলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। বিষয়টি যাচাই করে দেখা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এক নারীকে স্ত্রী দাবি করে দুই পুরুষের টানাটানি, শেষে ৩ জনই কারাগারে

১৫ শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ইবির এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে

মার্কা শাপলাই হতে হবে, না হলে নির্বাচন কীভাবে হয় দেখে নেব: সারজিস আলম

ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী হয়েও ফখরুল–আখতাররা ভিভিআইপি সুবিধা পাননি কেন—জানাল প্রেস উইং

ইসির তালিকায় ‘শাপলা’ নেই, বিকল্প প্রতীক নিতে হবে এনসিপিকে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত