Ajker Patrika

মন্দির ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন

এই সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মৌলবাদের আখড়া: গোবিন্দ প্রামাণিক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় শ্রী শ্রী সর্বজনীন দুর্গামন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় শ্রী শ্রী সর্বজনীন দুর্গামন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মৌলবাদের আখড়া বলে মন্তব্য করেছেন হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক। আজ শুক্রবার (২৭ জুন) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় বুলডোজার দিয়ে দুর্গামন্দির ও প্রতিমা ধ্বংসের প্রতিবাদে মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।

গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক বলেন, ‘বিগত ১৭ বছর স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একের পর এক হিন্দুর ওপর নির্যাতন করা হয়েছে সরকারি মদদে। তবে সেখানে সরকারের সরাসরি অংশগ্রহণ দেখিনি। এবার দেখেছি পুলিশ নিজে মন্দিরের টিনের ভেড়া খুলেছে। সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে মন্দির ভেঙেছে, বুলডোজার দিয়ে প্রতিমা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি এটা অবৈধ স্থাপনা। পাশে মসজিদ রয়েছে। মাদ্রাসা রয়েছে। বিএনপির অফিস রয়েছে। আরও শত শত স্থাপনা এই রেলওয়ের জায়গায় রয়েছে। সেসব অবৈধ স্থাপনা না সরিয়ে হিন্দু মন্দির ধ্বংস কেন? তার মানে এই সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ও ওপর মহলে মৌলবাদের আখড়া তৈরি হয়েছে।’

হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব আরও বলেন, ‘আপনারা বলছেন এই জমি রেলওয়ের। রেললাইন এই জায়গা কোথায় পেয়েছে? আপনারা সিএস রেকর্ড নিয়ে আসেন। এই জমি হচ্ছে ভাওয়ালের রাজা রাজেন্দ্র কুমার চৌধুরীর। রেলওয়ে কোনো রকম ক্ষতিপূরণ ছাড়া হিন্দুর সম্পত্তি কেড়ে নিয়েছে। হিন্দুদের সম্পত্তিতে হিন্দুরা মন্দির করবে, এটাই স্বাভাবিক। এটা কোনো অবৈধ না।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন হিন্দু মহাজোটের সভাপতি দীনবন্ধু রায়, নির্বাহী সভাপতি প্রদীপ কুমার পাল, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক প্রতীভা বাকচী, যুগ্ম মহাসচিব হেমন্ত দাস প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর হিন্দু সম্প্রদায় আশা করেছিল তাদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন হবে না। সংখ্যালঘু নির্যাতন কঠোর হস্তে দমন করা হবে। কিন্তু গত দুই মাসের মধ্যে সারা দেশে হিন্দু নির্যাতনের ঘটনা অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ভাঙচুর, জমি দখল, হত্যা, হত্যাচেষ্টা, অপহরণ, নারী নির্যাতন, দেশত্যাগে বাধ্য করার হুমকির মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে। অথচ প্রশাসন বরাবরের মতো নীরব ভূমিকা পালন করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চাকরির নামে মিরপুর-শেওড়াপাড়ায় বাসায় ডেকে নারীর সঙ্গে ভিডিও ধারণের পর টাকা হাতিয়ে নিত ‘হানি ট্র্যাপ’ চক্র

দনবাস চান পুতিন—ন্যাটো তো নয়ই, পশ্চিমা সেনাও থাকবে না ইউক্রেনে

দুস্থদের ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা মোহনগঞ্জ সমাজসেবা কর্মকর্তা

তথ্য যাচাইয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করবেন—ইউটিউব চ্যানেলে সিইসির বার্তা

ফরিদপুরে চিকিৎসকের ওপর হামলার প্রতিবাদে সেবা বন্ধের ঘোষণা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত