নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দুষ্কৃতিকারীদের হাতে নিহত জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। আজ সোমবার মামলার বাদী সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী ট্রাইব্যুনালে হাজির হলেও কারাগারে থাকা আসামি হাজির না করায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজ সোমবার দিন ধার্য ছিল। এ মামলায় কারাগারে থাকা আসামি তারিক সাঈদ মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি। জামিনে থাকা আসামি ফারুক আব্বাসী হাজির হন। কিন্তু হাইকোর্ট থেকে জামিনে থাকা আসামি হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ও আশীষ চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী কোনরকম পদক্ষেপ ছাড়া অনুপস্থিত থাকেন। অপর আসামি আদনান সিদ্দিকীর পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন এই মামলায় প্রথম থেকেই পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া এ মামলার কেস ডকেট (সিডি) বিশেষ পিপির কাছে নেই। মামলায় জব্দকৃত আলামত কোথায় আছে সে বিষয়ে আদালত সংশ্লিষ্ট কারো জানা নেই।
এ পর্যায়ে বিচারক জাকির হোসেন আগামী ৬ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পুনঃনির্ধারণ করেন। গত ২৪ মার্চ নথি বিচারের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়ায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়। ওইদিনও বাদী হাজির ছিলেন।
এ মামলার অন্যতম আসামি ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও সেলিম খান অনুপস্থিত থাকার কারণে তাদের বিরুদ্ধে গত ২০ মার্চ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। তারা এখন পলাতক।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে। ঘটনার পর সোহেলের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে বাদানুবাদই এ হত্যার নেপথ্য কারণ বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
এই মামলায় ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়। এরপর মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ২০০৩ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এ পাঠানো হয়। মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো বেআইনি হয়েছে এই দাবি করে ওই আইনের দুটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে আদনান সিদ্দিকী হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন (রিট নম্বর ৭০৫৩ / ২০০৩)। ওই রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা স্থানান্তরের আদেশ কেন বেআইনি হবে না তা জানাতে সরকারের প্রতি রুল জারি করেন। একই সঙ্গে তিন মাসের জন্য মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত করেন। পরে ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। সেই থেকে এই মামলার বিচার স্থগিত থাকে। কোনো স্বাক্ষীর স্বাক্ষই আর গ্রহণ করা হয়নি।
একটানা ১২ বছর মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকার পর ২০১৫ সালে আদনান সিদ্দিকীর দায়ের করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চ ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে ইতিপূর্বে দায়ের করা রুল খারিজ করে দেন। হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিত আদেশ প্রত্যাহার করেন। মামলার বিচার কার্যক্রম চলতে আইনত আর কোনো বাধা থাকে না এই আদেশের পর। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ওই রায় ও হাইকোর্টের আদেশ আর বিচারিক ট্রাইব্যুনালে পৌঁছেনি। গায়েব হয়ে যায় হাইকোর্টেও আদেশের নথি।
আজকের পত্রিকা বিষয়টি অনুসন্ধান করে গত ২৩ জানুয়ারি ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবু জোবায়ের হোসাইন সজিব মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানিয়ে রিট আবেদন করেন।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে নথি খুঁজে বের করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন। এরপর নথি গুম হওয়া নথি বের হয় এবং সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা স্থগিত করা নিয়ে যে রিট আবেদন করা হয়েছিল সেই রুল খারিজের আদেশও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পৌঁছে যায়। পরে গত ১০ মার্চ মামলার কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।
দুষ্কৃতিকারীদের হাতে নিহত জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। আজ সোমবার মামলার বাদী সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী ট্রাইব্যুনালে হাজির হলেও কারাগারে থাকা আসামি হাজির না করায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজ সোমবার দিন ধার্য ছিল। এ মামলায় কারাগারে থাকা আসামি তারিক সাঈদ মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়নি। জামিনে থাকা আসামি ফারুক আব্বাসী হাজির হন। কিন্তু হাইকোর্ট থেকে জামিনে থাকা আসামি হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ও আশীষ চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী কোনরকম পদক্ষেপ ছাড়া অনুপস্থিত থাকেন। অপর আসামি আদনান সিদ্দিকীর পক্ষে সময়ের আবেদন করা হয়। শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন এই মামলায় প্রথম থেকেই পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া এ মামলার কেস ডকেট (সিডি) বিশেষ পিপির কাছে নেই। মামলায় জব্দকৃত আলামত কোথায় আছে সে বিষয়ে আদালত সংশ্লিষ্ট কারো জানা নেই।
এ পর্যায়ে বিচারক জাকির হোসেন আগামী ৬ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পুনঃনির্ধারণ করেন। গত ২৪ মার্চ নথি বিচারের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত না হওয়ায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়। ওইদিনও বাদী হাজির ছিলেন।
এ মামলার অন্যতম আসামি ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও সেলিম খান অনুপস্থিত থাকার কারণে তাদের বিরুদ্ধে গত ২০ মার্চ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। তারা এখন পলাতক।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে। ঘটনার পর সোহেলের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে বাদানুবাদই এ হত্যার নেপথ্য কারণ বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
এই মামলায় ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়। এরপর মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ২০০৩ সালে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এ পাঠানো হয়। মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো বেআইনি হয়েছে এই দাবি করে ওই আইনের দুটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে আদনান সিদ্দিকী হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন (রিট নম্বর ৭০৫৩ / ২০০৩)। ওই রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলা স্থানান্তরের আদেশ কেন বেআইনি হবে না তা জানাতে সরকারের প্রতি রুল জারি করেন। একই সঙ্গে তিন মাসের জন্য মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত করেন। পরে ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। সেই থেকে এই মামলার বিচার স্থগিত থাকে। কোনো স্বাক্ষীর স্বাক্ষই আর গ্রহণ করা হয়নি।
একটানা ১২ বছর মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকার পর ২০১৫ সালে আদনান সিদ্দিকীর দায়ের করা রিট আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর বেঞ্চ ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে ইতিপূর্বে দায়ের করা রুল খারিজ করে দেন। হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিত আদেশ প্রত্যাহার করেন। মামলার বিচার কার্যক্রম চলতে আইনত আর কোনো বাধা থাকে না এই আদেশের পর। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে ওই রায় ও হাইকোর্টের আদেশ আর বিচারিক ট্রাইব্যুনালে পৌঁছেনি। গায়েব হয়ে যায় হাইকোর্টেও আদেশের নথি।
আজকের পত্রিকা বিষয়টি অনুসন্ধান করে গত ২৩ জানুয়ারি ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবু জোবায়ের হোসাইন সজিব মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি জানিয়ে রিট আবেদন করেন।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে নথি খুঁজে বের করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন। এরপর নথি গুম হওয়া নথি বের হয় এবং সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা স্থগিত করা নিয়ে যে রিট আবেদন করা হয়েছিল সেই রুল খারিজের আদেশও দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পৌঁছে যায়। পরে গত ১০ মার্চ মামলার কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়।
‘আমরা আগামীকাল বা পরশুর মধ্যে নতুন প্ল্যান নেওয়ার চেষ্টা করছি। আশা করছি, অল্প কয়েক দিনের মধ্যে আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। আমরা আগে অ্যাসেসমেন্ট করে নিই, তারপরে আশা করছি, দ্রুত আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।’
১ মিনিট আগেরাজধানীর ব্যস্ত সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় ঢাকা কলেজ ও ঢাকা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার দিনভর থেমে থেমে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশ ও দুই পক্ষের মিলিয়ে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে পুলিশকে একাধিক সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার...
৭ মিনিট আগেজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ নামে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্রশিবির জাবি শাখা। এতে সহসভাপতি (ভিপি) পদে মনোনীত করা হয়েছে ফার্মেসি বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফুল্লাহ আদিবকে এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে ইংরেজি
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুরে বাড়ির পাশের ডোবায় পড়ে ফারুক (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার বাকলজোড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত ফারুক ওই গ্রামের কামাল মিয়ার ছেলে।
২ ঘণ্টা আগে