Ajker Patrika

জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্র মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান খালাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
শফিক রেহমান। ছবি: সংগৃহীত
শফিক রেহমান। ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমানকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তারিক এজাজ শফিক রেহমানের আপিল মঞ্জুর করে তাঁকে খালাস দেন।

শফিক রেহমানের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ খলিলুর রহমানও এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ২৭ এপ্রিল আপিলের ওপর শুনানি হয়। ওই দিন আদালত ২৭ মে রায়ের দিন ধার্য করেন।

রায় ঘোষণার সময় শফিক রেহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

গত বছর ২১ নভেম্বর শফিক রেহমান এই মামলায় আপিল করেছিলেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে গত বছর ১৭ আগস্ট শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে ৭ বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর।

গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে হাজির হয়ে আপিল করার জন্য মামলার জাবেদা নকল সরবরাহের আবেদন করেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন করেন।

ওই দিন বিচারিক আদালত শফিক রেহমানকে আপিল করার জন্য মামলার জাবেদা নকল সরবরাহের নির্দেশ দেন এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।

এর আগে সরকার গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর শফিক রেহমানের শাস্তি এক বছরের জন্য স্থগিত করে।

শফিক রেহমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকায় তিনি এই মামলায় পলাতক হিসেবে সাজাপ্রাপ্ত হন।

মামলায় অভিযোগ ছিল, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যেকোনো সময় থেকে বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের উচ্চপর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একত্রিত হয়ে পরস্পর যোগসাজশে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন।

ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করেন।

২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। বিচার চলাকালে এই মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষ্য দেন।

উল্লেখ্য, এই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গত ১০ ফেব্রুয়ারি খালাস দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরিশাল বিসিক শিল্পনগরীতে সুতার কারখানায় অগ্নিকাণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, ব‌রিশাল
আজ দুপু‌রে খান সন্স গ্রুপের একটি সুতার কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ দুপু‌রে খান সন্স গ্রুপের একটি সুতার কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বরিশালের বিসিক শিল্পনগরীর খান সন্স গ্রুপের একটি সুতার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার দুপু‌রে আকস্মিকভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়লে কারখানায় থাকা শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। তবে এতে কারখানায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে; যদিও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। প্রতিষ্ঠানটির অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র অচল থাকায় আগুন নেভাতে প্রথম দিকে বেগ পেতে হয় বলে জানা গে‌ছে।

কারখানার শ্রমিকেরা জানান, সুতার কারখানা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পাশাপাশি অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থায় ঘাটতি থাকায় শুরুতে শ্রমিকেরা আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হন। এতে ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যায়।

কারখানার সিনিয়র ফিটার মো. নাদিম বলেন, হঠাৎ করে আগুন লাগায় শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়েই দেড় শতাধিক শ্রমিককে দ্রুত বাইরে বের করে আনা হয়। ফলে প্রাণহানি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে।

আরও এক সিনিয়র ফিটার রুবেল হোসেন বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত। আগুনে সুতার রিলসহ কারখানার গুরুত্বপূর্ণ অংশ পুড়ে গেছে। অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডারগুলোর বেশির ভাগেই গ্যাস না থাকায় আমরা আগুন নেভাতে ব্যর্থ হই।’

খান সন্স গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার যতীন্দ্রনাথ মিস্ত্রি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। শ্রমিকদের কোনো ক্ষতি না হলেও কারখানার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরে নির্ধারণ করা যাবে। অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থায় কিছু ঘাটতি থাকতে পারে।

বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ফারুক হোসেন শিকদার বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে। আমাদের দুটি ইউনিট দীর্ঘ সময় চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মিরপুরে খাঁচা থেকে বেরিয়ে এল সিংহী, আর চিড়িয়াখানা থেকে দর্শনার্থীরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ০৩
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় থেকে একটি সিংহী খাঁচা থেকে বের হয়ে গেছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সিংহীটি খাঁচা থেকে বের হয়ে এর পাশেই অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একটি সিংহী বিকেলে খাঁচা থেকে বের হয়ে গেছে। সিংহীর চারপাশে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি এটিকে খাঁচায় নিয়ে আসতে।’

এটিকে ধরার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অবশ করতে অবশ করার গান প্রস্তুত করে রেখেছি। নিরাপত্তা বজায় রেখে অবশ করে খাঁচায় নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে।’

জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. আতিকুর রহমান বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সিংহীটি খাঁচা থেকে বের হয়েছে। কীভাবে বের হয়েছে, সেটি আমরা এখনো জানতে পারিনি।’

চিড়িয়াখানার এই কিউরেটর বলেন, সিংহীটিকে শান্ত রাখতে তাকে গরুর মাংস দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তাকে বন্দুকের মাধ্যমে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়া হয়েছে। পুরোপুরি অচেতন হয়ে গেলে খাঁচায় ভেতরে নেওয়া হবে।

এদিকে, চিড়িয়াখানা থেকে সাধারণ দর্শনার্থীদের নিরাপদে বের করে আনা হয়েছে। এর মধ্যে কোনো অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি বলেও জানিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পীরগাছায় দিনের বেলায় কেটে রাখা জমির ধান লুটের অভিযোগ

পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি
জমিতে বিছিয়ে রাখা এই ধানগুলোই রাতে লুট করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
জমিতে বিছিয়ে রাখা এই ধানগুলোই রাতে লুট করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের পীরগাছায় দিনের বেলায় কেটে রাখা এক কৃষকের ধান লুটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার কিসামত ঝিনিয়া ডাক্তারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে খবর পেয়ে পীরগাছা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে লুটকারীরা সটকে পড়ে। বৃহস্পতিবার রাতেই এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।

ভুক্তভোগী কৃষক আব্দুল মান্নান জানান, তিনি ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে ৩০ বছর ধরে ৩৫ শতক জমি ভোগদখল করে আসছেন। চলতি মৌসুমে সেই জমিতে তিনি আমন ধান চাষ করেছিলেন। কিছুদিন আগে পাকা ধান কেটে খড়সহ জমিতে বিছিয়ে রেখে শুকাচ্ছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর প্রতিবেশী আব্দুস সোবহান সেই জমি নিজের বলে দাবি করে তাঁর সঙ্গে অহেতুক বিরোধে জড়ান। সেই বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে আব্দুস সোবহান তাঁর ছেলেদেরকে সঙ্গে নিয়ে জমির ধান লুট করে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। ঘটনার সময় ভুক্তভোগী কৃষক আব্দুল মান্নান বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে আব্দুস সোবহান তাঁর লোকজনসহ তাঁকে ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে দৌড়ে নিজ বাড়িতে ঢুকে রক্ষা পান। পরে তিনি জাতীয় সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুস সোবহান বলেন, ‘এই জমি আমার। তাই আমার জমির ধান আমি বাড়িতে নিয়ে গিয়েছি।’

তবে স্থানীয়রা জানান, ওই জমি আব্দুল মান্নান দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন। ওই জমিতে ধান আব্দুল মান্নানই চাষ করেছিলেন।

পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোমেল বড়ুয়া জানান, এ ব্যাপারে তিনি একটি এজাহার পেয়েছেন। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাইবান্ধায় এনসিপির আহ্বায়ক হলেন জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা

আনোয়ার হোসেন শামীম, গাইবান্ধা
গাইবান্ধা জেলা এনসিপির আহ্বায়ক হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া খাদেমুল ইসলাম খুদি। ছবি: সংগৃহীত
গাইবান্ধা জেলা এনসিপির আহ্বায়ক হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া খাদেমুল ইসলাম খুদি। ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধা জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটিতে জাসদের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক খাদেমুল ইসলাম খুদিকে গাইবান্ধা জেলা এনসিপির আহ্বায়ক হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

ফেসবুকে অনেকেই কমিটি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করছেন। জেলাজুড়ে বিষয়টি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া অতীতে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর দেওয়া বিভিন্ন বক্তব্য—বিশেষ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে করা মন্তব্যগুলো ফের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক পোস্ট ও ভিডিওতে খাদেমুল ইসলাম খুদিকে ইনুর সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা যায়। এর আগে গত বুধবার এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম স্বাক্ষরিত ৫২ সদস্যের এই কমিটি প্রকাশ করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, খাদেমুল ইসলাম খুদি দীর্ঘদিন ধরে হাসানুল হক ইনুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। গত অক্টোবর মাসে সাদুল্যাপুর উপজেলায় ‘সুধী সমাবেশ’ করার নামে খাদেমুল ইসলাম খুদি একটি রাজনৈতিক বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। প্রশাসন বিষয়টি জানতে পারলে খুদি সমাবেশ শুরুর আগেই ব্যানার সরিয়ে সরে পড়েন। এ ছাড়া সরকার পরিবর্তন হওয়ার পরপরই তিনি বিভিন্ন কৌশলে দলবদল করতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত জুলাই আন্দোলন-নেতৃত্বকারী এ দলের জেলায় শীর্ষ পদটি পেয়ে যান। অভিযোগ উঠেছে, তাঁর ঘনিষ্ঠতার সুযোগে খুদি মোটা অঙ্কের বিনিময়ে গাইবান্ধা জেলা এনসিপিতে শীর্ষ পদটি নিশ্চিত করেছেন।

ফেসবুকে এস এম এনামুল হক নামে একজন লিখেছেন, ‘যারা সারা জীবন আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে কাজ করেছে, তারা কীভাবে এনসিপির আহ্বায়ক হন? টাকার বিনিময়ে কি শহীদদের রক্ত বিক্রি করা হচ্ছে?’ মামুন সরকার নামে আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘আওয়ামী লীগের আরেক নাম এনসিপি।’ রফিক খন্দকার বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার জন্যই এ কমিটি।’

নাম না প্রকাশের শর্তে খাদেমুল ইসলাম খুদির এক বাল্যবন্ধু বলেন, খুদি ছাত্রজীবন থেকেই ক্ষমতা ও পদ-পদবির প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। যদিও তিনি জাসদের রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন, পরে তিনি প্রায়ই আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন।

এদিকে নতুন কমিটির বিরোধিতা করে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা এনসিপির জেলা কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত কার্যালয় তালাবদ্ধ ছিল। নেতা-কর্মীদের কাউকে দেখা যায়নি। ঘোষিত কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব এস এম মনিরুজ্জামান সবুজ পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগপত্রে তিনি লেখেন, ‘নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে স্বৈরাচারের দোসরকে আহ্বায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শহীদদের সঙ্গে বেইমানি করা হয়েছে।’

জানতে চাইলে গাইবান্ধা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব বায়োজিদ বোস্তামী জীম বলেন, ‘আওয়ামী লীগপন্থী প্রভাবশালী মহলের দোসর, সুবিধাবাদী চরিত্র ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের অযৌক্তিকভাবে পদ দেওয়া হয়েছে। এতে ত্যাগী ও প্রকৃত কর্মীরা বঞ্চিত হয়েছেন।’ তিনি দ্রুত কমিটি বাতিলের দাবি জানান।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের সংগঠক সারজিস আলমের মোবাইলে বারবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত