নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
রাজধানীর বঙ্গবাজারের জনপ্রিয় খুচরা ও পাইকারি কাপড়ের সাতটি মার্কেটে আগুনের ঘটনায় অন্তত ১ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। দোকান পুড়েছে অন্তত পাঁচ হাজার। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি ও বঙ্গবাজার শপিং কমপ্লেক্সের দোকান মালিক সমিতির দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি হবে। পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। টিনশেড মার্কেটের সব দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’
বঙ্গবাজার এলাকায় ছোট-বড় নয়টি মার্কেট আছে কাপড়ের। খুচরা ও পাইকারি ক্রেতাদের কাছে এসব মার্কেট খুবই জনপ্রিয়। নয়টি মার্কেটের মধ্যে আগুনে পুড়েছে গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, মহানগর কমপ্লেক্স, আদর্শ মার্কেট, এনেক্সকো টাওয়ার, বাংলাদেশ সুপার মার্কেট, বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেট এবং বঙ্গ হোমিও মার্কেট। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেটগুলোর দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতির সব দায়িত্বশীলদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বঙ্গবাজার শপিং কমপ্লেক্সের দোকান মালিক সমিতির পরিচালক হাজি মো. শাহাবুদ্দিন দাবি করেছেন এই ঘটনায় অন্তত ৫ হাজার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাব নিরূপণ করতে পারিনি। তবে ৫ হাজার দোকান পুড়েছে। টাকার অঙ্কে এই ক্ষতির পরিমাণ কত হবে সেটা এখনই বলা সম্ভব না। এসব দোকানে কতজন কর্মচারী ছিলেন তাদের হিসাব নেই।’
ঈদের আগে এমন আগুনের ঘটনায় দোকান মালিক ও মহাজনদের মাথায় হাত। অধিকাংশ ব্যবসায়ী ও মহাজন বিভিন্ন ক্ষুদ্র ঋণদানকারী সংস্থা ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। অধিকাংশ ব্যবসায়ী দোকানদার মহাজনদের কাছ থেকে মাল বাকিতে এনে বিক্রি করার পর টাকা পরিশোধ করেন।
এ ক্ষেত্রে দোকানদারদের চেয়ে মহাজনরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানালেন কয়েকজন মহাজন। তাঁদের একজন কাজল আকতার ময়না। রাব্বি বস্ত্রালয় নামে কামরাঙ্গিরচরে ছোট্ট অ্যামব্রয়ডারির কারখানায় মেয়েদের ওয়ান পিস তৈরি করে এসব মার্কেটের ৩৫টি দোকানে বাকিতে মালামাল দেন তিনি। ঈদ সামনে রেখে বাড়ির দলিল জমা দিয়ে ৩০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছিলেন। সব মিলিয়ে তাঁর ১ কোটি টাকা পড়ে আছে এসব মার্কেটের দোকানে। তিনি সেক্রেটারিয়েট রোডের প্রত্যাশা চত্বরে বসে বিলাপ করে বলছিলেন, ‘আল্লাহ, আমার একি হইয়া গেলো। আমার তো কিছুই থাকল না। ঈদের আগেই ফকির হইয়া গেলাম। আইজ থেইকে আমরা তাগাদার টেকা পাইতাম। সেই টেকা দিয়া ইসলামপুরের মহাজনের বকেয়া পরিশোধ করতাম, সংস্থার কিস্তি দিতাম। এহন কেমনে কী করমু।’
সারা জীবনের সঞ্চয় চোখের সামনে দাউ দাউ করে পুড়তে দেখে তসলিমের চোখ গড়িয়ে নীরবে পানি পড়ছিল। চোখের পানি সামলে তিনি বলেন, ‘১৯৭৬ সাল থেকে ছোটখাটো ব্যবসা কইরা এই পর্যন্ত আসছিলাম। ৯০ সাল থেকে ব্যবসা কইরা এই পর্যন্ত আমি চারটা দোকান বানাইছি। এক দিনে আমার সব শেষ হইয়া গেল।’
ঈদ উপলক্ষে নানাভাবে ঋণ নিয়ে প্রায় ৩০ লাখ টাকায় দোকানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জিনস প্যান্ট তুলেছিলেন তসলিম। এগুলোর সঙ্গে আগুনে পুড়েছে দোকানের ক্যাশে রাখা নগদ টাকাও। তসলিমের মতোই সবকিছু হারিয়েছেন তাহসীন ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী হাবিবুর রহমান। সকাল সাড়ে ছয়টায় আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান তিনি। তিনি জানান, আগুনে সব পুড়ে যাওয়ার আগে মহানগর কমপ্লেক্স মার্কেটের দোকান থেকে মাত্র তিন বস্তা কাপড় উদ্ধার করতে পেরেছেন।
বঙ্গবাজার ও পাশের এনেক্স মার্কেটের শাড়ি ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, ‘কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আগুনে কোটি টাকা ছাই হইয়া গেছে। কষ্টে যে কানমু সেই সুযোগও পাই নাই। আইসাই মালামাল উদ্ধারে নাইমা গেছি।’
রাজধানীর বঙ্গবাজারের জনপ্রিয় খুচরা ও পাইকারি কাপড়ের সাতটি মার্কেটে আগুনের ঘটনায় অন্তত ১ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। দোকান পুড়েছে অন্তত পাঁচ হাজার। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি ও বঙ্গবাজার শপিং কমপ্লেক্সের দোকান মালিক সমিতির দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি হবে। পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। টিনশেড মার্কেটের সব দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।’
বঙ্গবাজার এলাকায় ছোট-বড় নয়টি মার্কেট আছে কাপড়ের। খুচরা ও পাইকারি ক্রেতাদের কাছে এসব মার্কেট খুবই জনপ্রিয়। নয়টি মার্কেটের মধ্যে আগুনে পুড়েছে গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, মহানগর কমপ্লেক্স, আদর্শ মার্কেট, এনেক্সকো টাওয়ার, বাংলাদেশ সুপার মার্কেট, বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেট এবং বঙ্গ হোমিও মার্কেট। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেটগুলোর দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতির সব দায়িত্বশীলদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বঙ্গবাজার শপিং কমপ্লেক্সের দোকান মালিক সমিতির পরিচালক হাজি মো. শাহাবুদ্দিন দাবি করেছেন এই ঘটনায় অন্তত ৫ হাজার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো ক্ষয়ক্ষতির সঠিক হিসাব নিরূপণ করতে পারিনি। তবে ৫ হাজার দোকান পুড়েছে। টাকার অঙ্কে এই ক্ষতির পরিমাণ কত হবে সেটা এখনই বলা সম্ভব না। এসব দোকানে কতজন কর্মচারী ছিলেন তাদের হিসাব নেই।’
ঈদের আগে এমন আগুনের ঘটনায় দোকান মালিক ও মহাজনদের মাথায় হাত। অধিকাংশ ব্যবসায়ী ও মহাজন বিভিন্ন ক্ষুদ্র ঋণদানকারী সংস্থা ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। অধিকাংশ ব্যবসায়ী দোকানদার মহাজনদের কাছ থেকে মাল বাকিতে এনে বিক্রি করার পর টাকা পরিশোধ করেন।
এ ক্ষেত্রে দোকানদারদের চেয়ে মহাজনরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানালেন কয়েকজন মহাজন। তাঁদের একজন কাজল আকতার ময়না। রাব্বি বস্ত্রালয় নামে কামরাঙ্গিরচরে ছোট্ট অ্যামব্রয়ডারির কারখানায় মেয়েদের ওয়ান পিস তৈরি করে এসব মার্কেটের ৩৫টি দোকানে বাকিতে মালামাল দেন তিনি। ঈদ সামনে রেখে বাড়ির দলিল জমা দিয়ে ৩০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছিলেন। সব মিলিয়ে তাঁর ১ কোটি টাকা পড়ে আছে এসব মার্কেটের দোকানে। তিনি সেক্রেটারিয়েট রোডের প্রত্যাশা চত্বরে বসে বিলাপ করে বলছিলেন, ‘আল্লাহ, আমার একি হইয়া গেলো। আমার তো কিছুই থাকল না। ঈদের আগেই ফকির হইয়া গেলাম। আইজ থেইকে আমরা তাগাদার টেকা পাইতাম। সেই টেকা দিয়া ইসলামপুরের মহাজনের বকেয়া পরিশোধ করতাম, সংস্থার কিস্তি দিতাম। এহন কেমনে কী করমু।’
সারা জীবনের সঞ্চয় চোখের সামনে দাউ দাউ করে পুড়তে দেখে তসলিমের চোখ গড়িয়ে নীরবে পানি পড়ছিল। চোখের পানি সামলে তিনি বলেন, ‘১৯৭৬ সাল থেকে ছোটখাটো ব্যবসা কইরা এই পর্যন্ত আসছিলাম। ৯০ সাল থেকে ব্যবসা কইরা এই পর্যন্ত আমি চারটা দোকান বানাইছি। এক দিনে আমার সব শেষ হইয়া গেল।’
ঈদ উপলক্ষে নানাভাবে ঋণ নিয়ে প্রায় ৩০ লাখ টাকায় দোকানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জিনস প্যান্ট তুলেছিলেন তসলিম। এগুলোর সঙ্গে আগুনে পুড়েছে দোকানের ক্যাশে রাখা নগদ টাকাও। তসলিমের মতোই সবকিছু হারিয়েছেন তাহসীন ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী হাবিবুর রহমান। সকাল সাড়ে ছয়টায় আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান তিনি। তিনি জানান, আগুনে সব পুড়ে যাওয়ার আগে মহানগর কমপ্লেক্স মার্কেটের দোকান থেকে মাত্র তিন বস্তা কাপড় উদ্ধার করতে পেরেছেন।
বঙ্গবাজার ও পাশের এনেক্স মার্কেটের শাড়ি ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, ‘কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আগুনে কোটি টাকা ছাই হইয়া গেছে। কষ্টে যে কানমু সেই সুযোগও পাই নাই। আইসাই মালামাল উদ্ধারে নাইমা গেছি।’
রাজধানীর উত্তরা থেকে বকশীগঞ্জের সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের সাঙ্গাম মোড় এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া নজরুল ইসলাম সওদাগর জামালপুরের পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক বলেও জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের বাকলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় এক চিকিৎসককে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর একটি ভবনের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় অবরুদ্ধ থাকা ওই চিকিৎসক ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টি জানালে পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষে পাঁচজনের নিহতের ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আবু তারিকের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্তকাজ শুরু করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে স্কুলে ঢুকে এক শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজার বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউপির হাইদ চকিয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রধান শিক্ষক সুনব বড়ুয়া বাধা দিতে গেলে তাঁকেও আঘাত করেন ওই ব্যক্তি।
৩ ঘণ্টা আগে