নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদীতে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে খননযন্ত্র বসিয়ে মেঘনা নদীর চর থেকে দেদার বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এতে কৃষিজমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে শতাধিক কৃষক জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী।
অভিযুক্ত নেতার নাম আব্দুল কাইয়ুম। তিনি সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব। তাঁর বিরুদ্ধে গত বুধবার অভিযোগে করেন ১৩৯ জন কৃষক। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, কাইয়ুম ১৮ থেকে ২০টি খননযন্ত্র দিয়ে তিন মাস ধরে অবৈধভাবে বালু তুলছেন। এতে গৌরীপুরা চরের কৃষিজমি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েক শ একর জমি বিলীন হয়ে গেছে।
কৃষকদের অভিযোগ, অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে তাঁদের জীবিকা হুমকির মুখে পড়ছে এবং পরিবেশের বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে। চরাঞ্চলের কৃষিজমি ও বাড়িঘর ভাঙনের কবল থেকে রক্ষার জন্য কৃষকদের আকুতি কেউ শোনেন না।
কৃষকেরা জানান, বিএনপি নেতা কাইয়ুমের অবৈধভাবে বালু তোলাসহ তাঁর যেকোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই কৃষকদের ভয়ভীতি দেখানো হয়। ৯ মার্চ ফসলি জমি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নিতে যাওয়ার পথে কৃষকদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও ককটেলের বিস্ফোরণ করা হয়। এতে চারজন আহত হন।
অভিযোগ জমা দিতে আসা বাখরনগর গ্রামের দুদুল মিয়া, বকশালীপুরের হাবিজ উদ্দিন ও বীরগাঁওয়ের ইলিয়াস মিয়া জানান, প্রশাসন দফায় দফায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জরিমানা করলেও বালু উত্তোলন বন্ধ না হয়ে উল্টো গতি বাড়ে। এ ছাড়া প্রশাসন অভিযানে যাওয়ার আগেই বালু উত্তোলনকারীরা খবর পেয়ে যায়।
দুদুল মিয়া বলেন, ‘আমার ২৫৪ শতাংশ জমি কেটে নিয়ে গেছে কাইয়ুম। জমিতে ধান চাষ করতাম, চরের দুই পাশে নদী হওয়ায় প্রতিবছর জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। প্রত্যেক কৃষকের জমিই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এসব জমি খননযন্ত্র ব্যবহার করে কেটে নিয়ে যাচ্ছেন বিএনপির নেতা কাইয়ুম। প্রতিবাদ করলে হামলা ও নির্যাতন করা হয়।’
আরেক কৃষক ইলিয়াস মিয়া বলেন, ‘তাঁর (কাইয়ুম) রাজনৈতিক প্রভাবে আমরা অসহায়। জেলা প্রশাসকের কাছে ইতিপূর্বে অভিযোগ দিয়েছি এবং তাঁরা কাইয়ুমকে জরিমানাও করেছেন। কিন্তু কাইয়ুম আরও বেপরোয়া হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে কাইয়ুমের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে তাঁর বড় ভাই মো. জাকারিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রশাসন থেকে লিজ নিয়েই মাটি তোলা হচ্ছে। প্রশাসন এ বিষয়ে অবগত আছে। যেখানে মাটি তোলা হচ্ছে, সেখানে কোনো ফসলি জমি নেই। মূলত আমাদের এলাকায় প্রতিহিংসাপরায়ণ কিছু লোকজন আছে, যারা অন্যের ভালো চায় না। তারাই এসব মিথ্যা অভিযোগ করে থাকে।’
এ নিয়ে কথা হলে নরসিংদী জেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব দীপক কুমার বর্মণ প্রিন্স বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশ—কৃষক বাঁচলেই বাঁচবে দেশ। কৃষকদের পাশে থাকতে কৃষক দল সারা দেশে কৃষক সমাবেশের আয়োজন করছে। যে বা যারা কৃষকদের ক্ষতি করবে, তাদের বিপক্ষে আমাদের অবস্থান থাকবে। দলের নেতাদের প্রতি সুপারিশ করব তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক রাশেদ হোসেন বলেন, ‘অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আব্দুল কাইয়ুমের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এবারও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নরসিংদীতে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে খননযন্ত্র বসিয়ে মেঘনা নদীর চর থেকে দেদার বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এতে কৃষিজমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে শতাধিক কৃষক জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরী।
অভিযুক্ত নেতার নাম আব্দুল কাইয়ুম। তিনি সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব। তাঁর বিরুদ্ধে গত বুধবার অভিযোগে করেন ১৩৯ জন কৃষক। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, কাইয়ুম ১৮ থেকে ২০টি খননযন্ত্র দিয়ে তিন মাস ধরে অবৈধভাবে বালু তুলছেন। এতে গৌরীপুরা চরের কৃষিজমি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েক শ একর জমি বিলীন হয়ে গেছে।
কৃষকদের অভিযোগ, অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে তাঁদের জীবিকা হুমকির মুখে পড়ছে এবং পরিবেশের বিপর্যয় দেখা দিচ্ছে। চরাঞ্চলের কৃষিজমি ও বাড়িঘর ভাঙনের কবল থেকে রক্ষার জন্য কৃষকদের আকুতি কেউ শোনেন না।
কৃষকেরা জানান, বিএনপি নেতা কাইয়ুমের অবৈধভাবে বালু তোলাসহ তাঁর যেকোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করলেই কৃষকদের ভয়ভীতি দেখানো হয়। ৯ মার্চ ফসলি জমি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধনে অংশ নিতে যাওয়ার পথে কৃষকদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও ককটেলের বিস্ফোরণ করা হয়। এতে চারজন আহত হন।
অভিযোগ জমা দিতে আসা বাখরনগর গ্রামের দুদুল মিয়া, বকশালীপুরের হাবিজ উদ্দিন ও বীরগাঁওয়ের ইলিয়াস মিয়া জানান, প্রশাসন দফায় দফায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জরিমানা করলেও বালু উত্তোলন বন্ধ না হয়ে উল্টো গতি বাড়ে। এ ছাড়া প্রশাসন অভিযানে যাওয়ার আগেই বালু উত্তোলনকারীরা খবর পেয়ে যায়।
দুদুল মিয়া বলেন, ‘আমার ২৫৪ শতাংশ জমি কেটে নিয়ে গেছে কাইয়ুম। জমিতে ধান চাষ করতাম, চরের দুই পাশে নদী হওয়ায় প্রতিবছর জমির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। প্রত্যেক কৃষকের জমিই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এসব জমি খননযন্ত্র ব্যবহার করে কেটে নিয়ে যাচ্ছেন বিএনপির নেতা কাইয়ুম। প্রতিবাদ করলে হামলা ও নির্যাতন করা হয়।’
আরেক কৃষক ইলিয়াস মিয়া বলেন, ‘তাঁর (কাইয়ুম) রাজনৈতিক প্রভাবে আমরা অসহায়। জেলা প্রশাসকের কাছে ইতিপূর্বে অভিযোগ দিয়েছি এবং তাঁরা কাইয়ুমকে জরিমানাও করেছেন। কিন্তু কাইয়ুম আরও বেপরোয়া হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে কাইয়ুমের মোবাইল ফোনে কয়েকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে তাঁর বড় ভাই মো. জাকারিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রশাসন থেকে লিজ নিয়েই মাটি তোলা হচ্ছে। প্রশাসন এ বিষয়ে অবগত আছে। যেখানে মাটি তোলা হচ্ছে, সেখানে কোনো ফসলি জমি নেই। মূলত আমাদের এলাকায় প্রতিহিংসাপরায়ণ কিছু লোকজন আছে, যারা অন্যের ভালো চায় না। তারাই এসব মিথ্যা অভিযোগ করে থাকে।’
এ নিয়ে কথা হলে নরসিংদী জেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব দীপক কুমার বর্মণ প্রিন্স বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশ—কৃষক বাঁচলেই বাঁচবে দেশ। কৃষকদের পাশে থাকতে কৃষক দল সারা দেশে কৃষক সমাবেশের আয়োজন করছে। যে বা যারা কৃষকদের ক্ষতি করবে, তাদের বিপক্ষে আমাদের অবস্থান থাকবে। দলের নেতাদের প্রতি সুপারিশ করব তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক রাশেদ হোসেন বলেন, ‘অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আব্দুল কাইয়ুমের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এবারও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
২৭ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
৩০ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
৪১ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
১ ঘণ্টা আগে