Ajker Patrika

ভোট কেনার টাকা ফেরত চাইতে ইউনিয়ন পরিষদে পরাজিত প্রার্থী, ভিডিও ভাইরাল 

আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২২, ০০: ০১
ভোট কেনার টাকা ফেরত চাইতে ইউনিয়ন পরিষদে পরাজিত প্রার্থী, ভিডিও ভাইরাল 

সম্প্রতি গাজীপুরের জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে ১ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে দোয়াত কলম প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন রাশিদা খন্দকার। তিনি নির্বাচনে পরাজিত হন, বিজয়ী হন ঘড়ি প্রতীকের মাহমুদা ইয়াসমিন।

পরাজিত প্রার্থী রাশিদা খন্দকার দাবি করেছেন, তিনি ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা দিয়ে একটি ভোটও পাননি। এই ক্ষোভে তিনি ইউনিয়ন পরিষদে এসে চেয়ারম্যানসহ মেম্বারদের শাসিয়েছেন। আজ শুক্রবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

মোবাইলে ধারণ করা করা ৫২ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে রাশিদা খন্দকারকে বলতে শোনা যায়, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে ওরা পাঁচজনের কাছ থেকে টাকা নিছে। অন্য প্রার্থীর কাছ থেকে ৪০ হাজার করে নিছে। আর আমার কাছ থেকে নিছে ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। আমি সবাইকে মিলে দিছি টাকা। ওরা একটা ভোটও আমাকে দেয় নাই। গতকালকের আগের দিন টাকা নিছে। আর ঘড়ি মার্কা যেটা পাশ করছে ১৪ ভোট বেশি পাইয়া। তার কাছ থেকে একেকজন নিছে ৫০ হাজার কইরা। আবার মেম্বারদের কাছ থেকে নিছে।’

এ বিষয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী পদে বিজয়ী মাহমুদা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমি নির্বাচনে কোনো ভোটারদের টাকার বিনিময়ে ভোট কিনি নাই। সে হয়তোবা টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চেয়েছে। আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিওতে দেখলাম।’

গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী সদস্য রোকেয়া আক্তার বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি কোনো প্রার্থীর কাছ থেকে কোনো টাকা লেনদেন করি নাই। আমি শুনেছি রাশিদা খন্দকার নামে এক প্রার্থী টাকা ফেরত চাইতে ইউনিয়ন পরিষদে এসেছেন। আমি ওই দিন ইউনিয়ন পরিষদে উপস্থিত ছিলাম না।’ 

গাজীপুরের ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মিজানুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমি কোনো কিছু বলতে পারব না। এগুলো শুধুই নাটক।’

গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল হক মাদবর বলেন, ‘গত বুধবার দুপুরের দিকে জেলা পরিষদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রাশিদা খন্দকার ইউনিয়ন পরিষদে আসে। এরপর পেয়ারা আর কমলালেবু দেওয়া হয়। এ সময় ওই নারী প্রার্থী উচ্চস্বরে বলতে থাকে আপনারা টাকা নিয়ে আমাকে কেন ভোট দিলেন না জবাব দেন। এ সময় আমি বলছি কে নিছে তুমার টাকা, এ সময় ওই নারী বলে আপনার মেম্বাররা নিছে টাকা। পরবর্তী আমি তাকে জানাই, তাহলে মেম্বারদের সঙ্গে গিয়ে টাকার বিষয়ে আলোচনা কর। এই বলে সে পরিষদের আমার কক্ষ থেকে বেরিয়ে যায়।’

জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী পরাজিত প্রার্থী রাশিদা খন্দকারের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

গাজীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, ‘নির্বাচনে অর্থ লেনদেনের কোনো অভিযোগ আমার জানা নেই। কোনো প্রার্থী বা ভোটার লিখিত অভিযোগ করেনি। সুন্দরভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। টাকা দেওয়া আর নেওয়া দুটোই সমান অপরাধ। যেহেতু নির্বাচন শেষ হয়েছে এ বিষয়ে আমাদের কিছু করণীয় নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত