নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছয় দফা দাবিতে দেশজুড়ে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে তালা ঝুলিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁরা ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন।
এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম মহিলা পলিটেকনিকসহ দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে তালা ঝুলিয়ে শাটডাউন ঘোষণা করেছেন বলে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে তালা ঝোলানোর পর ক্যাম্পাসের মেধা শহীদ চত্বরে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. মাশফিক ইসলাম দেওয়ান বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ আমাদের দাবি-দাওয়াগুলো বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়নে কমিটি করে দিলেও কমিটির একটিমাত্র সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, আমরা কোনো সফলতা দেখছি না। আমাদের দাবিগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাচ্ছি না। কমিটি দ্রুত কাজ করছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ অবস্থায় দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে আমরা একযোগে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের দাবি বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাটডাউন থাকবে। প্রশাসনিক ভবন একাডেমিক ভবন তালাবদ্ধ থাকবে, ক্যাম্পাসে সব প্রকার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’
এর আগে গত দুদিনে সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ, গণমিছিল ও সব জেলার ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) অফিসে অভিযোগপত্র জমা দেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।
ছয় দফা পূরণে দীর্ঘদিন থেকে দাবি জানিয়ে আসছে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। গত ১৬ এপ্রিল থেকে জোরালো আন্দোলন শুরু করে তাঁরা। সপ্তাহ খানেক ধরে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাঁদের দাবি বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়নে কমিটি গঠন করলে গত মঙ্গলবার তাঁরা আন্দোলন স্থগিত করেছিলেন। তবে পরদিনই সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়নে গত মঙ্গলবার বিকেলে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে আট সদস্যের কমিটি গঠন করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের একজন উপদেষ্টাকেও কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়। কমিটিকে ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়ন করে তিন সপ্তাহের মধ্যে বিভাগের সচিবের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—
১. জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইন্সট্রাকটরদের প্রমোশনের হাইকোর্টের রায় বাতিলসহ ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টর পদবি পরিবর্তন এবং ওই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা। ২০২১ সালের বিতর্কিত ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টর নিয়োগের জন্য নিয়োগবিধি অনতিবিলম্বে বাতিল করা, সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে নিয়োগ বাতিল করা এবং মামলার প্রধান কারিগর ক্র্যাফট ইন্সট্রাকটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
২. ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদি অব্যাহত রাখা এবং মানসম্মত সিলেবাস ও কারিকুলাম আধুনিক বিশ্বের আদলে প্রণয়ন করা।
৩. উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) পদে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) হতে পাস করা শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য কেউ আবেদন করতে পারবে না এবং এই পদ সংরক্ষিত করতে হবে। প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা ছাত্রদের ন্যূনতম ১০ম গ্রেডের বেসিক অর্থাৎ ১৬০০০ টাকা দেওয়া।
৪. কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিটি প্রকাশ করে কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, উপপরিচালক, অধ্যক্ষ ও দায়িত্বে থাকা সব পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবলকে দায়িত্ব বা নিয়োগ দেওয়া।
৫. কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিতর্কিত সব নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল সব শূন্য পদে পলিটেকনিক ও টিএসসিতে দক্ষ শিক্ষক ও দক্ষ ল্যাব সহকারীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা।
৬. ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য আধুনিক বিশ্বের আদলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার গেজেট পাস করতে হবে এবং বর্তমানে প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (নওগাঁ, ঠাকুরগাঁও, নড়াইল, খাগড়াছড়ি) শতভাগ সিট নিশ্চিত করা।
ছয় দফা দাবিতে দেশজুড়ে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে তালা ঝুলিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁরা ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন।
এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ, লক্ষ্মীপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম মহিলা পলিটেকনিকসহ দেশের বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে তালা ঝুলিয়ে শাটডাউন ঘোষণা করেছেন বলে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে তালা ঝোলানোর পর ক্যাম্পাসের মেধা শহীদ চত্বরে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. মাশফিক ইসলাম দেওয়ান বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ আমাদের দাবি-দাওয়াগুলো বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়নে কমিটি করে দিলেও কমিটির একটিমাত্র সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, আমরা কোনো সফলতা দেখছি না। আমাদের দাবিগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সে বিষয়ে কোনো তথ্য পাচ্ছি না। কমিটি দ্রুত কাজ করছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ অবস্থায় দেশের সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে আমরা একযোগে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছি। আমাদের দাবি বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত সব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাটডাউন থাকবে। প্রশাসনিক ভবন একাডেমিক ভবন তালাবদ্ধ থাকবে, ক্যাম্পাসে সব প্রকার কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’
এর আগে গত দুদিনে সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ, গণমিছিল ও সব জেলার ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) অফিসে অভিযোগপত্র জমা দেন পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।
ছয় দফা পূরণে দীর্ঘদিন থেকে দাবি জানিয়ে আসছে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। গত ১৬ এপ্রিল থেকে জোরালো আন্দোলন শুরু করে তাঁরা। সপ্তাহ খানেক ধরে কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাঁদের দাবি বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়নে কমিটি গঠন করলে গত মঙ্গলবার তাঁরা আন্দোলন স্থগিত করেছিলেন। তবে পরদিনই সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়নে গত মঙ্গলবার বিকেলে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে আট সদস্যের কমিটি গঠন করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ। কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের একজন উপদেষ্টাকেও কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়। কমিটিকে ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের রূপরেখা প্রণয়ন করে তিন সপ্তাহের মধ্যে বিভাগের সচিবের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—
১. জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্র্যাফট ইন্সট্রাকটরদের প্রমোশনের হাইকোর্টের রায় বাতিলসহ ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টর পদবি পরিবর্তন এবং ওই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা। ২০২১ সালের বিতর্কিত ক্র্যাফট ইনস্ট্রাক্টর নিয়োগের জন্য নিয়োগবিধি অনতিবিলম্বে বাতিল করা, সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে নিয়োগ বাতিল করা এবং মামলার প্রধান কারিগর ক্র্যাফট ইন্সট্রাকটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
২. ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদি অব্যাহত রাখা এবং মানসম্মত সিলেবাস ও কারিকুলাম আধুনিক বিশ্বের আদলে প্রণয়ন করা।
৩. উপসহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) পদে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) হতে পাস করা শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য কেউ আবেদন করতে পারবে না এবং এই পদ সংরক্ষিত করতে হবে। প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা ছাত্রদের ন্যূনতম ১০ম গ্রেডের বেসিক অর্থাৎ ১৬০০০ টাকা দেওয়া।
৪. কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিটি প্রকাশ করে কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, উপপরিচালক, অধ্যক্ষ ও দায়িত্বে থাকা সব পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবলকে দায়িত্ব বা নিয়োগ দেওয়া।
৫. কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিতর্কিত সব নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল সব শূন্য পদে পলিটেকনিক ও টিএসসিতে দক্ষ শিক্ষক ও দক্ষ ল্যাব সহকারীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা।
৬. ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য আধুনিক বিশ্বের আদলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার গেজেট পাস করতে হবে এবং বর্তমানে প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (নওগাঁ, ঠাকুরগাঁও, নড়াইল, খাগড়াছড়ি) শতভাগ সিট নিশ্চিত করা।
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
৭ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
১০ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
২১ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
২৫ মিনিট আগে