ফরিদপুর প্রতিনিধি
নৌকার বিপক্ষে ভোট করায় ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদসহ ১০ জনকে আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি ‘অবৈধ’ বলে দাবি করেছেন ওই নেতারা। একই সঙ্গে তাঁরা এই আদেশের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান।
আজ শুক্রবার শহরের ঝিলটুলিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান তাঁরা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী জাহিদ।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক ও সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদসহ ১০ জনকে অব্যাহতির কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শওকত আলী জাহিদ বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি অব্যাহতিপত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিক ও হাস্যকর। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগলের গণজোয়ার নস্যাৎ করার জন্য ত্যাগী নেতাদের নামে এ অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
অব্যাহতিপত্র অবৈধ দাবি করে তিনি বলেন, ‘জেলা কমিটির কোনো সদস্যকে সরাসরি অব্যাহতি দেওয়া যায় না। কোনো সদস্য অপরাধ করলে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হয়। তারপর জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সভায় দুই-তৃতীয়াংশের মতামতের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় কমিটিকে সুপারিশ করতে পারে।
‘কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগ এমন একটি অব্যাহতিপত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছে, যা সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিক ও অবৈধ। মূলত এ কে আজাদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এই অব্যাহতিপত্র প্রদান করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নিজেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছেন এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও বলেছেন, যে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে পারবে। ফলে অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, কোনো কোনো জায়গায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু অন্য কোথাও এমন অব্যাহতির ঘটনা ঘটেনি।’
লিখিত বক্তব্যে এ আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘ফরিদপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জামাল হোসেন মিয়া ও সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা কমিটির সদস্য দেলোয়ার হোসেনের নাম অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ করা হয়নি। এতে প্রমাণ হয়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবস্থান নিয়েছেন। সুতরাং, এই অব্যাহতিপত্র জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের পরিপন্থী।’
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ধারা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গঠনতন্ত্রের ৪৭ (৫) ধারায় উল্লেখ আছে, শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে উল্লিখিত ব্যক্তিকে কারণ দর্শানোর সুযোগদানের উদ্দেশ্যে যুক্তিসংগত সময় দিয়ে সাধারণ সম্পাদক পোস্টাল রেজিস্ট্রেশনপূর্বক নোটিশ দিতে বাধ্য থাকবে। কিন্তু তা করা হয়নি।’ এ ছাড়া অব্যাহতিপত্রে ৪৭ (১) এবং ৪৭ (১০) ধারা মানা হয়নি বলে দাবি করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় উপস্থিত না হওয়া প্রসঙ্গে নেতৃবৃন্দ বলেন, তাঁদের প্রধানমন্ত্রীর জনসভার বিষয়টি অবহিত করা হয়নি। সভায় যোগদানের জন্য কিছু প্রক্রিয়া আছে। করোনা টেস্ট, ছবি ও আইডি কার্ড দিয়ে অনুমতি নিতে হয়। ‘সে ক্ষেত্রে আমাদের আহ্বান করা হয়নি।’
অব্যাহতিপত্রের মাধ্যমে মানহানি করা হয়েছে উল্লেখ করে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, ‘এই মানহানি করার অধিকার কোনো ব্যক্তির নেই। আমরা পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব, এই অব্যাহতির বিরুদ্ধে লিগ্যাল এইড (আইনি নোটিশ) পাঠাব।’
এ সময় উপস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিপুল ঘোষ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী জাতীয় সংসদ। সেই কমিটিতে যাদের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে, তা সেখানে আলোচনা করা হবে এবং সিদ্ধান্ত যদি হয় কাউকে বহিষ্কার করতে হবে–তাহলে বহিষ্কার হবে। সুতরাং, এটা একটি মতলববাজি।’
সংবাদ সম্মেলনে (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদসহ ১০ নেতা উপস্থিত ছিলেন।
নৌকার বিপক্ষে ভোট করায় ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদসহ ১০ জনকে আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি ‘অবৈধ’ বলে দাবি করেছেন ওই নেতারা। একই সঙ্গে তাঁরা এই আদেশের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান।
আজ শুক্রবার শহরের ঝিলটুলিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান তাঁরা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী জাহিদ।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক ও সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আরিফ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদসহ ১০ জনকে অব্যাহতির কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শওকত আলী জাহিদ বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি অব্যাহতিপত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করা হয়েছে। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এটা সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিক ও হাস্যকর। স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগলের গণজোয়ার নস্যাৎ করার জন্য ত্যাগী নেতাদের নামে এ অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
অব্যাহতিপত্র অবৈধ দাবি করে তিনি বলেন, ‘জেলা কমিটির কোনো সদস্যকে সরাসরি অব্যাহতি দেওয়া যায় না। কোনো সদস্য অপরাধ করলে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হয়। তারপর জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সভায় দুই-তৃতীয়াংশের মতামতের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় কমিটিকে সুপারিশ করতে পারে।
‘কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগ এমন একটি অব্যাহতিপত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছে, যা সম্পূর্ণ অগঠনতান্ত্রিক ও অবৈধ। মূলত এ কে আজাদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে এই অব্যাহতিপত্র প্রদান করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নিজেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছেন এবং দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও বলেছেন, যে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে পারবে। ফলে অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন, কোনো কোনো জায়গায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু অন্য কোথাও এমন অব্যাহতির ঘটনা ঘটেনি।’
লিখিত বক্তব্যে এ আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘ফরিদপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জামাল হোসেন মিয়া ও সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা কমিটির সদস্য দেলোয়ার হোসেনের নাম অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ করা হয়নি। এতে প্রমাণ হয়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবস্থান নিয়েছেন। সুতরাং, এই অব্যাহতিপত্র জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের পরিপন্থী।’
আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ধারা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গঠনতন্ত্রের ৪৭ (৫) ধারায় উল্লেখ আছে, শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে উল্লিখিত ব্যক্তিকে কারণ দর্শানোর সুযোগদানের উদ্দেশ্যে যুক্তিসংগত সময় দিয়ে সাধারণ সম্পাদক পোস্টাল রেজিস্ট্রেশনপূর্বক নোটিশ দিতে বাধ্য থাকবে। কিন্তু তা করা হয়নি।’ এ ছাড়া অব্যাহতিপত্রে ৪৭ (১) এবং ৪৭ (১০) ধারা মানা হয়নি বলে দাবি করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় উপস্থিত না হওয়া প্রসঙ্গে নেতৃবৃন্দ বলেন, তাঁদের প্রধানমন্ত্রীর জনসভার বিষয়টি অবহিত করা হয়নি। সভায় যোগদানের জন্য কিছু প্রক্রিয়া আছে। করোনা টেস্ট, ছবি ও আইডি কার্ড দিয়ে অনুমতি নিতে হয়। ‘সে ক্ষেত্রে আমাদের আহ্বান করা হয়নি।’
অব্যাহতিপত্রের মাধ্যমে মানহানি করা হয়েছে উল্লেখ করে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, ‘এই মানহানি করার অধিকার কোনো ব্যক্তির নেই। আমরা পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব, এই অব্যাহতির বিরুদ্ধে লিগ্যাল এইড (আইনি নোটিশ) পাঠাব।’
এ সময় উপস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বিপুল ঘোষ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী জাতীয় সংসদ। সেই কমিটিতে যাদের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে, তা সেখানে আলোচনা করা হবে এবং সিদ্ধান্ত যদি হয় কাউকে বহিষ্কার করতে হবে–তাহলে বহিষ্কার হবে। সুতরাং, এটা একটি মতলববাজি।’
সংবাদ সম্মেলনে (অব্যাহতিপ্রাপ্ত) জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদসহ ১০ নেতা উপস্থিত ছিলেন।
মে দিবস উপলক্ষে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে চা–শ্রমিক সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার রাজঘাট চা–বাগানের নাট মণ্ডপ প্রাঙ্গণে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
২০ মিনিট আগেরাজারহাটে জামায়াতের সহযোগী সংগঠনের এক নেতার ‘কলিজা টেনে ছিঁড়ে ফেলা’ ও তাঁর দলকে (জামায়াত) নিশ্চিহ্ন করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনিছুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বিএনপি। আজ বৃহস্পতিবার জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ স্বাক্ষরিত ওই চিঠি পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পূর্ববিরোধ ও এক নারীর দিকে তাকানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার চানমনিপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিরা
১ ঘণ্টা আগেবিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বলেছেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, নিরাপত্তা কোন জায়গায় যাবে সেটি জনগণের কাছে পরিষ্কার না করে আপনি করিডর দিতে চাচ্ছেন? আপনাকে জনগণের মানসিকতা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। যেখানে দেশ ও মানুষ বিপন্ন হতে পারে, সেই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া
১ ঘণ্টা আগে