Ajker Patrika

ডেঙ্গু নিয়ে শিথিলতা মানা হবে না : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১২ জুলাই ২০২১, ১৬: ৫১
ডেঙ্গু নিয়ে শিথিলতা মানা হবে না : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

করোনার মধ্যে প্রতিদিন বাড়ছে রাজধানীসহ সারা দেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই ডেঙ্গু নিয়ে কোনো শিথিলতা মানা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

আজ সোমবার সারা দেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন, অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার দশম আন্তমন্ত্রণালয় অনলাইন সভায় এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। 

মন্ত্রী বলেন, মিটিংয়ে এসে মিষ্টি মিষ্টি কথা বললে হবে না। বাস্তবে কথা আর কাজের মিল না পাওয়া গেলে কোনোভাবেই তা মানা হবে না। ঢাকার ভেতর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এটাকে কোনোভাবেই বাড়তে দেওয়া যাবে না। সিটি করপোরেশন, রেলওয়ে, বিমানবন্দর এলাকার কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ক্যান্টনমেন্ট এলাকার দায়িত্বে থাকা সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, মশার কোনো সীমানা নেই। এক এলাকার মশা অন্য এলাকায় যাবে না ব্যাপারটা এমন নয়। তাই সমন্বিতভাবে ছাড়া কোনোভাবেই মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। এ জন্য সবাইকে দায়িত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। কারও অবহেলার জন্য সবাই দুর্ভোগ পোহাবে, এটা কোনোভাবেই মানা হবে না।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী আরও বলেন, জনগণকে সচেতন করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রচার–প্রচারণা চালাতে হবে। টেলিভিশনসহ পত্র–পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। নির্মাণাধীন ভবনসহ যেসব ভবনে মশার লার্ভা পাওয়া যাবে, তাদের জরিমানা করতে হবে। প্রয়োজনে জরিমানার সঙ্গে জেলও দিতে হবে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, সিটি করপোরেশন এলাকার ভেতর রেলওয়ে, বিমানবন্দর, গণপূর্ত ও সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত অনেক এলাকা ও ভবন রয়েছে। এসব এলাকা ও ভবনে আমাদের কর্মীরা যেতে পারেন না।

মেয়র অভিযোগ করে বলেন, রেলওয়ে, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ মশা নিয়ন্ত্রণে কাজ করার কথা বললেও বাস্তবে রেলওয়ের বিভিন্ন জায়গা এবং বিমানবন্দর এলাকায় প্রচুর মশা উৎপাদন হয়; বিশেষ করে বিমানবন্দর এলাকার হাজিক্যাম্প হলো মশা উৎপাদনের উর্বর ক্ষেত্র। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত ডিওএইচএস এলাকাগুলোয়ও প্রচুর পরিমাণে মশা জন্মাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আতিকুল ইসলাম।

মেয়র বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের আওতার বাইরের এলাকার মশা মারার দায়িত্ব আমাদের নয়।’ কিন্তু এসব এলাকায় মশক নিধন কার্যক্রম পর্যাপ্ত না হওয়ায় প্রচুর মশা উৎপাদন হচ্ছে। আর সাধারণ জনগণ এর জন্য সিটি করপোরেশনকে দায়ী করছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। 

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হলেও মশা নিয়ন্ত্রণে নিজেকে সফল দাবি করে ডিএসসিসির মেয়র ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘মশা দমনে আমাদের মশককর্মীরা সকালে ও বিকেলে কাজ করছে। এ ছাড়া গত এপ্রিল থেকে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা জরিমানা করেও মানুষকে সচেতন করতে পারছি না।’ ডিএসসিসি এলাকার একটি ভবনের উদাহরণ দিয়ে মেয়র বলেন, গত এপ্রিলে একটি ভবনে এডিসের লার্ভা থাকায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু আবারও কিছুদিন আগে সেই ভবনে গিয়ে দেখা যায় এডিসের লার্ভা। 

সভায় চট্টগ্রাম ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ স্থানীয় সরকারের সিনিয়র সচিব, গণপূর্ত, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

রাখাইনে মানবিক করিডর কি প্রক্সি যুদ্ধের ফাঁদ হবে, ভারত-চীন কীভাবে দেখবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত