Ajker Patrika

রাজধানীর ট্রাফিক সিগন্যাল: ৫ মাসেও নেই দৃশ্যমান অগ্রগতি

  • শুরুতে ৪ মোড়ে বসার কথা ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি
  • সমন্বয়ের অভাবের কথা বলছেন সংশ্লিষ্টরা
  • সিটিকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে: ডিটিসিএ
তৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা 
রাজধানীর ট্রাফিক সিগন্যাল: ৫ মাসেও নেই দৃশ্যমান অগ্রগতি

দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা অচল। ট্রাফিক পুলিশ মোড়গুলোতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করেন দূর অতীতের হাতের ইশারা পদ্ধতিতে। স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা আবার চালু করতে গত প্রায় দুই দশকে ২০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ের পরও চিত্র একই রয়ে গেছে। এমন প্রেক্ষাপটে নগরবাসীর মনে আশা জাগিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গত বছর তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে ২২টি মোড়ে দেশীয় প্রযুক্তির ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু শুরুতে চারটি মোড়ে সিগন্যাল বসানোর যে পাইলট প্রকল্প নেওয়া হয়, গত পাঁচ মাসেও এর বাস্তবায়ন দৃশ্যমান হয়নি।

স্থানীয় প্রযুক্তির সিগন্যাল বাতি তৈরি ও স্থাপনের কাজটি করছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। শিক্ষা ভবনসংলগ্ন হাইকোর্ট মোড় থেকে ফার্মগেট-মহাখালী হয়ে উত্তরার আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত সড়কে এ সিগন্যাল স্থাপন করার কথা। শুরুতে রাজধানীর চারটি মোড়–ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল, বাংলামোটর, সোনারগাঁও হোটেল ও ফার্মগেটে ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপনের পাইলট প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষামূলক এ উদ্যোগ সফল হলে পর্যায়ক্রমে ২২টি মোড়ে তা বাস্তবায়ন করা হবে। পাইলট প্রকল্পটি ভালোভাবে চলছে কি না, তা ছয় মাস পর্যবেক্ষণ করে আওতা বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু মাঠপর্যায়ে এখনো কাজ শুরুই হয়নি।

হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে ফার্মগেট মোড় পর্যন্ত পথে গতকাল শুক্রবার সরেজমিনে ঘুরে কোথাও ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি বসানোর দৃশ্যমান কাজ চোখে পড়েনি। এ পথের মোড়গুলোর ট্রাফিক পুলিশ বক্সে নতুন কোনো ধরনের স্থাপনা বা সরঞ্জাম দেখা যায়নি। তবে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর) রাজীব খাদেম কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাংলামোটর আর ইন্টারকন্টিনেন্টালে কাজ শুরু করেছি। পোল বসানোর জন্য ফাউন্ডেশনের কাজ চলছে। ঈদের বন্ধ পড়ে যাওয়ায় এখন শ্রমিক পাওয়া যাবে না। ফলে ১৫-২০ দিন কাজ বন্ধ থাকবে। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না, কবে থেকে কাজ শুরু বা শেষ হবে।’

প্রকল্পটির নেতৃত্বে রয়েছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)। এতে পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে বুয়েট। সিটি করপোরেশন হচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিটি করপোরেশন ও ডিটিসিএর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব কাজে ধীরগতির কারণ। এ ছাড়া সরকারি ক্রয়ের বিধিমালার (পিপিআর) কারণে মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে।

আমরা নকশা দিয়ে দিয়েছি। এখন পূর্ত কাজের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। তারা সেগুলো করতে পারেনি। নর্থ সিটি প্রারম্ভিক পেমেন্ট করতে পেরেছে, কিন্তু সাউথ সিটি তা-ও পারেনি। সব মিলিয়ে একটু দেরি হচ্ছে। তবে পরামর্শক হিসেবে আমরা রেডি আছি। অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন, পরিবহন বিশেষজ্ঞ

পুরকৌশল বিভাগ, বুয়েট পরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা নকশা দিয়ে দিয়েছি। এখন পূর্ত কাজের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। তারা সেগুলো করতে পারেনি। নর্থ সিটি প্রারম্ভিক পেমেন্ট করতে পেরেছে, কিন্তু সাউথ সিটি তা–ও পারেনি। সব মিলিয়ে একটু দেরি হচ্ছে। তবে পরামর্শক হিসেবে আমরা রেডি আছি। স্ট্রাকচারগুলো বুঝিয়ে দিলে সিগন্যালিং সিস্টেম দাঁড় করাতে আমাদের ৩ থেকে ৪ দিন সময় লাগবে।’

ডিটিসিএর নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার বলেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিব আসায় এক সপ্তাহ কাজ বন্ধ ছিল। এরপর সিটি করপোরেশন থেকে জানানো হয়েছিল, ২৩ বা ২৪ তারিখে পূর্ত কাজগুলো করে দেওয়া হবে। কাজের আপডেট জানার জন্য আবার চিঠি দেওয়া হচ্ছে। আমি এগুলো মনিটর করছি।’

বুয়েট সূত্রে জানা গেছে, পরিকল্পিত ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থায় স্থানীয় প্রযুক্তিতে কন্ট্রোলার ও বাতি তৈরি করা হবে। প্রতিটি মোড়ে পুলিশ বক্সের মতো স্থাপনা হবে। এর দোতলায় কন্ট্রোলার ও দুজন অপারেটর থাকবেন। এ ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয় ও হাতে (ম্যানুয়ালি) দুভাবেই চালানো যাবে। বুয়েটের তৈরি কন্ট্রোলারসহ বাতির জন্য খরচ লাগবে প্রতি মোড়ের জন্য ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকা। এর বাইরে থাকবে পূর্ত কাজের খরচ।

প্রসঙ্গত, ঢাকার বড় সড়কের সংযোগগুলোতে মোট ট্রাফিক সিগন্যাল রয়েছে ১১০টি। তবে এগুলোর কোনোটিই কাজ করে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দিনদুপুরে ন্যাশনাল মেডিকেলের সামনে গুলিতে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৯
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে তারিক সাইফ মামুন (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, মামুনের বাবার নাম এস এম ইকবাল। তাঁর বাড়ি লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার মোবারক কলোনি এলাকায়।

ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মহিবুল্লাহ জানান, আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে তাঁদের হাসপাতালের সামনে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গুলির শব্দ শুনে হাসপাতালের মেইন গেটের সামনের এসে এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভেতরে আনা হয়। অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেলে নিহতের পূর্বপরিচিত ফাইজুল হক অপু জানান, সকালে তারিক সাইফ মামুনের ফোন নম্বর থেকে তাঁকে কল করে ঘটনাটি জানানো হয়। এরপর তিনি ঢাকা মেডিকেলে এসে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঘুমন্ত বাবাকে কুপিয়ে হত্যা, ছেলে আটক

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরের শিবচরে পারিবারিক বিরোধের জেরে ঘুমন্ত বাবাকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। গতকাল রোববার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মতি মিয়া (৬৬)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলারহাট উপজেলার বড়হাটি গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার পর অভিযুক্ত ছেলে ফারুক মিয়াকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মতি মিয়া ও তাঁর ছেলে ফারুক মিয়া দুজনেই শিবচরের বাঁশকান্দি এলাকায় থাকতেন এবং মতি মিয়া ওই এলাকায় শ্রমিক হিসেবে কৃষিকাজ করতেন। ফারুক মিয়া সাধারণত ঢাকায় কাজ করলেও গত বুধবার (৫ নভেম্বর) শিবচরে তাঁর বাবার কাছে আসেন এবং বাবার সঙ্গে থাকা শুরু করেন। গতকাল রোববার বিকেলে পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাবা মতি মিয়ার সঙ্গে ছেলে ফারুক মিয়ার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

এই বিরোধের জেরে রাত ১২টার দিকে বাবা মতি মিয়া ঘুমিয়ে থাকলে ছেলে ফারুক মিয়া তাঁকে কোদাল (মাটি খননযন্ত্র) দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর ছেলে ফারুক মিয়া লাশের পাশেই বসে ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত ফারুক মিয়াকে আটক করে।

স্থানীয়দের ধারণা, ফারুক মিয়া নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয় এবং অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করা হয়।’ তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কোদাল জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

নিহত মতি মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মোহাম্মদপুরে ফরহাদ মজহারের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদপুরে ফরহাদ মজহারের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘প্রবর্তনা’র সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকালে একটি মোটরসাইকেলে দুই ব্যক্তি এসে প্রবর্তনার সামনে রাস্তার ওপর দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে। দুটি ককটেলই বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে কেয়ারটেকার ও আশপাশের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং আশপাশের এলাকায় টহল জোরদার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক আহমেদ বলেন, দুষ্কৃতকারীরা ব্যবসায়ী ওই প্রতিষ্ঠানটি লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে ঘটনার কারণ বা উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মানিকগঞ্জে দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ল স্কুলবাস

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি  
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথুলী এলাকায় মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৮ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উথুলী সংযোগ মোড়ে সারমানো সিএনজি অ্যান্ড ফিলিং স্টেশনের পাশে পার্কিং করে রাখা অবস্থায় দুর্বৃত্তরা বাসটিতে আগুন দেয়।

খবর পেয়ে শিবালয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, তবে বাসটির আংশিক অংশ পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন সকাল ৬টার দিকে উথুলী মোড় থেকে গিলন্ড পর্যন্ত ওই বাসে মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়া করা হয়। প্রতিদিনের মতো রোববারও বাসটি উথুলী মোড়ে পার্কিং করে রাখা ছিল। সন্ধ্যার পর কে বা কারা বাসটিতে আগুন দেয়, তা কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ বলেন, ‘ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে। আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। কে বা কারা এ অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত, তা উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত