নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঘটনার মাত্র ৪২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত সেরে ফেলে হইচই ফেলে দিয়েছিল মানিকগঞ্জ সদর থানার পুলিশ। পরে অবশ্য উচ্চ আদালতের নির্দেশে সেই তদন্ত কর্মকর্তাকের বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। হাইকোর্ট তদন্ত প্রতিবেদনের ৬০ দিন সময় দিলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আরও সময় আবেদন করেছেন। এ ছাড়া মামলার বিষয়ে এক পুলিশ সুপার ফোনকল করা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন আদালত।
মানিকগঞ্জ সদরের কৈতরা গ্রামের রুবেল হত্যা মামলা ছিল সেটি। আসামিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটির পুনরায় তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে সোমবার (৫ জুন) বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসেন দোলনের বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তার পক্ষ থেকে ৯০ কার্যদিবস সময় প্রার্থনা করলে হাইকোর্ট আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত সময় দেন। আদালত বলেন, ‘এরপর আর সময় দেওয়া হবে না।’
‘লাশ উদ্ধার থেকে অভিযোগপত্র, ৪২ ঘণ্টার অবিশ্বাস্য তদন্ত’ শিরোনামে গত ২ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে তা যুক্ত করে মামলার নথি তলবের নির্দেশনা চেয়ে আসামি সোহেল ও বাদী চম্পা আক্তার ৫ মার্চ হাইকোর্টে আবেদন করেন। সোহেল ও চম্পা সম্পর্কে খালাতো ভাই-বোন। আর নিহত রুবেল সোহেলের ভগ্নিপতি।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট পুলিশ সুপারের নিচে নন—পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এমন একজন কর্মকর্তা দিয়ে মামলাটি অধিক তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিষয়টি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ওঠে।
শুনানিতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বলেন, ‘হত্যা মামলাটির তদন্ত শুরু করেছে পিবিআই। প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্তসহ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মামলার তদন্তে আরও সময়ের প্রয়োজন।’ জবাবে আদালত বলেন, ‘অধিক তদন্তের জন্য ৬০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। আরও ৯০ দিন চাচ্ছেন? ৪২ ঘণ্টায় এক তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে দেন! আদালত ৬০ দিন সময় দিলেও প্রতিবেদন দিতে পারলেন না। পুলিশ সুপার ফোন করেন। আদালতের জন্য এটি বিব্রতকর। উনি কি এটি করতে পারেন? এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। এই ধরনের ফোন করার টেনডেনসি (প্রবণতা) গ্রহণযোগ্য না। এটা প্রকারান্তরে আদালত অবমাননা, পেশাগত অসদাচরণ।’
তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আদালতের মর্যাদা সবচেয়ে বড়। তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ ও আদালতের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করে। পুলিশ সুপার কোর্টকে ফোন করার মতো দুঃসাহস দেখিয়েছেন। আদালতের উদ্বেগের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’
পরে আদালত আগামী ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন।
গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে মানিকগঞ্জ সদরের কৈতরা গ্রামের একটি হ্যাচারিতে খুন হন মো. রুবেল (২২)। পরদিন রুবেলের স্ত্রী বাদী হয়ে সোহেল নামে একজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তিনি এখন কারাগারে।
পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে রুবেল খুন হন। ৪০ মিনিট পর সোহেল ওরফে নুরনবী (৩০) নামে এক যুবক থানায় গিয়ে নিজে রুবেলকে খুন করেছেন বলে দাবি করেন। পুলিশ সোহেলকে নিয়ে সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে রাত দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। সেখান থেকে একটি রামদা উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে রাত ১টা ৫০ মিনিটের দিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তখন দুজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষী নেওয়া হয়।
২৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নেয় পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সকাল থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন, তথ্য সংগ্রহ, ঘটনাস্থলের মানচিত্র তৈরি করেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে রুবেলের স্ত্রী চম্পা আক্তার বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। পরে ওই মামলায় সোহেলকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। পরদিন ২৫ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা পর্যন্ত সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হলে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। বিকেলে সোহেল জবানবন্দি দিলে ওই দিন সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
ঘটনার মাত্র ৪২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত সেরে ফেলে হইচই ফেলে দিয়েছিল মানিকগঞ্জ সদর থানার পুলিশ। পরে অবশ্য উচ্চ আদালতের নির্দেশে সেই তদন্ত কর্মকর্তাকের বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)। হাইকোর্ট তদন্ত প্রতিবেদনের ৬০ দিন সময় দিলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আরও সময় আবেদন করেছেন। এ ছাড়া মামলার বিষয়ে এক পুলিশ সুপার ফোনকল করা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন আদালত।
মানিকগঞ্জ সদরের কৈতরা গ্রামের রুবেল হত্যা মামলা ছিল সেটি। আসামিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটির পুনরায় তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে সোমবার (৫ জুন) বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসেন দোলনের বেঞ্চে শুনানি হয়। শুনানিতে তদন্ত কর্মকর্তার পক্ষ থেকে ৯০ কার্যদিবস সময় প্রার্থনা করলে হাইকোর্ট আগামী ১৭ জুলাই পর্যন্ত সময় দেন। আদালত বলেন, ‘এরপর আর সময় দেওয়া হবে না।’
‘লাশ উদ্ধার থেকে অভিযোগপত্র, ৪২ ঘণ্টার অবিশ্বাস্য তদন্ত’ শিরোনামে গত ২ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে তা যুক্ত করে মামলার নথি তলবের নির্দেশনা চেয়ে আসামি সোহেল ও বাদী চম্পা আক্তার ৫ মার্চ হাইকোর্টে আবেদন করেন। সোহেল ও চম্পা সম্পর্কে খালাতো ভাই-বোন। আর নিহত রুবেল সোহেলের ভগ্নিপতি।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট পুলিশ সুপারের নিচে নন—পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এমন একজন কর্মকর্তা দিয়ে মামলাটি অধিক তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার বিষয়টি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ওঠে।
শুনানিতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বলেন, ‘হত্যা মামলাটির তদন্ত শুরু করেছে পিবিআই। প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্তসহ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মামলার তদন্তে আরও সময়ের প্রয়োজন।’ জবাবে আদালত বলেন, ‘অধিক তদন্তের জন্য ৬০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। আরও ৯০ দিন চাচ্ছেন? ৪২ ঘণ্টায় এক তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে দেন! আদালত ৬০ দিন সময় দিলেও প্রতিবেদন দিতে পারলেন না। পুলিশ সুপার ফোন করেন। আদালতের জন্য এটি বিব্রতকর। উনি কি এটি করতে পারেন? এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। এই ধরনের ফোন করার টেনডেনসি (প্রবণতা) গ্রহণযোগ্য না। এটা প্রকারান্তরে আদালত অবমাননা, পেশাগত অসদাচরণ।’
তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আদালতের মর্যাদা সবচেয়ে বড়। তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ ও আদালতের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করে। পুলিশ সুপার কোর্টকে ফোন করার মতো দুঃসাহস দেখিয়েছেন। আদালতের উদ্বেগের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’
পরে আদালত আগামী ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন।
গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে মানিকগঞ্জ সদরের কৈতরা গ্রামের একটি হ্যাচারিতে খুন হন মো. রুবেল (২২)। পরদিন রুবেলের স্ত্রী বাদী হয়ে সোহেল নামে একজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তিনি এখন কারাগারে।
পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাত ১২টা ১০ মিনিটের দিকে রুবেল খুন হন। ৪০ মিনিট পর সোহেল ওরফে নুরনবী (৩০) নামে এক যুবক থানায় গিয়ে নিজে রুবেলকে খুন করেছেন বলে দাবি করেন। পুলিশ সোহেলকে নিয়ে সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে রাত দেড়টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। সেখান থেকে একটি রামদা উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে রাত ১টা ৫০ মিনিটের দিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তখন দুজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষী নেওয়া হয়।
২৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নেয় পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সকাল থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন, তথ্য সংগ্রহ, ঘটনাস্থলের মানচিত্র তৈরি করেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে রুবেলের স্ত্রী চম্পা আক্তার বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। পরে ওই মামলায় সোহেলকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। পরদিন ২৫ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা পর্যন্ত সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হলে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। বিকেলে সোহেল জবানবন্দি দিলে ওই দিন সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
তিনি টেকের বাজারে কাগজপত্র ফটোকপি করতে গেলে স্থানীয় বিএনপির কর্মী গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান, তাঁর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম জিসান এবং সহযোগী আজমাইন চৌধুরীসহ আরও তিন-চারজন মিলে তাঁর পথরোধ করে। একপর্যায়ে গিয়াস উদ্দিন বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন এবং অন্যরা এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
৩৫ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগে অস্ত্রধারী এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শাহজাহান ভূঁইয়া।
১ ঘণ্টা আগে২২ জুন রাতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাচড়া ইউনিয়নের দেউলা শিবপুর গ্রামের দুটি পরিবারের জন্য হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে ২৩ জুন (সোমবার) সকালে এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে উপজেলা বিএনপি। মিছির কাজীর ছেলে মোজাম্মেলকে ৭০ হাজার ও আজাহার চৌকিদারকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে তাঁর আটকের আগে যেভাবে আচরণ করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১ ঘণ্টা আগে