Ajker Patrika

আজও বিলম্বে ছেড়েছে ২ ট্রেন, যাত্রীদের ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২২, ১৪: ০৬
আজও বিলম্বে ছেড়েছে ২ ট্রেন, যাত্রীদের ক্ষোভ

ঈদ উপলক্ষে গত বুধবার থেকে যাত্রীবাহী ট্রেনের ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। যাত্রা শুরুর পর থেকেই উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলো প্রতিদিনই কিছুটা দেরিতে কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যাচ্ছে। আজ নীলসাগর ও  সুন্দরবন এক্সপ্রেস প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে ছেড়ে গেছে। নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন না ছাড়ায় যাত্রীরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। 

শুক্রবার রেলস্টেশন ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত  ২০টির মতো ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। এর মধ্যে দুটি ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ের এক ঘণ্টা পরে ছেড়ে গেছে। চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলে এক ঘণ্টা বিলম্বে ৭টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে গেছে এবং খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ৭টা ১৫ মিনিটে যাওয়ার কথা থাকলেও ৯টা ৩৬ মিনিটে ছেড়ে গেছে। তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের ট্রেনগুলো নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়ে গেছে। 

ট্রেন দেরিতে ছাড়ার কারণে যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভ লক্ষ করা গেছে। সুমাইয়া জামান শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করার জন্য যাচ্ছেন যশোরে। রেলস্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে লাগেজ নিয়ে অপেক্ষা  করতে দেখা যায় সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘ভোগান্তির আরেক নাম ট্রেনযাত্রা। সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বারবার স্ক্রিনে সময় পরিবর্তন হচ্ছে, কিন্তু ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে না। এত গরমে স্টেশনে বসে থাকা অনেক কষ্ট। নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন ছাড়ে না, এসব বিষয় কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া উচিত। ভালো সার্ভিস না দিলে শুধু যাত্রী ভোগান্তির জন্য ট্রেন চালু রাখার কোনো দরকার নেই।’ 

ট্রেনে ঈদযাত্রার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিনুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল থেকে আজকের দুটি ট্রেন কিছুটা বিলম্বে ছেড়েছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি কোনো ট্রেনই যেন বিলম্ব না হয়। যেহেতু এই ট্রেন দুটির গন্তব্য অনেক দূর, ফলে স্টেশনগুলোতে যাত্রাবিরতি দিয়ে ঢাকায় আসতে কিছুটা সময় লাগে। তা ছাড়া জয়দেবপুর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন হওয়ায় ট্রেনগুলো ঢাকায় আসতে সময় লাগছে।’ 

ট্রেনের ছাদে যাত্রী ওঠার ব্যাপারে আমিনুল হক বলেন, ‘কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে কোনোভাবেই যাত্রীদের ট্রেনের ছাদে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে বিমানবন্দর স্টেশন থেকে কেউ যেন ট্রেনের ছাদে উঠতে না পারে, সে জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রেলওয়ে পুলিশ কাজ করছে।’ 

আজ ঢাকা থেকে আন্তনগর, এক্সপ্রেস, লোকাল, কমিউটারসহ ১২২টি ট্রেন ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে  আন্তনগর ও ঈদ স্পেশাল ট্রেনের সিট ক্যাপাসিটি আছে ৩৩ হাজার এবং লোকাল, কমিউটার, এক্সপ্রেস ট্রেনের সিট ক্যাপাসিটি আছে ৩০ হাজার। সব মিলিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৬৩ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে ট্রেনে। টিকিট ছাড়া ট্রেনে যাঁরা যাত্রী আছেন, তাঁদের জরিমানা করে ট্রেনেই টিকিট দিচ্ছেন টিটিরা। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত