নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, ‘কমিউনিস্ট পার্টির অগ্রযাত্রা থামাতেই পল্টনে মহাসমাবেশে বোমা হামলা চালিয়ে পাঁচজন কমরেডকে হত্যা করা হয়েছিল। পল্টন বোমা হামলার মূল কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।’
২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মহাসমাবেশে বোমা হামলার ২১ তম বার্ষিকী ছিল আজ বৃহস্পতিবার। সে হামলায় পাঁচজন নিহত ও শতাধিক লোক আহত হয়। সেদিনের শহীদদের স্মরণে পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনের সামনের অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মুজাহিদুল সেলিম এ কথা বলেন।
সিপিবি সভাপতি বলেন, ‘পল্টন হত্যাকাণ্ডে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই শোষণমুক্ত-শ্রেণিহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করে গেছেন। হত্যা-নির্যাতন করে আদর্শের লড়াই থেকে কমিউনিস্টদের কখনই বিচ্যুত করা যাবে না। বর্তমানে দেশ “৯৯ বনাম ১” ধারায় বিভক্ত। এই ৯৯ ভাগ মানুষ যাতে তাঁদের দাবি-দাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে না পারে, তার জন্য নানা ষড়যন্ত্র চলছে।’
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি কমিউনিস্টদের স্তব্ধ করার জন্য বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। সেদিন পল্টন ময়দানে বোমা হামলার পর আলামত সংগ্রহ না করে সিপিবির নেতা-কর্মীদের তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশ বাহিনী লাঠিপেটা করে ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। হামলার পর জনগণের আরও বেশি অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সিপিবি এগিয়ে যাচ্ছে।’
সংক্ষিপ্ত এ সমাবেশে সিপিবি সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম বলেন, ‘হামলা করে, নির্যাতন করে কমিউনিস্টদের থামানো যায়নি এবং ভবিষ্যতেও যাবে না। শহীদদের রক্ত পতাকা নিয়েই কমিউনিস্ট পার্টি এগিয়ে যাবে। বর্তমানে দেশ এক গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্রহীনতা, লুটপাটতন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা আজ চরম আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধার করতে হলে বামপন্থার উত্থান ঘটাতে হবে।’
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় সদস্য ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ-মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সদস্য জহিরুল ইসলাম, গণফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, ন্যাপ কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, সিপিবির কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, শামসুজ্জামান হীরা, সুকান্ত শফি কমল, জলি তালুকদার, আবিদ হোসেন, লুনা নূর, সাদেকুর রহমান শামীম প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক আহসান হাবীব লাবলু।
অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সিপিবি, বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাসদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ (মার্কসবাদী), ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, ন্যাপ, গণফোরাম, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, কৃষক সমিতি, ক্ষেতমজুর সমিতি, যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, গার্মেন্টস টিইউসি, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন, সিপিবি ঢাকা দক্ষিণ, সিপিবি ঢাকা উত্তর, সিপিবি ঢাকা জেলা কমিটি, সিপিবি নারী সেল এবং ঢাকা নগরের বিভিন্ন থানা ও শাখাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। আন্তর্জাতিক সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের এই দিনে রাজধানীর পল্টন ময়দানে সিপিবির মহাসমাবেশে বোমা হামলা চালায় প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতক চক্র। এই হামলায় খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সিপিবি নেতা হিমাংশু মণ্ডল, খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার সিপিবি নেতা ও দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির শ্রমিক নেতা আব্দুল মজিদ, ঢাকার ডেমরা থানার লতিফ বাওয়ানি জুট মিলের শ্রমিক নেতা আবুল হাসেম ও মাদারীপুরের মোক্তার হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যান। হামলায় গুরুতর আহত খুলনা বিএল কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন নেতা কমরেড বিপ্রদাস রায় ওই বছরেরই ২ ফেব্রুয়ারি মারা যান।
সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, ‘কমিউনিস্ট পার্টির অগ্রযাত্রা থামাতেই পল্টনে মহাসমাবেশে বোমা হামলা চালিয়ে পাঁচজন কমরেডকে হত্যা করা হয়েছিল। পল্টন বোমা হামলার মূল কুশীলবদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।’
২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মহাসমাবেশে বোমা হামলার ২১ তম বার্ষিকী ছিল আজ বৃহস্পতিবার। সে হামলায় পাঁচজন নিহত ও শতাধিক লোক আহত হয়। সেদিনের শহীদদের স্মরণে পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনের সামনের অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মুজাহিদুল সেলিম এ কথা বলেন।
সিপিবি সভাপতি বলেন, ‘পল্টন হত্যাকাণ্ডে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই শোষণমুক্ত-শ্রেণিহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করে গেছেন। হত্যা-নির্যাতন করে আদর্শের লড়াই থেকে কমিউনিস্টদের কখনই বিচ্যুত করা যাবে না। বর্তমানে দেশ “৯৯ বনাম ১” ধারায় বিভক্ত। এই ৯৯ ভাগ মানুষ যাতে তাঁদের দাবি-দাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে না পারে, তার জন্য নানা ষড়যন্ত্র চলছে।’
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি কমিউনিস্টদের স্তব্ধ করার জন্য বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। সেদিন পল্টন ময়দানে বোমা হামলার পর আলামত সংগ্রহ না করে সিপিবির নেতা-কর্মীদের তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের পুলিশ বাহিনী লাঠিপেটা করে ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। হামলার পর জনগণের আরও বেশি অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সিপিবি এগিয়ে যাচ্ছে।’
সংক্ষিপ্ত এ সমাবেশে সিপিবি সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম বলেন, ‘হামলা করে, নির্যাতন করে কমিউনিস্টদের থামানো যায়নি এবং ভবিষ্যতেও যাবে না। শহীদদের রক্ত পতাকা নিয়েই কমিউনিস্ট পার্টি এগিয়ে যাবে। বর্তমানে দেশ এক গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গণতন্ত্রহীনতা, লুটপাটতন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা আজ চরম আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধার করতে হলে বামপন্থার উত্থান ঘটাতে হবে।’
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় সদস্য ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ-মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় সদস্য জহিরুল ইসলাম, গণফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, ন্যাপ কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, সিপিবির কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, শামসুজ্জামান হীরা, সুকান্ত শফি কমল, জলি তালুকদার, আবিদ হোসেন, লুনা নূর, সাদেকুর রহমান শামীম প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক আহসান হাবীব লাবলু।
অস্থায়ী বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সিপিবি, বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাসদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাসদ (মার্কসবাদী), ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল, ন্যাপ, গণফোরাম, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, কৃষক সমিতি, ক্ষেতমজুর সমিতি, যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, গার্মেন্টস টিইউসি, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন, সিপিবি ঢাকা দক্ষিণ, সিপিবি ঢাকা উত্তর, সিপিবি ঢাকা জেলা কমিটি, সিপিবি নারী সেল এবং ঢাকা নগরের বিভিন্ন থানা ও শাখাসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। আন্তর্জাতিক সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের এই দিনে রাজধানীর পল্টন ময়দানে সিপিবির মহাসমাবেশে বোমা হামলা চালায় প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতক চক্র। এই হামলায় খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সিপিবি নেতা হিমাংশু মণ্ডল, খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার সিপিবি নেতা ও দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির শ্রমিক নেতা আব্দুল মজিদ, ঢাকার ডেমরা থানার লতিফ বাওয়ানি জুট মিলের শ্রমিক নেতা আবুল হাসেম ও মাদারীপুরের মোক্তার হোসেন ঘটনাস্থলেই মারা যান। হামলায় গুরুতর আহত খুলনা বিএল কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন নেতা কমরেড বিপ্রদাস রায় ওই বছরেরই ২ ফেব্রুয়ারি মারা যান।
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার পলাশী পূর্বপাড়ার ভ্যানচালক মিজানুর রহমান জ্বর-ব্যথা নিয়ে গিয়েছিলেন পাশের বাসুদেবপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে। সেখানে কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) মিতা রাণী দত্ত রোগের কথা শুনেই তাঁকে স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক বা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
১ ঘণ্টা আগেদীর্ঘদিন সংস্কার না করায় রাজধানীর জুরাইন-দয়াগঞ্জ সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কের গেন্ডারিয়া রেলস্টেশনের সামনের অংশে অসংখ্য খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দ কোথাও কোথাও এক থেকে দেড় ফুট পর্যন্ত গভীর। বৃষ্টির পানি জমে সেসব গর্ত পুকুরের রূপ ধারণ করেছে।
২ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। এই নির্বাচনের মাত্র এক মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে বিরোধ আরও বেড়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বিভিন্ন দোকান ও গুদামে অভিযান চালিয়ে প্রায় ১ হাজার ১০০টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে কিশোর গ্যাং ও ছিনতাইকারীদের ব্যবহৃত কুখ্যাত ‘সামুরাই’ চাপাতি ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র।
৫ ঘণ্টা আগে