Ajker Patrika

প্রকাশ্যে মারধরের পর পল্লিচিকিৎসককে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
মারধরের পর তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তরিকুল ইসলামকে। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
মারধরের পর তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তরিকুল ইসলামকে। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে তরিকুল ইসলাম (৩৫) নামের এক পল্লিচিকিৎসককে রাস্তায় আটকে মারধরের পর অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার (২ মে) বিকেলে উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের হাতি চামটা ব্রিজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এতে দেখা গেছে, প্রকাশ্যে রাস্তায় মোটরসাইকেল থামিয়ে তরিকুল ইসলামকে বেধড়ক মারধর করেছেন কিছু যুবক। পরে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে একটি অটোরিকশা ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

তরিকুল ভাতগ্রাম ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর কুটিপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে। ভাতগ্রাম বাজারে তাঁর একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। এ ছাড়া তিনি একটি স্থানীয় মসজিদে ইমামতি করেন।

স্থানীয়রা জানায়, গতকাল বিকেলে মোটরসাইকেলে ভাতগ্রাম বাজারের ওষুধের দোকানে যাচ্ছিলেন তরিকুল। পথে হাতি চামটার ব্রিজের এলাকায় তাঁর মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে আগে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা সাত-আটজন যুবক। এ সময় তাঁরা মোটরসাইকেল থেকে তরিকুলকে নামিয়ে কিল-ঘুষিসহ বেধড়ক মারধর করে। পরে তাঁকে জোরপূর্বক টেনেহিঁচড়ে একটি অটোরিকশা ভ্যানে তুলে নিয়ে যেতে দেখা যায় কয়েকজনকে। এ ছাড়া দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে দুজনকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে দেখা গেছে।

তরিকুলের ছোট ভাই জিরু মিয়া অভিযোগ করে বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁকে (তরিকুল) অপহরণ করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। দক্ষিণ সন্তোলা গ্রামের সুমন মিয়া ও চাঁদকরিম গ্রামের মিলন মিয়ার নেতৃত্বে সাত-আটজন মিলে প্রকাশ্যে রাস্তায় মারধরের পর তরিকুলকে তুলে নিয়ে যান। পরে মিলনের বাড়িতে তাঁকে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তরিকুলকে উদ্ধার করতে মিলনের বাড়িতে গেলে তাঁদের বিভিন্ন হুমকি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেন। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তরিকুলের সঙ্গে নানা বিষয়ে শত্রুতা করে আসছেন সুমন, মিলনসহ তাঁদের পক্ষের লোকজন। তরিকুলকে অপহরণের ঘটনাটি পরিকল্পিত উল্লেখ করে দ্রুত তাঁকে উদ্ধারসহ জড়িতের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।

আজ বিকেলে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, এ বিষয়ে তরিকুলের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করেনি। তবে ভিডিও ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত