Ajker Patrika

উত্তরায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

বাড়ছে মৃত্যু, থামছে না কান্না

  • নিহতের সংখ্যা ২৮
  • চিকিৎসাধীন ৬৮
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের নেওয়া হয়েছে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী রয়েছে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। গতকাল সেখানে চিকিৎসাধীন এক শিক্ষার্থীর কাছে অভিভাবক। ছবি: এএফপি
মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের নেওয়া হয়েছে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী রয়েছে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। গতকাল সেখানে চিকিৎসাধীন এক শিক্ষার্থীর কাছে অভিভাবক। ছবি: এএফপি

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা। উদ্বিগ্ন মা-বাবা ও স্বজনদের আহাজারি পুরো হাসপাতালের পরিবেশকেই করে তুলেছে ভারী।

গত সোমবার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি একাডেমিক ভবনে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নিহতের সংখ্যা ২৮ জন। ওই দুর্ঘটনায় আহত ৬৮ জন রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। নিহত ও আহতদের বেশির ভাগই মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থী।

দুর্ঘটনায় নিহত বৈমানিক ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামের মরদেহ গতকাল রাজশাহী নগরের সপুরা কবরস্থানে দাফন করা হয়। এর আগে ঢাকায় তাঁর ফিউনারেল প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়। নিহত আরও ১৯ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বলেছে, নিহত যাদের মরদেহ শনাক্ত করা যাচ্ছে না, ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের পরিচয় শনাক্ত করে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ওই দুর্ঘটনায় গতকাল এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব গতকাল দুর্ঘটনাস্থল মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও অবরোধের মুখে পড়েন। তাঁরা প্রায় ৯ ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর পুলিশি পাহারায় সেখান থেকে বের হন।

বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান সোমবার বেলা ১টা ৬ মিনিটে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে আছড়ে পড়ে বিধ্বস্ত হয়। এরপর আগুন ধরে যায়। এতে বৈমানিক, শিক্ষার্থী, শিক্ষকসহ সেদিনই ২২ জন নিহত হন।

আইএসপিআর দুপুরে ৩১ জন নিহত ও ১৭১ জন আহত বলে জানায়। গতকাল দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়-বিষয়ক বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ব্রিফিংয়ে বলেন, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এ পর্যন্ত ২৯ জন নিহত হয়েছে। তবে সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সরকার ফারহানা কবীর সাংবাদিকদের জানান, নিহতের সংখ্যা ২৮। উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল ও কার্ডিয়াক সেন্টারে মৃত দুজনের মধ্যে একজন শিক্ষার্থীকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। তার নাম ওমায়ের নুর আশফিক। আরেকজনকে এখনো শনাক্ত করা হয়নি। এই স্থানান্তরের কারণে একজনের তথ্য দুবার যোগ হওয়ায় সংখ্যায় বিভ্রাট তৈরি হয়, যা পরে সংশোধন করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সন্ধ্যায় জানায়, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখন পর্যন্ত বার্ন ইনস্টিটিউটে ১০ জন, সিএমএইচে ১৫, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১, লুবনা হাসপাতালে ১, ইউনাইটেড হাসপাতালে একজনসহ সব মিলিয়ে ২৮ জন মারা গেছে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যমতে, নিহতরা হলো তানভীর (১৪), আফনান ফাইয়াজ (১৪), মাহরীন (৪৬), বাপ্পি (৯), মাসুকা (৩৭), এ বি শামীম (১৪), শায়ান ইউসুফ (১৪), এরিকসন (১৩), আরিয়ান (১৩), নাজিয়া (১৩), রজনী ইসলাম (৩৭), মো. সামিউল করিম (৯), ফাতেমা আক্তার (৯), মেহনাজ আফারিন হুমায়রা (৯), সারিয়া আক্তার (১৩), নুসরাত জাহান আনিকা (১৩), সাদ সালাউদ্দিন (৯), সায়মা আক্তার (৯), ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম, জুনায়েত (৯), ওমায়ের নূর আশফিক (১১)। বাকি কয়েকজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সায়েদুর রহমান দুপুরে জানান, নিহতদের মধ্যে এখনো ছয়জনের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। তাদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ নমুনা সংরক্ষণ করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে চারজনকে স্বজনেরা ‘নিখোঁজ’ দাবি করেছেন। তবে দুজনের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো দাবি করেননি।

চিকিৎসাধীন আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশের বিশেষজ্ঞদের সহায়তা চাওয়া হয়েছে বলে জানান সায়েদুর রহমান। তিনি জানান, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে কেস রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। তাঁদের একজন সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও দুজন নার্স রাতেই ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে এবং তাঁরা বুধবার থেকে চিকিৎসা কার্যক্রমে যোগ দেবেন।

সন্তানের অপেক্ষায় স্বজনেরা

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ঢাকার আটটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে আহতরা। এগুলো হলো—জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, লুবনা জেনারেল হাসপাতাল, উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল ও ইউনাইটেড হাসপাতাল।

এই আট হাসপাতালে সরেজমিন দেখা যায়, আহতদের স্বজনদের চাপা কান্না, আর্তনাদ। কষ্টে চুপসে যাওয়া কিছু মা-বাবার মলিন মুখ। তবে ছিল না চিৎকার-চেঁচামেচি।

মাইলস্টোন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র আয়ান বার্ন ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। তার শরীরের বেশির ভাগই পুড়ে গেছে। কথা নেই, সাড়া নেই। নিচতলা থেকে আইসিইউতে ওঠার সময় আয়ানের বাবা আরাফাত রহমানের সঙ্গে একমুহূর্ত কথা হয়। ধরা গলায় তিনি বলেন, ‘কলিজায় সহ্য হয় না ভাইয়া। আমার সোনাটা তো ব্যথা পেলেই ছটফট করত। এখন পুরো শরীরটাই ক্ষয়ে গেছে।’

উত্তরার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে মাইলস্টোন স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী জান্নাতুল মাওয়া চিকিৎসাধীন। হাসপাতালের করিডরে তার বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এক লোক আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে, আপনি দ্রুত বাংলাদেশ মেডিকেলে (উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল) আসেন। সেখানে গিয়ে দেখি, আমার মেয়ে মাওয়াকে এক লোক নিয়ে আসছে। তখন হাসপাতালে পোড়া রোগীতে ভরপুর। পরে মাওয়াকে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে নিয়ে আসি।’

প্রায় ৯ ঘণ্টা অবরুদ্ধ দুই উপদেষ্টা ও প্রেস সচিব

ছয় দফা দাবি আদায়ে দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে দিনভর অবরুদ্ধ ছিলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁরা ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে গিয়ে অবরুদ্ধ হন। কয়েক দফা বের হওয়ার চেষ্টা করলেও শিক্ষার্থীরা তাঁদের পথ রোধ করে। সন্ধ্যার পর বিপুলসংখ্যক পুলিশের পাহারায় দুই উপদেষ্টা ও প্রেস সচিব মাইলস্টোন স্কুল থেকে বের হয়ে আসেন।

বিকেলে শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবিকে সমন্বয় করে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কমিটি শিগগির গঠিত হচ্ছে বলে জানান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।

‘পাইলট খালি মাঠে বিমানটি নামাতে চেষ্টা করেছিলেন’

বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি পাইলট খালি মাঠে নামানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে জানান বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। দুপুরে কুর্মিটোলা বিমানঘাঁটির এ কে খন্দকার প্যারেড গ্রাউন্ডে নিহত ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আয়োজিত ফিউনারেল প্যারেডে তিনি বলেন, পাইলট যখন বুঝতে পারছিলেন, বিমানটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, তখনো তিনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন সেটিকে কোনো খালি মাঠে নামাতে। কিন্তু তাঁর সেই শেষ প্রচেষ্টা সফল হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পবিপ্রবিতে নিয়োগ ও পদোন্নতিতে অনিয়মের তদন্তে দুদক

পটুয়াখালী প্রতিনিধিপবিপ্রবি সংবাদদাতা
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) নিয়োগ ও পদোন্নতিতে অনিয়মের অভিযোগের তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুদকের একটি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর ও প্রশাসনিক অফিসে অভিযান চালায়।

দুদকের পটুয়াখালী জেলা সমন্বিত দপ্তরের সহকারী পরিচালক তাপস বিশ্বাস তদন্তকারী দলের নেতৃত্ব দেন।

সূত্রের বরাতে জানা গেছে, মাসুম বিল্লাহ ও মো. কবির শিকদার নামে দুই কর্মকর্তা যথাক্রমে ২০০৫ ও ২০০৬ সালে কম্পিউটার অপারেটর পদে যোগ দেন এবং ২০০৮ ও ২০০৯ সালে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পান। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন বিধিমালা অনুযায়ী, এ পদে উন্নতির জন্য কমপক্ষে আট বছর চাকরিকাল পূর্ণ করা বাধ্যতামূলক ছিল, যা তাঁদের ক্ষেত্রে মানা হয়নি। এ ছাড়া পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদনও নেওয়া হয়নি। তাঁরা দুজনেই এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির দাবি করেছেন, তবে সনদের সত্যতা যাচাই চলছে। অন্যদিকে, সাকিবুল হাসান ফারুক খান ২০১৬ সালে নেটওয়ার্ক টেকনিশিয়ান পদে যোগ দিয়ে ২০২০ সালে সহকারী নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পদোন্নতি পান। তিনি রয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের দাবি করেছেন। তাঁর সনদের বৈধতাও অনুসন্ধানে রয়েছে। অভিযানের সময় দুদক কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট নথিপত্র জব্দ করেন এবং কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

দুদক কর্মকর্তা তাপস বিশ্বাস জানান, অভিযোগ অনুযায়ী কয়েকজন কর্মকর্তা নিয়মবিধি লঙ্ঘন করে পদোন্নতি পেয়েছেন এবং কিছু সনদ যাচাইয়ের প্রয়োজন রয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

দুদকের অভিযানের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ মন্তব্য করতে রাজি হননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন হত্যা মামলা: আদালতে তিন সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জামাতপন্থী আইনজীবী রেজাউল হক রিয়াজ ও হাতিরঝিল থানা জামায়াতের রোকন ও আইনজীবী আক্তারুজ্জামান ডালিম। ছবি: সংগৃহীত
জামাতপন্থী আইনজীবী রেজাউল হক রিয়াজ ও হাতিরঝিল থানা জামায়াতের রোকন ও আইনজীবী আক্তারুজ্জামান ডালিম। ছবি: সংগৃহীত

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সংবাদ সংগ্রহের সময় তিন সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কয়েকজন আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক তাঁদের হেনস্তা করেন।

হেনস্তার শিকার সাংবাদিকেরা হলেন কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক মাসুদ রানা, একুশে টেলিভিশনের প্রতিবেদক আরিফুল ইসলাম এবং দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার প্রতিবেদক আরিফুল ইসলাম।

হেনস্তার শিকার সাংবাদিকদের অভিযোগ, সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে কয়েকজন আইনজীবী তাঁদের ওপর চড়াও হন। এরপর তাঁদের ডেকে নিয়ে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। বিচারক তাঁদের কারাগারে পাঠানোর ‘হুমকি’ও দেন বলে জানান তাঁরা।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আজ দিন ধার্য ছিল। এ মামলায় আসামি ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরা আদালতে হাজির হন। ফারদিনের বাবা নুর উদ্দিন রানাও আদালতে হাজির ছিলেন। পরে শুনানি শেষে আদালত থেকে আসামি বুশরা বের হন। তখন আসামির ভিডিও ফুটেজ নিতে যান তিন সাংবাদিক। এ সময় জামায়াতপন্থী আইনজীবী রেজাউল হক রিয়াজ, হাতিরঝিল থানা জামায়াতের রোকন ও আইনজীবী আক্তারুজ্জামান ডালিমসহ অনেকেই ভিডিও করতে বাধা দেন।

সাংবাদিকেরা পেশাগত কারণে ভিডিও করার কথা জানালে তাঁরা আরও চড়াও হন। এ সময় তাঁরা সাংবাদিকদের বিচারকের কাছে ধরে নিয়ে যেতে জোরাজুরি করেন। তবে সাংবাদিকেরা জানান, আসামির ছবি বা ভিডিও নিতে আদালতের অনুমতির প্রয়োজন নেই। এ কথা বলায় উপস্থিত আইনজীবীরা ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ পিয়াসের আদালতের বাইরে চারদিক থেকে ঘিরে ধরেন। একপর্যায়ে আইনজীবী আক্তারুজ্জামান ডালিম এক সাংবাদিকের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন। এ সময় এই মামলার বাদী নুর উদ্দিন রানাকে দেখে হুমকি দিতে থাকেন তিনি। বাদীর উদ্দেশে বলেন, আপনি সাংবাদিকদের ডেকে এনেছেন।

এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ পিয়াস এই তিন সাংবাদিকসহ আইনজীবী আক্তারুজ্জামান ডালিমকে এজলাসে ডেকে নেন। তখন বিচারক তিন সাংবাদিককে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করান। আদালত সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের পরিচয় দিন’।

সাংবাদিকদের পরিচয় জানার পর বিচারক বলেন, ‘আপনারা কোর্টের সামনে হাঙ্গামা করেছেন। এখন বেলা ১১টা ৩৮ বাজে, আপনাদের কারাগারে পাঠানো হবে। আর কোনো কথা হবে না। আপনাদের সবার মোবাইল নিয়ে নেওয়া হোক।’

এর মিনিট দু-এক পর বিচারক বলেন, ‘আপনারা নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলে ছেড়ে দেব। নাহলে কারাগারে যেতে হবে। কোনো ছাড় নেই।’ উপায়ন্তর না দেখে সাংবাদিকেরা নিঃস্বার্থ ক্ষমা চান। পরে এই তিন সাংবাদিককে ছেড়ে দেওয়ার অনুমতি দেন আদালত।

সাংবাদিক মাসুদ রানা বলেন, ‘সংবাদ সংগ্রহে গিয়েছিলাম। কিন্তু কয়েকজন আইনজীবী ভিডিও তুলতে বাধা দিয়ে মব সৃষ্টি করে। পরে বিচারক অতি উৎসাহী হয়ে আমাদের তিনজনকে কাঠগড়ায় ডাকেন। আমাদের পরিচয় জেনে বিচারক বলেন—আপনারা বসেন, সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হবে।’

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার রিপোর্টার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আসামির ভিডিও ধারণ করতে গেলে তাঁদের আইনজীবীরা চড়াও হন। একজনের মোবাইল কেড়ে নেন। ভিডিও ধারণ করায় বিচারকের কাছে জোর করে তাঁরা আমাদের নিতে চেয়েছেন। আমরা যেতে না চাওয়ায় তাঁরা খুব খারাপ আচরণ করতে থাকেন। এ সময় আরেক আদালতের বিচারক আমাদের এজলাসে ডাকেন। এরপর কাঠগড়ায় যেতে বলেন। বিচারক কোনো আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর হুমকি দেন। কোনো অপরাধ না করেই নিঃশর্তে ক্ষমা চাওয়া লেগেছে। বিষয়টি খুব দুঃখজনক।’

প্রতিবাদ ও নিন্দা

আইনজীবী ও বিচারকের দ্বারা সাংবাদিকদের হেনস্তার ঘটনায় প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ঢাকার নিম্ন আদালতে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিআরইউ)।

এ বিষয়ে সিআরইউ সভাপতি লিটন মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার চেষ্টা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এ দিন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ পিয়াসের আদালতের বাইরে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কোর্টে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় অথবা ব্যাঘাত সৃষ্টি করে—এমন কোনো অপেশাদার আচরণ করেননি তাঁরা। সাংবাদিকেরা শুধু তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা বিবেচনায় না নিয়ে সংশ্লিষ্ট কোর্টের বিচারক হাসিব উল্লাহ পিয়াস অতি উৎসাহী হয়ে উল্টো তিন সাংবাদিককে ডেকে নিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি দেন। একজন বিচারকের কাছে এমন আচরণ কাম্য নয়, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। সভাপতি বলেন, ‘আমি ওই বিচারকের অপসারণসহ বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই। এ বিষয়ে আমরা প্রধান বিচারপতির কাছে লিখিত অভিযোগ জানাব।’

এদিকে ফারদিন হত্যা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৫ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ হন ফারদিন। ওই দিনই রাজধানীর রামপুরা থানায় এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তাঁর বাবা কাজী নুর উদ্দিন। নিখোঁজের দুদিন পর ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। ৮ নভেম্বর সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ফারদিনের মরদেহ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দেউলপাড়া কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় বুশরাসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে মামলা করা হয়। রামপুরা থানায় নিহত ফারদিনের বাবা নুর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভৈরবে এবার নৌপথ অবরোধ

ভৈরব সংবাদদাতা
ভৈরবে নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভৈরবে নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন আন্দোলনকারীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে সড়ক ও রেলপথ অবরোধের পর এবার নৌপথ অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত মেঘনা নদীর ভৈরব বাজার স্পিডবোট ও লঞ্চঘাট এলাকায় এই অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়। এতে আধা ঘণ্টা নৌ চলাচল বন্ধ ছিল।

অবরোধ চলাকালে ভৈরব জেলা আন্দোলনের নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল, ছাত্রনেতা জুনাইদ প্রমুখ।

এদিকে আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আট ঘণ্টা একযোগে সড়কপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধের ডাক দেন আন্দোলনকারীরা। পরে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে বৃহস্পতিবারের অবরোধ কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত করেন আন্দোলনকারীরা।

এদিকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শবনম শারমিন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ এইচ এম মো. আজিমুল হক, ভৈরব নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামানসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।

ভৈরব নৌথানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে নৌপথ অবরোধ হয়েছে। আমরা আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের কথা বলেছি।’

এর আগে ভৈরব স্টেশনে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢিল নিক্ষেপের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন স্টেশনমাস্টার মো. ইউসুফ। এ ঘটনায় আজ সকালে তিন কিশোরকে আটকের পর গ্রেপ্তার দেখায় ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ। এ ব্যাপারে আন্দোলনকারীরা বলেন, এ ঘটনার দায়ভার রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার ও রেলওয়ে থানার ওপর বর্তাবে। তাঁরা আরও বলেন, ‘আমাদের জেলা ঘোষণার দাবি ন্যায্য। মামলা ও ভয় দেখিয়ে আমাদের দমন করা যাবে না।’ ভৈরব জেলা বাস্তবায়ন আন্দোলনের নেতা মাওলানা সাইফুর রহমান শাহরিয়ার বলেন, সোমবারের শান্তিপূর্ণ রেল অবরোধ চলাকালে ট্রেনচালক হঠাৎ জোরে হুইসেল বাজালে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আত্মরক্ষার্থে কিছু পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি আবু সাঈদ বলেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও রেলওয়ে পুলিশের যৌথ অভিযানে তিনজনকে আটকের পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচের স্থান সবুজায়নে চুক্তি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ডিএনসিসির এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ডিএনসিসির এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচের অব্যবহৃত জায়গাগুলোকে সবুজ ও নান্দনিকভাবে সাজিয়ে নাগরিকদের জন্য গণপরিসর হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এ লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সম্মেলনকক্ষে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তিতে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে স্বাক্ষর করেন পরিচালক (প্রশাসন) ও যুগ্ম সচিব আলতাফ হোসেন সেখ, আর ডিএনসিসির পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও উপসচিব মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান।

চুক্তি অনুযায়ী, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচের স্থানগুলোকে সবুজায়ন, হাঁটার পথ (ওয়াকওয়ে), সাইকেল লেন, বসার স্থান, আর্ট কর্নার, শিশুদের খেলার জায়গা ও উন্মুক্ত গণপরিসরে রূপ দেওয়া হবে। এতে নাগরিকদের বিনোদনের সুযোগ যেমন বাড়বে, তেমনি নগরীর পরিবেশও উন্নত হবে।

চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘এই চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঢাকার নাগরিকদের জন্য নতুন প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হবে। অব্যবহৃত জায়গাগুলো এখন বিনোদন ও বিশ্রামের আধুনিক পরিসরে রূপ নেবে।’

সভাপতির বক্তব্য সেতু বিভাগের সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শুধু যানবাহন চলাচলের জন্য নয়, এর নিচের স্থানগুলোও নাগরিক কল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করে নগরজীবনকে আরও প্রাণবন্ত করতে চাই।’

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) আলতাফ হোসেন সেখ বলেন, এক্সপ্রেসওয়ের নিচের জায়গাগুলো সৃজনশীল ও কার্যকর কাজে ব্যবহার হবে, যা নগরীর চেহারা বদলে দেবে।

এদিকে সেতু কর্তৃপক্ষ ও ডিএনসিসির এই যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে নগরবাসীর জীবনমান উন্নয়ন, বায়ুদূষণ হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগ, সেতু কর্তৃপক্ষ ও ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঘর আলো করেছে ৫ নবজাতক, চোখে অন্ধকার দেখছেন মুদিদোকানি সোহেল

বেতন–ভাতা বাড়িয়ে ১ ট্রিলিয়ন ডলার না করলে টেসলা ছাড়তে পারেন মাস্ক

আজকের রাশিফল: ভুল ব্যক্তিকে মেসেজ পাঠিয়ে বিপত্তি বাধাবেন না

ঘনীভূত হচ্ছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’, আঘাত হানবে সন্ধ্যার পর

বিএনপি নেতার ব্যানার টানানো নিয়ে গোলাগুলি, যুবদল কর্মী নিহত

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত