কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা পাওয়া গেছে। চার মাসের মধ্যে আগে এত টাকা কখনো পাওয়া যায়নি। আজ শনিবার রাত ৯টার দিকে গণনা শেষে টাকার এ হিসাব নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী। এ ছাড়া টাকার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার দানবাক্স পাওয়া গেছে।
এর আগে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে পাওয়া গিয়েছিল ২০ বস্তা টাকা। দিনভর গুনে ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপার অলংকারও মিলেছিল। সে সময় তিন মাসে এই পরিমাণ টাকা জমা পড়েছিল মসজিদের দানবাক্সগুলোতে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সাধারণত তিন মাস পরপর পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। এবার চার মাস পর খোলা হয়েছে। প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে টাকা গণনার কাজ হয়।
মসজিদ কমিটি জানায়, প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দানবাক্সগুলোতে টাকাপয়সা ছাড়াও স্বর্ণালংকার, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন। কথিত আছে, খাস নিয়তে এ মসজিদে দান করলে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। সে জন্য দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ এখানে এসে দান করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী জানান, পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে এবার রেকর্ড ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা পাওয়া গেছে। টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। টাকা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ান ডলার, সিঙ্গাপুরি ডলার, সৌদি রিয়াল, মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত, উল্লেখযোগ্য পরিমাণে স্বর্ণালংকার পাগলা মসজিদের দানবাক্সে জমা পড়েছে।
টাকা গণনার এলাহি কাণ্ড নিজ চোখে দেখতে শহরের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ মসজিদে ছুটে যান। পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা বলেন, ‘সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ এ মসজিদে দান করেন। তাঁদের বিশ্বাস, এখানে দান করলে রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তির পাশাপাশি মনোবাসনা পূরণ হয়। এই বিশ্বাস থেকেই দূর-দূরান্তর মানুষও এখানে দান করতে ছুটে আসেন। মজার বিষয় হচ্ছে, দান সিন্দুক খুললে চিঠিপত্রও পাওয়া যায়। সেসব চিঠিতে দানকারীরা নিজেদের মনোবাসনার কথা লিখে দেন।’
মসজিদ কমিটি জানিয়েছে, প্রাপ্ত দানের টাকা থেকে পাগলা মসজিদ এবং এই মসজিদ কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা, এতিমখানা ও কবরস্থানের ব্যয় নির্বাহ করা হয়। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানায় সহায়তা করা হয়। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজেও এই ফান্ড থেকে টাকা খরচ করা হয়।
সুউচ্চ মিনার ও তিন গম্বুজবিশিষ্ট তিনতলা বিশাল পাগলা মসজিদ কিশোরগঞ্জের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থাপনা। জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে হারুয়া এলাকায় অবস্থিত পাগলা মসজিদটি প্রথমে ১০ শতক জায়গায় প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরে এর আয়তন আরও বাড়ানো হয়েছে। মসজিটি এখন প্রায় চার একর জায়গাজুড়ে রয়েছে।
কথিত আছে, প্রায় ৫০০ বছর আগে ঈসা খাঁর আমলে ‘দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা’ নামে এক ব্যক্তি নদীর তীরে বসে নামাজ পড়তেন। পরবর্তী সময়ে ওই স্থানে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। পরে জিল কদর পাগলার নামানুসারেই মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ নামে পরিচিতি পায়।
জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ছয়তলাবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য পরামর্শক নিয়োগের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। পরামর্শক নিয়োগ শেষ হলে চূড়ান্ত ডিজাইন করা হবে। মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, মাদ্রাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন টাকা গণনা কাজ করেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা পাওয়া গেছে। চার মাসের মধ্যে আগে এত টাকা কখনো পাওয়া যায়নি। আজ শনিবার রাত ৯টার দিকে গণনা শেষে টাকার এ হিসাব নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী। এ ছাড়া টাকার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার দানবাক্স পাওয়া গেছে।
এর আগে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি পাগলা মসজিদের দানবাক্স খুলে পাওয়া গিয়েছিল ২০ বস্তা টাকা। দিনভর গুনে ৪ কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা, সোনা ও রুপার অলংকারও মিলেছিল। সে সময় তিন মাসে এই পরিমাণ টাকা জমা পড়েছিল মসজিদের দানবাক্সগুলোতে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সাধারণত তিন মাস পরপর পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। এবার চার মাস পর খোলা হয়েছে। প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে টাকা গণনার কাজ হয়।
মসজিদ কমিটি জানায়, প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দানবাক্সগুলোতে টাকাপয়সা ছাড়াও স্বর্ণালংকার, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন। কথিত আছে, খাস নিয়তে এ মসজিদে দান করলে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। সে জন্য দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ এখানে এসে দান করেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী জানান, পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খুলে এবার রেকর্ড ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা পাওয়া গেছে। টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। টাকা ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ান ডলার, সিঙ্গাপুরি ডলার, সৌদি রিয়াল, মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত, উল্লেখযোগ্য পরিমাণে স্বর্ণালংকার পাগলা মসজিদের দানবাক্সে জমা পড়েছে।
টাকা গণনার এলাহি কাণ্ড নিজ চোখে দেখতে শহরের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ মসজিদে ছুটে যান। পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা বলেন, ‘সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ এ মসজিদে দান করেন। তাঁদের বিশ্বাস, এখানে দান করলে রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তির পাশাপাশি মনোবাসনা পূরণ হয়। এই বিশ্বাস থেকেই দূর-দূরান্তর মানুষও এখানে দান করতে ছুটে আসেন। মজার বিষয় হচ্ছে, দান সিন্দুক খুললে চিঠিপত্রও পাওয়া যায়। সেসব চিঠিতে দানকারীরা নিজেদের মনোবাসনার কথা লিখে দেন।’
মসজিদ কমিটি জানিয়েছে, প্রাপ্ত দানের টাকা থেকে পাগলা মসজিদ এবং এই মসজিদ কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা, এতিমখানা ও কবরস্থানের ব্যয় নির্বাহ করা হয়। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানায় সহায়তা করা হয়। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজেও এই ফান্ড থেকে টাকা খরচ করা হয়।
সুউচ্চ মিনার ও তিন গম্বুজবিশিষ্ট তিনতলা বিশাল পাগলা মসজিদ কিশোরগঞ্জের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থাপনা। জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে হারুয়া এলাকায় অবস্থিত পাগলা মসজিদটি প্রথমে ১০ শতক জায়গায় প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরে এর আয়তন আরও বাড়ানো হয়েছে। মসজিটি এখন প্রায় চার একর জায়গাজুড়ে রয়েছে।
কথিত আছে, প্রায় ৫০০ বছর আগে ঈসা খাঁর আমলে ‘দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা’ নামে এক ব্যক্তি নদীর তীরে বসে নামাজ পড়তেন। পরবর্তী সময়ে ওই স্থানে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। পরে জিল কদর পাগলার নামানুসারেই মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ নামে পরিচিতি পায়।
জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ছয়তলাবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য পরামর্শক নিয়োগের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। পরামর্শক নিয়োগ শেষ হলে চূড়ান্ত ডিজাইন করা হবে। মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, মাদ্রাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন টাকা গণনা কাজ করেছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ জন সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন।
শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীর রায়পুরায় শোকসভা করার অভিযোগে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
২১ মিনিট আগেদগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন ওই ভবনের বাসাভাড়া নিয়ে থাকা গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ী গ্রামের সবুজ শেখ (৪২), দুই ছেলে রবিউল শেখ (১৯), রমজান শেখ (১৩), দুই মেয়ে তাসনিয়া (৬) তাসফিয়া (২) ও বোন ঝুমুর বেগম (৩৮) এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চরনাজিমউদ্দিন গ্রামের আব্বাস উদ্দীন (৩৯)।
৩০ মিনিট আগেভোলাগঞ্জের পর জাফলংয়েও লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গত দুই দিন উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছে। পরে সেগুলো জাফলং জিরো পয়েন্টে প্রতিস্থাপন করা হয়।
৩৫ মিনিট আগেসিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর লুটপাটের পর সেগুলো ভোলাগঞ্জ ও ধোপাগুল এলাকায় ক্রাশার মেশিনে ভাঙার জন্য স্তূপ করে রাখা হয়। পরে যখন অভিযান শুরু হয়, তখন সেগুলো ওই ব্যবসায়ীরা বালু ও মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলেন। আজ শুক্রবার সেখানে অভিযান চালিয়ে পথরগুলো উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে