শরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের সময় তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে ধরে পিটুনি দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ তাঁদের আটক করে। আটক তিন পুলিশ সদস্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় কর্মরত।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার দারুল আমান বাজার এলাকার মদন ব্যাপারীর বাড়ির সামনে থেকে দুই ব্যবসায়ীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাত ১টার দিকে ডামুড্যা শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অপহরণকারীদের তিনজনকে আটক করে দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেন স্থানীয় লোকজন। পরে আজ শুক্রবার সকালে আরেকজনকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেওয়া হয়।
আটক তিন পুলিশ সদস্য হলেন বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার গারফা এলাকার বাচ্চু মিয়া শেখের ছেলে কৌশিক আহমেদ সেতু (৩০)। তিনি খুলনা জেলা পুলিশ লাইনসে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আছেন। অন্যজন শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার বড় শিধুলকুড়া এলাকার মৃত আব্দুর রহমান তালুকদারের ছেলে কাউসার তালুকদার (২৯)। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। তৃতীয়জন হলেন মাগুরার বাসিন্দা রুবায়েত মীর (২৭)। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। অন্যজন তাঁদের সহযোগী কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আমৌদা এলাকার মৃত আনা মিয়ার ছেলে শরীফ হোসেন (৩৫)।
আটক চার ব্যক্তির মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছেন ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান মানিক। তাঁদের পুলিশ পাহারায় ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।
উদ্ধার হওয়া দুই ব্যবসায়ী হলেন জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার ইকর কান্দি এলাকার মৃত সোহরাব সরদারের ছেলে মোহাম্মদ জুয়েল সরদার (৩২) ও একই এলাকার মোহাম্মদ কাসেম সরদারের ছেলে ফয়সাল সরদার (২৪)। তাঁরা ডামুড্যা বাজারের কাপড়ের ব্যবসায়ী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন জুয়েল সরদার ও ফয়সাল সরদার। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডামুড্যা উপজেলার দারুল আমান বাজারের কাছে মদন ব্যাপারীর বাড়ির সামনে একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ-১৫-৯৮৫৮) ও একটি মোটরসাইকেল এসে তাঁদের পাশে থামে। এ সময় আট ব্যক্তির মধ্যে চারজন গাড়ি থেকে নেমে এসে জুয়েল ও ফয়সালকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেন। পরে অপহরণকারীরা ওই দুই ব্যবসায়ীকে নিয়ে মাদারীপুর ঘুরে রাত ১টার দিকে ডামুড্যা শহরের বাসস্ট্যান্ডে গেলে স্থানীয় লোকজনের তোপের মুখে পড়েন। এ সময় স্থানীয় লোকজন তিনজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। আর পাঁচ অপহরণকারী পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়াদের মধ্যে একজনকে আজ সকালে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ফাহিম আব্বাস বলেন, ‘এলাকায় ডাকাত পড়েছে শুনে আমি বাড়ি থেকে বের হই। পরে শুনি ডামুড্যা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাদের তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আমি একজনকে জড়িয়ে ধরি। পরে এলাকাবাসী তাদের গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়। এ ছাড়া কয়েকজন পালিয়ে যায়। এর মধ্যে শুক্রবার সকালে একজন আটক হয়েছে বলে শুনেছি।’
মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘জুয়েল ও ফয়সাল আমার চাচতো ভাই। তাদের ডামুড্যা ও ভেদরগঞ্জে তিনটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। অপহরণকারীরা ফয়সালকে দিয়ে তার ভাই স্বাধীন সরদারকে ফোন করে। তাদের কাছে ২০ লাখ টাকা চায় অপহরণকারীরা। তখন ব্যাংক, বিকাশ ও নগদ থেকে ৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা পাঠায় তাদের। পরে আরও টাকা দাবি করলে তাদের লোভ দেখিয়ে ডামুড্যা শহরের বাসস্ট্যান্ডে আনা হয়। বাসস্ট্যান্ড আসলে স্থানীয় লোকজন জুয়েল ও ফয়সালকে উদ্ধার করে এবং তিনজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়।’
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ফয়সাল বলেন, ‘আমরা কাপড় ব্যবসায়ী। দোকান বন্ধ করে রাতে শবে কদরের নামাজ পড়ার জন্য বাড়ি যাচ্ছিলাম। দারুল আমান বাজারের কাছে মদন ব্যাপারীর বাড়ির সামনে পৌঁছালে হঠাৎ অপহরণকারীরা একটি মাইক্রোবাস ও একটি মোটরসাইকেল আমাদের গতিরোধ করে মাইক্রোবাসে তুলে ফেলেন। পরে হাতে পুলিশের হাতকড়া পরিয়ে দেন এবং পিস্তল ঠেকিয়ে তাঁরা বলেন, ‘‘তোরা তো বড় ব্যবসায়ী, তোদের টাকা কই। যদি বাঁচতে চাস, আমাদের ২০ লাখ টাকা দিবি। আমরা পুলিশের লোক।’’ পরে আমরা ১০ লাখ টাকা দিতে রাজি হই। তবু আমাদের লোহার রড দিয়ে পেটায়, কিল-ঘুষি মারে। পরে আমাদের মাদারীপুর লেকপাড় নিয়ে যান। সেখান থেকে আমাকে দিয়ে আমার ভাই স্বাধীনকে ফোন দেওয়ান। আমি তখন টাকা পাঠাতে বলি। আমরা তাঁদের ৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা দিই। পরে বাকি ৬ লাখ ৯ হাজার টাকার জন্য অপহরণকারীরা ডামুড্যা শহরের বাসস্ট্যান্ডে আসেন। সেখানে স্থানীয় লোকজন আমাদের উদ্ধার করেন।’
ডামুড্যা থানার ওসি হাফিজুর রহমান মানিক বলেন, দুই ব্যবসায়ী রাতে দোকান থেকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথে তাঁদের অপহরণ করা হয় এবং তাঁদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। অপহরণের ঘটনায় পুলিশ ও জনগণ চারজনকে আটক করেছে। এর মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য রয়েছে। তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের সময় তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে ধরে পিটুনি দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ তাঁদের আটক করে। আটক তিন পুলিশ সদস্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় কর্মরত।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার দারুল আমান বাজার এলাকার মদন ব্যাপারীর বাড়ির সামনে থেকে দুই ব্যবসায়ীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাত ১টার দিকে ডামুড্যা শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অপহরণকারীদের তিনজনকে আটক করে দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেন স্থানীয় লোকজন। পরে আজ শুক্রবার সকালে আরেকজনকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেওয়া হয়।
আটক তিন পুলিশ সদস্য হলেন বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার গারফা এলাকার বাচ্চু মিয়া শেখের ছেলে কৌশিক আহমেদ সেতু (৩০)। তিনি খুলনা জেলা পুলিশ লাইনসে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আছেন। অন্যজন শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার বড় শিধুলকুড়া এলাকার মৃত আব্দুর রহমান তালুকদারের ছেলে কাউসার তালুকদার (২৯)। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। তৃতীয়জন হলেন মাগুরার বাসিন্দা রুবায়েত মীর (২৭)। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। অন্যজন তাঁদের সহযোগী কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আমৌদা এলাকার মৃত আনা মিয়ার ছেলে শরীফ হোসেন (৩৫)।
আটক চার ব্যক্তির মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছেন ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান মানিক। তাঁদের পুলিশ পাহারায় ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।
উদ্ধার হওয়া দুই ব্যবসায়ী হলেন জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার ইকর কান্দি এলাকার মৃত সোহরাব সরদারের ছেলে মোহাম্মদ জুয়েল সরদার (৩২) ও একই এলাকার মোহাম্মদ কাসেম সরদারের ছেলে ফয়সাল সরদার (২৪)। তাঁরা ডামুড্যা বাজারের কাপড়ের ব্যবসায়ী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন জুয়েল সরদার ও ফয়সাল সরদার। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডামুড্যা উপজেলার দারুল আমান বাজারের কাছে মদন ব্যাপারীর বাড়ির সামনে একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ-১৫-৯৮৫৮) ও একটি মোটরসাইকেল এসে তাঁদের পাশে থামে। এ সময় আট ব্যক্তির মধ্যে চারজন গাড়ি থেকে নেমে এসে জুয়েল ও ফয়সালকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেন। পরে অপহরণকারীরা ওই দুই ব্যবসায়ীকে নিয়ে মাদারীপুর ঘুরে রাত ১টার দিকে ডামুড্যা শহরের বাসস্ট্যান্ডে গেলে স্থানীয় লোকজনের তোপের মুখে পড়েন। এ সময় স্থানীয় লোকজন তিনজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। আর পাঁচ অপহরণকারী পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়াদের মধ্যে একজনকে আজ সকালে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ফাহিম আব্বাস বলেন, ‘এলাকায় ডাকাত পড়েছে শুনে আমি বাড়ি থেকে বের হই। পরে শুনি ডামুড্যা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাদের তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আমি একজনকে জড়িয়ে ধরি। পরে এলাকাবাসী তাদের গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়। এ ছাড়া কয়েকজন পালিয়ে যায়। এর মধ্যে শুক্রবার সকালে একজন আটক হয়েছে বলে শুনেছি।’
মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘জুয়েল ও ফয়সাল আমার চাচতো ভাই। তাদের ডামুড্যা ও ভেদরগঞ্জে তিনটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। অপহরণকারীরা ফয়সালকে দিয়ে তার ভাই স্বাধীন সরদারকে ফোন করে। তাদের কাছে ২০ লাখ টাকা চায় অপহরণকারীরা। তখন ব্যাংক, বিকাশ ও নগদ থেকে ৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা পাঠায় তাদের। পরে আরও টাকা দাবি করলে তাদের লোভ দেখিয়ে ডামুড্যা শহরের বাসস্ট্যান্ডে আনা হয়। বাসস্ট্যান্ড আসলে স্থানীয় লোকজন জুয়েল ও ফয়সালকে উদ্ধার করে এবং তিনজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়।’
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ফয়সাল বলেন, ‘আমরা কাপড় ব্যবসায়ী। দোকান বন্ধ করে রাতে শবে কদরের নামাজ পড়ার জন্য বাড়ি যাচ্ছিলাম। দারুল আমান বাজারের কাছে মদন ব্যাপারীর বাড়ির সামনে পৌঁছালে হঠাৎ অপহরণকারীরা একটি মাইক্রোবাস ও একটি মোটরসাইকেল আমাদের গতিরোধ করে মাইক্রোবাসে তুলে ফেলেন। পরে হাতে পুলিশের হাতকড়া পরিয়ে দেন এবং পিস্তল ঠেকিয়ে তাঁরা বলেন, ‘‘তোরা তো বড় ব্যবসায়ী, তোদের টাকা কই। যদি বাঁচতে চাস, আমাদের ২০ লাখ টাকা দিবি। আমরা পুলিশের লোক।’’ পরে আমরা ১০ লাখ টাকা দিতে রাজি হই। তবু আমাদের লোহার রড দিয়ে পেটায়, কিল-ঘুষি মারে। পরে আমাদের মাদারীপুর লেকপাড় নিয়ে যান। সেখান থেকে আমাকে দিয়ে আমার ভাই স্বাধীনকে ফোন দেওয়ান। আমি তখন টাকা পাঠাতে বলি। আমরা তাঁদের ৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা দিই। পরে বাকি ৬ লাখ ৯ হাজার টাকার জন্য অপহরণকারীরা ডামুড্যা শহরের বাসস্ট্যান্ডে আসেন। সেখানে স্থানীয় লোকজন আমাদের উদ্ধার করেন।’
ডামুড্যা থানার ওসি হাফিজুর রহমান মানিক বলেন, দুই ব্যবসায়ী রাতে দোকান থেকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথে তাঁদের অপহরণ করা হয় এবং তাঁদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। অপহরণের ঘটনায় পুলিশ ও জনগণ চারজনকে আটক করেছে। এর মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য রয়েছে। তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের সময় তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে ধরে পিটুনি দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ তাঁদের আটক করে। আটক তিন পুলিশ সদস্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় কর্মরত।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার দারুল আমান বাজার এলাকার মদন ব্যাপারীর বাড়ির সামনে থেকে দুই ব্যবসায়ীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাত ১টার দিকে ডামুড্যা শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অপহরণকারীদের তিনজনকে আটক করে দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেন স্থানীয় লোকজন। পরে আজ শুক্রবার সকালে আরেকজনকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেওয়া হয়।
আটক তিন পুলিশ সদস্য হলেন বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার গারফা এলাকার বাচ্চু মিয়া শেখের ছেলে কৌশিক আহমেদ সেতু (৩০)। তিনি খুলনা জেলা পুলিশ লাইনসে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আছেন। অন্যজন শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার বড় শিধুলকুড়া এলাকার মৃত আব্দুর রহমান তালুকদারের ছেলে কাউসার তালুকদার (২৯)। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। তৃতীয়জন হলেন মাগুরার বাসিন্দা রুবায়েত মীর (২৭)। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। অন্যজন তাঁদের সহযোগী কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আমৌদা এলাকার মৃত আনা মিয়ার ছেলে শরীফ হোসেন (৩৫)।
আটক চার ব্যক্তির মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছেন ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান মানিক। তাঁদের পুলিশ পাহারায় ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।
উদ্ধার হওয়া দুই ব্যবসায়ী হলেন জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার ইকর কান্দি এলাকার মৃত সোহরাব সরদারের ছেলে মোহাম্মদ জুয়েল সরদার (৩২) ও একই এলাকার মোহাম্মদ কাসেম সরদারের ছেলে ফয়সাল সরদার (২৪)। তাঁরা ডামুড্যা বাজারের কাপড়ের ব্যবসায়ী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন জুয়েল সরদার ও ফয়সাল সরদার। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডামুড্যা উপজেলার দারুল আমান বাজারের কাছে মদন ব্যাপারীর বাড়ির সামনে একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ-১৫-৯৮৫৮) ও একটি মোটরসাইকেল এসে তাঁদের পাশে থামে। এ সময় আট ব্যক্তির মধ্যে চারজন গাড়ি থেকে নেমে এসে জুয়েল ও ফয়সালকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেন। পরে অপহরণকারীরা ওই দুই ব্যবসায়ীকে নিয়ে মাদারীপুর ঘুরে রাত ১টার দিকে ডামুড্যা শহরের বাসস্ট্যান্ডে গেলে স্থানীয় লোকজনের তোপের মুখে পড়েন। এ সময় স্থানীয় লোকজন তিনজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। আর পাঁচ অপহরণকারী পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়াদের মধ্যে একজনকে আজ সকালে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ফাহিম আব্বাস বলেন, ‘এলাকায় ডাকাত পড়েছে শুনে আমি বাড়ি থেকে বের হই। পরে শুনি ডামুড্যা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাদের তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আমি একজনকে জড়িয়ে ধরি। পরে এলাকাবাসী তাদের গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়। এ ছাড়া কয়েকজন পালিয়ে যায়। এর মধ্যে শুক্রবার সকালে একজন আটক হয়েছে বলে শুনেছি।’
মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘জুয়েল ও ফয়সাল আমার চাচতো ভাই। তাদের ডামুড্যা ও ভেদরগঞ্জে তিনটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। অপহরণকারীরা ফয়সালকে দিয়ে তার ভাই স্বাধীন সরদারকে ফোন করে। তাদের কাছে ২০ লাখ টাকা চায় অপহরণকারীরা। তখন ব্যাংক, বিকাশ ও নগদ থেকে ৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা পাঠায় তাদের। পরে আরও টাকা দাবি করলে তাদের লোভ দেখিয়ে ডামুড্যা শহরের বাসস্ট্যান্ডে আনা হয়। বাসস্ট্যান্ড আসলে স্থানীয় লোকজন জুয়েল ও ফয়সালকে উদ্ধার করে এবং তিনজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়।’
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ফয়সাল বলেন, ‘আমরা কাপড় ব্যবসায়ী। দোকান বন্ধ করে রাতে শবে কদরের নামাজ পড়ার জন্য বাড়ি যাচ্ছিলাম। দারুল আমান বাজারের কাছে মদন ব্যাপারীর বাড়ির সামনে পৌঁছালে হঠাৎ অপহরণকারীরা একটি মাইক্রোবাস ও একটি মোটরসাইকেল আমাদের গতিরোধ করে মাইক্রোবাসে তুলে ফেলেন। পরে হাতে পুলিশের হাতকড়া পরিয়ে দেন এবং পিস্তল ঠেকিয়ে তাঁরা বলেন, ‘‘তোরা তো বড় ব্যবসায়ী, তোদের টাকা কই। যদি বাঁচতে চাস, আমাদের ২০ লাখ টাকা দিবি। আমরা পুলিশের লোক।’’ পরে আমরা ১০ লাখ টাকা দিতে রাজি হই। তবু আমাদের লোহার রড দিয়ে পেটায়, কিল-ঘুষি মারে। পরে আমাদের মাদারীপুর লেকপাড় নিয়ে যান। সেখান থেকে আমাকে দিয়ে আমার ভাই স্বাধীনকে ফোন দেওয়ান। আমি তখন টাকা পাঠাতে বলি। আমরা তাঁদের ৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা দিই। পরে বাকি ৬ লাখ ৯ হাজার টাকার জন্য অপহরণকারীরা ডামুড্যা শহরের বাসস্ট্যান্ডে আসেন। সেখানে স্থানীয় লোকজন আমাদের উদ্ধার করেন।’
ডামুড্যা থানার ওসি হাফিজুর রহমান মানিক বলেন, দুই ব্যবসায়ী রাতে দোকান থেকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথে তাঁদের অপহরণ করা হয় এবং তাঁদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। অপহরণের ঘটনায় পুলিশ ও জনগণ চারজনকে আটক করেছে। এর মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য রয়েছে। তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের সময় তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে ধরে পিটুনি দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ তাঁদের আটক করে। আটক তিন পুলিশ সদস্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় কর্মরত।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার দারুল আমান বাজার এলাকার মদন ব্যাপারীর বাড়ির সামনে থেকে দুই ব্যবসায়ীকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাত ১টার দিকে ডামুড্যা শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অপহরণকারীদের তিনজনকে আটক করে দুই ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেন স্থানীয় লোকজন। পরে আজ শুক্রবার সকালে আরেকজনকে আটক করে পিটুনি দিয়ে পুলিশে দেওয়া হয়।
আটক তিন পুলিশ সদস্য হলেন বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার গারফা এলাকার বাচ্চু মিয়া শেখের ছেলে কৌশিক আহমেদ সেতু (৩০)। তিনি খুলনা জেলা পুলিশ লাইনসে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত আছেন। অন্যজন শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার বড় শিধুলকুড়া এলাকার মৃত আব্দুর রহমান তালুকদারের ছেলে কাউসার তালুকদার (২৯)। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। তৃতীয়জন হলেন মাগুরার বাসিন্দা রুবায়েত মীর (২৭)। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। অন্যজন তাঁদের সহযোগী কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার আমৌদা এলাকার মৃত আনা মিয়ার ছেলে শরীফ হোসেন (৩৫)।
আটক চার ব্যক্তির মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করেছেন ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান মানিক। তাঁদের পুলিশ পাহারায় ডামুড্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।
উদ্ধার হওয়া দুই ব্যবসায়ী হলেন জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার ইকর কান্দি এলাকার মৃত সোহরাব সরদারের ছেলে মোহাম্মদ জুয়েল সরদার (৩২) ও একই এলাকার মোহাম্মদ কাসেম সরদারের ছেলে ফয়সাল সরদার (২৪)। তাঁরা ডামুড্যা বাজারের কাপড়ের ব্যবসায়ী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন জুয়েল সরদার ও ফয়সাল সরদার। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডামুড্যা উপজেলার দারুল আমান বাজারের কাছে মদন ব্যাপারীর বাড়ির সামনে একটি মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ-১৫-৯৮৫৮) ও একটি মোটরসাইকেল এসে তাঁদের পাশে থামে। এ সময় আট ব্যক্তির মধ্যে চারজন গাড়ি থেকে নেমে এসে জুয়েল ও ফয়সালকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেন। পরে অপহরণকারীরা ওই দুই ব্যবসায়ীকে নিয়ে মাদারীপুর ঘুরে রাত ১টার দিকে ডামুড্যা শহরের বাসস্ট্যান্ডে গেলে স্থানীয় লোকজনের তোপের মুখে পড়েন। এ সময় স্থানীয় লোকজন তিনজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। আর পাঁচ অপহরণকারী পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়াদের মধ্যে একজনকে আজ সকালে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ফাহিম আব্বাস বলেন, ‘এলাকায় ডাকাত পড়েছে শুনে আমি বাড়ি থেকে বের হই। পরে শুনি ডামুড্যা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাদের তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আমি একজনকে জড়িয়ে ধরি। পরে এলাকাবাসী তাদের গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়। এ ছাড়া কয়েকজন পালিয়ে যায়। এর মধ্যে শুক্রবার সকালে একজন আটক হয়েছে বলে শুনেছি।’
মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘জুয়েল ও ফয়সাল আমার চাচতো ভাই। তাদের ডামুড্যা ও ভেদরগঞ্জে তিনটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। অপহরণকারীরা ফয়সালকে দিয়ে তার ভাই স্বাধীন সরদারকে ফোন করে। তাদের কাছে ২০ লাখ টাকা চায় অপহরণকারীরা। তখন ব্যাংক, বিকাশ ও নগদ থেকে ৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা পাঠায় তাদের। পরে আরও টাকা দাবি করলে তাদের লোভ দেখিয়ে ডামুড্যা শহরের বাসস্ট্যান্ডে আনা হয়। বাসস্ট্যান্ড আসলে স্থানীয় লোকজন জুয়েল ও ফয়সালকে উদ্ধার করে এবং তিনজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দেয়।’
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ফয়সাল বলেন, ‘আমরা কাপড় ব্যবসায়ী। দোকান বন্ধ করে রাতে শবে কদরের নামাজ পড়ার জন্য বাড়ি যাচ্ছিলাম। দারুল আমান বাজারের কাছে মদন ব্যাপারীর বাড়ির সামনে পৌঁছালে হঠাৎ অপহরণকারীরা একটি মাইক্রোবাস ও একটি মোটরসাইকেল আমাদের গতিরোধ করে মাইক্রোবাসে তুলে ফেলেন। পরে হাতে পুলিশের হাতকড়া পরিয়ে দেন এবং পিস্তল ঠেকিয়ে তাঁরা বলেন, ‘‘তোরা তো বড় ব্যবসায়ী, তোদের টাকা কই। যদি বাঁচতে চাস, আমাদের ২০ লাখ টাকা দিবি। আমরা পুলিশের লোক।’’ পরে আমরা ১০ লাখ টাকা দিতে রাজি হই। তবু আমাদের লোহার রড দিয়ে পেটায়, কিল-ঘুষি মারে। পরে আমাদের মাদারীপুর লেকপাড় নিয়ে যান। সেখান থেকে আমাকে দিয়ে আমার ভাই স্বাধীনকে ফোন দেওয়ান। আমি তখন টাকা পাঠাতে বলি। আমরা তাঁদের ৩ লাখ ৯১ হাজার টাকা দিই। পরে বাকি ৬ লাখ ৯ হাজার টাকার জন্য অপহরণকারীরা ডামুড্যা শহরের বাসস্ট্যান্ডে আসেন। সেখানে স্থানীয় লোকজন আমাদের উদ্ধার করেন।’
ডামুড্যা থানার ওসি হাফিজুর রহমান মানিক বলেন, দুই ব্যবসায়ী রাতে দোকান থেকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। পথে তাঁদের অপহরণ করা হয় এবং তাঁদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। অপহরণের ঘটনায় পুলিশ ও জনগণ চারজনকে আটক করেছে। এর মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য রয়েছে। তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে ইছামতী নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঘিওর বাজার-সংলগ্ন কুস্তা বন্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগে
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১০ কর্মকর্তাকে গুরু ও লঘুদণ্ড দিয়েছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
৯ মিনিট আগে
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নত পোশাক ও সরকারি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে আগুনের ভেতর ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ফুটপাত থেকে কেনা প্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আর মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে জ্বলন্ত আগুন ও শ্বাসরুদ্ধকর কালো ধোঁয়ার ভেতরে বারবার ঢুকে পড়ছিলেন এক সাধারণ যুবক।
১৩ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ রোববার ভোর রাতে তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগেঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে ইছামতী নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঘিওর বাজার-সংলগ্ন কুস্তা বন্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার সার নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। দুর্ঘটনায় ট্রাকের চালক ও হেলপার সামান্য আহত হয়েছেন।
ট্রাকটিতে বিভিন্ন প্রকারের সারের প্রায় ৫৫০টি বস্তা ছিল। ঘিওরের ক্ষতিগ্রস্ত সার ব্যবসায়ী ওয়াজেদ আলী জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘিওর ফুলহারা বাজারের ডিলারদের জন্য সার নিয়ে ট্রাকটি ঘিওর বাজারের উদ্দেশে আসছিল। তবে চালক মূল সড়ক ব্যবহার না করে ভুলবশত একটি ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা দিয়ে বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করলে ট্রাকটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে পড়ে যায়। তিনি চালকের ‘খামখেয়ালি’ আচরণকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আশিষ, আবুল হোসেন, জবেদ আলী জানান, ঘিওর কুস্তা বন্দর গরুহাট-সংলগ্ন রাস্তাটি অনেক দিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সাধারণত এই পথে বড় যানবাহন চলাচল করে না। আজ সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ করে সারবোঝাই ট্রাকটি ওই রাস্তায় ঢুকতেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহাবুব বলেন, দুর্ঘটনায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। সার ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নদীতে পড়ে যাওয়া সার উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।
এদিকে নদীর স্বল্প পানিতে সার মিশে যাওয়ায় পরিবেশ দূষণ, মাছের ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তহমিনা খাতুন জানান, ট্রাক উদ্ধারের পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে ইছামতী নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঘিওর বাজার-সংলগ্ন কুস্তা বন্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার সার নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। দুর্ঘটনায় ট্রাকের চালক ও হেলপার সামান্য আহত হয়েছেন।
ট্রাকটিতে বিভিন্ন প্রকারের সারের প্রায় ৫৫০টি বস্তা ছিল। ঘিওরের ক্ষতিগ্রস্ত সার ব্যবসায়ী ওয়াজেদ আলী জানান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঘিওর ফুলহারা বাজারের ডিলারদের জন্য সার নিয়ে ট্রাকটি ঘিওর বাজারের উদ্দেশে আসছিল। তবে চালক মূল সড়ক ব্যবহার না করে ভুলবশত একটি ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা দিয়ে বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করলে ট্রাকটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নদীতে পড়ে যায়। তিনি চালকের ‘খামখেয়ালি’ আচরণকে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আশিষ, আবুল হোসেন, জবেদ আলী জানান, ঘিওর কুস্তা বন্দর গরুহাট-সংলগ্ন রাস্তাটি অনেক দিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সাধারণত এই পথে বড় যানবাহন চলাচল করে না। আজ সকাল ৮টার দিকে হঠাৎ করে সারবোঝাই ট্রাকটি ওই রাস্তায় ঢুকতেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মাহাবুব বলেন, দুর্ঘটনায় কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। সার ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নদীতে পড়ে যাওয়া সার উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।
এদিকে নদীর স্বল্প পানিতে সার মিশে যাওয়ায় পরিবেশ দূষণ, মাছের ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তহমিনা খাতুন জানান, ট্রাক উদ্ধারের পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের সময় তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে ধরে পিটুনি দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ তাঁদের আটক করে। আটক তিন পুলিশ সদস্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় কর্মরত।
২৮ মার্চ ২০২৫
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১০ কর্মকর্তাকে গুরু ও লঘুদণ্ড দিয়েছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
৯ মিনিট আগে
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নত পোশাক ও সরকারি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে আগুনের ভেতর ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ফুটপাত থেকে কেনা প্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আর মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে জ্বলন্ত আগুন ও শ্বাসরুদ্ধকর কালো ধোঁয়ার ভেতরে বারবার ঢুকে পড়ছিলেন এক সাধারণ যুবক।
১৩ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ রোববার ভোর রাতে তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১০ কর্মকর্তাকে গুরু ও লঘুদণ্ড দিয়েছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ-সংক্রান্ত আদেশের চিঠি পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান রশিদুল হাসান স্বাক্ষরিত আদেশ থেকে জানা গেছে, সাবেক এমডিসহ চার কর্মকর্তাকে গুরুদণ্ড হিসেবে আগামী ৩০ জুন ২০২৮ সাল পর্যন্ত তাঁদের বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা হয়েছে। অপর ছয়জনকে লঘুদণ্ড হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কেরু চিনিকলে মৌসুমি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণপ্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। ২০২৩ সালের মে মাসে যখন দেশের সব চিনিকলের মৌসুমি শ্রমিক ও কর্মচারীদের স্থায়ীকরণের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়, তখন সারা দেশে একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কেরু চিনিকলে ১৪০ জন শ্রমিক ও কর্মচারী পরীক্ষায় অংশ নেন।
কিন্তু কেরু চিনিকলে মূল অভিযোগ ওঠে স্থায়ীকরণে মেধাভিত্তিক নির্বাচন উপেক্ষা করা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের। এ বিষয়ে বঞ্চিত কর্মচারীদের লিখিত অভিযোগ ও মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের সচিব চৌধুরী শহিদুল্লাহ কায়ছার ২০২৩ সালের ১৫ মে এক জরুরি পত্রে কেরু চিনিকলের এমডিকে মৌসুমি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের সব কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত করার নির্দেশ দেন।
দেশের অন্যান্য চিনিকল এই নির্দেশনা মেনে নিলেও কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষ নির্দেশ অমান্য করে পরীক্ষার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৪০ জনের মধ্যে ১০৪ জনকে উত্তীর্ণ দেখিয়ে স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করে। বিষয়টি জানাজানি হলে তৎকালীন করপোরেশন চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম ২০২৩ সালের ১৭ মে কেরু চিনিকলের এমডি মোশাররফ হোসেনের কাছে কৈফিয়ত তলব করেন। ঘটনাটি পরে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হয়। তদন্ত শেষে ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আদেশপত্র থেকে জানা গেছে, তৎকালীন এমডি মো. মোশাররফ হোসেন, সদর দপ্তরের কর্মকর্তা সাইফুল আলম, কেরু চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. ইউসুফ আলী ও লেবার অফিসার মো. আল আমিনের বিরুদ্ধে করপোরেশন প্রবিধিমালা অনুযায়ী গুরুদণ্ড ও বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা হয়েছে। এই শাস্তি আগামী ৩০ জুন ২০২৮ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
এ ছাড়া ওই আদেশে মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) আব্দুস সাত্তার, মহাব্যবস্থাপক (কারখানা) সুমন কুমার সাহা, মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, মহাব্যবস্থাপক (ডিস্টিলারি) রাজিবুল হাসান, ব্যবস্থাপক (খামার) সুমন কুমার ও পরিবহন প্রকৌশলী আবু সাঈদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদেশে আরও বলা হয়, ১৯৮৯ সালের প্রবিধিমালার ৩৮ ধারা অনুযায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনা দায়িত্বে অবহেলা ও অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এই শাস্তির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধি কার্যকর হবে না।
এ বিষয়ে দর্শনা কেরু চিনিকলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিষয়টি শুনেছি। তবে এটি অফিশিয়াল বিষয় হওয়ায় এখনই বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।’

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১০ কর্মকর্তাকে গুরু ও লঘুদণ্ড দিয়েছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এ-সংক্রান্ত আদেশের চিঠি পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এবং বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান রশিদুল হাসান স্বাক্ষরিত আদেশ থেকে জানা গেছে, সাবেক এমডিসহ চার কর্মকর্তাকে গুরুদণ্ড হিসেবে আগামী ৩০ জুন ২০২৮ সাল পর্যন্ত তাঁদের বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা হয়েছে। অপর ছয়জনকে লঘুদণ্ড হিসেবে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কেরু চিনিকলে মৌসুমি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণপ্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। ২০২৩ সালের মে মাসে যখন দেশের সব চিনিকলের মৌসুমি শ্রমিক ও কর্মচারীদের স্থায়ীকরণের প্রস্তাব অনুমোদিত হয়, তখন সারা দেশে একযোগে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কেরু চিনিকলে ১৪০ জন শ্রমিক ও কর্মচারী পরীক্ষায় অংশ নেন।
কিন্তু কেরু চিনিকলে মূল অভিযোগ ওঠে স্থায়ীকরণে মেধাভিত্তিক নির্বাচন উপেক্ষা করা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণ না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের। এ বিষয়ে বঞ্চিত কর্মচারীদের লিখিত অভিযোগ ও মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশনের সচিব চৌধুরী শহিদুল্লাহ কায়ছার ২০২৩ সালের ১৫ মে এক জরুরি পত্রে কেরু চিনিকলের এমডিকে মৌসুমি শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের সব কার্যক্রম অবিলম্বে স্থগিত করার নির্দেশ দেন।
দেশের অন্যান্য চিনিকল এই নির্দেশনা মেনে নিলেও কেরু চিনিকল কর্তৃপক্ষ নির্দেশ অমান্য করে পরীক্ষার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৪০ জনের মধ্যে ১০৪ জনকে উত্তীর্ণ দেখিয়ে স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করে। বিষয়টি জানাজানি হলে তৎকালীন করপোরেশন চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম ২০২৩ সালের ১৭ মে কেরু চিনিকলের এমডি মোশাররফ হোসেনের কাছে কৈফিয়ত তলব করেন। ঘটনাটি পরে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃথক দুটি তদন্ত কমিটির মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হয়। তদন্ত শেষে ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আদেশপত্র থেকে জানা গেছে, তৎকালীন এমডি মো. মোশাররফ হোসেন, সদর দপ্তরের কর্মকর্তা সাইফুল আলম, কেরু চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. ইউসুফ আলী ও লেবার অফিসার মো. আল আমিনের বিরুদ্ধে করপোরেশন প্রবিধিমালা অনুযায়ী গুরুদণ্ড ও বেতন বৃদ্ধি স্থগিত রাখা হয়েছে। এই শাস্তি আগামী ৩০ জুন ২০২৮ সাল পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
এ ছাড়া ওই আদেশে মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) আব্দুস সাত্তার, মহাব্যবস্থাপক (কারখানা) সুমন কুমার সাহা, মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, মহাব্যবস্থাপক (ডিস্টিলারি) রাজিবুল হাসান, ব্যবস্থাপক (খামার) সুমন কুমার ও পরিবহন প্রকৌশলী আবু সাঈদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদেশে আরও বলা হয়, ১৯৮৯ সালের প্রবিধিমালার ৩৮ ধারা অনুযায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনা দায়িত্বে অবহেলা ও অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এই শাস্তির মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধি কার্যকর হবে না।
এ বিষয়ে দর্শনা কেরু চিনিকলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বিষয়টি শুনেছি। তবে এটি অফিশিয়াল বিষয় হওয়ায় এখনই বিস্তারিত কিছু বলতে পারছি না।’

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের সময় তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে ধরে পিটুনি দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ তাঁদের আটক করে। আটক তিন পুলিশ সদস্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় কর্মরত।
২৮ মার্চ ২০২৫
মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে ইছামতী নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঘিওর বাজার-সংলগ্ন কুস্তা বন্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগে
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নত পোশাক ও সরকারি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে আগুনের ভেতর ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ফুটপাত থেকে কেনা প্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আর মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে জ্বলন্ত আগুন ও শ্বাসরুদ্ধকর কালো ধোঁয়ার ভেতরে বারবার ঢুকে পড়ছিলেন এক সাধারণ যুবক।
১৩ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ রোববার ভোর রাতে তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগেকেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নত পোশাক ও সরকারি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে আগুনের ভেতর ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ফুটপাত থেকে কেনা প্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আর মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে জ্বলন্ত আগুন ও শ্বাসরুদ্ধকর কালো ধোঁয়ার ভেতরে বারবার ঢুকে পড়ছিলেন এক সাধারণ যুবক। প্রতিবারই বেরিয়ে আসছিলেন বড় বড় বস্তা, কাপড়ের থান আর ঝুট নিয়ে। সেগুলো নিরাপদ জায়গায় ফেলে আবারও অন্ধকারের ভেতরে মিলিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
এভাবেই গতকাল শনিবার কেরানীগঞ্জের আগানগরে জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অচেনা ব্যবসায়ীদের মালামাল আগুনের হাত থেকে রক্ষা করছিলেন কেরানীগঞ্জের কদমতলীর শহীদ নগরের বাসিন্দা শাহীন শিকদার।
নিজ জেলা শরীয়তপুরে নদীভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে ছোটবেলাতেই শাহীন আশ্রয় নেন কেরানীগঞ্জের কদমতলীতে। সেখানেই বড় হয়েছেন। ফুটপাতে ছোট ব্যবসা করে কোনোমতে চলে তাঁর ছয় সদস্যের সংসার। নিজের জীবনে অভাব-অনটন থাকলেও মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে কখনো পিছপা হন না তিনি।
গতকাল জাবালে নূর টাওয়ারে আগুন লাগার খবর পেয়ে সকালে ছুটে যান শাহীন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজে হাত লাগান। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক মনে হওয়ায় সকাল ১০টার দিকে বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু দুপুরের পরেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসার খবর পেয়ে আর ঘরে থাকতে পারেননি। আবার ছুটে যান আগুনের মুখে।

দুপুরের পর আগুন যখন এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ছড়িয়ে পড়ছিল, তখন কাপড়ের বস্তা আর থানই আগুন বাড়ার বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আগুনের ভয়াবহতা দেখে শাহীন আর অপেক্ষা করেননি। নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে কাপড় বস্তা টেনে বের করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলতে থাকেন। ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে এলে সঙ্গে থাকা অন্য স্বেচ্ছাসেবী ও ফায়ার সার্ভিসের সাহায্য নিয়ে কাজ চালিয়ে যান।
সেদিন কালো কালিতে আচ্ছন্ন তাঁর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনায় আসেন শাহীন। আজ রোববার সকালে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘মানবতার টানেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজে নেমেছিলাম। মরব না বাঁচব সেটা তখন মাথায় ছিল না। শুধু মনে হচ্ছিল, আগুন যেন আর না বাড়ে।’
জাবালে নূর টাওয়ারের এক ব্যবসায়ী আসিফ বলেন, ‘এই লোকটির অবদান কখনো ভোলার মতো না। আমরা তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ।’ প্রত্যক্ষদর্শী তানাকা ইসলাম বলেন, ‘আজ সবার চাইতে বেশি কাজ করেছে এই মানুষটা।’
বন্ধু নাসির উদ্দীন বলেন, ‘শাহীন এমনই। কোনো স্বার্থ ছাড়া যেকোনো মানবিক কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অহংকার নেই। আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি। কখনো খারাপ ব্যবহার করেনি। এমন বন্ধু পেয়ে আমরা গর্বিত।’
শরীয়তপুরে নদীভাঙনে ভেঙে গেছে শাহীনের শৈশবের বাড়ি। ভাঙেনি স্বপ্ন, ভাঙেনি মানবতা। আগুনের ভেতর দাঁড়িয়ে শাহীন প্রমাণ করেছেন, মানুষ বড় হয় সম্পদে নয় বড় হয় হৃদয়ে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নত পোশাক ও সরকারি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে আগুনের ভেতর ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ফুটপাত থেকে কেনা প্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আর মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে জ্বলন্ত আগুন ও শ্বাসরুদ্ধকর কালো ধোঁয়ার ভেতরে বারবার ঢুকে পড়ছিলেন এক সাধারণ যুবক। প্রতিবারই বেরিয়ে আসছিলেন বড় বড় বস্তা, কাপড়ের থান আর ঝুট নিয়ে। সেগুলো নিরাপদ জায়গায় ফেলে আবারও অন্ধকারের ভেতরে মিলিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
এভাবেই গতকাল শনিবার কেরানীগঞ্জের আগানগরে জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অচেনা ব্যবসায়ীদের মালামাল আগুনের হাত থেকে রক্ষা করছিলেন কেরানীগঞ্জের কদমতলীর শহীদ নগরের বাসিন্দা শাহীন শিকদার।
নিজ জেলা শরীয়তপুরে নদীভাঙনে ঘরবাড়ি হারিয়ে ছোটবেলাতেই শাহীন আশ্রয় নেন কেরানীগঞ্জের কদমতলীতে। সেখানেই বড় হয়েছেন। ফুটপাতে ছোট ব্যবসা করে কোনোমতে চলে তাঁর ছয় সদস্যের সংসার। নিজের জীবনে অভাব-অনটন থাকলেও মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতে কখনো পিছপা হন না তিনি।
গতকাল জাবালে নূর টাওয়ারে আগুন লাগার খবর পেয়ে সকালে ছুটে যান শাহীন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজে হাত লাগান। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক মনে হওয়ায় সকাল ১০টার দিকে বাড়ি ফিরে যান। কিন্তু দুপুরের পরেও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসার খবর পেয়ে আর ঘরে থাকতে পারেননি। আবার ছুটে যান আগুনের মুখে।

দুপুরের পর আগুন যখন এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ছড়িয়ে পড়ছিল, তখন কাপড়ের বস্তা আর থানই আগুন বাড়ার বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আগুনের ভয়াবহতা দেখে শাহীন আর অপেক্ষা করেননি। নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে কাপড় বস্তা টেনে বের করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলতে থাকেন। ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে এলে সঙ্গে থাকা অন্য স্বেচ্ছাসেবী ও ফায়ার সার্ভিসের সাহায্য নিয়ে কাজ চালিয়ে যান।
সেদিন কালো কালিতে আচ্ছন্ন তাঁর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলোচনায় আসেন শাহীন। আজ রোববার সকালে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘মানবতার টানেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজে নেমেছিলাম। মরব না বাঁচব সেটা তখন মাথায় ছিল না। শুধু মনে হচ্ছিল, আগুন যেন আর না বাড়ে।’
জাবালে নূর টাওয়ারের এক ব্যবসায়ী আসিফ বলেন, ‘এই লোকটির অবদান কখনো ভোলার মতো না। আমরা তাঁর কাছে চিরকৃতজ্ঞ।’ প্রত্যক্ষদর্শী তানাকা ইসলাম বলেন, ‘আজ সবার চাইতে বেশি কাজ করেছে এই মানুষটা।’
বন্ধু নাসির উদ্দীন বলেন, ‘শাহীন এমনই। কোনো স্বার্থ ছাড়া যেকোনো মানবিক কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অহংকার নেই। আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি। কখনো খারাপ ব্যবহার করেনি। এমন বন্ধু পেয়ে আমরা গর্বিত।’
শরীয়তপুরে নদীভাঙনে ভেঙে গেছে শাহীনের শৈশবের বাড়ি। ভাঙেনি স্বপ্ন, ভাঙেনি মানবতা। আগুনের ভেতর দাঁড়িয়ে শাহীন প্রমাণ করেছেন, মানুষ বড় হয় সম্পদে নয় বড় হয় হৃদয়ে।

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের সময় তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে ধরে পিটুনি দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ তাঁদের আটক করে। আটক তিন পুলিশ সদস্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় কর্মরত।
২৮ মার্চ ২০২৫
মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে ইছামতী নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঘিওর বাজার-সংলগ্ন কুস্তা বন্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগে
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১০ কর্মকর্তাকে গুরু ও লঘুদণ্ড দিয়েছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
৯ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ রোববার ভোর রাতে তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ রোববার ভোররাতে তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বিভীষণ সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবদুল মান্নান বলেন, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, তাঁরা যশোর, নড়াইল, খুলনা ও মানিকগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তাঁদের মধ্য ২ জন শিশু, ৯ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ আছে।
তাঁরা হলো আব্দুল খালেক (৫৫), রিয়া পলি (১৩), নাসিমা খাতুন (৩৮), ফরিদা বেগম (৪০), ফতেজা আক্তার (৩৬), আলমাস আহমেদ (৩৬), অহিদ সরকার (৩৮), নজরুল ইসলাম (৪৭) সালমা বেগম (৪০), রুনা (৩৬), ছুফিয়া বেগম (৪০), জরিনা বেগম (৩০), রাকিব (৯), পারভিন (৪৮) ও বিথি খাতুন (৯)।
আবদুল মান্নান আরও বলেন, ভোরে সীমান্তে টহলের সময় আন্তর্জাতিক পিলার ২১৯ / ৭১ আরএস হতে আনুমানিক ১ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লালমাটিয়া নামক স্থানে ওই ১৫ জনকে দেখতে পান বিজিবি সদস্যরা। এ সময় তাদের আটক করে ক্যাম্পে আনা হয়। তাঁরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে বিজিবি। তাঁদের গোমস্তাপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুশ ইনের শিকার ১৫ বাংলাদেশি নাগরিককে রহনপুর ডাকবাংলোতে গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে রাখা আছে। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁদের অভিভাবকদের ডেকে এনে সত্যতা যাচাই করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বিভীষণ সীমান্ত দিয়ে ১৫ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ রোববার ভোররাতে তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বিভীষণ সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার নায়েক সুবেদার আবদুল মান্নান বলেন, আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, তাঁরা যশোর, নড়াইল, খুলনা ও মানিকগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তাঁদের মধ্য ২ জন শিশু, ৯ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ আছে।
তাঁরা হলো আব্দুল খালেক (৫৫), রিয়া পলি (১৩), নাসিমা খাতুন (৩৮), ফরিদা বেগম (৪০), ফতেজা আক্তার (৩৬), আলমাস আহমেদ (৩৬), অহিদ সরকার (৩৮), নজরুল ইসলাম (৪৭) সালমা বেগম (৪০), রুনা (৩৬), ছুফিয়া বেগম (৪০), জরিনা বেগম (৩০), রাকিব (৯), পারভিন (৪৮) ও বিথি খাতুন (৯)।
আবদুল মান্নান আরও বলেন, ভোরে সীমান্তে টহলের সময় আন্তর্জাতিক পিলার ২১৯ / ৭১ আরএস হতে আনুমানিক ১ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লালমাটিয়া নামক স্থানে ওই ১৫ জনকে দেখতে পান বিজিবি সদস্যরা। এ সময় তাদের আটক করে ক্যাম্পে আনা হয়। তাঁরা সবাই বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত হয়েছে বিজিবি। তাঁদের গোমস্তাপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুশ ইনের শিকার ১৫ বাংলাদেশি নাগরিককে রহনপুর ডাকবাংলোতে গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে রাখা আছে। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। তাঁদের অভিভাবকদের ডেকে এনে সত্যতা যাচাই করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় দুই ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের সময় তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে ধরে পিটুনি দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। পরে পুলিশ তাঁদের আটক করে। আটক তিন পুলিশ সদস্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় কর্মরত।
২৮ মার্চ ২০২৫
মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারবোঝাই একটি ট্রাক উল্টে ইছামতী নদীতে পড়ে গেছে। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ঘিওর বাজার-সংলগ্ন কুস্তা বন্দর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগে
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১০ কর্মকর্তাকে গুরু ও লঘুদণ্ড দিয়েছে চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। চিনিকলের শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের বিষয়ে কর্তব্যে অবহেলা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় এই দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
৯ মিনিট আগে
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার, উন্নত পোশাক ও সরকারি নিরাপত্তা সরঞ্জাম নিয়ে আগুনের ভেতর ঢুকতে হিমশিম খাচ্ছিলেন, সেখানে ফুটপাত থেকে কেনা প্যান্ট, ফুলহাতা গেঞ্জি পরে আর মুখে এক টুকরো কাপড় বেঁধে জ্বলন্ত আগুন ও শ্বাসরুদ্ধকর কালো ধোঁয়ার ভেতরে বারবার ঢুকে পড়ছিলেন এক সাধারণ যুবক।
১৩ মিনিট আগে