Ajker Patrika

ট্রান্সকমের ৩ কর্মকর্তার জামিন বাতিল, রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৭: ৩৯
ট্রান্সকমের ৩ কর্মকর্তার জামিন বাতিল, রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ

ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমান, তাঁর মা ট্রান্সকমের কর্ণধার প্রয়াত লতিফুর রহমানের স্ত্রী শাহনাজ রহমান ও ছেলে যারাইফ আয়াত হোসেনসহ ট্রান্সকমের অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতিসহ সম্পত্তি আত্মসাতের তিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৯ মে দিন ধার্য করা হয়েছে। 

আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম পৃথক আদেশে এই তারিখ ধার্য করেন।

একইসঙ্গে তিন মামলার দুইটিতে ট্রান্সকমের তিন কর্মকর্তার জামিন বাতিল করে প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ প্রত্যেক মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তারা প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।

এই মামলার বাদীপক্ষ প্রত্যেক আসামির জামিন বাতিলের আবেদন করেন। অন্যদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ট্রান্সকমের তিন কর্মকর্তার জামিন বাতিল করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

শুনানি শেষে আদালত সিমিন রহমান, তাঁর মা শাহনাজ রহমান ও ছেলে যারাইফ আয়াত হোসেনের জামিন বাতিলের আবেদন নামঞ্জুর করেন। অন্যদিকে দুটি মামলায় ট্রান্সকমের তিন কর্মকর্তার জামিন বাতিল করে প্রত্যেকের তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

যাদের জামিন বাতিল করে রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন ট্রান্সকমের সহকারী কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক, ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সেক্রেটারি) আবু ইউসূফ মো. সিদ্দিক ও পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) আবদুল্লাহ আল মামুন।

ইউসুফ ও মোসাদ্দেককে এক মামলায় ও আবদুল্লাহ আল মামুনকে আরেক মামলায় জামিন বাতিল করে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ঢাকার আদালতের গুলশান থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই শাহ আলম বিষয়গুলি নিশ্চিত করেন।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ হক তিনটি মামলা দায়ের করেন গুলশান থানায়। তিনটি মামলার প্রত্যেক মামলায় সিমিন রহমানকে আসামি করা হয়। লতিফুর রহমানের স্ত্রী শাহনাজ রহমানকে দুটি মামলায় আসামি করা হয়। সিমিন রহমানের ছেলে যারাইফ আয়াত হোসেনকে একটি মামলায় আসামি করা হয়।

এ ছাড়া ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়। তারা হলেন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (করপোরেট অ্যাফেয়ার্স-আইন) মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) কামরুল হাসান, পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) আবদুল্লাহ আল মামুন, সহকারী কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ মোসাদ্দেক ও ব্যবস্থাপক (কোম্পানি সেক্রেটারি) আবু ইউসূফ মো. সিদ্দিক।

ট্রান্সকমের পাঁচ কর্মকর্তার মধ্যে দুইজন ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া ও কামরুল হাসানকে তিনটি মামলায়ই আসামি করা হয়। অপর তিন কর্মকর্তাকে একটি করে মামলায় আসামি করা হয়।

মামলাগুলোয় প্রয়াত লতিফুর রহমানের এবং আরশাদ অলিউর রহমানের স্বাক্ষর জাল করে অবৈধভাবে ট্রান্সকম গ্রুপের শেয়ার স্থানান্তর, লতিফুর রহমানের টাকা বেআইনিভাবে এক হিসাব থেকে অন্য হিসেবে স্থানান্তর করে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত ৩ এপ্রিল সিমিন রহমান তার মা ও ছেলে আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর আদালত জামিন দেন।

জানা গেছে, এই তিন মামলা দায়ের এর পর সাজরে হক সিমিন রহমানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলাটিও বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত