নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কয়েক দিন আগেই রংপুর থেকে ঢাকায় এসেছেন জান্নাতুল প্রাপ্তি। শিক্ষাজীবনের নতুন অধ্যায় তিনি শুরু করেছেন সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে। সবকিছুই নতুন, পরিবার ছেড়ে নতুন শহরে এসে নিজেকে সামলে নেওয়ার আগেই কিছুটা শঙ্কায় পড়ে গেছেন তিনি।
কয়েক দিন ধরেই অশান্ত ইডেন কলেজের পরিবেশ। প্রাপ্তিকে বারবার পরিবারকে বোঝাতে হচ্ছে তিনি এখানে ঠিক আছেন। প্রাপ্তি বলেন, ‘আমি হলে সিটে উঠিনি এখনো। এখানে এক আত্মীয়ের বাসায় থেকে ক্লাস করছি। গত কয়েক দিনের ঘটনায় আমার পরিবারের সবাই অনেক চিন্তিত। যাদের বাসায় থাকছি, তারাও বলছে কলেজে যাওয়ার দরকার নেই। আমি আসলে বুঝতে পারছি না কী করব।’
শুধু জান্নাতুল প্রাপ্তি নন, নতুন ভর্তি হওয়া অনেক শিক্ষার্থীর মনেই এমন শঙ্কা কাজ করছে। অনেকেই ভাবছেন অন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পেয়ে গেলে হয়তো চলে যাবেন। কিছুটা হলভীতিও কাজ করছে অনেকের মনে।
ভর্তি হওয়া নতুন শিক্ষার্থীদের মধ্যে দিনাজপুরের তৃষা রানি জানান, যদি অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ হয়, তাহলে সেখানে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পরিবার। তবে আপাতত এখানেই তিনি ক্লাস করবেন।
হলে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তৃষা রানি বলেন, ‘কী করব বুঝতে পারছি না। পড়তে তো হবেই। অন্য কোথাও সুযোগ না পেলে এখানেই পড়ব। বাসা থেকে যদি বলে হলে উঠতে, হয়তো হলেই উঠব। জানি না কী করব।’
ইডেন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নুসাইফা জাহান বলেন, ‘ঝামেলা মাঝে মাঝেই হতো। হলে থাকি না, তাই হলের বিষয়ে কোনো কথা আমি বলতে পারব না। বান্ধবীদের কাছে অনেক কানাঘুষা শোনা যায় অনেক সময়। কিন্তু সেগুলো তো শোনা কথা। কতটুকু সত্য কতটুকু মিথ্যা তা কীভাবে বলব।’
পরিসংখ্যান বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানান, ইডেন নিয়ে থেকে থেকেই খারাপ কথা শুরু হয়ে যায় কয় দিন পর পর। হলের ছাত্রী মানেই খারাপ—এ কথা এখন সবার মুখে মুখে। একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয় হওয়া উচিত সেখানকার শিক্ষার মান নিয়ে। শিক্ষার মানটাই শিক্ষার্থীদের জীবনে প্রভাব ফেলবে। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠান দিনে দিনে শিক্ষার্থীদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে বেশি প্রভাব ফেলছে। অনেকেই বলছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হেনস্তা হওয়ার কথা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে নানানভাবে ইডেনের শিক্ষার্থীদের ওপর আঙুল তুলছে সবাই।
আজ বুধবার ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই কথা বলতে চাননি সাম্প্রতিক ঘটনার বিষয়ে। পরীক্ষা, ক্লাস সবই চলছে স্বাভাবিক নিয়মে। তবু একটা চাপা অস্বস্তি বিরাজ করছে ইডেন ক্যাম্পাস জুড়ে।
তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘কিছু শিক্ষার্থীর কারণে প্রতিষ্ঠানের দুর্নাম হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
কয়েক দিন আগেই রংপুর থেকে ঢাকায় এসেছেন জান্নাতুল প্রাপ্তি। শিক্ষাজীবনের নতুন অধ্যায় তিনি শুরু করেছেন সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে। সবকিছুই নতুন, পরিবার ছেড়ে নতুন শহরে এসে নিজেকে সামলে নেওয়ার আগেই কিছুটা শঙ্কায় পড়ে গেছেন তিনি।
কয়েক দিন ধরেই অশান্ত ইডেন কলেজের পরিবেশ। প্রাপ্তিকে বারবার পরিবারকে বোঝাতে হচ্ছে তিনি এখানে ঠিক আছেন। প্রাপ্তি বলেন, ‘আমি হলে সিটে উঠিনি এখনো। এখানে এক আত্মীয়ের বাসায় থেকে ক্লাস করছি। গত কয়েক দিনের ঘটনায় আমার পরিবারের সবাই অনেক চিন্তিত। যাদের বাসায় থাকছি, তারাও বলছে কলেজে যাওয়ার দরকার নেই। আমি আসলে বুঝতে পারছি না কী করব।’
শুধু জান্নাতুল প্রাপ্তি নন, নতুন ভর্তি হওয়া অনেক শিক্ষার্থীর মনেই এমন শঙ্কা কাজ করছে। অনেকেই ভাবছেন অন্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পেয়ে গেলে হয়তো চলে যাবেন। কিছুটা হলভীতিও কাজ করছে অনেকের মনে।
ভর্তি হওয়া নতুন শিক্ষার্থীদের মধ্যে দিনাজপুরের তৃষা রানি জানান, যদি অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ হয়, তাহলে সেখানে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পরিবার। তবে আপাতত এখানেই তিনি ক্লাস করবেন।
হলে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তৃষা রানি বলেন, ‘কী করব বুঝতে পারছি না। পড়তে তো হবেই। অন্য কোথাও সুযোগ না পেলে এখানেই পড়ব। বাসা থেকে যদি বলে হলে উঠতে, হয়তো হলেই উঠব। জানি না কী করব।’
ইডেন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নুসাইফা জাহান বলেন, ‘ঝামেলা মাঝে মাঝেই হতো। হলে থাকি না, তাই হলের বিষয়ে কোনো কথা আমি বলতে পারব না। বান্ধবীদের কাছে অনেক কানাঘুষা শোনা যায় অনেক সময়। কিন্তু সেগুলো তো শোনা কথা। কতটুকু সত্য কতটুকু মিথ্যা তা কীভাবে বলব।’
পরিসংখ্যান বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানান, ইডেন নিয়ে থেকে থেকেই খারাপ কথা শুরু হয়ে যায় কয় দিন পর পর। হলের ছাত্রী মানেই খারাপ—এ কথা এখন সবার মুখে মুখে। একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচয় হওয়া উচিত সেখানকার শিক্ষার মান নিয়ে। শিক্ষার মানটাই শিক্ষার্থীদের জীবনে প্রভাব ফেলবে। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠান দিনে দিনে শিক্ষার্থীদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে বেশি প্রভাব ফেলছে। অনেকেই বলছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হেনস্তা হওয়ার কথা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে নানানভাবে ইডেনের শিক্ষার্থীদের ওপর আঙুল তুলছে সবাই।
আজ বুধবার ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই কথা বলতে চাননি সাম্প্রতিক ঘটনার বিষয়ে। পরীক্ষা, ক্লাস সবই চলছে স্বাভাবিক নিয়মে। তবু একটা চাপা অস্বস্তি বিরাজ করছে ইডেন ক্যাম্পাস জুড়ে।
তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘কিছু শিক্ষার্থীর কারণে প্রতিষ্ঠানের দুর্নাম হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
শিশুদের কলকাকলিতে মুখর আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারি। গ্যালারির দেয়ালজুড়ে সাজানো তাদেরই পছন্দের অনেক ছবি। বইয়ে যে ছবি দেখে পড়া শিখেছে, সেগুলোই ঝুলছিল দেয়ালে। কী নেই সেখানে! নানা নকশায় লেখা বাংলা বর্ণমালা। গাছের ছবি, প্রাণীর ছবি, ফুলের ছবি, পাখির ছবি। বাচ্চারা সেগুলো দেখছে, পরস্পর আলাপ করছে।
৬ ঘণ্টা আগেসংস্কার শুরু হয়েছে রাজশাহী মহানগরীর জামালপুর-চকপাড়া ও হড়গ্রাম এলাকায় সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার বাড়ির সামনের সড়ক। পুরোনো ইট-খোয়া সরিয়ে নতুন উপকরণ দিয়ে করার কথা কাজ। কিন্তু ঠিকাদার সড়ক দুটি খুঁড়ে পাওয়া পুরোনো ইট-খোয়া দিয়েই কাজ করছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পরিদর্শনেই যাননি
৬ ঘণ্টা আগেবান্দরবানের আলীকদম উপজেলা সদর ইউনিয়নে ভুয়া কাগজপত্রে ভোটার হচ্ছেন রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা ভুয়া নাগরিক সনদ ও ‘রোহিঙ্গা নয়’ মর্মে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
৬ ঘণ্টা আগেইতিহাস, ঐতিহ্য আর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বাংলাদেশ বেতারের পুরোনো সদর দপ্তর ভবন। রাজধানীর শাহবাগে অবস্থিত এই ভবনের অবস্থা এখন করুণ। বেতারের স্মৃতি-ঐতিহ্যের কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। প্রায় পরিত্যক্ত এই ভবন এখন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (সাবেক বিএসএমএমইউ/পিজি) জন্য কাজ করা আনসার সদস্যদের
৬ ঘণ্টা আগে