প্রতিনিধি
শিবচর (মাদারীপুর): রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের অন্যতম নৌপথ বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুট। স্বল্প সময়ে রাজধানীর সাথে যোগাযোগ করা যায় বলে এই রুটটি ব্যবহার করতে পছন্দ করেন যাত্রীরা। তবে এই রুটের চালকদের মাঝে রয়েছে বেপরোয়া ও খামখেয়ালিপূর্ণ মনোভাব। ফলে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।
এই নৌরুট দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সময় কম লাগে বলে নৌরুটটি জনপ্রিয় হলেও নৌযানগুলোর চালক ও শ্রমিকদের আচার-আচরণ খুবই আক্রমণাত্মক। এই নৌরুট দিয়ে বিশেষ করে স্পিডবোটে চলাচলকারী যাত্রীরা অনিয়মের মৃদু প্রতিবাদ করলেও চালকদের হাতে হেনস্থার শিকার হতে হয়।
বিআইডব্লিউটিএর তথ্য অনুযায়ী, নৌরুটে নিয়মিত চলাচল করছে ৮৬টি ছোট-বড় লঞ্চ, ১৬টি ফেরি এবং দুই শতাধিক স্পিডবোট। স্পিডবোট নিবন্ধিত না থাকায় এর সঠিক সংখ্যা সম্পর্কে ধারণা নেই। তবে উভয় ঘাট মিলিয়ে দুশর বেশি স্পিডবোট রয়েছে বলে ঘাট সূত্রে জানা গেছে।
সরেজমিনে ঘাট ঘুরে এবং চালকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নিয়ন্ত্রণহীন গতির কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। এছাড়া প্রতিটি ট্রিপেই ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী বহন করে এসব স্পিডবোট। ১৪ জনের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন বোটে ২০ জন। ২০ জনের ধারণক্ষমতার বোটে ২৪/২৫ জন। আবার ২৮ জনের বোটে ৩৫/৪০ জন যাত্রীও বহন করে থাকে। গতকাল দুর্ঘটনার শিকার স্পিডবোটটির ধারণক্ষমতা ছিল ২৮ জন। যাত্রী ছিলেন ৩১ জন।
মো. সোবাহান নামের সাবেক এক চালক জানান, প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নেই কোনো চালকেরই। সিনিয়র একজনের সাথে থেকে চালনা রপ্ত করেছে প্রায় সব চালকই। আর তরুণ চালকেরা বোট নিয়ে পদ্মায় নেমে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না। খেয়ালখুশি মতো স্পিডবোট চালায়। চালকদের অর্ধেকের বেশিই পেশাদার চালক নয়।
বাংলাবাজার নৌ–পুলিশ ফাঁড়ির ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, লকডাউনে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকলেও কিছু অসাধু বোট মালিক তাদের বোট চালু রেখেছে। আমরা সার্বক্ষণিক চেষ্টা করি যাতে বোট চালাতে না পারে। কিন্তু শিমুলিয়া থেকে বেশিরভাগ বোট যাত্রী নিয়ে এসে ঘাটের আশপাশের চরে যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে, আবার ঘাটের আশপাশ থেকে যাত্রী তুলছে। আসলে আমাদের জনবল কম, নেই কোনো নৌযানও। সব মিলিয়ে ঠিকমতো তদারকি করা যাচ্ছে না।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাবাজার ঘাটটি আমরা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি। যাতে করে লকডাউনে কোনো বোট না চলতে পারে। আমাদের ভ্রম্যমাণ আদালতের টিমেরও নজরদারি রয়েছে। তবে শিমুলিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে এসব স্পিডবোট এই পাড়ে এসে ঘাটের বাইরে গিয়ে যাত্রীদের উঠানামা করায়। এ বিষয়ে নৌপুলিশকে নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার সকাল ৬টার দিকে শিমুলিয়া থেকে যাত্রীবোঝাই একটি স্পিডবোট কাঁঠালবাড়ী ঘাটে নোঙর করে রাখা একটি বাল্কহেডের সাথে ধাক্কা লাগে। এসময় স্পিডবোটের ২৬ যাত্রীর মৃত্যু হয়। চালকসহ আহত হয় ৬ জন।
আরও পড়ুন:
মাদারীপুরে বালুবোঝাই বাল্কহেড ও স্পিডবোটের সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ২৬
স্পিডবোট দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি, নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা দেবে জেলা প্রশাসন
পদ্মার পাড়ে শনাক্তের অপেক্ষায় মরদেহের সারি
নিহতদের বেশিরভাগই মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত
স্পিডবোট ডুবি: ৮ মরদেহ হস্তান্তর
শিবচরের দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে বরিশালের ৪ ব্যবসায়ী
'বাড়িতে আরও দুটি কবর খুঁড়তে বলেছি'
স্পিডবোট দুর্ঘটনা: নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের দাবি
স্পিডবোট দুর্ঘটনা: চালক-মালিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা
শিবচর (মাদারীপুর): রাজধানী ঢাকার সাথে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের অন্যতম নৌপথ বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুট। স্বল্প সময়ে রাজধানীর সাথে যোগাযোগ করা যায় বলে এই রুটটি ব্যবহার করতে পছন্দ করেন যাত্রীরা। তবে এই রুটের চালকদের মাঝে রয়েছে বেপরোয়া ও খামখেয়ালিপূর্ণ মনোভাব। ফলে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।
এই নৌরুট দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সময় কম লাগে বলে নৌরুটটি জনপ্রিয় হলেও নৌযানগুলোর চালক ও শ্রমিকদের আচার-আচরণ খুবই আক্রমণাত্মক। এই নৌরুট দিয়ে বিশেষ করে স্পিডবোটে চলাচলকারী যাত্রীরা অনিয়মের মৃদু প্রতিবাদ করলেও চালকদের হাতে হেনস্থার শিকার হতে হয়।
বিআইডব্লিউটিএর তথ্য অনুযায়ী, নৌরুটে নিয়মিত চলাচল করছে ৮৬টি ছোট-বড় লঞ্চ, ১৬টি ফেরি এবং দুই শতাধিক স্পিডবোট। স্পিডবোট নিবন্ধিত না থাকায় এর সঠিক সংখ্যা সম্পর্কে ধারণা নেই। তবে উভয় ঘাট মিলিয়ে দুশর বেশি স্পিডবোট রয়েছে বলে ঘাট সূত্রে জানা গেছে।
সরেজমিনে ঘাট ঘুরে এবং চালকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নিয়ন্ত্রণহীন গতির কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। এছাড়া প্রতিটি ট্রিপেই ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী বহন করে এসব স্পিডবোট। ১৪ জনের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন বোটে ২০ জন। ২০ জনের ধারণক্ষমতার বোটে ২৪/২৫ জন। আবার ২৮ জনের বোটে ৩৫/৪০ জন যাত্রীও বহন করে থাকে। গতকাল দুর্ঘটনার শিকার স্পিডবোটটির ধারণক্ষমতা ছিল ২৮ জন। যাত্রী ছিলেন ৩১ জন।
মো. সোবাহান নামের সাবেক এক চালক জানান, প্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ নেই কোনো চালকেরই। সিনিয়র একজনের সাথে থেকে চালনা রপ্ত করেছে প্রায় সব চালকই। আর তরুণ চালকেরা বোট নিয়ে পদ্মায় নেমে কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না। খেয়ালখুশি মতো স্পিডবোট চালায়। চালকদের অর্ধেকের বেশিই পেশাদার চালক নয়।
বাংলাবাজার নৌ–পুলিশ ফাঁড়ির ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, লকডাউনে লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকলেও কিছু অসাধু বোট মালিক তাদের বোট চালু রেখেছে। আমরা সার্বক্ষণিক চেষ্টা করি যাতে বোট চালাতে না পারে। কিন্তু শিমুলিয়া থেকে বেশিরভাগ বোট যাত্রী নিয়ে এসে ঘাটের আশপাশের চরে যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে, আবার ঘাটের আশপাশ থেকে যাত্রী তুলছে। আসলে আমাদের জনবল কম, নেই কোনো নৌযানও। সব মিলিয়ে ঠিকমতো তদারকি করা যাচ্ছে না।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাবাজার ঘাটটি আমরা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছি। যাতে করে লকডাউনে কোনো বোট না চলতে পারে। আমাদের ভ্রম্যমাণ আদালতের টিমেরও নজরদারি রয়েছে। তবে শিমুলিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে এসব স্পিডবোট এই পাড়ে এসে ঘাটের বাইরে গিয়ে যাত্রীদের উঠানামা করায়। এ বিষয়ে নৌপুলিশকে নজরদারি রাখতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার সকাল ৬টার দিকে শিমুলিয়া থেকে যাত্রীবোঝাই একটি স্পিডবোট কাঁঠালবাড়ী ঘাটে নোঙর করে রাখা একটি বাল্কহেডের সাথে ধাক্কা লাগে। এসময় স্পিডবোটের ২৬ যাত্রীর মৃত্যু হয়। চালকসহ আহত হয় ৬ জন।
আরও পড়ুন:
মাদারীপুরে বালুবোঝাই বাল্কহেড ও স্পিডবোটের সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ২৬
স্পিডবোট দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি, নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা দেবে জেলা প্রশাসন
পদ্মার পাড়ে শনাক্তের অপেক্ষায় মরদেহের সারি
নিহতদের বেশিরভাগই মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত
স্পিডবোট ডুবি: ৮ মরদেহ হস্তান্তর
শিবচরের দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে বরিশালের ৪ ব্যবসায়ী
'বাড়িতে আরও দুটি কবর খুঁড়তে বলেছি'
স্পিডবোট দুর্ঘটনা: নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের দাবি
স্পিডবোট দুর্ঘটনা: চালক-মালিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা
শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে নরসিংদীর রায়পুরায় শোকসভা করার অভিযোগে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
১১ মিনিট আগেদগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন ওই ভবনের বাসাভাড়া নিয়ে থাকা গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ী গ্রামের সবুজ শেখ (৪২), দুই ছেলে রবিউল শেখ (১৯), রমজান শেখ (১৩), দুই মেয়ে তাসনিয়া (৬) তাসফিয়া (২) ও বোন ঝুমুর বেগম (৩৮) এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চরনাজিমউদ্দিন গ্রামের আব্বাস উদ্দীন (৩৯)।
১৯ মিনিট আগেভোলাগঞ্জের পর জাফলংয়েও লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। গত দুই দিন উপজেলা প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৮ হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছে। পরে সেগুলো জাফলং জিরো পয়েন্টে প্রতিস্থাপন করা হয়।
২৪ মিনিট আগেসিলেটের ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর লুটপাটের পর সেগুলো ভোলাগঞ্জ ও ধোপাগুল এলাকায় ক্রাশার মেশিনে ভাঙার জন্য স্তূপ করে রাখা হয়। পরে যখন অভিযান শুরু হয়, তখন সেগুলো ওই ব্যবসায়ীরা বালু ও মাটি দিয়ে ঢেকে ফেলেন। আজ শুক্রবার সেখানে অভিযান চালিয়ে পথরগুলো উদ্ধার করা হয়।
৪২ মিনিট আগে