কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
জেনারেল সোলায়মানির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার বিকেলে এক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইরান দূতাবাসের আয়োজনে এই ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকার ইরান দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত ওয়েবিনারে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জেনারেল কাসেম সোলায়মানির মতো ন্যায় দক্ষ সেনানায়ক সচরাচর পাওয়া যায় না। তিনি ছিলেন ‘সেল্ফ মেইড ম্যান’ ও ‘সেল্ফ মেইড জেনারেল’। তিনি আল্লাহ প্রদত্ত শক্তি ও মেধায় বলীয়ান ছিলেন। সেই শক্তিতে বলীয়ান হয়েই তিনি নিজেকে গঠন করেছিলেন এবং তিনি তাঁর ভূমিকা পালন করে শাহাদত বরণ করেছেন।
ওয়েবিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা নাফার বলেন, জেনারেল কাসেম সোলায়মানি এমন এক ব্যক্তি ছিলেন, তিনি নিহত হওয়ার পর লাখ লাখ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন গ্রামের অধিবাসী ও সাধারণ পরিবারের সদস্য। তিনি এটি নিয়ে গর্ববোধ করতেন। তিনি ২২ বছর ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু তিনি নিজেকে একজন সৈনিক হিসেবে পরিচয় দিতেন। এমনকি তাঁর অসিয়তনামায় তিনি তাঁর কবরের ওপর সৈনিক পদবি লেখার জন্য বলেন। তিনি সামরিক ব্যক্তিত্ব হওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ব্যক্তিত্বও ছিলেন। তাঁর কারণেই আমেরিকার বড় বড় পরিকল্পনা ধূলিসাৎ হয়ে যায়।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা নাফার আরও বলেন, ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন ও আফগানিস্তানসহ অনেক দেশ তাদের নিরাপত্তা বিধানের ক্ষেত্রে জেনারেল কাসেম সোলায়মানির কাছে ঋণী। আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই নামে কম্পিত ছিলেন। আর এ জন্যই ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সরকারি সফরে থাকাকালীন তাঁকে হত্যার নির্দেশ দেন। কিন্তু এটি ছিল তার নির্বুদ্ধিতার পরিচায়ক। ৩ জানুয়ারি জেনারেল কাসেম সোলায়মানিকে হত্যার পর আমেরিকার সামরিক বাহিনীর সদস্যরাই শুধু নয়, আমেরিকাবাসীও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছিল। এই হত্যাকাণ্ডের পর মধ্যপ্রাচ্য থেকে মিত্রবাহিনী দ্রুত সরে যেতে বাধ্য হয়। আর ৮ জানুয়ারি ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আইন আল-আসাদে ইরানি হামলায় মার্কিনিরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয় যা তারা গোপন করে যায়। কিন্তু পরবর্তীকালে এটি প্রকাশ হয়ে পড়ে। আর বর্তমানে মার্কিনিদের এমন অবস্থা হয়েছে যে, বিশ্ববাসী আর তাকে সুপার পাওয়ার মনে করে না।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামালউদ্দিনের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক কে এম সাইফুল ইসলাম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান, দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সাংবাদিক জামালউদ্দিন বারী, রাজধানীর মদিনাতুল উলুম মডেল ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুর রাজ্জাক ও খুলনা ইসলামিক স্টাডিজ সেন্টারের অধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম সাইয়্যেদ ইব্রাহিম খলিল রাজাভী। ওয়েবিনারে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন কারি এ কে এম ফিরোজ।
জেনারেল সোলায়মানির দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার বিকেলে এক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইরান দূতাবাসের আয়োজনে এই ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকার ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকার ইরান দূতাবাসের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত ওয়েবিনারে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জেনারেল কাসেম সোলায়মানির মতো ন্যায় দক্ষ সেনানায়ক সচরাচর পাওয়া যায় না। তিনি ছিলেন ‘সেল্ফ মেইড ম্যান’ ও ‘সেল্ফ মেইড জেনারেল’। তিনি আল্লাহ প্রদত্ত শক্তি ও মেধায় বলীয়ান ছিলেন। সেই শক্তিতে বলীয়ান হয়েই তিনি নিজেকে গঠন করেছিলেন এবং তিনি তাঁর ভূমিকা পালন করে শাহাদত বরণ করেছেন।
ওয়েবিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা নাফার বলেন, জেনারেল কাসেম সোলায়মানি এমন এক ব্যক্তি ছিলেন, তিনি নিহত হওয়ার পর লাখ লাখ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন গ্রামের অধিবাসী ও সাধারণ পরিবারের সদস্য। তিনি এটি নিয়ে গর্ববোধ করতেন। তিনি ২২ বছর ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু তিনি নিজেকে একজন সৈনিক হিসেবে পরিচয় দিতেন। এমনকি তাঁর অসিয়তনামায় তিনি তাঁর কবরের ওপর সৈনিক পদবি লেখার জন্য বলেন। তিনি সামরিক ব্যক্তিত্ব হওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক ব্যক্তিত্বও ছিলেন। তাঁর কারণেই আমেরিকার বড় বড় পরিকল্পনা ধূলিসাৎ হয়ে যায়।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা নাফার আরও বলেন, ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন ও আফগানিস্তানসহ অনেক দেশ তাদের নিরাপত্তা বিধানের ক্ষেত্রে জেনারেল কাসেম সোলায়মানির কাছে ঋণী। আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই নামে কম্পিত ছিলেন। আর এ জন্যই ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে সরকারি সফরে থাকাকালীন তাঁকে হত্যার নির্দেশ দেন। কিন্তু এটি ছিল তার নির্বুদ্ধিতার পরিচায়ক। ৩ জানুয়ারি জেনারেল কাসেম সোলায়মানিকে হত্যার পর আমেরিকার সামরিক বাহিনীর সদস্যরাই শুধু নয়, আমেরিকাবাসীও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছিল। এই হত্যাকাণ্ডের পর মধ্যপ্রাচ্য থেকে মিত্রবাহিনী দ্রুত সরে যেতে বাধ্য হয়। আর ৮ জানুয়ারি ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আইন আল-আসাদে ইরানি হামলায় মার্কিনিরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয় যা তারা গোপন করে যায়। কিন্তু পরবর্তীকালে এটি প্রকাশ হয়ে পড়ে। আর বর্তমানে মার্কিনিদের এমন অবস্থা হয়েছে যে, বিশ্ববাসী আর তাকে সুপার পাওয়ার মনে করে না।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামালউদ্দিনের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক কে এম সাইফুল ইসলাম খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান, দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সাংবাদিক জামালউদ্দিন বারী, রাজধানীর মদিনাতুল উলুম মডেল ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মাওলানা আবদুর রাজ্জাক ও খুলনা ইসলামিক স্টাডিজ সেন্টারের অধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম সাইয়্যেদ ইব্রাহিম খলিল রাজাভী। ওয়েবিনারে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন কারি এ কে এম ফিরোজ।
টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
১০ মিনিট আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
১৭ মিনিট আগেশেরপুরের গারো পাহাড়ে মানুষের বিচরণ বাড়ার পাশাপাশি কমতে শুরু করেছে বন-জঙ্গল। এতে সেখানে বন্য হাতির জীবন সংকটে পড়েছে। প্রায়ই নানা ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে গারো পাহাড় থেকে বিলুপ্তের পথে বিশালাকৃতির এই প্রাণী। এদিকে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষও। গত ৩০ বছরে শেরপুরে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে জেলায়
২১ মিনিট আগে২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর একনেক সভায় পাস হয় যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের ৪৭ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার সড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প। ৪ হাজার ১৮৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার এ প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারিত হয় ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ ও মূল্য।
২৫ মিনিট আগে