Ajker Patrika

তদন্ত প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: ডকইয়ার্ডের মালিক

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ২২: ৫৬
তদন্ত প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: ডকইয়ার্ডের মালিক

অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে তদন্ত প্রতিবেদন সম্পন্ন দায়সারা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই বিদেশ থেকে এক্সপার্ট (দক্ষ ও অভিজ্ঞ) ব্যক্তিকে দিয়ে তদন্ত করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন মেসার্স মাদারীপুর ডকইয়ার্ড অ্যান্ড  ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসের মালিক সহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া। তা না হলে দুর্ঘটনা ঘটার মূল কারণ আড়ালে থেকে যাবে বলে মত তার। 

আজ বৃহস্পতিবার মেসার্স মাদারীপুর ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসের মালিক সহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটি উল্লেখ করা হয়েছে। 

তাদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাদারীপুর ডকের লাইসেন্স ২০২০ সাল পর্যন্ত নবায়ন ছিল। এর পর নবায়নের জন্য আবেদন করা হয়েছিল এবং সরকারি ফি জমা দিয়েছে। কিন্তু তাদের ডকের লাইসেন্স নবায়ন হয়নি, কিন্তু কর্তৃপক্ষ লাইসেন্স বাতিলও করেনি। এদিকে তারা নৌযান মেরামত করতে পারবে এমন অনুমতি ছিল। 

বিজ্ঞপ্তিতে মাদারীপুর ডকইয়ার্ডের মালিক সহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া দাবি করেছেন, ডকের জায়গায় লঞ্চের তলা রং করার কথা বলে ভাড়া নিয়েছিল অভিযান-১০ এর মালিক। মাদারীপুর ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কাস জায়গা ভাড়া দিয়ে থাকে কোন কন্ট্রাক্টর/জনবল প্রদান করে না। অভিযান-১০ এর মালিক জায়গা ভাড়া নিয়েছিল তাদের নিজস্ব নিয়োগপ্রাপ্ত কন্ট্রাক্টর দ্বারা কাজ করিয়ে নিয়েছেন। আমরা যেহেতু উক্ত লঞ্চের কোন কাজ করিনি এবং ছাড়পত্রও প্রদান করিনি, কাজেই আমাদের দোষারোপ করা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ইঞ্জিন রুম থেকে আগুন লেগেছে বলে তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, কিন্তু ইঞ্জিন রুমে অবস্থানকারী ড্রাইভার বা গ্রীজার কারও সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি। তাহলে কার কথা বা তথ্যের ভিত্তিতে সুনিশ্চিত হয়েছেন যে ইঞ্জিন রুম থেকে আগুন লেগেছে। এটি বড় ধরনের একটি গ্যাপ রয়ে গেছে তদন্ত প্রতিবেদনে। অভিযান-১০ নৌযানের মালিক দুর্ঘটনা প্রাথমিকভাবে নাশকতা আশংকা করলেও তদন্ত প্রতিবেদনে সেটি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন আইএসও ১৯৭৬ এর বাইরে গিয়ে দোষারোপ করা হচ্ছে। মূল ঘটনা এড়িয়ে চলার জন্য কি চক্রান্ত করে, দুর্ঘটনা বলে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে-কার স্বার্থে? 

এই বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে মেসার্স মাদারীপুর ডকইয়ার্ড অ্যান্ড  ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসের মালিক সহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া বৃহস্পতিবার রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযান-১০ লঞ্চে কাজ করার জন্য আমাদের ডকইয়ার্ড ভাড়া নিয়েছিল। সেখানে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমরা জায়গা ভাড়া দিয়েছি, লঞ্চের কোন কাজ করি নাই। সে ক্ষেত্রে তদন্ত প্রতিবেদনে আমাদেরকে দায়ী করা হয়েছে। আনাড়ি লোকদের দিয়ে তদন্ত করলে সে তদন্ত প্রতিবেদন মানা যায় না। দক্ষ লোক দিয়ে তদন্ত করাতে হবে। তদন্তে প্রতিবেদনে যা খুশি তাই লিখবে, আমরা সেটা মেনে নেব, তো হবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

মানিকগঞ্জে রাতের আঁধারে স্থানান্তর করা বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শনে কর্মকর্তারা

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত