প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট
সাইফুল মাসুম, ঢাকা
সাভারে অবস্থিত বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএলআরআই) গবেষণার জন্য রাখা ১৩টি মোরগ চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত এপ্রিল মাসে সরকারি প্রতিষ্ঠানটির পোলট্রি উৎপাদন গবেষণা বিভাগের মেল শেড থেকে মোরগগুলো চুরি হয়।
এর আগে ২০২৩ সালে একই শেড থেকে ৩৮টি মোরগ চুরি হয়েছিল। অতীতে গবেষণার জন্য আনা ১৮টি উটপাখিও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের পেটে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মোরগ চুরির ঘটনায় ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। মুরগি নিখোঁজের বিষয়টি উদ্ঘাটনে প্রতিষ্ঠানটির ভেড়া উৎপাদন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে ঘটনার এক মাস পেরিয়ে গেলেও চুরির সঙ্গে জড়িত কাউকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি। ঘটনায় সন্দেহভাজন অভিযুক্ত ব্যক্তি বা তদন্তপ্রক্রিয়ায় যুক্ত কেউই গণমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে রাজি হননি।
চুরি হওয়া মোরগগুলোর শেডের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পোলট্রি উৎপাদন গবেষণা বিভাগের। এই বিভাগের প্রধান বিএলআরআইয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) শাকিলা ফারুক নিজেই। প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডিজি নিজের দায় এড়িয়ে অন্য একজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাকে চুরির ঘটনায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘চুরির ঘটনাটা সাজানো নাটক। নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে আগে থেকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকলেও কর্তৃপক্ষ এত দিন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এখন এ ঘটনায় ডিজি ব্যক্তিগত বিরোধের ঝাল মেটাচ্ছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিজি ড. শাকিলা ফারুক বলেন, ‘এগুলো নিয়ে কী আর বলব! এগুলো থাক এখন। মন্ত্রণালয়কে আমরা এ বিষয়ে অবহিত করেছি। সবকিছু ওকে (ঠিক) হয়ে গেছে।’
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া কর্মকর্তা বলেন, ‘খুব চাপের মধ্যে আছি—তাই কথা বলতে চাচ্ছি না। তদন্ত কমিটি করেছে। জানি না তাঁরা কী রিপোর্ট দেবেন।’
বিএলআরআইয়ের গবেষণাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, গুরুত্বপূর্ণ এই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল হওয়ার কারণেই বারবার চুরির ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় নিরাপত্তাকর্মীদের যোগসাজশ রয়েছে।
বক্তব্য জানতে চাইলে বিএলআরআইয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. আহসান হাবীব বলেন, মোরগ চুরির ঘটনায় তিনি নিজেই ২৮ এপ্রিল আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
এর আগে ২০২৩ সালে বিএলআরআই শেড থেকে গবেষণার ৩৮টি মোরগ চুরি হয়েছে বলে ইনস্টিটিউটে আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে। সে বিষয়ে তদন্ত কমিটি করা হলেও তার প্রতিবেদন আর আলোতে আসেনি। চুরির সঙ্গে জড়িত কেউ শনাক্তও হননি। তবে অভিযোগ রয়েছে, মোরগগুলো জবাই করে খেয়ে ফেলা হয়। এর সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ নিরাপত্তাকর্মীরা জড়িত।
কয়েক বছর আগে গবেষণার জন্য আনা ১৮টি উটপাখিও কর্মকর্তাদের পেটে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, গরু-খাসির বিকল্প মাংসের জোগান দিতে উটপাখি পালন সম্প্রসারণে ২০১৯-২০ অর্থবছরে একটি গবেষণা প্রকল্প হাতে নেয় বিএলআরআই। ২০২০ সালে আফ্রিকা থেকে দুই ধাপে ২২টি উটপাখি আমদানি করা হয়। বিশাল আকারের পাখিগুলো রান্না করে খাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, কয়েকটি উটপাখি মারা গেছে। আর বাকিগুলো ‘মাংসের গুণাগুণ পরীক্ষা করতে’ জবাই করা হয়েছে।
পোলট্রি উৎপাদন গবেষণা বিভাগের শেড থেকে মোরগ চুরির নতুন ঘটনার বিষয়টি বিএলআরআই কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে অবহিত করেছে। জানতে চাইলে সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘মোরগ চুরির ঘটনায় কারও গাফিলতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখব। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
সচিব জানান, এর আগে আরও কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিএলআরআইয়ে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তিনি।
আরও খবর পড়ুন:
সাভারে অবস্থিত বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএলআরআই) গবেষণার জন্য রাখা ১৩টি মোরগ চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত এপ্রিল মাসে সরকারি প্রতিষ্ঠানটির পোলট্রি উৎপাদন গবেষণা বিভাগের মেল শেড থেকে মোরগগুলো চুরি হয়।
এর আগে ২০২৩ সালে একই শেড থেকে ৩৮টি মোরগ চুরি হয়েছিল। অতীতে গবেষণার জন্য আনা ১৮টি উটপাখিও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের পেটে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মোরগ চুরির ঘটনায় ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। মুরগি নিখোঁজের বিষয়টি উদ্ঘাটনে প্রতিষ্ঠানটির ভেড়া উৎপাদন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমানকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে ঘটনার এক মাস পেরিয়ে গেলেও চুরির সঙ্গে জড়িত কাউকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি। ঘটনায় সন্দেহভাজন অভিযুক্ত ব্যক্তি বা তদন্তপ্রক্রিয়ায় যুক্ত কেউই গণমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে রাজি হননি।
চুরি হওয়া মোরগগুলোর শেডের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পোলট্রি উৎপাদন গবেষণা বিভাগের। এই বিভাগের প্রধান বিএলআরআইয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) শাকিলা ফারুক নিজেই। প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ডিজি নিজের দায় এড়িয়ে অন্য একজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাকে চুরির ঘটনায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘চুরির ঘটনাটা সাজানো নাটক। নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করতে আগে থেকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকলেও কর্তৃপক্ষ এত দিন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এখন এ ঘটনায় ডিজি ব্যক্তিগত বিরোধের ঝাল মেটাচ্ছেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিজি ড. শাকিলা ফারুক বলেন, ‘এগুলো নিয়ে কী আর বলব! এগুলো থাক এখন। মন্ত্রণালয়কে আমরা এ বিষয়ে অবহিত করেছি। সবকিছু ওকে (ঠিক) হয়ে গেছে।’
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া কর্মকর্তা বলেন, ‘খুব চাপের মধ্যে আছি—তাই কথা বলতে চাচ্ছি না। তদন্ত কমিটি করেছে। জানি না তাঁরা কী রিপোর্ট দেবেন।’
বিএলআরআইয়ের গবেষণাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, গুরুত্বপূর্ণ এই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল হওয়ার কারণেই বারবার চুরির ঘটনা ঘটছে। এসব ঘটনায় নিরাপত্তাকর্মীদের যোগসাজশ রয়েছে।
বক্তব্য জানতে চাইলে বিএলআরআইয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. আহসান হাবীব বলেন, মোরগ চুরির ঘটনায় তিনি নিজেই ২৮ এপ্রিল আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
এর আগে ২০২৩ সালে বিএলআরআই শেড থেকে গবেষণার ৩৮টি মোরগ চুরি হয়েছে বলে ইনস্টিটিউটে আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে। সে বিষয়ে তদন্ত কমিটি করা হলেও তার প্রতিবেদন আর আলোতে আসেনি। চুরির সঙ্গে জড়িত কেউ শনাক্তও হননি। তবে অভিযোগ রয়েছে, মোরগগুলো জবাই করে খেয়ে ফেলা হয়। এর সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ নিরাপত্তাকর্মীরা জড়িত।
কয়েক বছর আগে গবেষণার জন্য আনা ১৮টি উটপাখিও কর্মকর্তাদের পেটে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, গরু-খাসির বিকল্প মাংসের জোগান দিতে উটপাখি পালন সম্প্রসারণে ২০১৯-২০ অর্থবছরে একটি গবেষণা প্রকল্প হাতে নেয় বিএলআরআই। ২০২০ সালে আফ্রিকা থেকে দুই ধাপে ২২টি উটপাখি আমদানি করা হয়। বিশাল আকারের পাখিগুলো রান্না করে খাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, কয়েকটি উটপাখি মারা গেছে। আর বাকিগুলো ‘মাংসের গুণাগুণ পরীক্ষা করতে’ জবাই করা হয়েছে।
পোলট্রি উৎপাদন গবেষণা বিভাগের শেড থেকে মোরগ চুরির নতুন ঘটনার বিষয়টি বিএলআরআই কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে অবহিত করেছে। জানতে চাইলে সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, ‘মোরগ চুরির ঘটনায় কারও গাফিলতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখব। এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
সচিব জানান, এর আগে আরও কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিএলআরআইয়ে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন তিনি।
আরও খবর পড়ুন:
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে বন্য প্রাণীদের নিরাপদে বিচরণের জন্য ২০২৩ সালে ট্রেন ও সড়কপথে যানবাহনের গতিসীমা ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে কর্তৃপক্ষ। তবে সেই নির্দেশনা শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ। কেউই তা মেনে চলছে না।
২ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার মাশরুম চাষ সম্প্রসারণের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন ও দারিদ্র্য হ্রাসকরণ প্রকল্প নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ‘অঙ্কুরেই বিনষ্ট’ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রথম কিস্তিতে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ২টি প্রদর্শনী প্রকল্পে ৭ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ
৩ ঘণ্টা আগেনগদ টাকার সঙ্গে ঘুষ হিসেবে ঘুমানোর জন্য খাট নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল হুদা তালুকদারের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ঘুষ আদায় করতে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষকদের নিয়ে তৈরি করেছেন সিন্ডিকেট।
৪ ঘণ্টা আগেস্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারের অনুসারীরা ২০ জুন বিকেলে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। তারই জের ধরে ২১ জুন রাতে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে আব্দুল কুদ্দুসকে (৬০) কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
৭ ঘণ্টা আগে