Ajker Patrika

মাদকাসক্ত যুবককে নিরাময় কেন্দ্রে আনতে গিয়ে হামলায় প্রাণ গেল কর্মচারীর

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মাদকাসক্ত ছেলেকে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে নিরাময় কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন মনির খান। তাঁর ডাকে যুবক ফরিদ খানকে (২৩) বাড়ি থেকে নিতে আসেন মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের ছয় কর্মকর্তা-কর্মচারী। ঘর থেকে তাঁকে বের করার চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। ঠিক সে সময় ফরিদের চিৎকার শুনে পাশের বাড়ি থেকে কয়েক যুবক এসে নিরাময় কেন্দ্রের কর্মীদের ওপর হামলা চালান। এতে আহত হয়ে রঞ্জু খন্দকার (৩৫) নামের এক কর্মচারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, হামলাকারীরাও মাদকাসক্ত ও মাদক কারবারি। এ জন্য তাঁরা হামলা চালিয়েছেন। তবে অভিযোগের বিষয়ে হামলাকারীদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গত শনিবার রাতে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত অবস্থায় রঞ্জু খন্দকারকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রোববার রাতে তিনি মারা যান।

রঞ্জু খন্দকার জেলার ভূঞাপুর উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামের রাজ্জাক খন্দকারের ছেলে। তিনি টাঙ্গাইল শহরের বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের কর্মচারীর দায়িত্বে ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কাশিল পশ্চিমপাড়া এলাকার মনির খান তাঁর ছেলে মাদকাসক্ত ফরিদ খানকে বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে যোগাযোগ করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাতে নিরাময় কেন্দ্রের ছয়জন কর্মী মনিরের বাড়িতে যান। তাঁরা ফরিদকে ঘর থেকে বের করার চেষ্টা করলে তিনি চিৎকার শুরু করেন।

ফরিদের চিৎকার শুনে পাশের বাড়ি থেকে পলাশ, রিপন, তালেব খানসহ কয়েকজন ছুটে এসে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের লোকজনের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালান। তাঁদের মারধরে রঞ্জু মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে উপস্থিত লোকজন তাঁকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। এ ঘটনায় বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের আরও চারজন আহত হন।

রঞ্জু খন্দকার চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাতে মারা যান। আজ সোমবার সকালে তাঁর লাশ থানায় নিয়ে আসে বাসাইল থানার পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য রঞ্জুর লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

টাঙ্গাইল শহরের বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রের মালিক খন্দকার মজিবর রহমান তপন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাদকাসক্ত ফরিদকে বৃজ মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে দেওয়ার জন্য তাঁর বাবা মনির খান আমাদের কাছে আবেদন করেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের ছয়জন কর্মী ফরিদকে আনতে তাঁদের বাড়িতে যান। সেখানে ফরিদকে আনার জন্য চেষ্টা করলে আমাদের লোকজনের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়।’

খন্দকার মজিবর রহমান তপন আরও বলেন, ‘হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমাদের কর্মচারী রঞ্জু মারা গেছেন। এ সময় আমাদের চারজন কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হবে।’

বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, ‘মাদকাসক্ত যুবককে নিরাময় কেন্দ্রে নিতে গিয়ে হামলায় মারা যাওয়া যুবকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত