ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ পাঁচ মামলার আসামি সাবেক যুবদল নেতা মিরান খানের (৪০) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁকে পিটিয়ে, চোখ উপড়ে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জেলা সদরের আলিয়াবাদ ইউনিয়নের পদ্মা নদীর চরবেষ্টিত গদাধরডাঙ্গী গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মিরান খান উপজেলার পশ্চিম সাদীপুর গ্রামের জালাল খানের ছেলে। তিনি গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরান মাছ ও বালুর ব্যবসা করতেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পদ্মা নদীবেষ্টিত চরের এই গুচ্ছগ্রামে শতাধিক বাসিন্দার বসবাস। দক্ষিণ পাশের এক কোণের ঘর নিজের নামে নেন মিরান। তাঁর ঘরটি চারদিক দিয়ে টিনের বেড়া দিয়ে ঘেরা। তবে সেখানে তাঁর স্ত্রী-সন্তান থাকতেন না।
গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই ঘরে থেকেই অপরাধ কার্যক্রম চালাতেন মিরান। বহিরাগতদের নিয়ে নিয়মিত আড্ডা দিতেন। তাঁর ভয়ে দিন কাটাত এখানকার নারীরা, দেওয়া হতো কুপ্রস্তাব। রাজি না হলে নির্যাতন চালানো হতো। পদ্মাপাড়ে কেউ ঘুরতে এলে তাদের আটকে টাকা আদায় করা হতো। এ ছাড়া জেলেদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করা হতো। তাঁর ভয়ে জেলেরা আতঙ্কিত ছিলেন।
গতকাল রাতের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্থানীয় সালমা নামের এক নারী বলেন, সাত-আটজন বহিরাগত জাহাঙ্গীর নামের এক বাসিন্দার ঘরে হামলা চালায়। তখন অস্ত্রের শব্দ শোনা যায়। এরপর মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় আশপাশের এলাকার লোকজন ছুটে এসে মিলনকে গণপিটুনি দেয়। তবে এ সময় অন্যরা পালিয়ে যায়।
তবে মিরানের ছোট ভাই ইরান খান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের লোকজনের সঙ্গে তাঁর ভাইয়ের বিরোধ চলছিল। এর জেরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গুচ্ছগ্রামের একটি ঘরে নিয়ে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় সেই ঘরের কিছু জিনিসপত্র ভাঙচুর করে ডাকাতির নাটক সাজানো হয়।
ইরান খান অভিযোগ করে বলেন, রাত ১টার দিকে তাঁর ভাইকে মারার খবর পেয়ে উদ্ধার করতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন বাধা দেয়। পরে ভোরে গিয়ে দেখেন তাঁর ভাইয়ের দুই চোখ খুঁচিয়ে, হাত-পায়ের রগ কেটে মেরে ফেলে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবির হোসেন বলেন, সকালে তাঁকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাঁর দুই চোখে আঘাত রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
তবে বিরোধের অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করেন ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ‘মিরানদের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। কারা মেরেছে সে বিষয়ে আমি জানি না। ফজরের নামাজের সময় জানতে পারি চরের লোকজন ওকে মারধর করেছে।’
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান জানান, মিলনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তবে হত্যার প্রকৃত কারণ এখনো বলা যাচ্ছে না। তাঁর নামে কোতোয়ালি থানায় হত্যা, চাঁদাবাজিসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে।’ তবে সেখানে চুরি বা ডাকাতি ঘটেছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি তিনি।
ফরিদপুরে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ পাঁচ মামলার আসামি সাবেক যুবদল নেতা মিরান খানের (৪০) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁকে পিটিয়ে, চোখ উপড়ে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে জেলা সদরের আলিয়াবাদ ইউনিয়নের পদ্মা নদীর চরবেষ্টিত গদাধরডাঙ্গী গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মিরান খান উপজেলার পশ্চিম সাদীপুর গ্রামের জালাল খানের ছেলে। তিনি গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিরান মাছ ও বালুর ব্যবসা করতেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পদ্মা নদীবেষ্টিত চরের এই গুচ্ছগ্রামে শতাধিক বাসিন্দার বসবাস। দক্ষিণ পাশের এক কোণের ঘর নিজের নামে নেন মিরান। তাঁর ঘরটি চারদিক দিয়ে টিনের বেড়া দিয়ে ঘেরা। তবে সেখানে তাঁর স্ত্রী-সন্তান থাকতেন না।
গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই ঘরে থেকেই অপরাধ কার্যক্রম চালাতেন মিরান। বহিরাগতদের নিয়ে নিয়মিত আড্ডা দিতেন। তাঁর ভয়ে দিন কাটাত এখানকার নারীরা, দেওয়া হতো কুপ্রস্তাব। রাজি না হলে নির্যাতন চালানো হতো। পদ্মাপাড়ে কেউ ঘুরতে এলে তাদের আটকে টাকা আদায় করা হতো। এ ছাড়া জেলেদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করা হতো। তাঁর ভয়ে জেলেরা আতঙ্কিত ছিলেন।
গতকাল রাতের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্থানীয় সালমা নামের এক নারী বলেন, সাত-আটজন বহিরাগত জাহাঙ্গীর নামের এক বাসিন্দার ঘরে হামলা চালায়। তখন অস্ত্রের শব্দ শোনা যায়। এরপর মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় আশপাশের এলাকার লোকজন ছুটে এসে মিলনকে গণপিটুনি দেয়। তবে এ সময় অন্যরা পালিয়ে যায়।
তবে মিরানের ছোট ভাই ইরান খান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের লোকজনের সঙ্গে তাঁর ভাইয়ের বিরোধ চলছিল। এর জেরে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গুচ্ছগ্রামের একটি ঘরে নিয়ে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় সেই ঘরের কিছু জিনিসপত্র ভাঙচুর করে ডাকাতির নাটক সাজানো হয়।
ইরান খান অভিযোগ করে বলেন, রাত ১টার দিকে তাঁর ভাইকে মারার খবর পেয়ে উদ্ধার করতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন বাধা দেয়। পরে ভোরে গিয়ে দেখেন তাঁর ভাইয়ের দুই চোখ খুঁচিয়ে, হাত-পায়ের রগ কেটে মেরে ফেলে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবির হোসেন বলেন, সকালে তাঁকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাঁর দুই চোখে আঘাত রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
তবে বিরোধের অভিযোগের বিষয় অস্বীকার করেন ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক। তিনি বলেন, ‘মিরানদের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। কারা মেরেছে সে বিষয়ে আমি জানি না। ফজরের নামাজের সময় জানতে পারি চরের লোকজন ওকে মারধর করেছে।’
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান জানান, মিলনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তবে হত্যার প্রকৃত কারণ এখনো বলা যাচ্ছে না। তাঁর নামে কোতোয়ালি থানায় হত্যা, চাঁদাবাজিসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে।’ তবে সেখানে চুরি বা ডাকাতি ঘটেছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি তিনি।
রাজধানীর উত্তরা থেকে বকশীগঞ্জের সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের সাঙ্গাম মোড় এলাকা থেকে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাত পৌনে ১২টায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া নজরুল ইসলাম সওদাগর জামালপুরের পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক বলেও জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের বাকলিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় এক চিকিৎসককে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর একটি ভবনের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় অবরুদ্ধ থাকা ওই চিকিৎসক ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টি জানালে পরে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষে পাঁচজনের নিহতের ঘটনায় গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আবু তারিকের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্তকাজ শুরু করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে স্কুলে ঢুকে এক শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে এক আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজার বিরুদ্ধে। আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে উপজেলার পাইন্দং ইউপির হাইদ চকিয়া বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রধান শিক্ষক সুনব বড়ুয়া বাধা দিতে গেলে তাঁকেও আঘাত করেন ওই ব্যক্তি।
৩ ঘণ্টা আগে