নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় লঞ্চটির দুই মাস্টারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার নৌ-আদালতের বিচারক (বিশেষ মহানগর হাকিম) জয়নাব বেগমের আদালতে তাঁরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুই আসামি হলেন অভিযান ১০ লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার ও দ্বিতীয় মাস্টার মো. খলিলুর রহমান।
রাষ্ট্রপক্ষে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রসিকিউটিং অফিসার বেল্লাল হোসাইন জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতকে বলেন, ‘অভিযুক্তরা তাঁদের কর্তব্যে চরম অবহেলার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁদের অবহেলার জন্য দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে মর্মান্তিক ও কলঙ্কজনক নৌ-দুর্ঘটনা ঘটেছে। আসামিরা যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে বিপদে লঞ্চ ছেড়ে পালিয়েছেন। তাঁরা কোনো জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ব্যবহার করেননি। অগ্নিকাণ্ডের পর জাহাজ তীরে না ভিড়িয়ে চালু রেখে চরম অবহেলা প্রদর্শন করে এই ট্র্যাজেডি ঘটান। এই ঘটনায় ৪২টি তাজা প্রাণ পুড়ে ছাই হয়েছে।’
অন্যদিকে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, আসামিরা কোনো অবহেলা করেননি। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে যে ঘটনা ঘটেছে, তার দায়দায়িত্ব এই আসামিদের নয়। আসামিরা স্বেচ্ছায় আদালতে এসেছেন। তাঁরা জামিন পেলেন পালাবেন না। নিয়মিত আদালতে হাজির হবেন। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন ও আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২৬ ডিসেম্বর ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০-এ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় এই লঞ্চের চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। নৌপরিবহন অধিদপ্তরে অবস্থিত নৌ আদালতে মামলাটি করেন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক মো. শফিকুর রহমান। আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
লঞ্চে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র না থাকা, জীবন রক্ষাকারী পর্যাপ্ত বয়া ও বালুর বাক্স না থাকা, ইঞ্জিনকক্ষের বাইরে অননুমোদিতভাবে ডিজেলবোঝাই অনেক ড্রাম রাখা এবং রান্নার জন্য গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডার রাখা এবং আসামিদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনা হয় মামলায়।
মামলার আসামিরা হলেন লঞ্চের মালিক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল আরাফ অ্যান্ড কোম্পানির চার মালিক মো. হামজালাল শেখ, মো. শামিম আহম্মেদ, মো. রাসেল আহাম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বি, লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় মাস্টার মো. খলিলুর রহমান ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম।
মামলায় আরও বলা হয়, অধিদপ্তরের বরিশালের পরিদর্শকের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে মামলাটি করা হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে এ ঘটনায় মৃত্যুজনিত দায় নির্ধারণ করে সম্পূরক মামলা করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার ২৩ ডিসেম্বর দিবাগত ভোররাতের দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি বরগুনা যাচ্ছিল। আগুনে পুড়ে ও নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অন্তত ৩৮ যাত্রী নিহত হন। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩-এ দাঁড়ায়। এখনো অনেক যাত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় লঞ্চটির দুই মাস্টারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার নৌ-আদালতের বিচারক (বিশেষ মহানগর হাকিম) জয়নাব বেগমের আদালতে তাঁরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দুই আসামি হলেন অভিযান ১০ লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার ও দ্বিতীয় মাস্টার মো. খলিলুর রহমান।
রাষ্ট্রপক্ষে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রসিকিউটিং অফিসার বেল্লাল হোসাইন জামিনের বিরোধিতা করেন। তিনি আদালতকে বলেন, ‘অভিযুক্তরা তাঁদের কর্তব্যে চরম অবহেলার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁদের অবহেলার জন্য দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে মর্মান্তিক ও কলঙ্কজনক নৌ-দুর্ঘটনা ঘটেছে। আসামিরা যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে বিপদে লঞ্চ ছেড়ে পালিয়েছেন। তাঁরা কোনো জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম ব্যবহার করেননি। অগ্নিকাণ্ডের পর জাহাজ তীরে না ভিড়িয়ে চালু রেখে চরম অবহেলা প্রদর্শন করে এই ট্র্যাজেডি ঘটান। এই ঘটনায় ৪২টি তাজা প্রাণ পুড়ে ছাই হয়েছে।’
অন্যদিকে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, আসামিরা কোনো অবহেলা করেননি। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে যে ঘটনা ঘটেছে, তার দায়দায়িত্ব এই আসামিদের নয়। আসামিরা স্বেচ্ছায় আদালতে এসেছেন। তাঁরা জামিন পেলেন পালাবেন না। নিয়মিত আদালতে হাজির হবেন। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন ও আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২৬ ডিসেম্বর ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০-এ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় এই লঞ্চের চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। নৌপরিবহন অধিদপ্তরে অবস্থিত নৌ আদালতে মামলাটি করেন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক মো. শফিকুর রহমান। আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
লঞ্চে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র না থাকা, জীবন রক্ষাকারী পর্যাপ্ত বয়া ও বালুর বাক্স না থাকা, ইঞ্জিনকক্ষের বাইরে অননুমোদিতভাবে ডিজেলবোঝাই অনেক ড্রাম রাখা এবং রান্নার জন্য গ্যাসের চুলা ও সিলিন্ডার রাখা এবং আসামিদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনা হয় মামলায়।
মামলার আসামিরা হলেন লঞ্চের মালিক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আল আরাফ অ্যান্ড কোম্পানির চার মালিক মো. হামজালাল শেখ, মো. শামিম আহম্মেদ, মো. রাসেল আহাম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বি, লঞ্চের ইনচার্জ মাস্টার মো. রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ চালক মো. মাসুম বিল্লাহ, দ্বিতীয় মাস্টার মো. খলিলুর রহমান ও দ্বিতীয় চালক আবুল কালাম।
মামলায় আরও বলা হয়, অধিদপ্তরের বরিশালের পরিদর্শকের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে মামলাটি করা হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে এ ঘটনায় মৃত্যুজনিত দায় নির্ধারণ করে সম্পূরক মামলা করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার ২৩ ডিসেম্বর দিবাগত ভোররাতের দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি বরগুনা যাচ্ছিল। আগুনে পুড়ে ও নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অন্তত ৩৮ যাত্রী নিহত হন। পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩-এ দাঁড়ায়। এখনো অনেক যাত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
তিনি টেকের বাজারে কাগজপত্র ফটোকপি করতে গেলে স্থানীয় বিএনপির কর্মী গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান, তাঁর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম জিসান এবং সহযোগী আজমাইন চৌধুরীসহ আরও তিন-চারজন মিলে তাঁর পথরোধ করে। একপর্যায়ে গিয়াস উদ্দিন বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন এবং অন্যরা এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগে অস্ত্রধারী এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শাহজাহান ভূঁইয়া।
১ ঘণ্টা আগে২২ জুন রাতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাচড়া ইউনিয়নের দেউলা শিবপুর গ্রামের দুটি পরিবারের জন্য হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে ২৩ জুন (সোমবার) সকালে এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে উপজেলা বিএনপি। মিছির কাজীর ছেলে মোজাম্মেলকে ৭০ হাজার ও আজাহার চৌকিদারকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে তাঁর আটকের আগে যেভাবে আচরণ করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১ ঘণ্টা আগে