Ajker Patrika

ফলস বুকিংয়ে বিমানের কেউ জড়িত থাকলে চাকরিচ্যুত করা হবে: বিমান প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ফলস বুকিংয়ে বিমানের কেউ জড়িত থাকলে চাকরিচ্যুত করা হবে: বিমান প্রতিমন্ত্রী

বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যগামী ফ্লাইট টিকিট নিয়ে একটি সিন্ডিকেট তৎপর রয়েছে বলে অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা। তাই ফলস টিকিট বুকিংয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কেউ জড়িত থাকলে তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

বলাকা ভবনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্যাসেঞ্জার সার্ভিস সলিউশন ও অনলাইন টিকেটিং পুনঃচালুকরণ উপলক্ষে আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘টিকিট ফলস বুকিংয়ে কেউ জড়িত থাকলে তাদের আমরা বিমানে চাকরি করতে দেব না। শুধু ডিসমিসড নয়, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মধ্যপ্রাচ্যের রুটগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভাড়া নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের মিটিং করেছি। মধ্যপ্রাচ্যের রুটগুলোতে বিমানের টিকিটের দাম কমানো হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আমরা মধ্যপ্রাচ্যে সর্বোচ্চ ৬৪ হাজার টাকায় টিকিট দিয়েছি। অথচ একই তারিখের টিকিট এমিরেটস বিক্রি করেছে ১ লাখ ১০ হাজার টাকায়। বাংলাদেশের শ্রমিক ভাইয়েরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে গন্তব্যে যেতে পারেন, সে জন্য আমরা সব ব্যবস্থা নিয়েছি।’

আয়ারল্যান্ড থেকে ২০০৯ সালে ইজারায় নিয়ে চালানো দুটি পুরোনো বোয়িং বিমান কেনার ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিমানের পরিচালনা পর্ষদ অত্যন্ত হাই-পাওয়ার (উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন) পর্ষদ। পরিচালনা পর্ষদ এই দুইটি বিমানের বিষয়ে বারবার বসেছে। তারা দেখেছে, এই বিমানটি ফেরত দিতে হলে যত টাকা তাদের ফেরত দিতে হবে, তার চেয়ে বরং ক্রয় করলে সাশ্রয়ী হবে। পর্ষদ সার্ভে করে বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে এটা ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়েছে। নিশ্চিত থাকতে পারেন, আমাদের উপস্থিতিতে বিমানের ক্ষতি হবে এমন কোন কাজ হবে না।

এ বিষয়ে বিমানের এমডি ও সিইও ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেন, বোর্ড সবকিছু বুঝে শুনে, যাচাই-বাছাই করেই ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিমানের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান বলেন, ‘এ বিষয় নিয়ে বোর্ড বারবার বসেছে। আমরা অ্যানালাইসিস করেছি। বিমান দুইটির টেকনিক্যাল স্ট্রেন্থ যাচাই করেছি। আমরা মনে করেছি, এই দুইটি বিমান রেখে দিলে আমাদের বেশি বেনিফিট (লাভ) হবে। এ জন্য আমরা সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

বিমান পর্ষদের অন্যান্য কর্মকর্তারা জানান, দুইটি বিমান আগের অবস্থায় ফেরত দিতে আমাদের ৬ দশমিক ০৮ মিলিয়ন ডলার খরচ হবে। অথচ কিনতে প্রায় ১৯ মিলিয়ন ডলারের মতো লাগে। এছাড়াও ফেরত দিয়ে নতুন করে লিজ নিতে দীর্ঘ প্রক্রিয়া রয়েছে। পুরাতনটা কিনে নিলে বিরতিহীনভাবে ফ্লাইটও পরিচালনা করা যাবে। সব বিবেচনায় প্লেন রাখা হয়েছে।

গত আগস্ট মাস থেকে বিমানের ওয়েবসাইট থাকলেও সিস্টেম আপগ্রেডের কারণে সেখান থেকে অনলাইনে টিকিট কাটার ব্যবস্থাটি সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। প্রায় ৬ মাস বন্ধ থাকার পর গতকাল রোববার ওয়েবসাইটে টিকেটিং সেবা চালু হয়।

নতুন করে করা ওয়েবসাইটে যাত্রীদের সুবিধার্থে প্যাসেঞ্জার সার্ভিস সলিউশন (PSS) ‘সেবর’ (SABRE) এর মাধ্যমে অনলাইনে টিকেটিং, বুকিং, চেক-ইন, ওয়েব সার্ভিস ইত্যাদি সেবা দিচ্ছে বিমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুদ্ধের পর এ যেন এক নতুন ইরান, জনগণের মতো বদলে গেছে সরকারও

ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা ভাবছেন ট্রাম্প

সাইপ্রাসে বিপুল জমি কিনছে ইসরায়েলিরা, দেশ বেদখলের শঙ্কা রাজনীতিবিদদের

হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার নিষিদ্ধ করল বিমান বাংলাদেশ

বংশরক্ষায় মৃত ছেলের শুক্রাণু চান মা, সংরক্ষণের নির্দেশ মুম্বাই হাইকোর্টের

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত