Ajker Patrika

আইন সংশোধনে তামাক কোম্পানির সঙ্গে বৈঠক বাতিলের দাবি বিএইচআরএফের

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা। ছবি: সংগৃহীত

দেশে অধূমপায়ী ও তরুণ প্রজন্মকে তামাকের ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএইচআরএফ)। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন প্রক্রিয়ায় তামাক কোম্পানির সম্পৃক্ততা সম্পূর্ণভাবে বন্ধেরও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। অনুষ্ঠানের শীর্ষক ছিল ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন: এফসিটিসি অনুচ্ছেদ ৫.৩ বাস্তবায়নে রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা’। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে বিএইচআরএফ।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএইচআরএফের সভাপতি মো. রাশেদ রাব্বি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ বা ৩৫ শতাংশ জনসংখ্যা তামাক ব্যবহার করে এবং প্রতি ১০ জনের মধ্যে চারজন পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে উপদেষ্টা কমিটি সম্প্রতি এফসিটিসি (ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল) অনুচ্ছেদ ৫(৩) লঙ্ঘন করে তামাক কোম্পানির সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ধারাবাহিকতায় ৮ অক্টোবর এনবিআর কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা করেছে।

রাশেদ রাব্বি জানান, এফসিটিসি অনুযায়ী কোনো দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বা নীতি প্রণয়নে তামাক কোম্পানি বা তাদের সহযোগীদের মতামত গ্রহণযোগ্য নয়।

সিনিয়র সাংবাদিক ও লেখক জান্নাতুল বাকেয়া কেকা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ধূমপান না করেও শিশু-কিশোরদের একটি বড় অংশ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে। পাবলিক প্লেসে ৫৯ শতাংশ ও বাড়িতে ৩১ শতাংশ শিশু ধূমপানের প্রভাবে অসুস্থ হচ্ছে। ১৫ বছরের নিচে ৬১ হাজারের বেশি শিশু নানা রোগে ভুগছে।

সভাপতির বক্তব্যে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক, শ্বাসতন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদি রোগসহ নানা অসংক্রামক রোগের অন্যতম কারণ তামাক। এর কারণে প্রতিবছর দেশে ১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ অকালে মারা যায়। তরুণ প্রজন্মকে এই বিপদ থেকে রক্ষায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রস্তাবিত সংশোধনী পাস করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনীতে এফসিটিসির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ছয়টি সুপারিশও তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো— অধূমপায়ীদের সুরক্ষায় সব পাবলিক স্থান ও গণপরিবহনে ধূমপানের নির্ধারিত স্থান বাতিল করা, বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকপণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম বন্ধ করা, ই-সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশু-কিশোরদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, তামাকপণ্যের খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা এবং সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৯০ শতাংশ করা।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হাসান সোহেল। অংশগ্রহণ করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উপদেষ্টা মো. নাইমুল আজম খান, প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর অরুনা সরকার, সিনিয়র কমিউনিকেশন অফিসার আবু জাফর, বিএইচআরএফের সদস্যরা এবং তামাকবিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিসহ অন্য অংশগ্রহণকারীরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রতি রাতে সাপ হয়ে দংশন করেন স্ত্রী, প্রশাসনে অভিযোগ স্বামীর

চমকে দিয়ে বিসিবির সহসভাপতি হওয়া কে এই শাখাওয়াত

বিসিবির পরিচালক হলেন রুবাবা দৌলা

আওয়ামী লীগ নেতার হিমাগারে মেডিকেল শিক্ষার্থীকে ‘হাতুড়িপেটা’ ও দুই বোনকে ‘সেফটি পিন ফুটিয়ে’ নির্যাতন

ইসির চিঠির জবাবে শাপলা প্রতীক চেয়ে ৭টি নমুনা পাঠাল এনসিপি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত