মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে শ্যামল দাস (৫০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, নার্সদের অবহেলায় অক্সিজেন না পেয়ে তিনি মারা যান।
গতকাল রোববার মেরুদণ্ডের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন শ্যামল দাস। তাঁকে ব্যথার ইনজেকশন দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় তাঁর অক্সিজেন প্রয়োজন হলে নার্স না দেওয়ায় অবহেলায় মারা যান বলে দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা।
মৃত শ্যামল দাস মাদারীপুর শহরের পুরানবাজারের পান বিক্রেতা ও মাদারীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের আমিরাবাদ এলাকার রামজীবন দাসের ছেলে।
পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে শ্যামল দাস মেরুদণ্ডের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালের নিচতলার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিয়াদ মাহমুদ চিকিৎসাপত্র দিয়ে ভবনের ছয় তলায় ভর্তি হতে দেন রোগীকে। ভর্তি হলে ব্যবস্থাপত্র দেখে রোগীকে ব্যথার ইনজেকশন দেন কর্তব্যরত নার্স সুজাতা। এরপরই শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। তিনি হাত, পা ছোড়াছুড়ি করেন। এ সময় নার্সকে অক্সিজেনের কথা বললেও তিনি অন্য কাজে ব্যস্ত থাকেন। পরে রাত ৮টার দিকে মারা যান তিনি। নার্সদের দায়িত্ব অবহেলায় মৃত্যু হয়েছে দাবি করে বিচার চান পরিবারের লোকজন।
শ্যামল দাসের ফুপাতো ভাই গজেন দাস বলেন, ‘আমার ভাইয়ের ১১ বছরের এক ছেলে ও ১৪ বছরের এক মেয়ে রয়েছে। এই সংসারটা এখন কীভাবে চলবে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নার্সের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। নার্সদের অবহেলার জন্য সে মারা গেছে।’
শ্যামল দাসের ছোট ভাই শংকর দাস বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর আমার ভাইকে ঠিকমতো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। তাই অল্প সময়ের মধ্যে আমার ভাই মারা গেছে। এই ঘটনার বিচার চাই।’
মাদারীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজিব মাহমুদ কাওসার বলেন, ‘শুধু অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যু হবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। সরকারি হাসপাতালে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। যে নার্স দায়িত্বে অবহেলা করেছেন, তাঁর বিচার ও হাসপাতাল থেকে অপসারণের দাবি জানাই।’
অভিযোগের বিষয়ে নার্সের বক্তব্য নিতে হাসপাতালে গেলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। রাত ৮টা পর্যন্ত ডিউটি থাকায় তিনি বাসায় চলে যান।
হাসপাতালের চিকিৎসক রিয়াদ মাহমুদ বলেন, ‘সঠিকভাবেই ভবনের নিচতলার জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয় শ্যামল দাসকে। কিন্তু পরবর্তীতে ভবনের ছয় তলায় কী হয়েছে সেটা সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।’
মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ও জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মুনীর আহম্মদ খান বলেন, ঘটনা কী ঘটেছে, সবকিছুই পর্যালোচনা করে নার্সের দোষ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম সালাউদ্দিন বলেন, হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হচ্ছে। এমন খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ বিষয়ে মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে শ্যামল দাস (৫০) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, নার্সদের অবহেলায় অক্সিজেন না পেয়ে তিনি মারা যান।
গতকাল রোববার মেরুদণ্ডের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন শ্যামল দাস। তাঁকে ব্যথার ইনজেকশন দেওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় তাঁর অক্সিজেন প্রয়োজন হলে নার্স না দেওয়ায় অবহেলায় মারা যান বলে দাবি করেন পরিবারের সদস্যরা।
মৃত শ্যামল দাস মাদারীপুর শহরের পুরানবাজারের পান বিক্রেতা ও মাদারীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের আমিরাবাদ এলাকার রামজীবন দাসের ছেলে।
পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে শ্যামল দাস মেরুদণ্ডের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালের নিচতলার জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রিয়াদ মাহমুদ চিকিৎসাপত্র দিয়ে ভবনের ছয় তলায় ভর্তি হতে দেন রোগীকে। ভর্তি হলে ব্যবস্থাপত্র দেখে রোগীকে ব্যথার ইনজেকশন দেন কর্তব্যরত নার্স সুজাতা। এরপরই শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। তিনি হাত, পা ছোড়াছুড়ি করেন। এ সময় নার্সকে অক্সিজেনের কথা বললেও তিনি অন্য কাজে ব্যস্ত থাকেন। পরে রাত ৮টার দিকে মারা যান তিনি। নার্সদের দায়িত্ব অবহেলায় মৃত্যু হয়েছে দাবি করে বিচার চান পরিবারের লোকজন।
শ্যামল দাসের ফুপাতো ভাই গজেন দাস বলেন, ‘আমার ভাইয়ের ১১ বছরের এক ছেলে ও ১৪ বছরের এক মেয়ে রয়েছে। এই সংসারটা এখন কীভাবে চলবে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নার্সের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। নার্সদের অবহেলার জন্য সে মারা গেছে।’
শ্যামল দাসের ছোট ভাই শংকর দাস বলেন, ‘হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর আমার ভাইকে ঠিকমতো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি। তাই অল্প সময়ের মধ্যে আমার ভাই মারা গেছে। এই ঘটনার বিচার চাই।’
মাদারীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজিব মাহমুদ কাওসার বলেন, ‘শুধু অক্সিজেনের অভাবে রোগীর মৃত্যু হবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। সরকারি হাসপাতালে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। যে নার্স দায়িত্বে অবহেলা করেছেন, তাঁর বিচার ও হাসপাতাল থেকে অপসারণের দাবি জানাই।’
অভিযোগের বিষয়ে নার্সের বক্তব্য নিতে হাসপাতালে গেলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। রাত ৮টা পর্যন্ত ডিউটি থাকায় তিনি বাসায় চলে যান।
হাসপাতালের চিকিৎসক রিয়াদ মাহমুদ বলেন, ‘সঠিকভাবেই ভবনের নিচতলার জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয় শ্যামল দাসকে। কিন্তু পরবর্তীতে ভবনের ছয় তলায় কী হয়েছে সেটা সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।’
মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ও জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মুনীর আহম্মদ খান বলেন, ঘটনা কী ঘটেছে, সবকিছুই পর্যালোচনা করে নার্সের দোষ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম সালাউদ্দিন বলেন, হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হচ্ছে। এমন খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ বিষয়ে মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ার কাইচাবাড়িতে ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) পেছনের প্রাচীর ঘেঁষে বেশ কিছু বহুতল ভবন। এগুলোর মধ্যে তিনতলা একটি ভবনের মালিক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এস এম বদরুল আলমের স্ত্রী মাসুমা খানম। ৬ শতাংশ জমির ওপর এই বাড়ি নির্মিত হয়েছে ২০১৪ সালে।
১ ঘণ্টা আগেযশোরের চৌগাছায় প্রথমবারের মতো লাল আঙুর চাষ করে সফল হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়াপ্রবাসী কামরুজ্জামান এপিল। উপজেলার সুখপুকুরিয়া ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের ওই প্রবাসী কৃষকের দুই বিঘা জমির আঙুরের বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে লাল আঙুর।
২ ঘণ্টা আগেস্মার্ট কার্ড জটিলতায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে পাঁচ মাস ধরে টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) পণ্য পায়নি উপজেলার ১৭ হাজার ৮২৫ সুবিধাভোগী পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে পণ্য না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা।
২ ঘণ্টা আগেদেশের সর্বদক্ষিণের উপকূলীয় জেলা বরগুনার দুটি গুরুত্বপূর্ণ শ্বাসমূলীয় বন টেংরাগিরি ও হরিণঘাটা। কিন্তু ঝড়, জলোচ্ছ্বাসসহ নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বন দুটি ক্রমেই অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। সাগরের তীব্র ঢেউয়ে ভূমিক্ষয়ের কবলে ধীরে ধীরে সংরক্ষিত এ দুটি বনাঞ্চলের আয়তন কমে যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে