আয়শা সিদ্দিকা আকাশী, মাদারীপুর
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার শাখারপাড় মোল্লাবাড়ি এলাকার মনিরুজ্জামান মোল্লা (২৫) সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সামিরা ইসলামকে রেখে যোগ দিয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে। আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন। মনিরুজ্জামান বাবা হয়েছেন। ছেলে মুসআব ইবনে মনির এখন আধো আধো আর ভাঙা ভাঙা শব্দে বাবা ডাকতে পারে। তবে বাবাকে দেখা হবে না কখনো।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মনিরুজ্জামান মোল্লা (মনির) ঢাকার মিরপুরের পল্লবী সরকারি কলেজে পড়ালেখা করতেন। পাশাপাশি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন তিনি। তাঁর উপার্জনে চলত স্ত্রী, মা-বাবার পরিবার।
আন্দোলন চলাকালে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন সামিরা। মনিরুজ্জামান মারা যাওয়ার তিন মাস পর ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর জন্ম নেয় তাঁর ছেলে মুসআব।
ছেলেকে নিয়ে মাদারীপুর শহরের বাগেরপাড় এলাকায় বোনের বাসায় ভাড়া থাকেন সামিরা। তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট মিছিলে গুলি চালানো হলে মারা যায় সে। আমার আর মনিরের অনেক স্বপ্ন ছিল সন্তানকে নিয়ে। কিন্তু আমার সন্তান পৃথিবীতে আসার আগেই তার বাবা পৃথিবী থেকে চলে গেল। এখন আমি এই সন্তানকে নিয়েই বেঁচে আছি।’
পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট সকালে মনির তাঁর বন্ধু কাজী আলমকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা যান। সেখানে তাঁরা ছাত্র-জনতার ডাকা গণমিছিলে যোগ দেন। মাদারীপুরে ফেরার পথে ফুলবাড়িয়া এলাকার একটি মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়েন। নামাজ শেষে ফেরার পথে দেখেন পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে গোলাগুলি হচ্ছে। সেখান থেকে দ্রুত সরতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান মনির। পরে গুরুতর অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মনিরের বোন নুসরাত জাহান ডালিয়া বলেন, ‘আমার এই ভাই ছিল আমাদের সংসারের হাল ধরার মানুষ। সে সবার খেয়াল রাখত। ভাইয়ের অনেক স্বপ্ন ছিল তার সন্তানকে নিয়ে। কিন্তু সে বাবা ডাক শুনতে পেল না, সন্তানের মুখটিও দেখতে পেল না। এই কষ্ট আমাদের সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে।’
নিহত ব্যক্তির মা মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘সন্তানকে ঘিরে আমার ছেলের অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা দেখতে পেল না। বাবা ডাক শোনা তো দূরের কথা, ছেলের মুখটাও দেখে যেতে পারেনি।’
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার শাখারপাড় মোল্লাবাড়ি এলাকার মনিরুজ্জামান মোল্লা (২৫) সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সামিরা ইসলামকে রেখে যোগ দিয়েছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে। আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন। মনিরুজ্জামান বাবা হয়েছেন। ছেলে মুসআব ইবনে মনির এখন আধো আধো আর ভাঙা ভাঙা শব্দে বাবা ডাকতে পারে। তবে বাবাকে দেখা হবে না কখনো।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মনিরুজ্জামান মোল্লা (মনির) ঢাকার মিরপুরের পল্লবী সরকারি কলেজে পড়ালেখা করতেন। পাশাপাশি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন তিনি। তাঁর উপার্জনে চলত স্ত্রী, মা-বাবার পরিবার।
আন্দোলন চলাকালে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন সামিরা। মনিরুজ্জামান মারা যাওয়ার তিন মাস পর ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর জন্ম নেয় তাঁর ছেলে মুসআব।
ছেলেকে নিয়ে মাদারীপুর শহরের বাগেরপাড় এলাকায় বোনের বাসায় ভাড়া থাকেন সামিরা। তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট মিছিলে গুলি চালানো হলে মারা যায় সে। আমার আর মনিরের অনেক স্বপ্ন ছিল সন্তানকে নিয়ে। কিন্তু আমার সন্তান পৃথিবীতে আসার আগেই তার বাবা পৃথিবী থেকে চলে গেল। এখন আমি এই সন্তানকে নিয়েই বেঁচে আছি।’
পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট সকালে মনির তাঁর বন্ধু কাজী আলমকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা যান। সেখানে তাঁরা ছাত্র-জনতার ডাকা গণমিছিলে যোগ দেন। মাদারীপুরে ফেরার পথে ফুলবাড়িয়া এলাকার একটি মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়েন। নামাজ শেষে ফেরার পথে দেখেন পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে গোলাগুলি হচ্ছে। সেখান থেকে দ্রুত সরতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় পড়ে যান মনির। পরে গুরুতর অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
মনিরের বোন নুসরাত জাহান ডালিয়া বলেন, ‘আমার এই ভাই ছিল আমাদের সংসারের হাল ধরার মানুষ। সে সবার খেয়াল রাখত। ভাইয়ের অনেক স্বপ্ন ছিল তার সন্তানকে নিয়ে। কিন্তু সে বাবা ডাক শুনতে পেল না, সন্তানের মুখটিও দেখতে পেল না। এই কষ্ট আমাদের সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে।’
নিহত ব্যক্তির মা মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘সন্তানকে ঘিরে আমার ছেলের অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা দেখতে পেল না। বাবা ডাক শোনা তো দূরের কথা, ছেলের মুখটাও দেখে যেতে পারেনি।’
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃষ্টিজনিত জলাবদ্ধতার কারণে শনিবার (১২ জুলাই) পর্যন্ত জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৪৬৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে সদর, কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জের ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৬৮টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। জরুরি সহায়তার
৩ মিনিট আগেচাঁদপুরের হাজীগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) দিনগত রাত পৌনে ৩টার দিকে তাদেরকে উপজেলা সদরের হামিদিয়া জুট মিলস্ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৩ মিনিট আগেআজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে সীমান্তবর্তী ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁদের দেখতে পান স্থানীয়রা। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) আব্দুল মোতালেব জানান, ওই সাতজনকে এলোমেলোভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে এলাকাবাসী তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে জানা যায়, তাঁরা অনেক আগেই বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়েছিলেন
১৫ মিনিট আগেক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা জানান, গরুর শরীরে গোটা উঠে, প্রচণ্ড জ্বর হয়। পরে সেসব গোটা ফেটে রক্ত ও পুঁজ বের হয়, একপর্যায়ে গরু মারা যায়। প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ব্যবস্থাপত্র মিললেও ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না, ফলে বাধ্য হয়ে ওষুধ বাইরে থেকে কিনতে হচ্ছে।
৩২ মিনিট আগে