Ajker Patrika

পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, দুজন লাইফ সাপোর্টে 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, ২২: ২০
পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক, দুজন লাইফ সাপোর্টে 

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় এ পর্যন্ত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটে ২২ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে হাবীব খান গতকাল শুক্রবার রাতে মারা গেছেন। তিনজনকে আইসিইউতে এবং দুজনকে এইচডিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আইসিইউয়ের দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। 

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি মহিলা মাদ্রাসায় কাজ করতেন মারুফা বেগম। প্রায় ছয় মাস পর মাদ্রাসা থেকে দুই মেয়েকে নিয়ে বরগুনার পাথরঘাটায় বাড়িতে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হয়নি মারুফা আক্তারের। তিনি এখন আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে। 

লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের পর শাহিনুর বেগম স্বপ্না পরিবারের সবাইকে হারিয়ে একপর্যায়ে পানিতে লাফিয়ে পড়েন। তিনি ভালো সাঁতার জানতেন। কিন্তু পরিবারের আর কেউ সাঁতার জানত না। স্বপ্না কিছু দূর সাঁতরে একটা ভাঙা পিলারে এসে পড়ে ছিলেন। পরে তাঁকে একটি ট্রলার উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে আসে। সেখান থেকে তাঁকে বরিশাল মেডিকেলে পাঠানো হয়। তিনি এখন শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে লাইফ সাপোর্টে আছেন। তাঁর মেয়ে ইসরাত জাহান এবং স্বামী বাচ্চু মিয়াও জাতীয় বার্ন ইউনিটে ভর্তি। 

দায়িত্বরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, ‘শাহিনুর বেগমের শরীরের ২৫ শতাংশসহ শ্বাসনালি পুড়ে গেছে।’ 

এ ছাড়া বিকেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মণিকা রানি নামে একজনকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। মণিকা রানির স্বামী বঙ্কিম চন্দ্র মজুমদারও বার্ন ইউনিটে ভর্তি। 

এইচডিইউতে ভর্তি জেসমিন বেগম (২৮) নানি মারা যাওয়ায় তাঁকে দেখতে এসেছিলেন। কিন্তু বাড়ি ফিরতে পারেননি। ফেরার পথে ছেলে-মেয়েসহ লঞ্চে অগ্নিদগ্ধ হন। বরিশাল থেকে ঢাকা আসার পথেই মেয়ে মাহিনুর (৭) মারা যায়। জন্মের আগে মায়ের পেটেই মারা গেছে তাঁর আরেক মেয়ে। আজ সকালে তাঁর মৃত সন্তান গর্ভপাত করানো হয়েছে। জেসমিনের ছেলে তামিমের (১০) অবস্থাও আশঙ্কাজনক। মায়ের সঙ্গেই এইচডিইউতে ভর্তি আছে তামিম। 

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ড. আইয়ুব হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যারা ভর্তি আছে তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আমরা ৭টি মেডিকেল টিম করেছি। যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাদের আইসিইউ ও এইচডিইউতে পাঠানো হয়েছে। দুজনের অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় লাইফ সাপোর্টে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। গাইনোকোলজিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী জেসমিন বেগমের গর্ভের সন্তানকে গর্ভপাত করানো হয়েছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত