নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হরতালের নামে কেউ যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করার চেষ্টা করে ও সাধারণের চলাচল ব্যাহত করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
রোববার সারা দেশে হরতাল ডেকেছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কাকরাইল মসজিদের সামনে পুলিশের যেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল আমরা দীর্ঘদিন ধরে সেখানে সেই রকমই ব্যবস্থা রাখি। এখানে অতিরিক্ত ব্যবস্থা প্রয়োজন ছিল না। যতটুকু প্রয়োজন ছিল আমরা ততটুকু রেখেছিলাম এবং পরে কিন্তু পুলিশের অনেক ফোর্স ছিল।’
সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকেরা আমাদের বন্ধু, সাংবাদিকেরা জনগণের বন্ধু। এই ঘটনাটি যেহেতু ব্যস্ততার কারণে আমার নজরে এখনো আসেনি। যদি সেই ধরনের কোনো ব্যবস্থা হয়ে থাকে তাহলে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা সেটির জন্য নেওয়া হবে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পল্টন ও এর আশপাশ এলাকায় বিএনপিসহ আরও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ছিল। বিএনপি ১ লাখ ২০ হাজার লোকের জমায়েত করে। সকাল ১০টার নাগাদ বিএনপির অসংখ্য নেতা–কর্মী কাকরাইল মোড় ও এর আশপাশে অবস্থান নেয়। তারা এ সময় বিনা কারণে বাস ও বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর করে। এর কিছুক্ষণ পর তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে অতর্কিত হামলা করে এবং গেট ভেঙে ফেলে। একপর্যায়ে লাঠিসোঁটা হাতে বাস ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং সেখানেও ভাঙচুর চালায়। অতঃপর পুলিশি বাধার মুখে তারা বাসভবন থেকে বের হয়ে যায়। এরপর তারা পার্শ্ববর্তী সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বাসভবন জাজেস কমপ্লেক্স আক্রমণ চালায় এবং রিসেপশন কক্ষে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। এ ছাড়া জাজেস কমপ্লেক্সের সিসিটিভি ক্যামেরাসহ আশপাশের পুলিশের শত শত সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একপর্যায়ে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে দুষ্কৃতকারীরা কাকরাইল মোড় থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত বেশ কিছু যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে। এ ছাড়া আইডিবি ভবনের ভেতরে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। তারা নাইটিঙ্গেল মোড়ে বাসে অগ্নিসংযোগ করে। লিটলস ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনে তারা দুই জন পুলিশ সদস্যকে রাস্তায় ফেলে নির্মমভাবে প্রহার করে। এই দুই পুলিশ সদস্যের মৃত্যু নিশ্চিত মনে করে তারা ক্ষান্ত হয়। একই সঙ্গে তারা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আক্রমণ চালায় এবং ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর একটি আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সসহ ২৬টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। তারা রমনা ট্রাফিক ডিসির অফিসে ভাঙচুর করে এবং অনেকগুলো দোকানে ভাঙচুর করে। অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে এবং পুলিশকে সেখানে আক্রমণ করে। তারা রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ লাইনের ভেতরে বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ভাঙচুর চালায়। ধ্বংসযজ্ঞের একপর্যায়ে তারা বক্স কালভার্ট রোডে একজন পুলিশকে পিটিয়ে চাপাতি দিয়ে মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। মৃত্যু নিশ্চিত করেও ন্যক্কারজনকভাবে ওই পুলিশ সদস্যকে লাথি মারতে থাকে। এ ছাড়া তারা পল্টন থানায়ও আক্রমণ করার চেষ্টা করে। তারা ট্রাফিক বক্সসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও ভাঙচুর ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। তিন ঘণ্টা ধরে চলা তাদের ধ্বংসযজ্ঞে পুলিশ ধৈর্য ও সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে এবং আক্রমণকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এ সময় শতাধিক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘শর্ত সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের প্রতিশ্রুতি দিয়েও পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য আইন অমান্যকারীদের প্রতি ধিক্কার জানাই। যারা এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের যথাযথভাবে আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাব।’
বাসে অগ্নিসংযোগ, পুলিশ হত্যা ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।
হরতালের নামে কেউ যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করার চেষ্টা করে ও সাধারণের চলাচল ব্যাহত করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
রোববার সারা দেশে হরতাল ডেকেছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘কাকরাইল মসজিদের সামনে পুলিশের যেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল আমরা দীর্ঘদিন ধরে সেখানে সেই রকমই ব্যবস্থা রাখি। এখানে অতিরিক্ত ব্যবস্থা প্রয়োজন ছিল না। যতটুকু প্রয়োজন ছিল আমরা ততটুকু রেখেছিলাম এবং পরে কিন্তু পুলিশের অনেক ফোর্স ছিল।’
সাংবাদিকদের ওপর হামলার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকেরা আমাদের বন্ধু, সাংবাদিকেরা জনগণের বন্ধু। এই ঘটনাটি যেহেতু ব্যস্ততার কারণে আমার নজরে এখনো আসেনি। যদি সেই ধরনের কোনো ব্যবস্থা হয়ে থাকে তাহলে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা সেটির জন্য নেওয়া হবে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পল্টন ও এর আশপাশ এলাকায় বিএনপিসহ আরও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ছিল। বিএনপি ১ লাখ ২০ হাজার লোকের জমায়েত করে। সকাল ১০টার নাগাদ বিএনপির অসংখ্য নেতা–কর্মী কাকরাইল মোড় ও এর আশপাশে অবস্থান নেয়। তারা এ সময় বিনা কারণে বাস ও বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর করে। এর কিছুক্ষণ পর তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে অতর্কিত হামলা করে এবং গেট ভেঙে ফেলে। একপর্যায়ে লাঠিসোঁটা হাতে বাস ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং সেখানেও ভাঙচুর চালায়। অতঃপর পুলিশি বাধার মুখে তারা বাসভবন থেকে বের হয়ে যায়। এরপর তারা পার্শ্ববর্তী সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বাসভবন জাজেস কমপ্লেক্স আক্রমণ চালায় এবং রিসেপশন কক্ষে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। এ ছাড়া জাজেস কমপ্লেক্সের সিসিটিভি ক্যামেরাসহ আশপাশের পুলিশের শত শত সিসিটিভি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একপর্যায়ে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে দুষ্কৃতকারীরা কাকরাইল মোড় থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত বেশ কিছু যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে। এ ছাড়া আইডিবি ভবনের ভেতরে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। তারা নাইটিঙ্গেল মোড়ে বাসে অগ্নিসংযোগ করে। লিটলস ফ্লাওয়ার স্কুলের সামনে তারা দুই জন পুলিশ সদস্যকে রাস্তায় ফেলে নির্মমভাবে প্রহার করে। এই দুই পুলিশ সদস্যের মৃত্যু নিশ্চিত মনে করে তারা ক্ষান্ত হয়। একই সঙ্গে তারা রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে আক্রমণ চালায় এবং ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর একটি আইসিইউ অ্যাম্বুলেন্সসহ ২৬টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। তারা রমনা ট্রাফিক ডিসির অফিসে ভাঙচুর করে এবং অনেকগুলো দোকানে ভাঙচুর করে। অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে এবং পুলিশকে সেখানে আক্রমণ করে। তারা রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ লাইনের ভেতরে বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ভাঙচুর চালায়। ধ্বংসযজ্ঞের একপর্যায়ে তারা বক্স কালভার্ট রোডে একজন পুলিশকে পিটিয়ে চাপাতি দিয়ে মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। মৃত্যু নিশ্চিত করেও ন্যক্কারজনকভাবে ওই পুলিশ সদস্যকে লাথি মারতে থাকে। এ ছাড়া তারা পল্টন থানায়ও আক্রমণ করার চেষ্টা করে। তারা ট্রাফিক বক্সসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও ভাঙচুর ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। তিন ঘণ্টা ধরে চলা তাদের ধ্বংসযজ্ঞে পুলিশ ধৈর্য ও সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে এবং আক্রমণকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এ সময় শতাধিক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘শর্ত সাপেক্ষে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের প্রতিশ্রুতি দিয়েও পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য আইন অমান্যকারীদের প্রতি ধিক্কার জানাই। যারা এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের যথাযথভাবে আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাব।’
বাসে অগ্নিসংযোগ, পুলিশ হত্যা ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।
দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার ছাতইল ইউনিয়নের চালান দীঘিরপাড় নামক সীমান্ত এলাকা দিয়ে চারজনকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
১১ মিনিট আগেপ্রধান উপদেষ্টা বা তাঁর কার্যালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করালে আগামীকাল মঙ্গলবার যমুনা ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই ঘোষণা দেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে
১৫ মিনিট আগেরাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন ভবনে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার দুপুরে দুদক কর্মকর্তারা এ ভবনের বোয়ালিয়া থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়, জেলা নির্বাচন অফিস ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে গিয়ে বেশ কিছু তথ্য নেন। এ ছাড়া অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা..
১৫ মিনিট আগেসূর্যমুখীর এই মাছঘাট তিন দশকের পুরোনো। দীর্ঘদিন ধরে এখানকার ব্যবসায়ী ও জেলেরা শান্তিপূর্ণভাবে কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। হঠাৎ একটি মহল ঘাটের ঠিক পাশে খালের দক্ষিণ পাড়ে নতুন মাছঘাট তৈরি করছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত বিরোধ ও সংঘাতের সূত্রপাত করতে পারে।
১৮ মিনিট আগে