নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভাওয়ালের শালবনে ছিন্নমূল শিশুকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকেই খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। ডেথ রেফারেন্স ও আপিল নিষ্পত্তি করে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ারের বেঞ্চ এই রায় দেন।
তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৯ পুলিশের কেউই সাক্ষ্য দিতে না আসায় তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আইজিপিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আসামিদের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘নথি অনুযায়ী দেখা যায়, রেল স্টেশনে ট্রেনে কাটা পড়ে মানুষ মারা গেলে উৎসুক জনতার ভিড় জমে। তখন মরদেহ দেখতে যান শংকর চন্দ্র দেবনাথ এবং মো. জাকির হোসেনও। পুলিশ ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায়। টাকা নিয়ে অন্যদের ছেড়ে দিলেও এই দুজন টাকা দিতে না পারায় তাঁদের আটক রাখা হয়। পরে দুজনকে নিয়ে যাওয়া হয় গাজীপুরের শালবন এলাকায়। সেখানে উদ্ধার করা শিশুর কঙ্কাল দেখিয়ে বলা হয় এই হত্যাকাণ্ড তাঁরা ঘটিয়েছেন। আর ওই ঘটনায় ২০০৫ সালের ১০ এপ্রিল গ্রেপ্তার দেখানো হয়।’
শিশির মনির আরও বলেন, ‘নথি অনুযায়ী মাথা উদ্ধার করা হয় ঢাকা থেকে। এ জন্য ঢাকায় মামলা হয়। আর হত্যার বিষয়টি স্বীকার করাতে দুজনকে রিমান্ডে নিয়ে বেদম মারধর করে পুলিশ। পরে আসামিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত মর্মে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। আর ওই জবানবন্দির কারণেই ২০১৬ সালের ২১ মার্চ তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।’
শিশির মনির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামিরা গ্রেপ্তারের পর থেকেই কারাগারে রয়েছেন। আমরা এই ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে আদালতে আবেদন করব।’
এ ব্যাপারে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাথা উদ্ধারের পর পুলিশ ডেকে তাঁদের আটক করা হয়। পরে রাতেই তাঁদের নিয়ে গাজীপুরে গিয়ে দেহ উদ্ধার করা হয়। সাক্ষী হয়তো নিম্ন আদালতে প্রমাণ দিতে পারেনি। সাক্ষ্য–প্রমাণে হয়তো প্রমাণ হয়নি। আর ট্রেনে কাটা পড়লে পুলিশ তো ফৌজদারি মামলা করে না।’
শাহীন আহমেদ খান আরও বলেন, ‘হাইকোর্টে প্রমাণ হয়েছে প্রসিকিউশন বিষয়টি প্রমাণ করতে পারেনি। এ জন্যই তাঁদের খালাস দেওয়া হয়েছে।’ ওই শিশুর কোনো পরিচয় জানা যায়নি বলেও জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।
ভাওয়ালের শালবনে ছিন্নমূল শিশুকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকেই খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। ডেথ রেফারেন্স ও আপিল নিষ্পত্তি করে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ারের বেঞ্চ এই রায় দেন।
তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৯ পুলিশের কেউই সাক্ষ্য দিতে না আসায় তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আইজিপিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আসামিদের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘নথি অনুযায়ী দেখা যায়, রেল স্টেশনে ট্রেনে কাটা পড়ে মানুষ মারা গেলে উৎসুক জনতার ভিড় জমে। তখন মরদেহ দেখতে যান শংকর চন্দ্র দেবনাথ এবং মো. জাকির হোসেনও। পুলিশ ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায়। টাকা নিয়ে অন্যদের ছেড়ে দিলেও এই দুজন টাকা দিতে না পারায় তাঁদের আটক রাখা হয়। পরে দুজনকে নিয়ে যাওয়া হয় গাজীপুরের শালবন এলাকায়। সেখানে উদ্ধার করা শিশুর কঙ্কাল দেখিয়ে বলা হয় এই হত্যাকাণ্ড তাঁরা ঘটিয়েছেন। আর ওই ঘটনায় ২০০৫ সালের ১০ এপ্রিল গ্রেপ্তার দেখানো হয়।’
শিশির মনির আরও বলেন, ‘নথি অনুযায়ী মাথা উদ্ধার করা হয় ঢাকা থেকে। এ জন্য ঢাকায় মামলা হয়। আর হত্যার বিষয়টি স্বীকার করাতে দুজনকে রিমান্ডে নিয়ে বেদম মারধর করে পুলিশ। পরে আসামিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত মর্মে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। আর ওই জবানবন্দির কারণেই ২০১৬ সালের ২১ মার্চ তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।’
শিশির মনির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামিরা গ্রেপ্তারের পর থেকেই কারাগারে রয়েছেন। আমরা এই ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে আদালতে আবেদন করব।’
এ ব্যাপারে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাথা উদ্ধারের পর পুলিশ ডেকে তাঁদের আটক করা হয়। পরে রাতেই তাঁদের নিয়ে গাজীপুরে গিয়ে দেহ উদ্ধার করা হয়। সাক্ষী হয়তো নিম্ন আদালতে প্রমাণ দিতে পারেনি। সাক্ষ্য–প্রমাণে হয়তো প্রমাণ হয়নি। আর ট্রেনে কাটা পড়লে পুলিশ তো ফৌজদারি মামলা করে না।’
শাহীন আহমেদ খান আরও বলেন, ‘হাইকোর্টে প্রমাণ হয়েছে প্রসিকিউশন বিষয়টি প্রমাণ করতে পারেনি। এ জন্যই তাঁদের খালাস দেওয়া হয়েছে।’ ওই শিশুর কোনো পরিচয় জানা যায়নি বলেও জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।
কোচিং সেন্টারে ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক শিক্ষককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাছুদ পারভেজ এ রায় ঘোষণা করেন।
৯ মিনিট আগেবছর তিনেক আগে মাছ ধরার সময় প্রায় ১২ থেকে ১৪ কেজির ওজনের একটি রুই মাছ তাঁর কান বরাবর আঘাত করে। এরপর পুকুরে পানিতেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। পরে অন্য জেলেরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। প্রচণ্ড আঘাতে কবিরুল এখন কানে কম শোনেন। এর পর থেকে কবিরুল ক্রিকেট হেলমেট ছাড়া পুকুরে নামেন না।
১৫ মিনিট আগেবরিশাল জিলা স্কুলের নতুন প্রধান শিক্ষক হলেন মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সরকারি মাধ্যমিক শাখার সহকারী পরিচালক (মাধ্যমিক-১) এস এম জিয়াউল হায়দার হেনরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩১ মিনিট আগেহবিগঞ্জের নবীগঞ্জে পানিতে ডুবে তিন শিশু মারা গেছে। নিহত শিশুরা সবাই চাচাতো-ফুফাতো ভাই-বোন। আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের পাঞ্জারাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে