Ajker Patrika

১৬ বছর কারাবাসের পর হাইকোর্টে খালাস, পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
১৬ বছর কারাবাসের পর হাইকোর্টে খালাস, পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ

ভাওয়ালের শালবনে ছিন্নমূল শিশুকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকেই খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। ডেথ রেফারেন্স ও আপিল নিষ্পত্তি করে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি কেএম জাহিদ সারওয়ারের বেঞ্চ এই রায় দেন। 

তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৯ পুলিশের কেউই সাক্ষ্য দিতে না আসায় তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আইজিপিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আসামিদের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘নথি অনুযায়ী দেখা যায়, রেল স্টেশনে ট্রেনে কাটা পড়ে মানুষ মারা গেলে উৎসুক জনতার ভিড় জমে। তখন মরদেহ দেখতে যান শংকর চন্দ্র দেবনাথ এবং মো. জাকির হোসেনও। পুলিশ ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায়। টাকা নিয়ে অন্যদের ছেড়ে দিলেও এই দুজন টাকা দিতে না পারায় তাঁদের আটক রাখা হয়। পরে দুজনকে নিয়ে যাওয়া হয় গাজীপুরের শালবন এলাকায়। সেখানে উদ্ধার করা শিশুর কঙ্কাল দেখিয়ে বলা হয় এই হত্যাকাণ্ড তাঁরা ঘটিয়েছেন। আর ওই ঘটনায় ২০০৫ সালের ১০ এপ্রিল গ্রেপ্তার দেখানো হয়।’

শিশির মনির আরও বলেন, ‘নথি অনুযায়ী মাথা উদ্ধার করা হয় ঢাকা থেকে। এ জন্য ঢাকায় মামলা হয়। আর হত্যার বিষয়টি স্বীকার করাতে দুজনকে রিমান্ডে নিয়ে বেদম মারধর করে পুলিশ। পরে আসামিরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত মর্মে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। আর ওই জবানবন্দির কারণেই ২০১৬ সালের ২১ মার্চ তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল করেন।’

শিশির মনির আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামিরা গ্রেপ্তারের পর থেকেই কারাগারে রয়েছেন। আমরা এই ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে আদালতে আবেদন করব।’

এ ব্যাপারে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাথা উদ্ধারের পর পুলিশ ডেকে তাঁদের আটক করা হয়। পরে রাতেই তাঁদের নিয়ে গাজীপুরে গিয়ে দেহ উদ্ধার করা হয়। সাক্ষী হয়তো নিম্ন আদালতে প্রমাণ দিতে পারেনি। সাক্ষ্য–প্রমাণে হয়তো প্রমাণ হয়নি। আর ট্রেনে কাটা পড়লে পুলিশ তো ফৌজদারি মামলা করে না।’
 
শাহীন আহমেদ খান আরও বলেন, ‘হাইকোর্টে প্রমাণ হয়েছে প্রসিকিউশন বিষয়টি প্রমাণ করতে পারেনি। এ জন্যই তাঁদের খালাস দেওয়া হয়েছে।’ ওই শিশুর কোনো পরিচয় জানা যায়নি বলেও জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত