ঢামেক প্রতিবেদক
বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারানো বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ ১১ দিন পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে বাবা শাবলুল আলম ওরফে সবুজ খান মরদেহটি বুঝে নেন।
বৃষ্টি খাতুনের বাবা সবুজ খান বলেন, ‘আল্লাহর কাছে লাখো লাখো শুকরিয়া যে ১১ দিন পার হলেও নিজের মেয়ের মরদেহ বুঝে পেলাম।’
প্রশাসন, সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সঠিক তথ্য যাচাই-বাছাই করে আমার সন্তান আমার কাছে ফেরত দিয়েছে।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে সবুজ খান বলেন, ‘১১ দিন ঘুরেছি, আমি একটা বাবা, মেয়ের লাশ নিতে পারিনি। এই ১১টা রাত ঘুমাতে পারিনি। তার মায়ের কষ্ট, কান্না করতে করতে অসুস্থ হয়ে গেছে। তার বোনগুলো কান্না করছে। যাক সব তথ্য যাচাই-বাছাই করে আমার সন্তানকে ফেরত পেয়েছি।’
সবুজ খান আরও বলেন, তাঁর গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার খোকশা থানার বনগ্রামে। সেখানে ব্র্যাক স্কুল থেকে পাস করে হাইস্কুলে ভর্তি হয় বৃষ্টি। গ্রাম থেকে এসএসসি ও কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে। পরে ঢাকায় ইডেন কলেজে ভর্তি হয়। গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে বৃষ্টির মরদেহ দাফন করা হবে।
সিআইডি ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি জাহাঙ্গির হোসেন মাতুব্বর বলেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি আগুনের ঘটনায় প্রাণ হারানো বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল তাঁর মা-বাবার সঙ্গে ডিএনএ নমুনা মিলে যায়। আজ অফিশিয়ালভাবে বৃষ্টির মরদেহ বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর দিন বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ শনাক্ত করেছিলেন তাঁর বাবা সবুজ খান। তবে রমনা কালীমন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা দাবি করেন—মৃতের নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। সে নিয়মিত মন্দিরে আসত। তিনি রমনা থানায় লিখিতভাবে দাবি করেন—ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। এরপর বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হয়ে মর্গ থেকে মরদেহের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গত রাতে রমনা কালীমন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা আবারও লিখিতভাবে আবেদন করেন, ‘আমার কোনো দাবি নাই। এটি ভুল বোঝার কারণে হয়েছে। মরদেহ প্রকৃত স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হোক।’
আরও একটি মরদেহের বিষয়ে জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, ‘নাজমুল নামে আরও একটি মরদেহ আছে। ডিএনএ নমুনা এখনো পুরোপুরি মিলে নাই। একটু সময় লাগবে।’
আরও পড়ুন—
বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারানো বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ ১১ দিন পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে বাবা শাবলুল আলম ওরফে সবুজ খান মরদেহটি বুঝে নেন।
বৃষ্টি খাতুনের বাবা সবুজ খান বলেন, ‘আল্লাহর কাছে লাখো লাখো শুকরিয়া যে ১১ দিন পার হলেও নিজের মেয়ের মরদেহ বুঝে পেলাম।’
প্রশাসন, সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সঠিক তথ্য যাচাই-বাছাই করে আমার সন্তান আমার কাছে ফেরত দিয়েছে।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে সবুজ খান বলেন, ‘১১ দিন ঘুরেছি, আমি একটা বাবা, মেয়ের লাশ নিতে পারিনি। এই ১১টা রাত ঘুমাতে পারিনি। তার মায়ের কষ্ট, কান্না করতে করতে অসুস্থ হয়ে গেছে। তার বোনগুলো কান্না করছে। যাক সব তথ্য যাচাই-বাছাই করে আমার সন্তানকে ফেরত পেয়েছি।’
সবুজ খান আরও বলেন, তাঁর গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার খোকশা থানার বনগ্রামে। সেখানে ব্র্যাক স্কুল থেকে পাস করে হাইস্কুলে ভর্তি হয় বৃষ্টি। গ্রাম থেকে এসএসসি ও কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে। পরে ঢাকায় ইডেন কলেজে ভর্তি হয়। গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে বৃষ্টির মরদেহ দাফন করা হবে।
সিআইডি ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত ডিআইজি জাহাঙ্গির হোসেন মাতুব্বর বলেন, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি আগুনের ঘটনায় প্রাণ হারানো বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গতকাল তাঁর মা-বাবার সঙ্গে ডিএনএ নমুনা মিলে যায়। আজ অফিশিয়ালভাবে বৃষ্টির মরদেহ বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর দিন বার্ন ইনস্টিটিউটে এসে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ শনাক্ত করেছিলেন তাঁর বাবা সবুজ খান। তবে রমনা কালীমন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা দাবি করেন—মৃতের নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। সে নিয়মিত মন্দিরে আসত। তিনি রমনা থানায় লিখিতভাবে দাবি করেন—ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক। এরপর বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হয়ে মর্গ থেকে মরদেহের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, গত রাতে রমনা কালীমন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা আবারও লিখিতভাবে আবেদন করেন, ‘আমার কোনো দাবি নাই। এটি ভুল বোঝার কারণে হয়েছে। মরদেহ প্রকৃত স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হোক।’
আরও একটি মরদেহের বিষয়ে জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, ‘নাজমুল নামে আরও একটি মরদেহ আছে। ডিএনএ নমুনা এখনো পুরোপুরি মিলে নাই। একটু সময় লাগবে।’
আরও পড়ুন—
টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
৪ মিনিট আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
১১ মিনিট আগেশেরপুরের গারো পাহাড়ে মানুষের বিচরণ বাড়ার পাশাপাশি কমতে শুরু করেছে বন-জঙ্গল। এতে সেখানে বন্য হাতির জীবন সংকটে পড়েছে। প্রায়ই নানা ঘটনায় প্রাণ হারিয়ে গারো পাহাড় থেকে বিলুপ্তের পথে বিশালাকৃতির এই প্রাণী। এদিকে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষও। গত ৩০ বছরে শেরপুরে হাতি-মানুষের দ্বন্দ্বে জেলায়
১৬ মিনিট আগে২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর একনেক সভায় পাস হয় যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কের ৪৭ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার সড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্প। ৪ হাজার ১৮৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার এ প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারিত হয় ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ ও মূল্য।
২০ মিনিট আগে