সৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকা
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আবদুর রহমানের বিদেশে নিজের নামে বাড়িসহ বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ নিয়ে শিগগিরই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হতে পারে। কমিশনের তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে এ কথা জানিয়েছেন। তদন্তে আবদুর রহমানের কানাডায় নাগরিকত্ব থাকারও তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদকের সূত্রটি বলেছেন, সাবেক মৎস্যমন্ত্রী মো. আবদুর রহমান তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিজের পরিবারসহ স্বজনদের নামে বিপুল অর্থসম্পদ অর্জন করেছেন। নিজের গ্রামের বাড়ি মধুখালীর কামালদিয়া এলাকায় স্ত্রী-মেয়েদের নামে কিনেছেন বহু বিঘা জমি। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানেও তাঁর একাধিক প্লট-ফ্ল্যাটসহ সম্পদের তথ্য রয়েছে দুদকের হাতে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, তাঁদের অনুসন্ধানে ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যের নামে পূর্বাচলে একাধিক প্লট থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তাঁর স্ত্রী ডা. মির্জা নাহিদা হোসেন বন্যা, মেয়ে ইভানা রহমান ও ইশরা রহমান এবং ছেলে সামী রহমানের ব্যাংক হিসাবে মিলেছে বিপুল অঙ্কের স্থায়ী আমানত। এ অর্থের বেশির ভাগই তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত উপায়ে অর্জিত বলে মনে করা হচ্ছে। শান্তা দিগন্ত টাওয়ার-২-এ দুটি ফ্ল্যাটসহ (৩/ই ও ৩/৩ নম্বর) রাজধানীতে তাঁদের নামে থাকা চারটি ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়ার কথা বলেছে দুদকের অনুসন্ধানকারী দল। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডসে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের সন্ধানও মিলেছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
আবদুর রহমানের নিজের ও তাঁর সন্তানদের নামে কানাডার নাগরিকত্ব থাকার তথ্যও পেয়েছে দুদক।
আওয়ামী লীগের এই নেতার দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধানের বিষয়ে দুদকের পরিচালক মো. রফিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুদকের অনুসন্ধানে তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে এখনই বিস্তারিত বলার সুযোগ নেই। কমিশনে তাঁর বিষয়ে মামলার অনুমোদন চেয়ে সুপারিশ করা হবে। অনুমোদন পেলেই মামলা করা হবে।’
দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ থাকা আবদুর রহমানের মতো সাবেক অন্তত ৫০ জন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের বিষয়ে বিভিন্ন দেশে আইনি সহায়তা চেয়ে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠানো হয়েছে। এর জবাব পেলে তাঁদের বিষয়ে আরও নতুন তথ্য জানা যাবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের দীর্ঘ দেড় দশকের স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের অনেক কেন্দ্রীয় নেতার দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ আগস্ট আবদুর রহমানসহ চার সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীর দুর্নীতির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দুদকের অনুসন্ধানকারী দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৬ অক্টোবর আবদুর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত। তবে সর্বশেষ গত ৮ ডিসেম্বর ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল সভায় লন্ডন থেকে সাবেক এই মন্ত্রীকে অংশ নিতে দেখা গেছে। এ ছাড়া লন্ডনের রাস্তায় তাঁর দলের কর্মসূচির লিফলেট বিতরণের ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় এসেছে।
তদন্তের প্রয়োজেন গত ১ জানুয়ারি আবদুর রহমান ও তাঁর পরিবারের চার সদস্যের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে সরকারি তফসিলভুক্ত ব্যাংকগুলোতে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চিঠিতে আবদুর রহমান, তাঁর স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলের ব্যাংক হিসাবের সব লেনদেনের তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
আবদুর রহমান ২০০৮, ২০১৪ ও ২০২৪—এই তিন সাধারণ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নিজের আসনের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ-বাণিজ্য, কাবিখা-কাবিটার টাকা আত্মসাৎ, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে তাঁকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। ২০২৪ সালে আসনটি থেকে নির্বাচিত হলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আবদুর রহমানের বিদেশে নিজের নামে বাড়িসহ বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ নিয়ে শিগগিরই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হতে পারে। কমিশনের তদন্তসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে এ কথা জানিয়েছেন। তদন্তে আবদুর রহমানের কানাডায় নাগরিকত্ব থাকারও তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদকের সূত্রটি বলেছেন, সাবেক মৎস্যমন্ত্রী মো. আবদুর রহমান তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিজের পরিবারসহ স্বজনদের নামে বিপুল অর্থসম্পদ অর্জন করেছেন। নিজের গ্রামের বাড়ি মধুখালীর কামালদিয়া এলাকায় স্ত্রী-মেয়েদের নামে কিনেছেন বহু বিঘা জমি। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানেও তাঁর একাধিক প্লট-ফ্ল্যাটসহ সম্পদের তথ্য রয়েছে দুদকের হাতে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, তাঁদের অনুসন্ধানে ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্যের নামে পূর্বাচলে একাধিক প্লট থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তাঁর স্ত্রী ডা. মির্জা নাহিদা হোসেন বন্যা, মেয়ে ইভানা রহমান ও ইশরা রহমান এবং ছেলে সামী রহমানের ব্যাংক হিসাবে মিলেছে বিপুল অঙ্কের স্থায়ী আমানত। এ অর্থের বেশির ভাগই তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত উপায়ে অর্জিত বলে মনে করা হচ্ছে। শান্তা দিগন্ত টাওয়ার-২-এ দুটি ফ্ল্যাটসহ (৩/ই ও ৩/৩ নম্বর) রাজধানীতে তাঁদের নামে থাকা চারটি ফ্ল্যাটের সন্ধান পাওয়ার কথা বলেছে দুদকের অনুসন্ধানকারী দল। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডসে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের সন্ধানও মিলেছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
আবদুর রহমানের নিজের ও তাঁর সন্তানদের নামে কানাডার নাগরিকত্ব থাকার তথ্যও পেয়েছে দুদক।
আওয়ামী লীগের এই নেতার দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধানের বিষয়ে দুদকের পরিচালক মো. রফিকুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুদকের অনুসন্ধানে তাঁর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে এখনই বিস্তারিত বলার সুযোগ নেই। কমিশনে তাঁর বিষয়ে মামলার অনুমোদন চেয়ে সুপারিশ করা হবে। অনুমোদন পেলেই মামলা করা হবে।’
দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে জানান, বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ থাকা আবদুর রহমানের মতো সাবেক অন্তত ৫০ জন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের বিষয়ে বিভিন্ন দেশে আইনি সহায়তা চেয়ে মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠানো হয়েছে। এর জবাব পেলে তাঁদের বিষয়ে আরও নতুন তথ্য জানা যাবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের দীর্ঘ দেড় দশকের স্বৈরশাসনের পতন ঘটে। ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হওয়ার পর আওয়ামী লীগের অনেক কেন্দ্রীয় নেতার দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ আগস্ট আবদুর রহমানসহ চার সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীর দুর্নীতির অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দুদকের অনুসন্ধানকারী দলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৬ অক্টোবর আবদুর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত। তবে সর্বশেষ গত ৮ ডিসেম্বর ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল সভায় লন্ডন থেকে সাবেক এই মন্ত্রীকে অংশ নিতে দেখা গেছে। এ ছাড়া লন্ডনের রাস্তায় তাঁর দলের কর্মসূচির লিফলেট বিতরণের ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় এসেছে।
তদন্তের প্রয়োজেন গত ১ জানুয়ারি আবদুর রহমান ও তাঁর পরিবারের চার সদস্যের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে সরকারি তফসিলভুক্ত ব্যাংকগুলোতে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। চিঠিতে আবদুর রহমান, তাঁর স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলের ব্যাংক হিসাবের সব লেনদেনের তথ্য দিতে বলা হয়েছে।
আবদুর রহমান ২০০৮, ২০১৪ ও ২০২৪—এই তিন সাধারণ নির্বাচনে ফরিদপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নিজের আসনের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ-বাণিজ্য, কাবিখা-কাবিটার টাকা আত্মসাৎ, টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে তাঁকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। ২০২৪ সালে আসনটি থেকে নির্বাচিত হলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে।
তামিম রাতে ইটেরপুল এলাকায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ তিনটি মোটরসাইকেলে একদল দুর্বৃত্ত এসে তামিমের উপর হামলা চালায়। এ সময় তামিমকে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
১১ মিনিট আগেবগুড়া ডিবি পুলিশের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক ইকবাল বাহার এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ’মতিন সরকারের বিরুদ্ধে ডজনখানেক হত্যা মামলা ছাড়াও অস্ত্র, মাদক আইনেও একাধিক মামলা রয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নতুন করে একাধিক হত্যা মামলায় আসামি হওয়ায় তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। জেলা ডিবির একটি টিম গোপন সংবাদে
২৫ মিনিট আগেবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বোরহানউদ্দিন উপজেলা শাখার সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে দেউলা ইউনিয়ন শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো: রাকিব ব্যাপারি ও একই উপজেলার টবগী ইউনিয়ন শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: তুহিন ফরাজীকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সাংগঠন
২৭ মিনিট আগেশনিবার (২১ জুন) রাত পৌনে ১০টার দিকে জহুরপুর বেলপাড়া সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ওই বিজিবি সদস্যকে হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু।
৪৩ মিনিট আগে