Ajker Patrika

পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে হঠাৎ মুগদায় মোটরসাইকেলে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২২, ১৭: ৫৮
পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে হঠাৎ মুগদায় মোটরসাইকেলে আগুন

বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ চলার সময় পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মুগদা ফুটওভার ব্রিজের নিচে দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়েছে। পরে পথচারী ও স্থানীয়রা আগুন নিভিয়েছেন। 

কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুগদা ফুটওভার ব্রিজের নিচে মোটরসাইকেল দুটি রাখা ছিল। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুপুর ২টার একটু পরে মোটরসাইকেল দুটিতে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

দুপুর আড়াইটার দিকে আগুনের খবর পেলেও ফায়ার সার্ভিসের কোনো ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়নি। এ তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান। 

আগুনে পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেলএ ব্যাপারে মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ‘সবুজবাগ থানা এলাকায় দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়েছে। কে বা কারা আগুন দিয়েছে, এখনো জানা যায়নি।’

বিএনপির সমাবেশস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে সবুজবাগ থানার সবুজকানন এলাকার ওভারব্রিজের নিচে বেলা আড়াইটার দিকে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা ছিল। ওই শোভাযাত্রার দুটি মোটরসাইকেল পোড়ানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। তাঁদের ধারণা, ঢাকার বাইরে থেকে সমাবেশে আসা বিএনপি কর্মীরা এই অগ্নিসংযোগ করেছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় দোকানদার সুমন নিলয় ও রাজীব আহমেদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেলা আড়াইটার সময় সবুজবাগ থানা আওয়ামী ও যুবলীগের নেতারা সবুজকানন এলাকার অতীশ দীপঙ্কর সড়কে কয়েকবার বাইক শোডাউন করে ও স্লোগান দিতে থাকে। এসময় একদল লোক তাদের ধাওয়া করে সবুজকানন ফুটওভার ব্রিজের নিচে আসে।

ধাওয়া খেয়ে এলোমেলো হয়ে যায় বাইক শোডাউন এবং দুটি বাইক পড়ে যায়।  একা পেয়ে বাইক দুটিতে আগুন দিয়ে তাদের দুজনকে মারধর করা হয়। আহত দুজন মুগদা হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের একজন যুবলীগ কর্মী মাসুম ওরফে জগত।

সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আশরাফুজ্জামান ফরিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের নির্ধারিত কর্মসূচিতে বিএনপি নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়ে কর্মীদের মারধর করেছে। দুটি বাইকে অগ্নিসংযোগ করেছে। আমাদের একজন যুবলীগ কর্মী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।’

মোটরবাইকে আগুন কে দিল— এই প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আমরা কাউকে চিনতে পারিনি। এরা সবাই ঢাকার বাইরে থেকে বিএনপির সমাবেশে আসা লোকজন।’

অগ্নিসংযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মতিঝিল বিভাগের উপ কমিশনার হায়াতুল ইসলাম খান বলেন, ‘সবুজবাগ থানা এলাকায় দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়েছে। কে বা কারা আগুন দিয়েছে এখনো জানা যায়নি।’

এই ঘটনার পর থেকে সবুজকানন ওভার ব্রিজ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আশেপাশের এলাকার দোকানপাট বন্ধ করে রাখা হয়েছে। বিকেল ৪টার দিকে এখানে সবুজবাগ থানা ছাত্রদলের ব্যানারে মিছিল করতে দেখা গেছে। এর আধাঘন্টা পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের আবার বাইক শোডাউন দিতে দেখা গেছে।

এর আগে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখায় কর্মরত এক এডিসি নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, ‘কোনো ঘটনা ঘটার আগ পর্যন্ত নিজ থেকে কিছু করব না আমরা। যদি নাশকতা কিংবা হামলার মতো পরিস্থিতি হয়, তবেই অ্যাকশনে যাবে পুলিশ।’

দুপুর ১২টার দিকে দেখা যায়, গোলাপবাগ থেকে মুগদা স্টেডিয়ামের দূরত্ব এক কিলোমিটারের বেশি। পুরো রাস্তাজুড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা, যা ছুঁয়েছে বাসাবো পর্যন্ত। স্টেডিয়ামের সামনে টিটিপাড়া চেকপোস্টে দেখা মিলল পুলিশের বড় জমায়েত। রায়ট কার, এপিসি, পানি মারার গাড়িসহ জমায়েত ছত্রভঙ্গ করার সবকিছুই এখানে দাঁড় করানো। পুরো রাস্তাতেই নিরাপত্তার জন্য ছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

বিএনপির সমাবেশ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পিটুনিতে নিহত সেই শামীম মোল্লাকে বহিষ্কার করল জাবি প্রশাসন, সমালোচনার ঝড়

১০-১২তম গ্রেডে নিয়োগ: প্রতি পদের বিপরীতে দুজন থাকবেন অপেক্ষমাণ

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

মধুপুরে বিদ্যালয়ে ঢুকে শিক্ষককে জুতাপেটা

র‍্যাবকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার ঠেকাতে হচ্ছে নতুন আইন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত