Ajker Patrika

সাভারে বংশী নদীর তীরে দখলদারদের উচ্ছেদে আবারও অভিযান 

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৩, ১০: ২০
সাভারে বংশী নদীর তীরে দখলদারদের উচ্ছেদে আবারও অভিযান 

আদালতের নির্দেশে সাভার উপজেলার নামাবাজার এলাকার বংশী নদী ও নদীর তীর দখলমুক্ত করার পর আবার সেখানে কয়েক শ অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে। উপজেলা প্রশাসন আজ শনিবার আবারও অভিযান চালিয়ে সেই সব স্থাপনার বেশ কয়েকটি ভেঙে দিয়েছে। 

জানতে চাইলে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘নদীর জায়গা চিহ্নিত করে পুনরায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে নদীর জায়গা দখলে রাখার সুযোগ নেই। তবে খাসজমি একসনা লিজ দেওয়া হচ্ছে।’

আজ শনিবার নামাবাজার এলাকায় গিয়ে চালপট্টির উত্তর পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে দেখা যায়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুটি এক্সকাভেটর দিয়ে ৮ থেকে ১০টি আধাপাকা স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন সাভার রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসমাইল হোসেন। 

জানা গেছে, হাইকোর্টের নির্দেশে বংশী নদী ও নদীতীরের সাভার নামাবাজার অংশে ২০২২ সালের অক্টোবরের ২৮ থেকে ৩১ তারিখ পর্যন্ত চার দিনব্যাপী উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই অভিযানে ২৮৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। এতে নদীর চার একর জায়গা ও ৪০ শতাংশ খাসজমি দখলমুক্ত হয়েছিল। উচ্ছেদ তালিকার বাইরে আরও শতাধিক দখলদার ছিল, যারা এখনো উচ্ছেদের আওতায় আসেনি।

উচ্ছেদ এলাকার বাইরের ব্যবসায়ীরা জানান, উচ্ছেদের পরপরই উচ্ছেদ হওয়া দখলদারেরা সংগঠিত হয়ে ‘সাভার উত্তর নামাবাজার আড়ৎদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি’ গড়ে তোলে। 

সমিতির কার্যালয় হিসেবে প্রথমে নদীর জায়গায় অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। বিভিন্ন পর্যায়ে ম্যানেজ করার কথা বলে ওই সমিতির মাধ্যমে দোকানমালিকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হয়। এরপর বিনা বাধায় উচ্ছেদ করা অংশ পুনরায় দখল হয়ে যায়। টিনের ঘরের পরিবর্তে নির্মাণ করা হয় আধা পাকা স্থাপনা। 

হাইকোর্টে রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার বাকির হোসেন মৃধা বলেন, ‘উচ্ছেদ হওয়া অংশ পুনরায় দখল হয়ে যাওয়ার বিষয়ে আজকের পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি তিনি হাইকোর্টের নজরে আনেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৮ জুলাই সাভারের ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব করে সিএস নকশা অনুযায়ী নদীর জায়গা চিহ্নিত করে দখলদারদের প্রতিবেদন দিতে বলেন আদালত। এর কয়েক দিন পর আজ শনিবার পুনরায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।’

সাভারের সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় থেকে জানা যায়, ইউএনওকে আদালতে তলব করার আগে দখলদারদের আধা শতাংশ করে জমি লিজ দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক দখলদারকে আধা শতাংশ করে জমি লিজ দেওয়া হয়েছে। আপাতত লিজ প্রক্রিয়া বন্ধ আছে। 

ব্যবসায়ীরা জানান, আধা শতাংশ করে জমি লিজ দেওয়া হলেও একেকজন ৩ থেকে ১৫ শতাংশ করে জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। লিজের শর্ত অনুযায়ী আধা পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা না গেলেও অবৈধভাবে নির্মিত প্রতিটি স্থাপনাই আধা পাকা। 

জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘যাঁরা আধা শতাংশ জমি ইজারা নিয়ে এর বাইরেও জমি দখলে রেখেছেন, তাঁদের বাড়তি অংশ ভেঙে দেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অপারেশন সিঁদুরে নিহত প্রায় দেড় শ সেনার তালিকা প্রকাশ করে মুছে ফেলল পাকিস্তানি টিভি

ঢাবিতে পাঁচ প্যানেলে ভোটের যুদ্ধ

এনবিআর কর্মকর্তার কাণ্ড: কৃত্রিম অঙ্গের ঘোষণা দিয়ে ৪৫০ টন গয়না আমদানি

দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এনসিপির মাহিন সরকারকে বহিষ্কার

যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকারকে বহিষ্কারের কারণ জানাল এনসিপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত