Ajker Patrika

সহজ শর্তে লোন পাইয়ে দেওয়ার নামে ২ কোটি টাকা আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার দুই

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সহজ শর্তে বিদেশি ব্যাংক থেকে লোন পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভনে ২ কোটি ৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (পিবিআই) ঢাকা মেট্রো (উত্তর)। অভিযানে প্রতারণায় ব্যবহৃত বিভিন্ন আলামতও জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. সফিকুল ইসলাম ও ড. সিপার আহমেদ। ১৯ জুন তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ২০ জুন আদালতে সোপর্দ করা হলে সফিকুল ইসলাম ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্ত চলছে।

আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই ঢাকা মেট্রোর (উত্তর) অতিরিক্ত উপপুলিশ মহাপরিদর্শক মো. এনায়েত হোসেন মান্নান জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা অভিনব কায়দায় নিজেদের ব্যাংক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ২ কোটি ৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তদন্তে প্রতারণার সত্যতা মিলেছে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পিবিআই জানায়, দিনাজপুর জেলার চিলিহাটিবন্দর থানার এমএইচ ব্রিক ফিল্ড ও অটো রাইস মিলের মালিক মো. নুর আমিন শাহ ব্যবসা প্রসারের জন্য অর্থসংকটে পড়লে তাঁর পরিচিত ব্যবসায়ী খন্দকার শাহ আলমের মাধ্যমে প্রতারক চক্রের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। শাহ আলম ভুক্তভোগীর সঙ্গে সফিকুল ইসলামকে পরিচয় করিয়ে দেন, যিনি নিজেকে ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দেন। পরে সফিকুল তাঁকে সিপার আহমেদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন, যিনি নিজেকে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা হিসেবে উপস্থাপন করেন। তদন্তে জানা যায়, সিপার আহমেদ প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটির চাকরিচ্যুত সাবেক পরিচালক।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে রাজধানীর একটি হোটেলের লবিতে দেখা করে তাঁরা নুর আমিন শাহকে বিদেশি ব্যাংক, বিশেষ করে—ব্র্যাক, লংকাবাংলা কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো উৎস থেকে ৫০ কোটি টাকা লোনের প্রতিশ্রুতি দেন। বিনিময়ে ২ শতাংশ কমিশনের পাশাপাশি নানাবিধ ‘প্রক্রিয়াগত খরচ’ দাবি করেন। ভুক্তভোগী ধাপে ধাপে নগদ, ব্যাংক ট্রান্সফারসহ মোট ২ কোটি ৬ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। এর মধ্যে শুধু নগদেই ৮৬ লাখ টাকা দেওয়া হয় এবং বাকি অর্থ ব্যাংক ও মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়।

প্রতারকদের বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করতে তাঁরা ভুক্তভোগীর সঙ্গে ভুয়া চুক্তিপত্র করেন এবং ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকার ১৩টি চেক হস্তান্তর করেন। এ ছাড়া ‘জাইকা’র কাছ থেকে ৭ কোটি টাকা অনুদান পাইয়ে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে জামানতের নামে ভুক্তভোগীর স্বাক্ষরিত আরও আটটি চেক সংগ্রহ করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা এসআই (নিরস্ত্র) মো. সিরাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে পিবিআইয়ের একটি দল তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পল্লবী থেকে সফিকুল ইসলাম এবং বনানী থেকে সিপার আহমেদকে গ্রেপ্তার করে। অভিযানে চারটি মোবাইল ফোন, কালো রঙের টয়োটা ক্লুগার প্রাইভেট কার, আটটি সিম কার্ড, ভয়েস রেকর্ড, ছয়টি ভুয়া চুক্তিপত্র এবং অগ্রণী, ইসলামি ও বেসিক ব্যাংকের মোট ১৩টি চেক জব্দ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইরানের ‘দানবীয় ক্ষেপণাস্ত্রের’ সামনে উন্মুক্ত ইসরায়েলের ‘অ্যাকিলিস হিল’

ভারতীয় বিমানবন্দরে ১১ দিন ধরে পড়ে আছে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, ঘনাচ্ছে রহস্য

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল আজ, যেভাবে দেখবেন

মা-মেয়ের ত্রিভুজ প্রেম, বিয়ে ও একটি খুন

মামদানি শতভাগ কমিউনিস্ট উন্মাদ, দেখতেও খারাপ: ট্রাম্প

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত