নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিদ্যুতায়িত হয়ে হাতের কবজি হারানো সাত বছরের আব্দুল্লাহ এখনো জানে না, তার হাত নেই। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লায় একটি বাসার চার তলার পাশের বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে হাতের কবজি হারায় সে। দুই পা ও শরীরের বাম পাশও দগ্ধ হয়েছে। বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। ধীরে ধীরে তার অবস্থার উন্নতি হলেও চোখে মুখে লেগে আছে আতঙ্ক।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডের ২ নম্বর শয্যায় আব্দুল্লাহ ডান পাশে কাত হয়ে ঘুমিয়ে আছে। কবজি হারানো বাম হাতে ভারী ব্যান্ডেজ। বাম কাঁধ থেকে দুই পা পর্যন্ত ব্যান্ডেজ। শয্যার পাশেই তার মামা আব্দুল কাদের ও মা মমতাজ বেগম দাঁড়িয়ে আছেন।
মমতাজ বেগম ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, কুমিল্লা নগরীর তেলিকোনা চৌমুহনী এলাকার মানিক মিয়া টাওয়ারের ষষ্ঠ তলায় তিন সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকেন মমতাজ ও শামীম উদ্দিন দম্পতি। ভবনের তৃতীয় তলার একটি মাদ্রাসায় বড় দুই ছেলে মোহাম্মদ ও আহম্মদ লেখাপড়া করে। ষষ্ঠ তলা থেকে তৃতীয় তলার মাদ্রাসায় ছেলেদের বারবার ওঠানামায় কষ্ট হওয়া, তাই চলতি মাসে চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে ওঠেন তাঁরা। গত বৃহস্পতিবার বাসা পরিবর্তন করার শেষ মুহূর্তে ওই বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ গ্রিড লাইনের তারে বিদ্যুতায়িত হয় ছোট ছেলে আব্দুল্লাহ।
সবাই তখন ষষ্ঠ তলার ফ্ল্যাট থেকে চতুর্থ তলায় মালপত্র সরানোর কাজে ব্যস্ত, কোনো এক ফাঁকে আব্দুল্লাহ চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটের বারান্দায় যায়। সেখানে গিয়ে সে বাইরে থাকা তারে হাত দেয়। বিদ্যুতায়িত হয়ে হাতের কবজি ছিঁড়ে সেখানেই সে পড়ে ছিল।
মমতাজ বেগম গিয়ে আব্দুল্লাহকে সংজ্ঞাহীন পড়ে থাকতে দেখেন। তার শরীর কাঁপছিল, মুখ থেকে লালা বের হচ্ছিল। তিনি ভেবেছিলেন, ছেলে আর জীবিত নেই! চারদিকে পোড়া গন্ধ আর ধোয়া। কোলে নিয়ে দৌড়ে নিচে নামেন। এরপর আব্দুল্লাহর বাবা শামীম উদ্দিন তাকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, পরে গত বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।
আব্দুল্লাহর শয্যাপাশে বসে থাকা মমতাজ বেগমের প্রশ্ন, ‘এর দায় কে নেবে?’
ছোট্ট আব্দুল্লাহ এখনো জানে না তার বাম হাত নেই। তার চোখে মুখে আতঙ্ক। কথা বলছে কম। কেউ ডাকলেও এক সময়ের চঞ্চল আব্দুল্লাহ এখন সাড়া দিচ্ছে কম।
আব্দুল্লাহর মামা আব্দুল কাদের বলেন, ‘ভয়তে আব্দুল্লাহ কথা বলছে না, সারা দিন রাত ডান দিকে কাত হয়ে শুয়ে থাকে। কিছুই বলছে না। ঘটনার পর থেকে চুপ হয়ে গেছে। সে জানে না তার হাত নেই। ব্যান্ডিজের ভেতরে আহত আছে, এটাই সে মনে করছে। ওই বাড়িতেও আর যেতে চায় না। এমন ভয় সে পেয়েছে!’
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, আব্দুল্লাহর শারীরিক অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তাকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শনিবারও সে এই ওয়ার্ডে থাকবে। তার আরও পরীক্ষা–নিরীক্ষা চলছে। আরও ২৪ ঘণ্টা পর তার বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে।
বিদ্যুতায়িত হয়ে হাতের কবজি হারানো সাত বছরের আব্দুল্লাহ এখনো জানে না, তার হাত নেই। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লায় একটি বাসার চার তলার পাশের বৈদ্যুতিক তারে বিদ্যুতায়িত হয়ে হাতের কবজি হারায় সে। দুই পা ও শরীরের বাম পাশও দগ্ধ হয়েছে। বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। ধীরে ধীরে তার অবস্থার উন্নতি হলেও চোখে মুখে লেগে আছে আতঙ্ক।
শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডের ২ নম্বর শয্যায় আব্দুল্লাহ ডান পাশে কাত হয়ে ঘুমিয়ে আছে। কবজি হারানো বাম হাতে ভারী ব্যান্ডেজ। বাম কাঁধ থেকে দুই পা পর্যন্ত ব্যান্ডেজ। শয্যার পাশেই তার মামা আব্দুল কাদের ও মা মমতাজ বেগম দাঁড়িয়ে আছেন।
মমতাজ বেগম ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, কুমিল্লা নগরীর তেলিকোনা চৌমুহনী এলাকার মানিক মিয়া টাওয়ারের ষষ্ঠ তলায় তিন সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকেন মমতাজ ও শামীম উদ্দিন দম্পতি। ভবনের তৃতীয় তলার একটি মাদ্রাসায় বড় দুই ছেলে মোহাম্মদ ও আহম্মদ লেখাপড়া করে। ষষ্ঠ তলা থেকে তৃতীয় তলার মাদ্রাসায় ছেলেদের বারবার ওঠানামায় কষ্ট হওয়া, তাই চলতি মাসে চতুর্থ তলার একটি ফ্ল্যাটে ওঠেন তাঁরা। গত বৃহস্পতিবার বাসা পরিবর্তন করার শেষ মুহূর্তে ওই বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ গ্রিড লাইনের তারে বিদ্যুতায়িত হয় ছোট ছেলে আব্দুল্লাহ।
সবাই তখন ষষ্ঠ তলার ফ্ল্যাট থেকে চতুর্থ তলায় মালপত্র সরানোর কাজে ব্যস্ত, কোনো এক ফাঁকে আব্দুল্লাহ চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটের বারান্দায় যায়। সেখানে গিয়ে সে বাইরে থাকা তারে হাত দেয়। বিদ্যুতায়িত হয়ে হাতের কবজি ছিঁড়ে সেখানেই সে পড়ে ছিল।
মমতাজ বেগম গিয়ে আব্দুল্লাহকে সংজ্ঞাহীন পড়ে থাকতে দেখেন। তার শরীর কাঁপছিল, মুখ থেকে লালা বের হচ্ছিল। তিনি ভেবেছিলেন, ছেলে আর জীবিত নেই! চারদিকে পোড়া গন্ধ আর ধোয়া। কোলে নিয়ে দৌড়ে নিচে নামেন। এরপর আব্দুল্লাহর বাবা শামীম উদ্দিন তাকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, পরে গত বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।
আব্দুল্লাহর শয্যাপাশে বসে থাকা মমতাজ বেগমের প্রশ্ন, ‘এর দায় কে নেবে?’
ছোট্ট আব্দুল্লাহ এখনো জানে না তার বাম হাত নেই। তার চোখে মুখে আতঙ্ক। কথা বলছে কম। কেউ ডাকলেও এক সময়ের চঞ্চল আব্দুল্লাহ এখন সাড়া দিচ্ছে কম।
আব্দুল্লাহর মামা আব্দুল কাদের বলেন, ‘ভয়তে আব্দুল্লাহ কথা বলছে না, সারা দিন রাত ডান দিকে কাত হয়ে শুয়ে থাকে। কিছুই বলছে না। ঘটনার পর থেকে চুপ হয়ে গেছে। সে জানে না তার হাত নেই। ব্যান্ডিজের ভেতরে আহত আছে, এটাই সে মনে করছে। ওই বাড়িতেও আর যেতে চায় না। এমন ভয় সে পেয়েছে!’
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পর্যবেক্ষণ ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, আব্দুল্লাহর শারীরিক অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তাকে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শনিবারও সে এই ওয়ার্ডে থাকবে। তার আরও পরীক্ষা–নিরীক্ষা চলছে। আরও ২৪ ঘণ্টা পর তার বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে।
তিনি টেকের বাজারে কাগজপত্র ফটোকপি করতে গেলে স্থানীয় বিএনপির কর্মী গিয়াস উদ্দিন দেওয়ান, তাঁর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম জিসান এবং সহযোগী আজমাইন চৌধুরীসহ আরও তিন-চারজন মিলে তাঁর পথরোধ করে। একপর্যায়ে গিয়াস উদ্দিন বাঁশের লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করেন এবং অন্যরা এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
৩৯ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে বন্দুক দিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকির অভিযোগে অস্ত্রধারী এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের আমগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম শাহজাহান ভূঁইয়া।
১ ঘণ্টা আগে২২ জুন রাতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সাচড়া ইউনিয়নের দেউলা শিবপুর গ্রামের দুটি পরিবারের জন্য হাফিজ ইব্রাহিমের পক্ষ থেকে ২৩ জুন (সোমবার) সকালে এক লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে উপজেলা বিএনপি। মিছির কাজীর ছেলে মোজাম্মেলকে ৭০ হাজার ও আজাহার চৌকিদারকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
১ ঘণ্টা আগেসাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে তাঁর আটকের আগে যেভাবে আচরণ করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
১ ঘণ্টা আগে