মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জ জেলায় বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত। সাম্প্রতিক সময়ের বেশ কয়েকটি ঘটনায় উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও এলাকাবাসী। কিশোর গ্যাং নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
গত ২৪ মার্চ প্রাইভেট শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে মানিকগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় রোডের তালতলায় তন্ময় নামের ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ব্যাংঙ সাব্বিরের অনুসারীরা।
গত ১৬ মার্চ রাতে নগর ভবন এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক হামজা খানের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন কিশোর গ্যাংয়ের আরেক গ্রুপ সোহানসহ তাঁর অনুসারীরা।
গত ১৪ ও ১২ মার্চ বেউথা ব্রিজের ওপর পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে।
নিজেদের আধিপত্য বিস্তার, নারী সংক্রান্ত বিষয়সহ সিনিয়র-জুনিয়রের মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবং কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রতিনিয়ত এসব হামলার শিকার হচ্ছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। এসব ঘটনায় সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত অভিভাবকেরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিশোর গ্যাং সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ শহরের সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ শহীদ মিনার, দেবেন্দ্র কলেজছাত্র হোস্টেল, নগর ভবন, গার্লস স্কুল রোডের তালতলা, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, এসপি অফিসের সামনে মামার চায়ের দোকান, বেউথা ভাবির চায়ের দোকান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অফিস, টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন পৌর মার্কেট কিশোর গ্যাং সদস্যদের আড্ডার স্থান হিসেবে পরিচিত। এসব স্থানে যারা নিয়মিত আড্ডা দেন, তাঁরা জেলা শহরের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সরকারি চাকরিজীবীর সন্তান। ফলে পুলিশ বিষয়গুলো এড়িয়ে যায়।
কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগদান না করা, নিজেদের আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, সিনিয়র-জুনিয়র বিরোধ, প্রেমঘটিত ঘটনা, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে না মেশার কারণে বেশির ভাগ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার ছানু বলেন, সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের ছত্র ছায়ায় দিন দিন গড়ে ওঠা কিশোর গ্যাংয়ের বেপরোয়া সদস্যদের কর্মকাণ্ডে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া সন্তানদের চলাচল নিয়ে চিন্তিত পরিবার। পুলিশ প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা, রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছা থাকলে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ সম্ভব, না হলে আগামীতে কিশোর গ্যাংয়ের ভয়াবহতা আরও বাড়বে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কোরাইশী সুমন বলেন, সারা দেশের মতো মানিকগঞ্জে কিশোর গ্যাং সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হওয়ায় এর বিরুদ্ধে দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। জেলার সুনাম বিনষ্টকারী কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে এবং এর বিপক্ষে ছাত্রলীগ সর্বোচ্চ শক্তিশালী অবস্থানে আগেও ছিল, এখনো রয়েছে। এসব অপকর্মে যারা জড়িত থাকবে, তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশের কঠোর আইনি পদক্ষেপ চান জেলা ছাত্রলীগের এই নেতা।
মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান বলেন, যারা নাবালক-আন্ডারএইজ, তাঁদের ক্ষেত্রে পুলিশকে সতর্কতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এটার বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন দরকার। পরিবারকে পাশে নিয়ে কাজ করতে হবে। ছেলে-মেয়ে মাদকসেবীর সঙ্গে ঘুরাফেরা করে নাকি এ বিষয়ে নজর রাখতে হবে।
গোলাম আজাদ খান বলেন, ‘আমাদের কমিউনিটি পুলিশ আছে, বিট পুলিশ আছে, আমরা উঠান বৈঠক করি, অভিবাবকদের নিয়ে উঠান বৈঠক করে যাচ্ছি। শুধুমাত্র পুলিশের ওপর নির্ভর করে মাদক নির্মূল ও মারামারি নির্মূল সম্ভব না। এ ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
গত ছয় মাসের হিসেব অনুযায়ী, জেলার সাতটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং সিনিয়র-জুনিয়রের মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় অর্ধশতাধিক মারামারির ঘটনা ঘটেছে। কিশোর গ্যাং সদস্যদের এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
মানিকগঞ্জ জেলায় বেড়েছে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত। সাম্প্রতিক সময়ের বেশ কয়েকটি ঘটনায় উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও এলাকাবাসী। কিশোর গ্যাং নির্মূলে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
গত ২৪ মার্চ প্রাইভেট শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে মানিকগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় রোডের তালতলায় তন্ময় নামের ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ব্যাংঙ সাব্বিরের অনুসারীরা।
গত ১৬ মার্চ রাতে নগর ভবন এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক হামজা খানের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন কিশোর গ্যাংয়ের আরেক গ্রুপ সোহানসহ তাঁর অনুসারীরা।
গত ১৪ ও ১২ মার্চ বেউথা ব্রিজের ওপর পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে।
নিজেদের আধিপত্য বিস্তার, নারী সংক্রান্ত বিষয়সহ সিনিয়র-জুনিয়রের মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবং কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রতিনিয়ত এসব হামলার শিকার হচ্ছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। এসব ঘটনায় সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত অভিভাবকেরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিশোর গ্যাং সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ শহরের সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ শহীদ মিনার, দেবেন্দ্র কলেজছাত্র হোস্টেল, নগর ভবন, গার্লস স্কুল রোডের তালতলা, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, এসপি অফিসের সামনে মামার চায়ের দোকান, বেউথা ভাবির চায়ের দোকান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অফিস, টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ সংলগ্ন পৌর মার্কেট কিশোর গ্যাং সদস্যদের আড্ডার স্থান হিসেবে পরিচিত। এসব স্থানে যারা নিয়মিত আড্ডা দেন, তাঁরা জেলা শহরের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সরকারি চাকরিজীবীর সন্তান। ফলে পুলিশ বিষয়গুলো এড়িয়ে যায়।
কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগদান না করা, নিজেদের আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, সিনিয়র-জুনিয়র বিরোধ, প্রেমঘটিত ঘটনা, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের সঙ্গে না মেশার কারণে বেশির ভাগ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার ছানু বলেন, সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের ছত্র ছায়ায় দিন দিন গড়ে ওঠা কিশোর গ্যাংয়ের বেপরোয়া সদস্যদের কর্মকাণ্ডে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া সন্তানদের চলাচল নিয়ে চিন্তিত পরিবার। পুলিশ প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা, রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছা থাকলে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ সম্ভব, না হলে আগামীতে কিশোর গ্যাংয়ের ভয়াবহতা আরও বাড়বে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কোরাইশী সুমন বলেন, সারা দেশের মতো মানিকগঞ্জে কিশোর গ্যাং সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হওয়ায় এর বিরুদ্ধে দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। জেলার সুনাম বিনষ্টকারী কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে এবং এর বিপক্ষে ছাত্রলীগ সর্বোচ্চ শক্তিশালী অবস্থানে আগেও ছিল, এখনো রয়েছে। এসব অপকর্মে যারা জড়িত থাকবে, তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশের কঠোর আইনি পদক্ষেপ চান জেলা ছাত্রলীগের এই নেতা।
মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান বলেন, যারা নাবালক-আন্ডারএইজ, তাঁদের ক্ষেত্রে পুলিশকে সতর্কতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। এটার বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন দরকার। পরিবারকে পাশে নিয়ে কাজ করতে হবে। ছেলে-মেয়ে মাদকসেবীর সঙ্গে ঘুরাফেরা করে নাকি এ বিষয়ে নজর রাখতে হবে।
গোলাম আজাদ খান বলেন, ‘আমাদের কমিউনিটি পুলিশ আছে, বিট পুলিশ আছে, আমরা উঠান বৈঠক করি, অভিবাবকদের নিয়ে উঠান বৈঠক করে যাচ্ছি। শুধুমাত্র পুলিশের ওপর নির্ভর করে মাদক নির্মূল ও মারামারি নির্মূল সম্ভব না। এ ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
গত ছয় মাসের হিসেব অনুযায়ী, জেলার সাতটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আধিপত্য বিস্তার এবং সিনিয়র-জুনিয়রের মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় অর্ধশতাধিক মারামারির ঘটনা ঘটেছে। কিশোর গ্যাং সদস্যদের এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেতিন পার্বত্য জেলার মধ্যে আগে থেকেই চিকিৎসাসেবায় পিছিয়ে খাগড়াছড়ি। তার ওপর বছরের পর বছর চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারী ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির সংকট থাকায় খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
১ ঘণ্টা আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুরে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় (২৪) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ফয়সাল আহমেদ ওরফে দুর্জয় দুর্গাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান...
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। তবে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই আগুন নিভে গেছে। এতে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে