নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলামের গাড়ি চালক দিয়ান খান আজ রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি আদালতকে বলেন, ‘আমি নিজেও গুলিবিদ্ধ হই, নায়ক সোহেল চৌধুরীও গুলিবিদ্ধ হন। আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাসায় যাই। এরপর নায়ক সোহেল চৌধুরী মারা যান।’
এই মামলার তৃতীয় সাক্ষী হিসেবে দিয়ান খানের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন বিচারক মো. জাকির হোসেন। বিপক্ষের আইনজীবীরা পরে তাকে জেরা করেন। ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৩ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
দিয়ান জবানবন্দিতে বলেন, ঘটনার রাতে বান্টি ইসলামকে নিয়ে বনানীর ট্র্যাম্পস ক্লাবে যান তিনি। বান্টি ইসলামকে নামিয়ে দিয়ে তিনি বাসায় ফিরে আসেন। রাত তিনটার দিকে আবার তিনি তাঁর মালিক বানটি ইসলামকে ক্লাব থেকে আনতে যান। সেখানে গন্ডগোল হয়। একপর্যায়ে গোলাগুলি হয়। একটি গুলি তাঁর গায়ে লাগে। তাকে স্থানীয়রা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা শেষে তিনি বাসায় ফেরেন। পরে তিনি জানতে পারেন ওই ঘটনায় নায়ক সোহেল চৌধুরী গুলিবিদ্ধ হন। তিনি মারা যান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দিয়ান গায়ে কার গুলি লাগে বা কাদের গুলিতে সোহেল চৌধুরী নিহত হয়েছেন তা তিনি উল্লেখ করেননি। জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় এই নিয়ে তিনজন সাক্ষ্য দিলেন।
সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে রফিকুল ইসলাম গত ১৪ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য দেন। এর আগে মামলা বাদী সোহেল চৌধুরীর বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী সাক্ষ্য দেন। গত ৪ সেপ্টেম্বর তার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।
দীর্ঘদিন ধরে এই মামলা নথি গায়েব হয়েছিল। গত ২৩ জানুয়ারি দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শীর্ষক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপা হওয়ার পর বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। নথি খুঁজে বের করার দাবিতে রিট আবেদন হয়। পরে নথি পাওয়া যায়। মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু এই মামলার কেস ডকেট (সিডি) খুঁজে না পাওয়ায় কয়েক মাস অতিবাহিত হয়। শেষ পর্যন্ত কেস ডকেট ছাড়াই সাক্ষ্য গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন ট্রাইব্যুনাল।
এই মামলায় আসামি আদনান সিদ্দিকী ও ফারুক আব্বাসী জামিনে আছেন। আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, সাজিদুল ইসলাম ও তারিক সাঈদ মামুনকে কারাগার আছেন। আসামি হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও সেলিম খান পলাতক রয়েছেন।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে। ঘটনার পর সোহেলের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে বাদানুবাদই এ হত্যার নেপথ্য কারণ বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন:
সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা: ১৯ বছর পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু ২০ মার্চ
সোহেল চৌধুরী হত্যা: আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: ইমনের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
সোহেল চৌধুরী হত্যা: ১৫ জুনের মধ্যে কেস ডকেট দাখিল না করলে ব্যবস্থা
সোহেল চৌধুরী হত্যা: বাদী হাজির হলেও পিছিয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণ
সোহেল চৌধুরী হত্যা: বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে লিগ্যাল নোটিশ
সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা সাক্ষ্য গ্রহণের নতুন তারিখ
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার অন্যতম আসামি আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলামের গাড়ি চালক দিয়ান খান আজ রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি আদালতকে বলেন, ‘আমি নিজেও গুলিবিদ্ধ হই, নায়ক সোহেল চৌধুরীও গুলিবিদ্ধ হন। আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাসায় যাই। এরপর নায়ক সোহেল চৌধুরী মারা যান।’
এই মামলার তৃতীয় সাক্ষী হিসেবে দিয়ান খানের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন বিচারক মো. জাকির হোসেন। বিপক্ষের আইনজীবীরা পরে তাকে জেরা করেন। ট্রাইব্যুনাল আগামী ১৩ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
দিয়ান জবানবন্দিতে বলেন, ঘটনার রাতে বান্টি ইসলামকে নিয়ে বনানীর ট্র্যাম্পস ক্লাবে যান তিনি। বান্টি ইসলামকে নামিয়ে দিয়ে তিনি বাসায় ফিরে আসেন। রাত তিনটার দিকে আবার তিনি তাঁর মালিক বানটি ইসলামকে ক্লাব থেকে আনতে যান। সেখানে গন্ডগোল হয়। একপর্যায়ে গোলাগুলি হয়। একটি গুলি তাঁর গায়ে লাগে। তাকে স্থানীয়রা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা শেষে তিনি বাসায় ফেরেন। পরে তিনি জানতে পারেন ওই ঘটনায় নায়ক সোহেল চৌধুরী গুলিবিদ্ধ হন। তিনি মারা যান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দিয়ান গায়ে কার গুলি লাগে বা কাদের গুলিতে সোহেল চৌধুরী নিহত হয়েছেন তা তিনি উল্লেখ করেননি। জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় এই নিয়ে তিনজন সাক্ষ্য দিলেন।
সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার দ্বিতীয় সাক্ষী হিসেবে রফিকুল ইসলাম গত ১৪ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য দেন। এর আগে মামলা বাদী সোহেল চৌধুরীর বড় ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী সাক্ষ্য দেন। গত ৪ সেপ্টেম্বর তার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়।
দীর্ঘদিন ধরে এই মামলা নথি গায়েব হয়েছিল। গত ২৩ জানুয়ারি দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘নায়ক খুনের মামলা গুম’ শীর্ষক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপা হওয়ার পর বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। নথি খুঁজে বের করার দাবিতে রিট আবেদন হয়। পরে নথি পাওয়া যায়। মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু এই মামলার কেস ডকেট (সিডি) খুঁজে না পাওয়ায় কয়েক মাস অতিবাহিত হয়। শেষ পর্যন্ত কেস ডকেট ছাড়াই সাক্ষ্য গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন ট্রাইব্যুনাল।
এই মামলায় আসামি আদনান সিদ্দিকী ও ফারুক আব্বাসী জামিনে আছেন। আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, সাজিদুল ইসলাম ও তারিক সাঈদ মামুনকে কারাগার আছেন। আসামি হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও সেলিম খান পলাতক রয়েছেন।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে। ঘটনার পর সোহেলের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে বাদানুবাদই এ হত্যার নেপথ্য কারণ বলে মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন:
সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা: ১৯ বছর পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু ২০ মার্চ
সোহেল চৌধুরী হত্যা: আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: ইমনের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
সোহেল চৌধুরী হত্যা: ১৫ জুনের মধ্যে কেস ডকেট দাখিল না করলে ব্যবস্থা
সোহেল চৌধুরী হত্যা: বাদী হাজির হলেও পিছিয়েছে সাক্ষ্যগ্রহণ
সোহেল চৌধুরী হত্যা: বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার বিচার দ্রুত শেষ করতে লিগ্যাল নোটিশ
সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা সাক্ষ্য গ্রহণের নতুন তারিখ
চট্টগ্রাম নগরে পরীর পাহাড়ে যাতায়াতের দুর্ভোগ কমাতে বছরখানেক আগে সড়কের পাশের ২৩ শতক জায়গার ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা ভেঙে দিয়েছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক। উচ্ছেদের পর সেখানে জনস্বার্থে প্রকল্প বাস্তবায়নের কথা ছিল। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর ডিসি রদবদল হলে সেই উদ্ধার করা জায়গা আরেক দখলদারের
২ ঘণ্টা আগেসিলেটের ১৩৩ বছরের পুরোনো এমসি কলেজ। এর ছাত্রাবাসের সপ্তম ব্লকে ১২৮ জন শিক্ষার্থীর পাশাপাশি কলেজের কয়েকজন কর্মচারীও থাকেন। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে পানির তীব্র সংকট থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। গোসল করা দূরে থাক, প্রয়োজনীয় খাওয়ার পানিও পাচ্ছেন না তাঁরা। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে চলে
২ ঘণ্টা আগেটানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে পদ্মা নদীতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল ডুবে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে পাঁচটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সাড়ে ৬ হাজার পরিবার। অন্যদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের পদ্মার চরের নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ও চলাচলের রাস্তা ডুবে গেছে। ইতিমধ্যে রামকৃষ্ণপুর
২ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে গণপিটুনিতে শ্বশুর রূপলাল দাস (৪৫) ও জামাই প্রদীপ লালের (৩৫) প্রাণহানির পেছনে আইনশৃঙ্খলাহীনতাকে দুষছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁরা বলছেন, গত কয়েক দিনের চুরি, ছিনতাই ও হত্যাকাণ্ড-সংশ্লিষ্ট অপরাধের কারণে স্থানীয় জনতার ভেতর মবের মনোভাব তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশও সেভাবে তৎপর নয়। এসব কারণেই শ্
২ ঘণ্টা আগে