নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭। উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার কাছে নরসিংদীর মাধবদী। ভূমিকম্পে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে।
গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ঢাকা, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে হাজারের বেশি মানুষ। আহত হওয়ার বেশির ভাগ ঘটনা আতঙ্কে তড়িঘড়ি করে ভবন থেকে নামতে গিয়ে।
পুরান ঢাকায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাফিউল ইসলাম (২০), আবদুর রহিম (৪৮) ও তাঁর ছেলে মেহরাব হোসেন (১২)। ঢাকার মুগদায় মাকসুদ (৫০) নামের এক নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ১০ মাসের শিশু ফাতেমা নিহত হয়েছে।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতেই প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন। এর মধ্যে সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলি এলাকার দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল (৪০) ও তাঁর ছেলে মো. ওমর (৮), পলাশ উপজেলার মালিতা পশ্চিমপাড়া গ্রামের কাজেম আলী ভূঁইয়া (৭৫) ও কাজীরচর নয়াপাড়া নাসির উদ্দিন (৬৫) এবং শিবপুরের জয়নগর ইউনিয়নের আজকীতলা গ্রামের ফোরকান মিয়া (৪৫)।
ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ভূমিকম্পের এই ঘটনায় ঢাকার বাড্ডা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, নিউমার্কেট, পঙ্গু হাসপাতালসহ নরসিংদী, গাজীপুর রাজশাহী ও চট্টগ্রামে ভবন হেলে পড়েছে ও ফাটল ধরেছে।
হঠাৎ এমন ভূমিকম্পের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ভূমিকম্প গবেষক মেহেদি আহমেদ আনসারী বলেছেন, বড় ভূমিকম্পের আগে ছোট ছোট ভূমিকম্প সতর্কসংকেত হতে পারে। তিনি মনে করিয়ে দেন—বাংলাদেশ ও আশপাশের এলাকায় গত দেড় শ বছরে একটি বড় ও পাঁচটি মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প ঘটেছে। আশপাশে শেষ বড় ভূমিকম্প হয়েছিল প্রায় ১০০ বছর আগে। তাই আরেকটি বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, গত পাঁচ বছরে যতবার ভূমিকম্প হয়েছে, এত শক্তিশালী কম্পন কমই অনুভূত হয়েছে। তিনি জানান, নতুন ভবনে বিল্ডিং কোড মানা হলেও পুরোনো ভবনগুলোর বেশির ভাগই কোনো নিয়ম মেনে নির্মাণ করা হয়নি। রাজউকের তথ্যমতে, ৯০ শতাংশ ভবন বিল্ডিং কোড লঙ্ঘন করে বানানো—এটি নিয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ করা প্রয়োজন।
ঢাকাসহ পাঁচ জেলায় হতাহতের চিত্র
ভূমিকম্পে নিহত ১০ জন ছাড়াও ঢাকা, নরসিংদী ও গাজীপুরে সহস্রাধিক মানুষ আহত হয়েছে। কেউ ভবন থেকে লাফ দিয়ে, কেউ ভূমিকম্পের সময় বাসাবাড়ি থেকে সিঁড়ি ভেঙে ধাক্কাধাক্কি করে নামতে আহত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় একটি আটতলা ভবনের পাশের দেয়াল ও কার্নিশ থেকে ইট-পালেস্তারা খসে নিচে পড়লে সেখানে থাকা ক্রেতা ও পথচারীরা আহত হন। স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁরা হলেন রাফিউল ইসলাম, আবদুর রহিম ও তাঁর ছেলে মেহরাব হোসেন। ছুটির দিন সকালে মাংস কিনতে পুরান ঢাকার বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন ব্যবসায়ী আবদুর রহিম। সঙ্গে নিয়েছিলেন স্কুলপড়ুয়া ছেলেকে। বংশালের কসাইটুলীতে নয়নের মাংসের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। তখনই ভূমিকম্প; তীব্র ঝাঁকুনিতে ভবনের ছাদের রেলিং ভেঙে পড়ে। তাতে একসঙ্গে প্রাণ হারান বাবা-ছেলে।
সেখানেই নিহত আরেকজন রাফিউল স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। আবার মুগদার মদিনাবাগে নির্মাণাধীন ভবনের রেলিং ধসে মাথায় পড়ে মাকসুদ (৫০) নামের এক নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গোলাকান্দাইল এলাকায় দেয়াল ধসে মারা গেছে ১০ মাসের শিশু ফাতেমা। শিশুটির মাসহ দুজন আহত হন।
নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলি এলাকায় ভূমিকম্পের সময় নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল থেকে ইট ধসে পাশের বাড়ির সানশেড ভেঙে পড়ে। এতে দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, তাঁর ছেলে মো. ওমর এবং দুই মেয়ে আহত হয়। প্রথমে তাদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেলোয়ার ও ওমরকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হলে চিকিৎসকেরা ওমরকে মৃত ঘোষণা করেন। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় দেলোয়ারও মারা যান। দুই মেয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে।
এদিকে পলাশ উপজেলার মালিতা পশ্চিমপাড়া গ্রামে মাটির ঘরের দেয়াল ধসে আহত কাজেম আলী ভূঁইয়া (৭৫) হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। শিবপুর উপজেলার আজকীতলা পূর্বপাড়ায় গাছ থেকে পড়ে আহত ফোরকান মিয়া (৪৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর মারা যান। ভূমিকম্পের সময়ে আতঙ্কে দৌড়াতে গিয়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে কাজীরচর নয়াপাড়ার নাসির উদ্দিন (৬৫) ঘটনাস্থলেই মারা যান বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
স্থানীয় প্রতিনিধি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গাজীপুরে আহত ৭২ জন চিকিৎসা নিতে যায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে। এর মধ্যে ৪৯ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫৩ জন চিকিৎসা নিতে আসে। ভূমিকম্পে আতঙ্কে কারখানা ভবন থেকে নামতে গিয়ে অনেক শ্রমিক আহত হয়েছেন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত গাজীপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ছিল ২৫২ জন, যাদের বেশির ভাগই পোশাকশ্রমিক। দেয়াল ধস ও ধাক্কাধাক্কিতে নামতে গিয়ে নরসিংদীতে আহত হয়ে হাসপাতাল চিকিৎসা নেয় ৪৫। তাদের মধ্যে গুরুতর তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহসীন হলের তিন শিক্ষার্থী তিনতলা ও চারতলা থেকে লাফ দিয়ে আহত হয়েছেন। সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে পা ভেঙেছেন ছাত্রদল নেতা তানভীর বারী হামিমসহ আরও অনেকে।
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বলছে, এই তথ্যের বাইরেও বহু রোগী দেশের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে এবং কোথাও কোথাও ভর্তি রয়েছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এখনো হালনাদাগ তথ্যে তা যুক্ত হয়নি। ফলে আহতের সংখ্যা হাজারের বেশি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, ভূমিকম্পের মাত্রার তুলনায় হতাহতের সংখ্যা কিছুটা বেশি হয়েছে—উৎপত্তিস্থল ছিল কাছাকাছি, তাই এমনটা হতে পারে। বেশির ভাগই প্যানিক অ্যাটাকে আহত হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অনেক ভবন ফাটল ও হেলে পড়েছে
অন্যদিকে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় ভবন হেলে পড়া ও ফাটল ধরার তথ্য পাওয়া গেছে। নিউমার্কেট থানা ভবনের ৩, ৪ ও ৫ তলায় ফাটল ধরেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহসীন হল, কবি জসীমউদ্দীন হল, স্যার এ এফ রহমান হল, মোকাররম ভবনসহ বিভিন্ন স্থানে পলেস্তারা খসে পড়েছে। উত্তর বাড্ডাসহ ঢাকার কয়েকটি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আরমানিটোলার কসাইটুলীতে একটি বহুতল ভবনে পলেস্তারার কিছু আলগা অংশ ও কিছু ইট খসে পড়েছে। খিলগাঁওয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে ইট পড়ে পাশের ভবনের একজন আহত হয়েছেন। সূত্রাপুর ও কলাবাগানে দুটি ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
গাজীপুরে ছয়তলা একটি ভবন হেলে পড়েছে এবং একটি মাদ্রাসার দেয়ালে ফাটল দেখা গেছে। টঙ্গীর স্টেশন রোডে একটি ভবন হেলে পাশের ভবনে ঠেকেছে। এতে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নরসিংদীতে সার্কিট হাউস, পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ভবনসহ বিভিন্ন ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা ফজলুল হক হলের দেয়ালে ফাটল ও পলেস্তারা খসে পড়ায় আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা দ্রুত স্থানান্তর ও হল পুনর্নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। চট্টগ্রাম নগরের মনসুরাবাদ এলাকায় একটি ছয়তলা ভবন পাঁচ বছর আগে ভূমিকম্পে কিছুটা হেলে পড়ে। এবারও কিছুটা হেলে পড়েছে।
কন্ট্রোল রুম চালু
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি দ্রুত নিরূপণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে তাৎক্ষণিকভাবে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে মাঠপর্যায়ে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০২৫৮৮১১৬৫১।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭। উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার কাছে নরসিংদীর মাধবদী। ভূমিকম্পে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে।
গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ঢাকা, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে হাজারের বেশি মানুষ। আহত হওয়ার বেশির ভাগ ঘটনা আতঙ্কে তড়িঘড়ি করে ভবন থেকে নামতে গিয়ে।
পুরান ঢাকায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাফিউল ইসলাম (২০), আবদুর রহিম (৪৮) ও তাঁর ছেলে মেহরাব হোসেন (১২)। ঢাকার মুগদায় মাকসুদ (৫০) নামের এক নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ১০ মাসের শিশু ফাতেমা নিহত হয়েছে।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতেই প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন। এর মধ্যে সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলি এলাকার দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল (৪০) ও তাঁর ছেলে মো. ওমর (৮), পলাশ উপজেলার মালিতা পশ্চিমপাড়া গ্রামের কাজেম আলী ভূঁইয়া (৭৫) ও কাজীরচর নয়াপাড়া নাসির উদ্দিন (৬৫) এবং শিবপুরের জয়নগর ইউনিয়নের আজকীতলা গ্রামের ফোরকান মিয়া (৪৫)।
ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ভূমিকম্পের এই ঘটনায় ঢাকার বাড্ডা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, নিউমার্কেট, পঙ্গু হাসপাতালসহ নরসিংদী, গাজীপুর রাজশাহী ও চট্টগ্রামে ভবন হেলে পড়েছে ও ফাটল ধরেছে।
হঠাৎ এমন ভূমিকম্পের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ভূমিকম্প গবেষক মেহেদি আহমেদ আনসারী বলেছেন, বড় ভূমিকম্পের আগে ছোট ছোট ভূমিকম্প সতর্কসংকেত হতে পারে। তিনি মনে করিয়ে দেন—বাংলাদেশ ও আশপাশের এলাকায় গত দেড় শ বছরে একটি বড় ও পাঁচটি মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প ঘটেছে। আশপাশে শেষ বড় ভূমিকম্প হয়েছিল প্রায় ১০০ বছর আগে। তাই আরেকটি বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, গত পাঁচ বছরে যতবার ভূমিকম্প হয়েছে, এত শক্তিশালী কম্পন কমই অনুভূত হয়েছে। তিনি জানান, নতুন ভবনে বিল্ডিং কোড মানা হলেও পুরোনো ভবনগুলোর বেশির ভাগই কোনো নিয়ম মেনে নির্মাণ করা হয়নি। রাজউকের তথ্যমতে, ৯০ শতাংশ ভবন বিল্ডিং কোড লঙ্ঘন করে বানানো—এটি নিয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ করা প্রয়োজন।
ঢাকাসহ পাঁচ জেলায় হতাহতের চিত্র
ভূমিকম্পে নিহত ১০ জন ছাড়াও ঢাকা, নরসিংদী ও গাজীপুরে সহস্রাধিক মানুষ আহত হয়েছে। কেউ ভবন থেকে লাফ দিয়ে, কেউ ভূমিকম্পের সময় বাসাবাড়ি থেকে সিঁড়ি ভেঙে ধাক্কাধাক্কি করে নামতে আহত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় একটি আটতলা ভবনের পাশের দেয়াল ও কার্নিশ থেকে ইট-পালেস্তারা খসে নিচে পড়লে সেখানে থাকা ক্রেতা ও পথচারীরা আহত হন। স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁরা হলেন রাফিউল ইসলাম, আবদুর রহিম ও তাঁর ছেলে মেহরাব হোসেন। ছুটির দিন সকালে মাংস কিনতে পুরান ঢাকার বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন ব্যবসায়ী আবদুর রহিম। সঙ্গে নিয়েছিলেন স্কুলপড়ুয়া ছেলেকে। বংশালের কসাইটুলীতে নয়নের মাংসের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। তখনই ভূমিকম্প; তীব্র ঝাঁকুনিতে ভবনের ছাদের রেলিং ভেঙে পড়ে। তাতে একসঙ্গে প্রাণ হারান বাবা-ছেলে।
সেখানেই নিহত আরেকজন রাফিউল স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। আবার মুগদার মদিনাবাগে নির্মাণাধীন ভবনের রেলিং ধসে মাথায় পড়ে মাকসুদ (৫০) নামের এক নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গোলাকান্দাইল এলাকায় দেয়াল ধসে মারা গেছে ১০ মাসের শিশু ফাতেমা। শিশুটির মাসহ দুজন আহত হন।
নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলি এলাকায় ভূমিকম্পের সময় নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল থেকে ইট ধসে পাশের বাড়ির সানশেড ভেঙে পড়ে। এতে দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, তাঁর ছেলে মো. ওমর এবং দুই মেয়ে আহত হয়। প্রথমে তাদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেলোয়ার ও ওমরকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হলে চিকিৎসকেরা ওমরকে মৃত ঘোষণা করেন। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় দেলোয়ারও মারা যান। দুই মেয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে।
এদিকে পলাশ উপজেলার মালিতা পশ্চিমপাড়া গ্রামে মাটির ঘরের দেয়াল ধসে আহত কাজেম আলী ভূঁইয়া (৭৫) হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। শিবপুর উপজেলার আজকীতলা পূর্বপাড়ায় গাছ থেকে পড়ে আহত ফোরকান মিয়া (৪৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর মারা যান। ভূমিকম্পের সময়ে আতঙ্কে দৌড়াতে গিয়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে কাজীরচর নয়াপাড়ার নাসির উদ্দিন (৬৫) ঘটনাস্থলেই মারা যান বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
স্থানীয় প্রতিনিধি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গাজীপুরে আহত ৭২ জন চিকিৎসা নিতে যায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে। এর মধ্যে ৪৯ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫৩ জন চিকিৎসা নিতে আসে। ভূমিকম্পে আতঙ্কে কারখানা ভবন থেকে নামতে গিয়ে অনেক শ্রমিক আহত হয়েছেন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত গাজীপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ছিল ২৫২ জন, যাদের বেশির ভাগই পোশাকশ্রমিক। দেয়াল ধস ও ধাক্কাধাক্কিতে নামতে গিয়ে নরসিংদীতে আহত হয়ে হাসপাতাল চিকিৎসা নেয় ৪৫। তাদের মধ্যে গুরুতর তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহসীন হলের তিন শিক্ষার্থী তিনতলা ও চারতলা থেকে লাফ দিয়ে আহত হয়েছেন। সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে পা ভেঙেছেন ছাত্রদল নেতা তানভীর বারী হামিমসহ আরও অনেকে।
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বলছে, এই তথ্যের বাইরেও বহু রোগী দেশের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে এবং কোথাও কোথাও ভর্তি রয়েছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এখনো হালনাদাগ তথ্যে তা যুক্ত হয়নি। ফলে আহতের সংখ্যা হাজারের বেশি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, ভূমিকম্পের মাত্রার তুলনায় হতাহতের সংখ্যা কিছুটা বেশি হয়েছে—উৎপত্তিস্থল ছিল কাছাকাছি, তাই এমনটা হতে পারে। বেশির ভাগই প্যানিক অ্যাটাকে আহত হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অনেক ভবন ফাটল ও হেলে পড়েছে
অন্যদিকে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় ভবন হেলে পড়া ও ফাটল ধরার তথ্য পাওয়া গেছে। নিউমার্কেট থানা ভবনের ৩, ৪ ও ৫ তলায় ফাটল ধরেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহসীন হল, কবি জসীমউদ্দীন হল, স্যার এ এফ রহমান হল, মোকাররম ভবনসহ বিভিন্ন স্থানে পলেস্তারা খসে পড়েছে। উত্তর বাড্ডাসহ ঢাকার কয়েকটি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আরমানিটোলার কসাইটুলীতে একটি বহুতল ভবনে পলেস্তারার কিছু আলগা অংশ ও কিছু ইট খসে পড়েছে। খিলগাঁওয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে ইট পড়ে পাশের ভবনের একজন আহত হয়েছেন। সূত্রাপুর ও কলাবাগানে দুটি ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
গাজীপুরে ছয়তলা একটি ভবন হেলে পড়েছে এবং একটি মাদ্রাসার দেয়ালে ফাটল দেখা গেছে। টঙ্গীর স্টেশন রোডে একটি ভবন হেলে পাশের ভবনে ঠেকেছে। এতে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নরসিংদীতে সার্কিট হাউস, পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ভবনসহ বিভিন্ন ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা ফজলুল হক হলের দেয়ালে ফাটল ও পলেস্তারা খসে পড়ায় আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা দ্রুত স্থানান্তর ও হল পুনর্নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। চট্টগ্রাম নগরের মনসুরাবাদ এলাকায় একটি ছয়তলা ভবন পাঁচ বছর আগে ভূমিকম্পে কিছুটা হেলে পড়ে। এবারও কিছুটা হেলে পড়েছে।
কন্ট্রোল রুম চালু
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি দ্রুত নিরূপণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে তাৎক্ষণিকভাবে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে মাঠপর্যায়ে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০২৫৮৮১১৬৫১।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭। উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার কাছে নরসিংদীর মাধবদী। ভূমিকম্পে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে।
গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ঢাকা, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে হাজারের বেশি মানুষ। আহত হওয়ার বেশির ভাগ ঘটনা আতঙ্কে তড়িঘড়ি করে ভবন থেকে নামতে গিয়ে।
পুরান ঢাকায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাফিউল ইসলাম (২০), আবদুর রহিম (৪৮) ও তাঁর ছেলে মেহরাব হোসেন (১২)। ঢাকার মুগদায় মাকসুদ (৫০) নামের এক নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ১০ মাসের শিশু ফাতেমা নিহত হয়েছে।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতেই প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন। এর মধ্যে সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলি এলাকার দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল (৪০) ও তাঁর ছেলে মো. ওমর (৮), পলাশ উপজেলার মালিতা পশ্চিমপাড়া গ্রামের কাজেম আলী ভূঁইয়া (৭৫) ও কাজীরচর নয়াপাড়া নাসির উদ্দিন (৬৫) এবং শিবপুরের জয়নগর ইউনিয়নের আজকীতলা গ্রামের ফোরকান মিয়া (৪৫)।
ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ভূমিকম্পের এই ঘটনায় ঢাকার বাড্ডা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, নিউমার্কেট, পঙ্গু হাসপাতালসহ নরসিংদী, গাজীপুর রাজশাহী ও চট্টগ্রামে ভবন হেলে পড়েছে ও ফাটল ধরেছে।
হঠাৎ এমন ভূমিকম্পের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ভূমিকম্প গবেষক মেহেদি আহমেদ আনসারী বলেছেন, বড় ভূমিকম্পের আগে ছোট ছোট ভূমিকম্প সতর্কসংকেত হতে পারে। তিনি মনে করিয়ে দেন—বাংলাদেশ ও আশপাশের এলাকায় গত দেড় শ বছরে একটি বড় ও পাঁচটি মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প ঘটেছে। আশপাশে শেষ বড় ভূমিকম্প হয়েছিল প্রায় ১০০ বছর আগে। তাই আরেকটি বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, গত পাঁচ বছরে যতবার ভূমিকম্প হয়েছে, এত শক্তিশালী কম্পন কমই অনুভূত হয়েছে। তিনি জানান, নতুন ভবনে বিল্ডিং কোড মানা হলেও পুরোনো ভবনগুলোর বেশির ভাগই কোনো নিয়ম মেনে নির্মাণ করা হয়নি। রাজউকের তথ্যমতে, ৯০ শতাংশ ভবন বিল্ডিং কোড লঙ্ঘন করে বানানো—এটি নিয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ করা প্রয়োজন।
ঢাকাসহ পাঁচ জেলায় হতাহতের চিত্র
ভূমিকম্পে নিহত ১০ জন ছাড়াও ঢাকা, নরসিংদী ও গাজীপুরে সহস্রাধিক মানুষ আহত হয়েছে। কেউ ভবন থেকে লাফ দিয়ে, কেউ ভূমিকম্পের সময় বাসাবাড়ি থেকে সিঁড়ি ভেঙে ধাক্কাধাক্কি করে নামতে আহত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় একটি আটতলা ভবনের পাশের দেয়াল ও কার্নিশ থেকে ইট-পালেস্তারা খসে নিচে পড়লে সেখানে থাকা ক্রেতা ও পথচারীরা আহত হন। স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁরা হলেন রাফিউল ইসলাম, আবদুর রহিম ও তাঁর ছেলে মেহরাব হোসেন। ছুটির দিন সকালে মাংস কিনতে পুরান ঢাকার বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন ব্যবসায়ী আবদুর রহিম। সঙ্গে নিয়েছিলেন স্কুলপড়ুয়া ছেলেকে। বংশালের কসাইটুলীতে নয়নের মাংসের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। তখনই ভূমিকম্প; তীব্র ঝাঁকুনিতে ভবনের ছাদের রেলিং ভেঙে পড়ে। তাতে একসঙ্গে প্রাণ হারান বাবা-ছেলে।
সেখানেই নিহত আরেকজন রাফিউল স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। আবার মুগদার মদিনাবাগে নির্মাণাধীন ভবনের রেলিং ধসে মাথায় পড়ে মাকসুদ (৫০) নামের এক নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গোলাকান্দাইল এলাকায় দেয়াল ধসে মারা গেছে ১০ মাসের শিশু ফাতেমা। শিশুটির মাসহ দুজন আহত হন।
নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলি এলাকায় ভূমিকম্পের সময় নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল থেকে ইট ধসে পাশের বাড়ির সানশেড ভেঙে পড়ে। এতে দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, তাঁর ছেলে মো. ওমর এবং দুই মেয়ে আহত হয়। প্রথমে তাদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেলোয়ার ও ওমরকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হলে চিকিৎসকেরা ওমরকে মৃত ঘোষণা করেন। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় দেলোয়ারও মারা যান। দুই মেয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে।
এদিকে পলাশ উপজেলার মালিতা পশ্চিমপাড়া গ্রামে মাটির ঘরের দেয়াল ধসে আহত কাজেম আলী ভূঁইয়া (৭৫) হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। শিবপুর উপজেলার আজকীতলা পূর্বপাড়ায় গাছ থেকে পড়ে আহত ফোরকান মিয়া (৪৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর মারা যান। ভূমিকম্পের সময়ে আতঙ্কে দৌড়াতে গিয়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে কাজীরচর নয়াপাড়ার নাসির উদ্দিন (৬৫) ঘটনাস্থলেই মারা যান বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
স্থানীয় প্রতিনিধি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গাজীপুরে আহত ৭২ জন চিকিৎসা নিতে যায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে। এর মধ্যে ৪৯ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫৩ জন চিকিৎসা নিতে আসে। ভূমিকম্পে আতঙ্কে কারখানা ভবন থেকে নামতে গিয়ে অনেক শ্রমিক আহত হয়েছেন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত গাজীপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ছিল ২৫২ জন, যাদের বেশির ভাগই পোশাকশ্রমিক। দেয়াল ধস ও ধাক্কাধাক্কিতে নামতে গিয়ে নরসিংদীতে আহত হয়ে হাসপাতাল চিকিৎসা নেয় ৪৫। তাদের মধ্যে গুরুতর তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহসীন হলের তিন শিক্ষার্থী তিনতলা ও চারতলা থেকে লাফ দিয়ে আহত হয়েছেন। সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে পা ভেঙেছেন ছাত্রদল নেতা তানভীর বারী হামিমসহ আরও অনেকে।
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বলছে, এই তথ্যের বাইরেও বহু রোগী দেশের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে এবং কোথাও কোথাও ভর্তি রয়েছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এখনো হালনাদাগ তথ্যে তা যুক্ত হয়নি। ফলে আহতের সংখ্যা হাজারের বেশি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, ভূমিকম্পের মাত্রার তুলনায় হতাহতের সংখ্যা কিছুটা বেশি হয়েছে—উৎপত্তিস্থল ছিল কাছাকাছি, তাই এমনটা হতে পারে। বেশির ভাগই প্যানিক অ্যাটাকে আহত হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অনেক ভবন ফাটল ও হেলে পড়েছে
অন্যদিকে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় ভবন হেলে পড়া ও ফাটল ধরার তথ্য পাওয়া গেছে। নিউমার্কেট থানা ভবনের ৩, ৪ ও ৫ তলায় ফাটল ধরেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহসীন হল, কবি জসীমউদ্দীন হল, স্যার এ এফ রহমান হল, মোকাররম ভবনসহ বিভিন্ন স্থানে পলেস্তারা খসে পড়েছে। উত্তর বাড্ডাসহ ঢাকার কয়েকটি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আরমানিটোলার কসাইটুলীতে একটি বহুতল ভবনে পলেস্তারার কিছু আলগা অংশ ও কিছু ইট খসে পড়েছে। খিলগাঁওয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে ইট পড়ে পাশের ভবনের একজন আহত হয়েছেন। সূত্রাপুর ও কলাবাগানে দুটি ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
গাজীপুরে ছয়তলা একটি ভবন হেলে পড়েছে এবং একটি মাদ্রাসার দেয়ালে ফাটল দেখা গেছে। টঙ্গীর স্টেশন রোডে একটি ভবন হেলে পাশের ভবনে ঠেকেছে। এতে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নরসিংদীতে সার্কিট হাউস, পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ভবনসহ বিভিন্ন ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা ফজলুল হক হলের দেয়ালে ফাটল ও পলেস্তারা খসে পড়ায় আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা দ্রুত স্থানান্তর ও হল পুনর্নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। চট্টগ্রাম নগরের মনসুরাবাদ এলাকায় একটি ছয়তলা ভবন পাঁচ বছর আগে ভূমিকম্পে কিছুটা হেলে পড়ে। এবারও কিছুটা হেলে পড়েছে।
কন্ট্রোল রুম চালু
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি দ্রুত নিরূপণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে তাৎক্ষণিকভাবে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে মাঠপর্যায়ে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০২৫৮৮১১৬৫১।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭। উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার কাছে নরসিংদীর মাধবদী। ভূমিকম্পে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে।
গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ঢাকা, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে হাজারের বেশি মানুষ। আহত হওয়ার বেশির ভাগ ঘটনা আতঙ্কে তড়িঘড়ি করে ভবন থেকে নামতে গিয়ে।
পুরান ঢাকায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন রাফিউল ইসলাম (২০), আবদুর রহিম (৪৮) ও তাঁর ছেলে মেহরাব হোসেন (১২)। ঢাকার মুগদায় মাকসুদ (৫০) নামের এক নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ১০ মাসের শিশু ফাতেমা নিহত হয়েছে।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতেই প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচজন। এর মধ্যে সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলি এলাকার দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল (৪০) ও তাঁর ছেলে মো. ওমর (৮), পলাশ উপজেলার মালিতা পশ্চিমপাড়া গ্রামের কাজেম আলী ভূঁইয়া (৭৫) ও কাজীরচর নয়াপাড়া নাসির উদ্দিন (৬৫) এবং শিবপুরের জয়নগর ইউনিয়নের আজকীতলা গ্রামের ফোরকান মিয়া (৪৫)।
ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ভূমিকম্পের এই ঘটনায় ঢাকার বাড্ডা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, নিউমার্কেট, পঙ্গু হাসপাতালসহ নরসিংদী, গাজীপুর রাজশাহী ও চট্টগ্রামে ভবন হেলে পড়েছে ও ফাটল ধরেছে।
হঠাৎ এমন ভূমিকম্পের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও ভূমিকম্প গবেষক মেহেদি আহমেদ আনসারী বলেছেন, বড় ভূমিকম্পের আগে ছোট ছোট ভূমিকম্প সতর্কসংকেত হতে পারে। তিনি মনে করিয়ে দেন—বাংলাদেশ ও আশপাশের এলাকায় গত দেড় শ বছরে একটি বড় ও পাঁচটি মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প ঘটেছে। আশপাশে শেষ বড় ভূমিকম্প হয়েছিল প্রায় ১০০ বছর আগে। তাই আরেকটি বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, গত পাঁচ বছরে যতবার ভূমিকম্প হয়েছে, এত শক্তিশালী কম্পন কমই অনুভূত হয়েছে। তিনি জানান, নতুন ভবনে বিল্ডিং কোড মানা হলেও পুরোনো ভবনগুলোর বেশির ভাগই কোনো নিয়ম মেনে নির্মাণ করা হয়নি। রাজউকের তথ্যমতে, ৯০ শতাংশ ভবন বিল্ডিং কোড লঙ্ঘন করে বানানো—এটি নিয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ করা প্রয়োজন।
ঢাকাসহ পাঁচ জেলায় হতাহতের চিত্র
ভূমিকম্পে নিহত ১০ জন ছাড়াও ঢাকা, নরসিংদী ও গাজীপুরে সহস্রাধিক মানুষ আহত হয়েছে। কেউ ভবন থেকে লাফ দিয়ে, কেউ ভূমিকম্পের সময় বাসাবাড়ি থেকে সিঁড়ি ভেঙে ধাক্কাধাক্কি করে নামতে আহত হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় একটি আটতলা ভবনের পাশের দেয়াল ও কার্নিশ থেকে ইট-পালেস্তারা খসে নিচে পড়লে সেখানে থাকা ক্রেতা ও পথচারীরা আহত হন। স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁরা হলেন রাফিউল ইসলাম, আবদুর রহিম ও তাঁর ছেলে মেহরাব হোসেন। ছুটির দিন সকালে মাংস কিনতে পুরান ঢাকার বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন ব্যবসায়ী আবদুর রহিম। সঙ্গে নিয়েছিলেন স্কুলপড়ুয়া ছেলেকে। বংশালের কসাইটুলীতে নয়নের মাংসের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। তখনই ভূমিকম্প; তীব্র ঝাঁকুনিতে ভবনের ছাদের রেলিং ভেঙে পড়ে। তাতে একসঙ্গে প্রাণ হারান বাবা-ছেলে।
সেখানেই নিহত আরেকজন রাফিউল স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। আবার মুগদার মদিনাবাগে নির্মাণাধীন ভবনের রেলিং ধসে মাথায় পড়ে মাকসুদ (৫০) নামের এক নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গোলাকান্দাইল এলাকায় দেয়াল ধসে মারা গেছে ১০ মাসের শিশু ফাতেমা। শিশুটির মাসহ দুজন আহত হন।
নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলি এলাকায় ভূমিকম্পের সময় নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল থেকে ইট ধসে পাশের বাড়ির সানশেড ভেঙে পড়ে। এতে দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, তাঁর ছেলে মো. ওমর এবং দুই মেয়ে আহত হয়। প্রথমে তাদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেলোয়ার ও ওমরকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হলে চিকিৎসকেরা ওমরকে মৃত ঘোষণা করেন। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় দেলোয়ারও মারা যান। দুই মেয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি আছে।
এদিকে পলাশ উপজেলার মালিতা পশ্চিমপাড়া গ্রামে মাটির ঘরের দেয়াল ধসে আহত কাজেম আলী ভূঁইয়া (৭৫) হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। শিবপুর উপজেলার আজকীতলা পূর্বপাড়ায় গাছ থেকে পড়ে আহত ফোরকান মিয়া (৪৫) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর মারা যান। ভূমিকম্পের সময়ে আতঙ্কে দৌড়াতে গিয়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে কাজীরচর নয়াপাড়ার নাসির উদ্দিন (৬৫) ঘটনাস্থলেই মারা যান বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
স্থানীয় প্রতিনিধি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গাজীপুরে আহত ৭২ জন চিকিৎসা নিতে যায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে। এর মধ্যে ৪৯ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫৩ জন চিকিৎসা নিতে আসে। ভূমিকম্পে আতঙ্কে কারখানা ভবন থেকে নামতে গিয়ে অনেক শ্রমিক আহত হয়েছেন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত গাজীপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ছিল ২৫২ জন, যাদের বেশির ভাগই পোশাকশ্রমিক। দেয়াল ধস ও ধাক্কাধাক্কিতে নামতে গিয়ে নরসিংদীতে আহত হয়ে হাসপাতাল চিকিৎসা নেয় ৪৫। তাদের মধ্যে গুরুতর তিনজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহসীন হলের তিন শিক্ষার্থী তিনতলা ও চারতলা থেকে লাফ দিয়ে আহত হয়েছেন। সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে পা ভেঙেছেন ছাত্রদল নেতা তানভীর বারী হামিমসহ আরও অনেকে।
তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বলছে, এই তথ্যের বাইরেও বহু রোগী দেশের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে এবং কোথাও কোথাও ভর্তি রয়েছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এখনো হালনাদাগ তথ্যে তা যুক্ত হয়নি। ফলে আহতের সংখ্যা হাজারের বেশি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, ভূমিকম্পের মাত্রার তুলনায় হতাহতের সংখ্যা কিছুটা বেশি হয়েছে—উৎপত্তিস্থল ছিল কাছাকাছি, তাই এমনটা হতে পারে। বেশির ভাগই প্যানিক অ্যাটাকে আহত হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অনেক ভবন ফাটল ও হেলে পড়েছে
অন্যদিকে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় ভবন হেলে পড়া ও ফাটল ধরার তথ্য পাওয়া গেছে। নিউমার্কেট থানা ভবনের ৩, ৪ ও ৫ তলায় ফাটল ধরেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহসীন হল, কবি জসীমউদ্দীন হল, স্যার এ এফ রহমান হল, মোকাররম ভবনসহ বিভিন্ন স্থানে পলেস্তারা খসে পড়েছে। উত্তর বাড্ডাসহ ঢাকার কয়েকটি ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, আরমানিটোলার কসাইটুলীতে একটি বহুতল ভবনে পলেস্তারার কিছু আলগা অংশ ও কিছু ইট খসে পড়েছে। খিলগাঁওয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে ইট পড়ে পাশের ভবনের একজন আহত হয়েছেন। সূত্রাপুর ও কলাবাগানে দুটি ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
গাজীপুরে ছয়তলা একটি ভবন হেলে পড়েছে এবং একটি মাদ্রাসার দেয়ালে ফাটল দেখা গেছে। টঙ্গীর স্টেশন রোডে একটি ভবন হেলে পাশের ভবনে ঠেকেছে। এতে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নরসিংদীতে সার্কিট হাউস, পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক ভবনসহ বিভিন্ন ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা ফজলুল হক হলের দেয়ালে ফাটল ও পলেস্তারা খসে পড়ায় আতঙ্কিত শিক্ষার্থীরা দ্রুত স্থানান্তর ও হল পুনর্নির্মাণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। চট্টগ্রাম নগরের মনসুরাবাদ এলাকায় একটি ছয়তলা ভবন পাঁচ বছর আগে ভূমিকম্পে কিছুটা হেলে পড়ে। এবারও কিছুটা হেলে পড়েছে।
কন্ট্রোল রুম চালু
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি দ্রুত নিরূপণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে তাৎক্ষণিকভাবে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে মাঠপর্যায়ে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০২৫৮৮১১৬৫১।

ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
৪ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
১৯ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
২৯ মিনিট আগে
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের
৩৫ মিনিট আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর গুলকিবাড়ী বাইলেন কাজি অফিসসংলগ্ন এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) ও জেলা প্রশাসন।
এ সময় মসিকের সচিব সুমনা আল মজিদ জানান, হেলে পড়া ভবন ও নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্টের প্রতিষ্ঠানের ভবন এবং পাশে সম্প্রতি নির্মিত ১৩ তলা ভবনটির মালিকদের ডাকা হয়েছে। এসব ভবন বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়েছে কি না, তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুমনা আল মজিদ জানান, ভবন তিনটি বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানের ভবনটিও বিল্ডিং কোড না মেনে পাইলিং করার কারণে পাশের ভবন হেলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে নির্মাণাধীন ভবনের পাইলিংয়ের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
মসিক সচিব বলেন, গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ২০১৭ সালে তৎকালীন পৌরসভা থেকে ১৩ তলা ভবনের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদন নেওয়ার তিন বছরের মধ্যে ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা। কিন্তু এখন যে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে, এটির অনুমোদনের মেয়াদ প্রায় পাঁচ বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে তাদের কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন মসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মিয়া, নকশা অনুমোদন কমিটির সদস্য প্রকৌশলী নেসার আহম্মেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উম্মে হাবীবা মীরা, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার তাহমিনা আক্তার, প্রকৌশলী মোতালেব প্রমুখ।
এদিকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দেখে তাঁদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা অভিযোগ করেন, ভবন হেলে পড়ার ঘটনায় স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ, নগরীর বেশির ভাগ ভবন বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। সরু রাস্তার পাশে ১৩ থেকে ২০ তলা ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের মালিকদের একজন জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. কামরুল হাসান মিলন বলেন, ‘আমি প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় আছি। তবে ভবন নির্মাণকাজ দেখভাল করছেন স্বপন নামের একজন। তাঁর সঙ্গে কথা বলুন।’
পরে ভবন নির্মাণের দায়িত্বে থাকা স্বপনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে কল দেওয়া হলে তিনি তা ধরেননি।
অপর দিকে হেলে পড়া ভবনটির মালিকের নাম রিয়াজুল আমিন অরুণ। তিনি লন্ডনপ্রবাসী। তাঁর ভাই ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম লিটন এ তথ্য জানান।
রফিকুল ইসলাম লিটন বলেন, ‘সম্প্রতি ভবনের পাশের স্থানে গ্রিন ডেভেলপমেন্ট নামের প্রতিষ্ঠানটি বিল্ডিং কোড না মেনে বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের কাজ শুরু করে। এ কারণে আমাদের পাঁচতলা ভবনটি হেলে পড়েছে। একই সঙ্গে ভবনের দেয়ালেও ফাটলের রেখা পড়েছে। পরে বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা সরেজমিনে এসে বেজমেন্টের কাজ বন্ধ করে দিয়ে আমাদের ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। কখন কী হয়, আল্লাহ ভালো জানেন।’
এর আগে গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে হেলে পড়া ভবনটির দেয়ালে ও সামনের অংশের মাটিতে ফাটল দেখা দেয়। এরপরই বিষয়টি টের পেয়ে ভবনের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ঘটনাটি ফায়ার সার্ভিস কর্মীকে জানালে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে হেলে পড়া ভবনটির পাশে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের কাজ বন্ধ করে দেন। একই সঙ্গে ফায়াস সার্ভিস কর্মীরা হেলে পড়া ভবনের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়ে গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।

ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর গুলকিবাড়ী বাইলেন কাজি অফিসসংলগ্ন এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) ও জেলা প্রশাসন।
এ সময় মসিকের সচিব সুমনা আল মজিদ জানান, হেলে পড়া ভবন ও নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্টের প্রতিষ্ঠানের ভবন এবং পাশে সম্প্রতি নির্মিত ১৩ তলা ভবনটির মালিকদের ডাকা হয়েছে। এসব ভবন বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়েছে কি না, তা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুমনা আল মজিদ জানান, ভবন তিনটি বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানের ভবনটিও বিল্ডিং কোড না মেনে পাইলিং করার কারণে পাশের ভবন হেলে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে নির্মাণাধীন ভবনের পাইলিংয়ের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
মসিক সচিব বলেন, গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ২০১৭ সালে তৎকালীন পৌরসভা থেকে ১৩ তলা ভবনের অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী অনুমোদন নেওয়ার তিন বছরের মধ্যে ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা। কিন্তু এখন যে ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে, এটির অনুমোদনের মেয়াদ প্রায় পাঁচ বছর আগে শেষ হয়ে গেছে। এ কারণে তাদের কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন মসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মিয়া, নকশা অনুমোদন কমিটির সদস্য প্রকৌশলী নেসার আহম্মেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উম্মে হাবীবা মীরা, ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জুলহাস উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার তাহমিনা আক্তার, প্রকৌশলী মোতালেব প্রমুখ।
এদিকে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দেখে তাঁদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা অভিযোগ করেন, ভবন হেলে পড়ার ঘটনায় স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। কারণ, নগরীর বেশির ভাগ ভবন বিল্ডিং কোড মেনে নির্মাণ করা হয়নি। সরু রাস্তার পাশে ১৩ থেকে ২০ তলা ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড প্রতিষ্ঠানের মালিকদের একজন জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. কামরুল হাসান মিলন বলেন, ‘আমি প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় আছি। তবে ভবন নির্মাণকাজ দেখভাল করছেন স্বপন নামের একজন। তাঁর সঙ্গে কথা বলুন।’
পরে ভবন নির্মাণের দায়িত্বে থাকা স্বপনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে কল দেওয়া হলে তিনি তা ধরেননি।
অপর দিকে হেলে পড়া ভবনটির মালিকের নাম রিয়াজুল আমিন অরুণ। তিনি লন্ডনপ্রবাসী। তাঁর ভাই ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম লিটন এ তথ্য জানান।
রফিকুল ইসলাম লিটন বলেন, ‘সম্প্রতি ভবনের পাশের স্থানে গ্রিন ডেভেলপমেন্ট নামের প্রতিষ্ঠানটি বিল্ডিং কোড না মেনে বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের কাজ শুরু করে। এ কারণে আমাদের পাঁচতলা ভবনটি হেলে পড়েছে। একই সঙ্গে ভবনের দেয়ালেও ফাটলের রেখা পড়েছে। পরে বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে জানালে তারা সরেজমিনে এসে বেজমেন্টের কাজ বন্ধ করে দিয়ে আমাদের ভবনের বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত। কখন কী হয়, আল্লাহ ভালো জানেন।’
এর আগে গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে হেলে পড়া ভবনটির দেয়ালে ও সামনের অংশের মাটিতে ফাটল দেখা দেয়। এরপরই বিষয়টি টের পেয়ে ভবনের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ঘটনাটি ফায়ার সার্ভিস কর্মীকে জানালে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে হেলে পড়া ভবনটির পাশে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের পাইলিংয়ের কাজ বন্ধ করে দেন। একই সঙ্গে ফায়াস সার্ভিস কর্মীরা হেলে পড়া ভবনের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বাসিন্দাদের সরিয়ে দিয়ে গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭। উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার কাছে নরসিংদীর মাধবদী।
২৩ দিন আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
১৯ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
২৯ মিনিট আগে
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের
৩৫ মিনিট আগেগাইবান্ধা, প্রতিনিধি

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
সবুজ মিয়া পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভবনপুর) গ্রামের মৃত হাবিদুল ইসলামের ও ছকিনা বেগমের ছেলে।

মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ আকন্দ জানান, প্রায় সাত-আট বছর আগে সবুজ মিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লন্ড্রি কর্মচারী হিসেবে যোগদান করেন। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবুজ মিয়া ছিলেন ছোট। তাঁর বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। সবুজ মিয়া এক বছর আগে বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী ও মা এখন বাড়িতে আছে। সবুজ মিয়ার মৃত্যুর খবরে পরিবারে মাতম চলছে। একই সঙ্গে গ্রামজুড়েই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাবের আহমেদ বলেন, নিহতের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী এই নৃশংস ড্রোন হামলা চালায় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
সবুজ মিয়া পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভবনপুর) গ্রামের মৃত হাবিদুল ইসলামের ও ছকিনা বেগমের ছেলে।

মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজ আকন্দ জানান, প্রায় সাত-আট বছর আগে সবুজ মিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লন্ড্রি কর্মচারী হিসেবে যোগদান করেন। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবুজ মিয়া ছিলেন ছোট। তাঁর বড় বোনের বিয়ে হয়েছে। সবুজ মিয়া এক বছর আগে বিয়ে করেন। তাঁর স্ত্রী ও মা এখন বাড়িতে আছে। সবুজ মিয়ার মৃত্যুর খবরে পরিবারে মাতম চলছে। একই সঙ্গে গ্রামজুড়েই নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাবের আহমেদ বলেন, নিহতের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। দ্রুত এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
উল্লেখ্য, সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী শহীদ হয়েছেন এবং আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বেলা ৩টা ৪০ মিনিট থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী এই নৃশংস ড্রোন হামলা চালায় বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭। উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার কাছে নরসিংদীর মাধবদী।
২৩ দিন আগে
ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
৪ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
২৯ মিনিট আগে
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের
৩৫ মিনিট আগেসুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের রাজনৈতিক প্রচারসামগ্রী অপসারণের কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সরানো হয়নি। ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরাসরি উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এর আগে গত শনিবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং করে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড নিজ দায়িত্বে অপসারণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। নির্দেশনা অমান্য করায় রোববার দুপুরে প্রশাসন নিজ উদ্যোগে এসব প্রচারসামগ্রী অপসারণ করে।
অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছেনমং রাখাইন ও চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অভিযানে অংশ নেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলায় সব রাজনৈতিক ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করা হচ্ছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করতে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের রাজনৈতিক প্রচারসামগ্রী অপসারণের কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সরানো হয়নি। ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরাসরি উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এর আগে গত শনিবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং করে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড নিজ দায়িত্বে অপসারণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। নির্দেশনা অমান্য করায় রোববার দুপুরে প্রশাসন নিজ উদ্যোগে এসব প্রচারসামগ্রী অপসারণ করে।
অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছেনমং রাখাইন ও চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অভিযানে অংশ নেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলায় সব রাজনৈতিক ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করা হচ্ছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করতে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭। উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার কাছে নরসিংদীর মাধবদী।
২৩ দিন আগে
ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
৪ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
১৯ মিনিট আগে
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের
৩৫ মিনিট আগেপাবনা প্রতিনিধি

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভাইস প্রেডিডেন্ট প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এই সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাগত ও একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে। পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা জাপানের মর্যাদাপূর্ণ মেক্সট স্কলারশিপ লাভ করবে। স্কলারশিপ প্রাপ্তরা জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, নতুন প্রযুক্তি ও গবেষণার সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং একাডেমিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে মেধাশূন্য করা হয়েছিল। আমরা আজকে সমঝোতা স্মারক চুক্তির দিন হিসেবে বেছে নিয়েছি। কারণ, আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ গড়তে চাই। আমরা প্রমাণ করতে চাই আমরা হেরে যাইনি।’
প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া বলেন, ‘সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে শিক্ষা, গবেষণা, রিসোর্স এবং মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে আমরা উভয়ে মিলে কাজ করব। আমরা কার্যকর সমঝোতা গড়ে তুলব। আমাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হবে। ফলে আমাদের মধ্যে জ্ঞানের অংশীদারত্বের পথ সৃষ্টি হবে। এতে আমরা দুই পক্ষই লাভবান হব।’

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভাইস প্রেডিডেন্ট প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এই সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাগত ও একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে। পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা জাপানের মর্যাদাপূর্ণ মেক্সট স্কলারশিপ লাভ করবে। স্কলারশিপ প্রাপ্তরা জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, নতুন প্রযুক্তি ও গবেষণার সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং একাডেমিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে মেধাশূন্য করা হয়েছিল। আমরা আজকে সমঝোতা স্মারক চুক্তির দিন হিসেবে বেছে নিয়েছি। কারণ, আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ গড়তে চাই। আমরা প্রমাণ করতে চাই আমরা হেরে যাইনি।’
প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া বলেন, ‘সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে শিক্ষা, গবেষণা, রিসোর্স এবং মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে আমরা উভয়ে মিলে কাজ করব। আমরা কার্যকর সমঝোতা গড়ে তুলব। আমাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হবে। ফলে আমাদের মধ্যে জ্ঞানের অংশীদারত্বের পথ সৃষ্টি হবে। এতে আমরা দুই পক্ষই লাভবান হব।’

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭। উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার কাছে নরসিংদীর মাধবদী।
২৩ দিন আগে
ময়মনসিংহ নগরীতে হেলে পড়া পাঁচতলা ভবনটি পরিদর্শন করেছে সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসন। এ সময় দেয়ালে ফাটল দেখা দেওয়ায় ও হেলা পড়ায় ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে হেলে পড়া ভবন, নির্মাণাধীন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানসহ তিনটি ভবনের মালিককে অনুমোদনসংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ তলব করা হয়েছে।
৪ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সবুজ মিয়ার গাইবান্ধার বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। তিনি মিশনের লন্ড্রি কর্মচারী ছিলেন।
১৯ মিনিট আগে
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
২৯ মিনিট আগে