নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস আদালতে বলেছেন, ‘এর আগে গ্রেপ্তার করে যখন কারাগারে পাঠানো হয়েছিল, তখন আমাকে ও ফখরুলকে ফাঁসির সেলে রাখা হয়েছিল। এবার গ্রেপ্তারের পর আমাকে ফ্লোরে রাখা হচ্ছে। এবার তো হেঁটে আসছি। এর পরের বার হয়তো হুইলচেয়ারে করে আমাকে আসতে হবে।’
আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে হাজির করা হয়। এ সময় তাঁর আইনজীবী কারাগারে ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানির একপর্যায়ে বিচারককে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস।
এ সময় বিচারক বলেন, ‘আমরা তো হাইকোর্টের মতো সরাসরি আদেশ দিতে পারি না। আপনারা আবেদন করেছেন, তা আমি দেখব।’ একপর্যায়ে বিচারক মির্জা আব্বাসের আইনজীবীকে বলেন, ‘উনার কি আর কোনো মামলায় রিমান্ড চাওয়া হয়েছে? এ সময় মির্জা আব্বাস বলেন, না, চাওয়া হয়নি।’ বিচারক আবারও বলেন, ‘আজ আদেশ কী হয় দেখেন। না হলে ৮ নভেম্বর মামলার ধার্য তারিখে এ বিষয়ে শুনব।’
গত ৩১ অক্টোবর এই মামলায় মির্জা আব্বাসের সাফাই সাক্ষ্য দেওয়ার তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু আদালতে হাজির না হওয়ায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে সাফাই সাক্ষ্য দেওয়ার সুযোগ বন্ধ করে দেন আদালত। একই সঙ্গে ২ নভেম্বর যুক্তি-তর্ক শুনানির দিন ধার্য করেন। ২ নভেম্বর মির্জা আব্বাস শাহজাহানপুরের একটি নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার থাকায় তাঁকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পরে আজ যুক্তি-তর্ক শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়। মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মির্জা আব্বাসকে পুলিশি হেফাজত থেকে আজ বিশেষ জজ আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে মির্জা আব্বাসের পক্ষে আবারও সাফাই সাক্ষ্য দেওয়ার তারিখ ধার্য করার আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করে ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এর আগে বিভিন্ন তারিখে এ মামলায় ২৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন করার অভিযোগে ২০০৭ সালে ১৬ আগস্ট মির্জা আব্বাস ও তাঁর স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি করে দুদক।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মোট ৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন মির্জা আব্বাস। তিনি সম্পদের হিসাব বিবরণীতে ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক রমনা থানায় মামলা করে।
দুদক ২০০৮ সালের ১৪ মে মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। একই বছরের ১৬ জুন দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।
অভিযোগ গঠনকে চ্যালেঞ্জ করে দুজনই হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। হাইকোর্ট আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাতিল করে তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। কিন্তু মির্জা আব্বাসের চার্জ গঠন বহাল রাখেন।
পরে মির্জা আব্বাস তাঁর অংশটুকু বাতিল করার জন্য আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর লিভ টু আপিল খারিজ হয়। মির্জা আব্বাস আবার রিভিউ আবেদন করেন। এ বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি রিভিউ আবেদন খারিজ হয়। পরে মামলার কার্যক্রম চলতে থাকে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস আদালতে বলেছেন, ‘এর আগে গ্রেপ্তার করে যখন কারাগারে পাঠানো হয়েছিল, তখন আমাকে ও ফখরুলকে ফাঁসির সেলে রাখা হয়েছিল। এবার গ্রেপ্তারের পর আমাকে ফ্লোরে রাখা হচ্ছে। এবার তো হেঁটে আসছি। এর পরের বার হয়তো হুইলচেয়ারে করে আমাকে আসতে হবে।’
আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে হাজির করা হয়। এ সময় তাঁর আইনজীবী কারাগারে ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানির একপর্যায়ে বিচারককে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস।
এ সময় বিচারক বলেন, ‘আমরা তো হাইকোর্টের মতো সরাসরি আদেশ দিতে পারি না। আপনারা আবেদন করেছেন, তা আমি দেখব।’ একপর্যায়ে বিচারক মির্জা আব্বাসের আইনজীবীকে বলেন, ‘উনার কি আর কোনো মামলায় রিমান্ড চাওয়া হয়েছে? এ সময় মির্জা আব্বাস বলেন, না, চাওয়া হয়নি।’ বিচারক আবারও বলেন, ‘আজ আদেশ কী হয় দেখেন। না হলে ৮ নভেম্বর মামলার ধার্য তারিখে এ বিষয়ে শুনব।’
গত ৩১ অক্টোবর এই মামলায় মির্জা আব্বাসের সাফাই সাক্ষ্য দেওয়ার তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু আদালতে হাজির না হওয়ায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে সাফাই সাক্ষ্য দেওয়ার সুযোগ বন্ধ করে দেন আদালত। একই সঙ্গে ২ নভেম্বর যুক্তি-তর্ক শুনানির দিন ধার্য করেন। ২ নভেম্বর মির্জা আব্বাস শাহজাহানপুরের একটি নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার থাকায় তাঁকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পরে আজ যুক্তি-তর্ক শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়। মির্জা আব্বাসকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়। মির্জা আব্বাসকে পুলিশি হেফাজত থেকে আজ বিশেষ জজ আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে মির্জা আব্বাসের পক্ষে আবারও সাফাই সাক্ষ্য দেওয়ার তারিখ ধার্য করার আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করে ৮ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এর আগে বিভিন্ন তারিখে এ মামলায় ২৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন করার অভিযোগে ২০০৭ সালে ১৬ আগস্ট মির্জা আব্বাস ও তাঁর স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলাটি করে দুদক।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মোট ৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেন মির্জা আব্বাস। তিনি সম্পদের হিসাব বিবরণীতে ৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক রমনা থানায় মামলা করে।
দুদক ২০০৮ সালের ১৪ মে মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। একই বছরের ১৬ জুন দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত।
অভিযোগ গঠনকে চ্যালেঞ্জ করে দুজনই হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করেন। হাইকোর্ট আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাতিল করে তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। কিন্তু মির্জা আব্বাসের চার্জ গঠন বহাল রাখেন।
পরে মির্জা আব্বাস তাঁর অংশটুকু বাতিল করার জন্য আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর লিভ টু আপিল খারিজ হয়। মির্জা আব্বাস আবার রিভিউ আবেদন করেন। এ বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি রিভিউ আবেদন খারিজ হয়। পরে মামলার কার্যক্রম চলতে থাকে।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
৩ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
৪ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
৪ ঘণ্টা আগে