Ajker Patrika

খুলে দেওয়া হলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ানবাজার র‍্যাম্প 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২০ মার্চ ২০২৪, ১৫: ৫১
খুলে দেওয়া হলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ানবাজার র‍্যাম্প 

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ান বাজার অংশের র‍্যাম্প (নামার রাস্তা) খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি) সংলগ্ন র‍্যাম্পটি উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ নিয়ে ১৬টি র‍্যাম্প চালু হলো। আজ বিকেল থেকে এই র‍্যাম্প যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। 

উদ্বোধনের আগে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এর আগে গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছিল। আজ কারওয়ান বাজার র‍্যাম্প খুলে দেওয়া হচ্ছে। এটা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে দেশবাসীর জন্য ঈদ উপহার।’ 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই প্রকল্প চলতি বছরের মধ্যে শেষ হবে না। সামনের বছরের শুরুতে পুরোটা খুলে দিতে পারব। এরপর হাতিরঝিলের র‍্যাম্প খুলে দেওয়া হবে। সেইভাবেই কাজ চলছে।’ 

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। আর র‍্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। পুরো উড়ালসড়কে ৩১টি স্থান দিয়ে যানবাহন ওঠা-নামার (র‍্যাম্প) ব্যবস্থা থাকছে। 

খুলে দেওয়া হয়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ানবাজার র‍্যাম্প। ছবি: আজকের পত্রিকা 

এর আগে গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হয় এই মেগা প্রকল্পের একাংশ। আর যান চলাচল শুরু হয় ৩ সেপ্টেম্বর থেকে। বিমানবন্দরের কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার খুলে দেওয়া হয় যান চলাচলের জন্য। এই অংশে ১৫টি র‍্যাম্প হয়েছে। 

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারওয়ানবাজার র‍্যাম্পের এফডিসি সংলগ্ন অংশ। ছবি: আজকের পত্রিকা প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার জানান, এখন পর্যন্ত ৭২ দশমিক ৫১ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ অংশে কাজ চলছে। সোনারগাঁও হোটেলের পাশেও একটি ওঠার র‍্যাম্প হবে বলেও জানান তিনি। 

এদিকে, ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ বলছে, কারওয়ানবাজার র‍্যাম্প খুলে দিলে এই এলাকায় গাড়ির চাপ বাড়বে। এখন ফার্মগেট ও ইন্দিরা রোডে গাড়ির চাপ রয়েছে। মতিঝিল ও ঢাকা শহরের দক্ষিণ অংশের গাড়ি তখন এই র‍্যাম্প ব্যবহার করবে। কারওয়ান বাজার খুলে দিলে ওই অংশের চাপটা এদিকে চলে আসবে। 

জানা গেছে, প্রকল্পে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের চুক্তি হয় ২০১৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর। এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২ হাজার ৪১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। বাকি অংশের অর্থায়নের ক্ষেত্র ইতালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড দেবে ৫১ শতাংশ, চীনা শ্যাংডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল গ্রুপ ৩৪ শতাংশ ও সিনোহাইড্রো করপোরেশন ১৫ শতাংশ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে না নেওয়ার প্রস্তাব র‍্যাব ডিজির

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত