সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ও অভাব-অনটনের জেরে দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চলছিল বিবাদ। তাই প্রেমিককে (পরকীয়া) নিয়ে স্বামী দুরুল হোদাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন স্ত্রী খাদিজা। পরে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রেমিককে নিয়ে শ্বাসরোধ ও মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। অবশেষে র্যাবের হাতে ধরা পড়ল সেই স্ত্রী।
আজ বুধবার র্যাব–৪ এর পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
থানায় হস্তান্তরের পর আজ (বুধবার) আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান আশুলিয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা (এএসআই) আবদুল মালেক। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আশুলিয়ার পলাশবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের শিকার দুরুল হোদা (৪২) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার উত্তর ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একটি কীটনাশক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন এবং আশুলিয়ার পলাশবাড়ি বাতানটেক এলাকায় স্ত্রীসহ ভাড়া থাকতেন। খাদিজা খাতুনও (২৮) স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ২০১১ সালে তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।
র্যাব জানায়, গত ২০ নভেম্বর দুপুরে কর্মস্থল থেকে ঘরে ফিরে স্বামীর লাশ দেখে আর্তনাদ করেন খাদিজা। এ সময় আশপাশের লোক এসে দেখেন তার স্বামী দুরুল হোদার লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। তার হাত-পা কাপড় দিয়ে ও মুখ স্কচটেপ দিয়ে প্যাঁচানো ছিল। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহ হলে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে র্যাবের কাছে ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরে খাদিজা।
হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা অনুযায়ী সন্তানদের কিছুদিন আগেই গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিল খাদিজা। পরে ১৯ নভেম্বর রাতের খাবার শেষে দুরুল হোদাকে তার নিয়মিত ওষুধের পাশাপাশি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয় খাদিজা। দুরুল হোদা অচেতন হয়ে পড়লে স্ত্রী ও তার প্রেমিক হাত-পা বেঁধে মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে ও মুখ–মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে কেউ যেন সন্দেহ না করে সে জন্য পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পরদিন সকালে খাদিজা খাতুন কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যায় এবং অসুস্থতার কথা বলে দুপুরে বাসায় ফিরে আসে। পরে ঘরের মেঝেতে স্বামী দুরুল হোদার মরদেহ পড়ে আছে বলে ডাক চিৎকার শুরু করে।
র্যাব–৪ সিপিসি ২ এর কোম্পানি কমান্ডার লে কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খাদিজা প্রাথমিকভাবে সব স্বীকার করেছেন। হত্যাকাণ্ডের সময় তার সঙ্গে পরকীয়া প্রেমিক ছিল। গ্রেপ্তার আসামিকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার প্রেমিক এখনো পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ও অভাব-অনটনের জেরে দীর্ঘদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে চলছিল বিবাদ। তাই প্রেমিককে (পরকীয়া) নিয়ে স্বামী দুরুল হোদাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন স্ত্রী খাদিজা। পরে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে প্রেমিককে নিয়ে শ্বাসরোধ ও মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। অবশেষে র্যাবের হাতে ধরা পড়ল সেই স্ত্রী।
আজ বুধবার র্যাব–৪ এর পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
থানায় হস্তান্তরের পর আজ (বুধবার) আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানান আশুলিয়া থানার তদন্ত কর্মকর্তা (এএসআই) আবদুল মালেক। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আশুলিয়ার পলাশবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের শিকার দুরুল হোদা (৪২) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার উত্তর ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একটি কীটনাশক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন এবং আশুলিয়ার পলাশবাড়ি বাতানটেক এলাকায় স্ত্রীসহ ভাড়া থাকতেন। খাদিজা খাতুনও (২৮) স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ২০১১ সালে তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।
র্যাব জানায়, গত ২০ নভেম্বর দুপুরে কর্মস্থল থেকে ঘরে ফিরে স্বামীর লাশ দেখে আর্তনাদ করেন খাদিজা। এ সময় আশপাশের লোক এসে দেখেন তার স্বামী দুরুল হোদার লাশ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। তার হাত-পা কাপড় দিয়ে ও মুখ স্কচটেপ দিয়ে প্যাঁচানো ছিল। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহ হলে স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে র্যাবের কাছে ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরে খাদিজা।
হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা অনুযায়ী সন্তানদের কিছুদিন আগেই গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিল খাদিজা। পরে ১৯ নভেম্বর রাতের খাবার শেষে দুরুল হোদাকে তার নিয়মিত ওষুধের পাশাপাশি ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয় খাদিজা। দুরুল হোদা অচেতন হয়ে পড়লে স্ত্রী ও তার প্রেমিক হাত-পা বেঁধে মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে ও মুখ–মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে কেউ যেন সন্দেহ না করে সে জন্য পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পরদিন সকালে খাদিজা খাতুন কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যায় এবং অসুস্থতার কথা বলে দুপুরে বাসায় ফিরে আসে। পরে ঘরের মেঝেতে স্বামী দুরুল হোদার মরদেহ পড়ে আছে বলে ডাক চিৎকার শুরু করে।
র্যাব–৪ সিপিসি ২ এর কোম্পানি কমান্ডার লে কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খাদিজা প্রাথমিকভাবে সব স্বীকার করেছেন। হত্যাকাণ্ডের সময় তার সঙ্গে পরকীয়া প্রেমিক ছিল। গ্রেপ্তার আসামিকে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার প্রেমিক এখনো পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
পুলিশ জানিয়েছে, পালাশ সাহা ৩৭ তম বিসিএসের পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিলেন। র্যাব-৭ এ তিনি জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে কর্মরত ছিলেন। পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আরিফ হোসেন বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পালাশ সাহার লাশ তাঁর অফিস কক্ষে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে।’
২৯ মিনিট আগেঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার জগদল সীমান্ত থেকে চারজনকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এর মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি ও একজন ভারতীয় বলে জানা গেছে। আজ বুধবার ভোরে ভারত থেকে জগদল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় সীমান্ত পিলার ৩৭৪ /১-এস থেকে প্রায় ২০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে তাদের...
৩১ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির সাগর আহমেদের (২১) লাশ উত্তোলনে সম্মতি দেননি তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আজ বুধবার (৭ মে) বেলা ১১ টায় আদালতের নির্দেশে বালিয়াকান্দি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এহসানুল হক শিপনের নেতৃত্বে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ পুলিশ
৪৩ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে যুবদল নেতার পুকুরে দুর্বৃত্তদের দেওয়া বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেটে অর্ধ কোটি টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের আদাবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে