Ajker Patrika

সম্রাটের জামিনের মেয়াদ আবারও বাড়ল 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২২, ১২: ২৩
সম্রাটের জামিনের মেয়াদ আবারও বাড়ল 

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিনের মেয়াদ আগামী ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এই মেয়াদ বাড়িয়ে দেন।

আদালতে সম্রাট হাজির ছিলেন। তাঁর পক্ষে আইনজীবী জামিন স্থায়ী করার আবেদন জানালে আদালত জামিন বাড়িয়ে দেন। অন্যদিকে সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার বিষয়ে তাঁর আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী সময়ের আবেদন করেন। আইনজীবী ব্যক্তিগতভাবে অসুস্থ জানিয়ে আদালতকে বলেন, তিনি যথাযথ প্রস্তুতি নিতে পারেননি। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে আবেদনের বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত সময় মঞ্জুর করেন এবং পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। তবে আদালত বলেন, পরবর্তী তারিখে শুনানি করতে হবে।

এ নিয়ে সাতবারের মতো অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হলো। গত ২১ জুন, ৬ জুলাই, ১১ আগস্ট, ২২ আগস্ট ১৯ সেপ্টেম্বর ও ২০ অক্টোবর অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি হয়নি।

সম্রাট গুরুতর অসুস্থ বিবেচনায় পাসপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার শর্তে ২২ আগস্ট জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। এ সময় তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। এর আগে গত ২৪ মে সম্রাট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ওই দিন তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ১৮ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্রাটের জামিন বাতিল করেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে সাত দিনের মধ্যে তাঁকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। আত্মসমর্পণের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন বাতিল চেয়ে গত ১৬ মে হাইকোর্টে আবেদন করেছিল দুদক। এর আগে এই মামলায় গত ১১ মে সম্রাটকে জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান। ওই দিনই আড়াই বছর কারাভোগের পর মুক্তি পেয়েছিলেন সম্রাট। পরে আবার হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে যেতে হয়। হাইকোর্ট কর্তৃক সম্রাটের জামিন বাতিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও বহাল রাখেন।

২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। অভিযোগ আছে, তিনি মতিঝিল ও ফকিরাপুল এলাকায় ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করতেন এবং সেগুলোতে লোক বসিয়ে মোটা অঙ্কের কমিশন নিতেন। অনেক সময় ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি, উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন এবং বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এ ছাড়া সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে তাঁর ১ হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।

সিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে তাঁকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে তাঁর কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, ইয়াবা, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া উদ্ধার করা হয়। বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

পরদিন র‍্যাব বাদী হয়ে সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে। সেই সব মামলা তদন্ত করতে গিয়ে সম্রাটের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। পরে সিআইডি অর্থ পাচারের অভিযোগে এবং দুদক জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আরও দুটি মামলা করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গভর্নর আমাকে বাধ্যতামূলক ছুটি দেওয়ার কে: বিএফআইইউর প্রধান শাহীনুল

সেই রুহুল আমিনের বসুন্ধরা, বনানী ও উত্তরার জমিসহ ৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক

ঠাকুরগাঁওয়ের ৩টি আসনেই জয়ী হবে জামায়াত: মাওলানা হালিম

৬১৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ: এক্সিম ব্যাংকের নজরুল ইসলাম মজুমদারসহ ৩০ জনের নামে মামলা

আক্কেলপুরে ‘একঘরে’ করে রাখা দিনমজুরকে মারধর, থানায় মামলা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত