Ajker Patrika

সব কাজেই টাকা চাই তাঁর

  • অভিযোগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে
  • নতুন যোগদান, বদলি, মাতৃত্বকালীন ছুটি মঞ্জুরসহ সব কাজেই টাকা দিতে হয় তাঁকে
  • ৯৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী জেলা সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
মো. মোজাম্মেল হক।
মো. মোজাম্মেল হক।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী মো. মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, ১২ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানে থাকা মোজাম্মেল হক বিভিন্ন সময় চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিভাগীয় পরিচালক ও সিভিল সার্জনের নাম ভাঙিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করে নিতেন। শুধু তা-ই নয়, বদলিজনিত ফরওয়ার্ডিং বাবদ তাঁকে টাকা দিতে হয়। মাতৃত্ব ছুটি মঞ্জুর ও যোগদানের সময়ও নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাঁকে টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে তিনি তাঁদের কর্মস্থলে যোগদান করতে দিতেন না।

সম্প্রতি এ বিষয়ে কমপ্লেক্সের ৯৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী জেলা সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, মোজাম্মেল হক ২০১৩ সালের ২৯ এপ্রিল এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রধান সহকারী হিসেবে যোগ দেন। বিভিন্ন সময় তিনি চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিভাগীয় পরিচালক ও সিভিল সার্জনের নাম ভাঙিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করে নিতেন। শুধু তা-ই নয়, বদলিজনিত ফরওয়ার্ডিং বাবদ তাঁকে টাকা দিতে হয়। মাতৃত্ব ছুটি মঞ্জুর ও যোগদানের সময়ও নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাঁকে টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে তিনি তাঁদেরকে কর্মস্থলে যোগদান করতে দিতেন না।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, কর্মচারীদের উচ্চতর গ্রেড মঞ্জুর করার জন্য মোজাম্মেল হক প্রতিজন থেকে ৩ হাজার ৫ শ, জিপিএফ ঋণ উত্তোলনের জন্য গ্রহীতাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১৫ শ থেকে ২ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিনোদন, ল্যামগ্রেন্ড, পেনশন, পিআরএল মঞ্জুর করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বাজেট শাখার কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করে নেন। একই সঙ্গে কমিউনিটি ক্লিনিকের বিভিন্ন ভাউচার পাস করার জন্য নামে-বেনামে অর্থ আদায় করে নেন।

অভিযোগে ভুক্তভোগীরা আরও উল্লেখ করেন, কর্মচারীদের নির্দিষ্ট সময় পিআরএল মঞ্জুর না করে তাঁদের হয়রানি করেন মোজাম্মেল হক। তবে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তিনি পিআরএলের ব্যক্তিদের ফাইল ছাড় দেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়রানি করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে তিনি কুমিল্লা শহরে একাধিক বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, বাড়ি তৈরি করেছেন। রয়েছে গাড়িও।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘মোজাম্মেল হক ১২ বছর ধরে এই স্টেশনে রয়েছেন। টাকা ছাড়া তিনি কোনো ফাইল ছাড় দেন না। কারণে-অকারণে আমাদের ফাইল আটক রেখে তিনি হয়রানি করেন। টাকা দিলেই তিনি ফাইল ছাড়েন। ১২ বছরে তিনি এই স্টেশন থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে কুমিল্লা শহরে বাড়ি-গাড়ি করেছেন।’

উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) মো. আবুল হাসেম সবুজ বলেন, মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৯৩ জন ভুক্তভোগী জেলা সিভিল সার্জনের কাছে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ করেন। মোজাম্মেল হক এই উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারী, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, কনসালট্যান্ট এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের ফাইল আটক রেখে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করে নেন।’

আবুল হাসেম জানান, তিনি দুবার ওমরাহ হজে যাওয়ার জন্য মোজাম্মেল হককে ৯ হাজার টাকা দিয়ে তাঁর অর্জিত ছুটি মঞ্জুর করিয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিতে যোগদানের ১০ বছর ও ১৬ বছর অতিবাহিত হলে গ্রেড পরিবর্তন হয়। এগুলো আমাদের সার্ভিস বইতে সংযোজন করার জন্য মোজাম্মেল হক ৯৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে ৩ হাজার ৫ শত টাকা করে আদায় করে নেওয়ার পরও সার্ভিস বইতে আমাদের তথ্যগুলো সংযোজন না করায় আমরা সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারছি না।’

এ বিষয়ে প্রধান সহকারী মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। হাসপাতালের একটি পক্ষকে অনৈতিক সুবিধা না দেওয়ায় তাঁরা আমার বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন, যাতে করে আমাকে এখান থেকে বদলি করা হয়।’ কুমিল্লা শহরে একাধিক ফ্ল্যাট, গাড়ি ও বাড়ির সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা রেসকোর্সে আমার একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। আমার স্ত্রী একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। স্বামী-স্ত্রী ব্যাংক থেকে লোন করে একটি ফ্ল্যাট ও বাড়ি করেছি। তবে আমার কোনো গাড়ি নেই।’

কুমিল্লা জেলার সিভিল সার্জন আলী নুর মোহাম্মদ বশির আহাম্মদ বলেন, ‘একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। শিগগিরই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীতে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে বুক অলিম্পিয়াড

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

শিশু-কিশোরদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে ‘বই পড়ি, স্বপ্ন আঁকি’ স্লোগানে রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড। গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে মুক্ত আসরের উদ্যোগে বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটি এই আয়োজন করে।

বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক রহমান রাজু।

অধ্যাপক রহমান রাজু বলেন, বুক অলিম্পিয়াড একটি স্বপ্ন অভিযাত্রা, যেখানে স্বপ্নের ডানা মেলার আয়োজন নিহিত রয়েছে। এই আয়োজনের মধ্যে লুকিয়ে আছে আগামীর সম্ভাবনার বীজ। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পাঠপ্রেম জাগিয়ে তোলার পাশাপাশি এটি সমাজে জ্ঞাননির্ভর, প্রগতিশীল ও মানবিক মনন গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। চিন্তা ও বুদ্ধির সমন্বয়ে নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে এবং নির্মাণের পথে এগিয়ে নিতে বুক অলিম্পিয়াড এক অনন্য উদ্যোগ।

রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান দীপু বলেন, বুক অলিম্পিয়াড বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার এক অসাধারণ উদ্যোগ। ক্লাসের বই অনেক সময় বাধ্য হয়েই পড়া হয়, কিন্তু বুক অলিম্পিয়াড শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের গণ্ডি পেরিয়ে জ্ঞানের নতুন দিগন্তে নিয়ে যাবে। এই বই পড়া অভ্যাসই তাদের মানবিক ও চিন্তাশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।

নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. ওমর আলী আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ জাগিয়েছে, যা ভবিষ্যতে তাদের আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করবে।

বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, ‘সারা দেশে বুক অলিম্পিয়াডের আলোকছটা ছড়িয়ে দিতে আমরা রাজশাহীতে এই আয়োজন করেছি। বইয়ের ভেতরেই লুকিয়ে আছে জ্ঞানের আলো আর সেই আলোকে প্রতিটি শিক্ষার্থী ও প্রান্তিক অঞ্চলে পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমান দীপু, নওহাটা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, জালাল উদ্দিন, আকতার ফারুক, সার্ক কৃষিকেন্দ্রের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ও বাংলাদেশ বুক অলিম্পিয়াডের যোগাযোগবিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক আবুল বাশার মিরাজ, লেখক সুফিয়া ডেইজি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটির সহযোগী হিসেবে ছিল স্বপ্ন ’৭১ প্রকাশন, বইচারিতা, কাঠবিড়ালি প্রকাশন ও শব্দঘর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মুন্সিগঞ্জে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে জরিমানা

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান। ছবি: আজকের পত্রিকা
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুন্সিগঞ্জে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির দায়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

রোববার (২ নভেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সদর উপজেলার বাগমামুদালিপাড়া এলাকায় অভিযান চালান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মুন্সিগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসিফ আল আজাদ।

এ সময় সহকারী পরিচালক বলেন, রেইনবো মিনি সুপার শপে বিভিন্ন ধরনের মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রির জন্য প্রদর্শন ও সংরক্ষণ করায় দোকানটির মালিক মো. মাসুফ উদ্দিনকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ ছাড়া তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ভবিষ্যতে দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য সংরক্ষণ বা বিক্রি করা যাবে না।

অভিযানে সহযোগিতা করেন উপজেলা স্যানিটারি পরিদর্শক মো. জামাল উদ্দিন মোল্লা ও ব্যাটালিয়ন আনসারের একটি টিম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অনার্সে ফরম পূরণে টাকা বাড়ানোর প্রতিবাদে বিএম কলেজে মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

অনার্স তৃতীয় বর্ষে ফরম পূরণে এ বছর ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বাড়িয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণে এমন অস্বাভাবিক ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২ নভেম্বর) কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন শেষে কলেজের অধ্যক্ষের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ৫ দফা দাবিসংবলিত স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

দাবিগুলো হলো—জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম পূরণের অযৌক্তিক ও অতিরিক্ত ফি কমাতে হবে; মানোন্নয়ন ফি কমাতে হবে, পুনর্নিরীক্ষণ ফি কমাতে হবে, উত্তরপত্রের যথাযথ মূল্যায়ন নিশ্চিত করতে হবে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা খাতে সরকারি ভর্তুকি বৃদ্ধি করতে হবে।

এ প্রসঙ্গে বিএম কলেজের সমাজকর্ম তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। এটি চলবে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এ বছর নানা খাতে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা ফি বৃদ্ধি করেছে। তাঁকে দিতে হবে ৭ হাজার ১০০ টাকা। বিজ্ঞান বিভাগে ৯ হাজার টাকা; যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। এত অর্থ মেটানো সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে জানান সাইফুল।

অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র শাহাবুদ্দিন মিয়া বলেন, ‘আগের চেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ৩ হাজার টাকা ফি বাড়িয়েছে। আমরা চাই আগের প্রচলিত ফি নির্ধারিত থাক। ফি কমানো না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।’ একই কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মেহেদী তানজিল, দর্শনের সুমি আক্তার।

এ ব্যাপারে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ফি বাড়িয়েছে। নিয়মিত ছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রায় ২ হাজার এবং অনিয়মিত ছাত্রদের ক্ষেত্রে আরও বেশি ফি ধরা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছে এসে ফরম পূরণের ফি পরিশোধে তাঁদের কষ্টের কথা জানিয়েছেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ছাত্রছাত্রীদের স্মারকলিপি পাঠিয়ে দিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরিশালে আ.লীগ ও জাপার ৯ নেতা-কর্মী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
বরিশালে আ.লীগ ও জাপার ৯ নেতা-কর্মী কারাগারে

বরিশালে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির ৯ জন নেতা-কর্মীকে আজ রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার মামলায় জাতীয় পার্টির চারজন এবং হিজলা উপজেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতা-কর্মী রয়েছেন।

একই দিন বরিশাল মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মহাসিনুল ইসলাম হাবুলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) ইসরাত জাহান এই আদেশ দিন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামরুল ইসলাম জানান, জেলহাজতে পাঠানো জাতীয় পার্টির চার নেতা-কর্মী হলেন—আক্তার রহমান সপ্রু, মো. জুম্মান, রফিকুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩১ মে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর সদর রোড এলাকায় জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-মিছিল করে রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ সময় গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ স্লোগান না দেওয়ার অনুরোধ জানালে উভয় পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল মহানগরের সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম সাগর বাদী হয়ে দুই থেকে আড়াই শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় চার নেতাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে অপর এক মামলায় হিজলা উপজেলায় বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় গ্রেপ্তারের পর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা-কর্মীকে। তাঁরা হলেন—মো. শাহাবুদ্দিন পণ্ডিত, মোশারফ হোসেন তালুকদার, লিয়াকত কাজী, হুমায়ুন কবির ও ইলিয়াস মোল্লা। চলতি বছরের ২২ জুলাই হিজলা উপজেলা বিএনপি অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে কারখানায় মিলল ৬ দিন আগে নিখোঁজ তরুণ-তরুণীর লাশ

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির হলেন শফিকুর রহমান

বাবার ব্যবসায়িক সমস্যায় জামায়াত প্রার্থীর সিদ্ধান্তে নাখোশ শিবির নেতার পদত্যাগ

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত