Ajker Patrika

কাফনের কাপড় পরে গণসংযোগ বিদ্রোহী প্রার্থীর, আরেকজনের বিষপানের হুমকি

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৩, ১৩: ১৫
কাফনের কাপড় পরে গণসংযোগ বিদ্রোহী প্রার্থীর, আরেকজনের বিষপানের হুমকি

কাফনের কাপড় পরে নির্বাচনের গণসংযোগ করেছেন কুমিল্লার দেবীদ্বার পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এক বিদ্রোহী প্রার্থী। আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে বিষপান করে আত্মহত্যার ঘোষণা দিলেন।

দেবীদ্বার পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থীদের হুমকি, মারধর ও প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), স্থানীয় সংসদ সদস্য ও নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বহিষ্কৃত পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল কাশেম ও আওয়ামী লীগ নেতা এম এ কাইয়ূম মজুমদার।

এ বিষয়ে আজ শনিবার বিকেলে কুমিল্লার দেবীদ্বার পৌর এলাকার নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বহিষ্কৃত পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবুল কাশেম।

সংবাদ সম্মেলনে আবুল কাশেম বলেন, দেবীদ্বার পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী হিসেবে নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছি। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে সরকার দলীয় প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শামীম নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে প্রশাসন নীরব। পুলিশ পাহারায় ভোট কেনাসহ বিভিন্ন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন তিনি। বিভিন্ন স্থানে আমার লোকদের মারধরসহ প্রচারণা কাজে বাধা দিচ্ছেন। বহিরাগত লোকজন দিয়ে আমার লোকদের হুমকি দিচ্ছেন।’

সরকার দলীয় প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শামীম পক্ষে দেবীদ্বার থানার ওসি কমল কৃষ্ণ ধর প্রকাশ্যে কাজ করছে বলে অভিযোগ আবুল কাশেমের। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে দুদিন আগে দেবীদ্বার থানার ওসিসহ পুলিশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ ধরকে প্রত্যাহার করতে হবে।’

আবুল কাশেম বলেন, ‘দেবীদ্বারের সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল সরকার দলীয় প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শামীমকে জিতানোর জন্য পৌরসভার কাছাকাছি তাঁর গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন। পৌরসভার বাইরের সারা দেবীদ্বারের তাঁর সব নেতা-কর্মী ও গুন্ডা-মাস্তানকে ডেকে নিয়ে, তিনি দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। তাঁরা ভোটের দিন ১৪টি কেন্দ্রে অবস্থান করে আমার একনিষ্ঠ ভোটারদের হুমকি-ধমকি দেবেন, যাতে তাঁরা ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে না আসেন। এমন হলে ভোট মোটেও অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ হবে না।’

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন সরকার দলীয় প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শামীমের খুবই ঘনিষ্ঠ বলে দাবি আবুল কাশেমের। তিনি বলেন, ‘শামীমের ঘনিষ্ঠদের প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন আপন ভাই। এমতাবস্থায় তাঁরা দুজন মিলে শামীমকে পাশ করানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে পারে বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়েছি।’

সংবাদ সম্মেলনে আবুল কাশেম আরও বলেন, ‘আমি কাফনের কাপড় পরে মাঠে নেমেছি। সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে আমি আত্মহত্যা করব।’

অপরদিকে আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী এম এ কাইয়ূম মজুমদারও একই দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘দেবীদ্বার পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে ক্যারাম বোর্ড প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছি। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাইফুল ইসলাম (শামীম) নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। আমারে নির্বাচনী কাজে বাধা, হামলা মারধর ও বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এ বিষয়ে অভিযোগ করলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।’

কাইয়ূম মজুমদার আরও বলেন, ‘দেবীদ্বারের সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল সরকার দলীয় প্রার্থী সাইফুল ইসলাম শামীমকে জয় লাভের জন্য পৌরসভার পাশে তাঁর গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য আমাকে নির্বাচন থেকে সরাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। আমি নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ানোর কারণে তিনি আমার প্রতি ক্ষুব্ধ। তাঁর গুন্ডাবাহিনী দিয়ে যে কোনো সময় আমার ওপর হামলা করাতে পারেন। এমন হলে ভোট অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ হবে না। নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করলে ও সুষ্ঠু ভোট না হলে আমি বিষপান করব। এ জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য দায়ী থাকবেন।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজি মোহাম্মদ ফখরুলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও ধরেননি।

প্রার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করে দেবীদ্বার থানার ওসি কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সঠিক নয়।’

নির্বাচনে মেয়র পদে আট প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত (নারী) কাউন্সিলরের তিনটি পদে ১৮ ও সাধারণ ৯টি ওয়ার্ডে ৬৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দেবীদ্বার পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪৪ হাজার ৫০৯ জন। আগামী ১৭ জুলাই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুন্সিগঞ্জে নিখোঁজ অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুজিবুর মাঝি। ছবি: সংগৃহীত
মুজিবুর মাঝি। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জে নিখোঁজের তিন দিন পর খাল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মুজিবুর মাঝি (৪৫) নামে এক অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে সদর উপজেলার পূর্ব রতনপুর এলাকার একটি খাল থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মুজিবুর মাঝি মুন্সিগঞ্জ সদরের রামপাল ইউনিয়নের শান্তিনগর এলাকার বাঁধন সরকারের গ্যারেজে কর্মরত ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি বরিশালের হিজলা উপজেলায়।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার মুজিবুর লৌহজংয়ের মাওয়া যাওয়ার উদ্দেশে গ্যারেজ থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে রাসেল মিয়া গতকাল রোববার সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আজ সোমবার সকালে এলাকাবাসী ওই খালে হাত পা-বাঁধা অবস্থায় মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

এ বিষয়ে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সোহাগ জানান, ৯৯৯-এ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দৌড়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে পা পিছলে বেঁচে গেলেও শেষ রক্ষা হয়নি

গাজীপুর (শ্রীপুর) প্রতিনিধি
পা পিছলে পড়ে যাওয়ার মুহূর্তে জালাল উদ্দীন। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
পা পিছলে পড়ে যাওয়ার মুহূর্তে জালাল উদ্দীন। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

গাজীপুরের শ্রীপুরে দৌড়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে পা পিছলে চলন্ত ট্রেনের নিচে পড়ে যান কৃষক জালাল উদ্দীন। পুরো ট্রেন তাঁর ওপর দিয়ে গেলেও অলৌকিকভাবে বেঁচে যান তিনি। গতকাল রোববার রাত পৌনে ৯টার দিকে শ্রীপুর রেলস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তাঁর। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত পৌনে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। নিহত জালাল উদ্দীন (৪৫) ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার চরআগলী ইউনিয়নের নিধিরচর গ্রামের মো. তৈয়ব উদ্দিনের ছেলে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যুর আগে জালাল উদ্দীনের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি জানান, শ্রীপুর রেলস্টেশনে দাঁড়ানো মোহনগঞ্জগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন। এ সময় তিনি ট্রেনে উঠতে দৌড় দেন। একই সময়ে স্টেশনের এক নম্বর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেনটিও ছেড়ে দেয়। এ সময় পা পিছলে ট্রেনের ইঞ্জিনের নিচে চলে যান তিনি। এর পরের ঘটনা বলতে পারেননি গুরুতর আহত জালাল উদ্দীন।

স্থানীয় দোকানি মনির হোসেন জানান, স্টেশনে দুটি ভিন্ন লাইনে দুটি ট্রেন দাঁড়ানো ছিল এবং একই সঙ্গে ট্রেন দুটি ছাড়া শুরু করে। হঠাৎ জালাল উদ্দীন এক নম্বর লাইনে দৌড়ালে পা পিছলে চোখের পলকে ট্রেনের নিচে পড়ে যান। জামালপুর কমিউটার ট্রেনটি তাঁর ওপর দিয়ে চলে যায়। ট্রেনটি চলে যাওয়ার পরপরই স্টেশনের লোকজনের সহযোগিতায় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে তিনি স্বাভাবিকভাবে কথা বলছিলেন এবং নিজের নাম-ঠিকানা বলতে পারছিলেন। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে চরআগলী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শহিদুল ইসলাম দুলু বলেন, রাতেই তিনি মারা গেছে। আজ সোমবার বেলা ১১টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘গতকাল রোববার রাত ৯টার পর গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েকজন মানুষ জালাল উদ্দীন নামে একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।’

শ্রীপুর রেলস্টেশন মাস্টার মো. সাইদুর রহমান বলেন, ‘এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, ‘এমন ঘটনা ঘটার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। মৃত্যুর বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। তা ছাড়া বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশ দেখবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নোয়াখালীতে এনসিপি নেতা পাটওয়ারীর কুশপুতুল পোড়াল জিয়া সাইবার ফোর্স

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ১০
এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপির পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের করণীয় এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে নোয়াখালী জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে জিয়া সাইবার ফোর্স (জেডসিএফ) নোয়াখালী জেলা শাখার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রোববার রাতে নোয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল এবং তাঁর ছবিসংবলিত কুশপুত্তলিকা দাহ করে সভায় অংশগ্রহণকারীরা।

নোয়াখালী জিয়া সাইবার ফোর্সের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বাদলের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব হারুনুর অর রশিদ আজাদ, নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম পলাশসহ আরও অনেকে।

এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সভায় বক্তারা বলেন, অদৃশ্য শক্তি ক্রমশ দৃশ্যমান হয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার করে ভোটারদের বিভ্রান্ত করছে। এ অপপ্রচার রুখে দিতে হলে বিএনপির জিয়া সাইবার ফোর্স ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্টদের সঠিক তথ্য ছবি ও প্রমাণ দিয়ে জনগণকে বোঝাতে হবে এবং দল থেকে যাকে ধানের শীষ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয় তাঁর পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে।

সভা শেষে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার কারণে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল এবং তাঁর ছবিসংবলিত কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুন্সিগঞ্জে তরুণকে গুলি করে হত্যা, বিএনপির দুই গ্রুপে উত্তেজনা

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১০: ৩৫
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মুন্সিগঞ্জের মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেহেরকান্দি গ্রামে প্রতিপক্ষের গুলিতে তুহিন দেওয়ান (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। রোববার রাত ১০টার দিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত তুহিন দেওয়ান মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ বেহেরকান্দি এলাকার ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি সেলিম দেওয়ানের ছেলে।মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির বিবদমান দুই গ্রুপের পূর্ববিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে।

এ ঘটনার পর থেকে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেহেরকান্দি ও মুন্সিকান্দি গ্রামের বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এতে স্থানীয় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহত তুহিন মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওয়াহিদ মোল্লা ও বিএনপি নেতা আতিক মল্লিকের অনুসারী।

নিহতের চাচাতো ভাই আকাশ দেওয়ান জানান, রোববার রাতে তুহিন হাঁটার জন্য বাসা থেকে বের হয়। এ সময় মুন্সিকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির নেতা ওজির আলী ও আওলাদ গ্রুপের অনুসারী লিটন ব্যাপারীর নেতৃত্বে পেছন থেকে তুহিনকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও গুলি করে। এ সময় তুহিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয় রাজনৈতিক আধিপত্য নিয়ে তাদের মধ্যে পূর্বের বিরোধ ছিল বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রান্ত সর্দার জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর পিঠে ও ঘাড়ে একাধিক গুলির চিহ্ন রয়েছে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির জানান, কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত করলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত