মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

কক্সবাজারে এইডস রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় সাত বছরের তুলনায় গত দুই বছরে এই সংক্রমণ দ্বিগুণ হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে বড় অংশ উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয়শিবিরে থাকা রোহিঙ্গা। এ ছাড়া স্থানীয়দের মধ্যে এই সংক্রমণ বেড়েছে তিন গুণ।
এইডস রোগীদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন এনজিও ও চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন হোটেল, মোটেল ও গেস্টহাউসে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করানো হচ্ছে রোহিঙ্গা তরুণীদের। তাঁদের সঙ্গে অনিরাপদ মিলনে বাড়ছে সংক্রমণ। এতে করে চলতি বছরের অক্টোবর থেকে পূর্ববর্তী দুই বছর তিন মাসে জেলায় ৩১২ জন স্থানীয় বাসিন্দার এইচআইভির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (এআরটি) সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত প্রায় ৭ বছরে ৭১০ জন এইডস রোগে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা ৬১২ জন, আর বাংলাদেশি ৯৮ জন। তবে পরবর্তী দুই বছর তিন মাসে এই সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। এই সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ৯৬৩ জন। তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা ৬৫১ জন। এই সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশিদের মধ্যে সংক্রমণ বেড়েছে। এই সংখ্যা ৩১২। এই পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, পূর্ববর্তী সাত সাত বছরের তুলনায় গত দুই বছরে স্থানীয়দের মধ্যে সংক্রমণ তিন গুণ বেড়েছে। এই পরিসংখ্যান প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) আশিকুর রহমান বলেন,
‘কক্সবাজারে এইচআইভি আক্রান্তের হার বাড়ছে উদ্বেগজনকভাবে। গত দুই বছরে এই হার আগের সাত বছরের দ্বিগুণের বেশি।’
এদিকে প্রথম সাত বছরে এইডসে আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছে ১১৮ জন। তাদের মধ্যে ৬১ জন রোহিঙ্গা, বাকি ৫৭ জন স্থানীয়। আর সর্বশেষ দুই বছরে ১০৮ জন এইডস রোগী মারা গেছে। তাদের মধ্যে ৮৬ জন রোহিঙ্গা, বাকি ২২ জন স্থানীয়।
চিকিৎসা ও সেবাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা ঢলের পর কক্সবাজারে এইডস রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। এইচআইভি বিস্তারের প্রধান কারণ, রোহিঙ্গাদের মধ্যে অসচেতনতা ও অনিরাপদ যৌন মিলন। তবে এইচআইভি নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন হোটেল, মোটেল ও গেস্টহাউসে পাঁচ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা তরুণীর যাতায়াত রয়েছে। তাঁরা অনিরাপদভাবে দেশি-বিদেশি পর্যটক ও স্থানীয়দের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াচ্ছেন। এ ছাড়া শহরের লালদীঘির পাড়কেন্দ্রিক কিছু আবাসিক হোটেলেও যৌনকর্মীর অবাধ বিচরণ রয়েছে। তাদের অনেকে এইচআইভি বহন করছে, তবে তারা এটা জানেই না।’
এই পরিস্থিতি মোকাবিলা প্রসঙ্গে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের স্বাস্থ্য সমন্বয়ক ডা. আবু তোহা ভূঁইঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, মিয়ানমার এইডস রোগের জন্য একটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। তিনি বলেন, আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গাদের ঘরে ঘরে এ রোগের সংক্রমণরোধে সচেতন করা হচ্ছে; পাশাপাশি স্থানীয় কমিউনিটির সঙ্গে মেলামেশা থেকে বিরত থাকতেও উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সহযোগিতায় এইচআইভি প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ চলমান বলেও জানান তিনি।
জানতে চাইলে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন আসিফ আহমেদ হাওলাদার বলেন, ‘এইচআইভি প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন প্রচার, কাউন্সেলিং ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। আক্রান্তদের শনাক্ত করে তাদের চিকিৎসা দেওয়া এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’

কক্সবাজারে এইডস রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় সাত বছরের তুলনায় গত দুই বছরে এই সংক্রমণ দ্বিগুণ হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে বড় অংশ উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয়শিবিরে থাকা রোহিঙ্গা। এ ছাড়া স্থানীয়দের মধ্যে এই সংক্রমণ বেড়েছে তিন গুণ।
এইডস রোগীদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন এনজিও ও চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন হোটেল, মোটেল ও গেস্টহাউসে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করানো হচ্ছে রোহিঙ্গা তরুণীদের। তাঁদের সঙ্গে অনিরাপদ মিলনে বাড়ছে সংক্রমণ। এতে করে চলতি বছরের অক্টোবর থেকে পূর্ববর্তী দুই বছর তিন মাসে জেলায় ৩১২ জন স্থানীয় বাসিন্দার এইচআইভির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (এআরটি) সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত প্রায় ৭ বছরে ৭১০ জন এইডস রোগে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা ৬১২ জন, আর বাংলাদেশি ৯৮ জন। তবে পরবর্তী দুই বছর তিন মাসে এই সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। এই সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ৯৬৩ জন। তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা ৬৫১ জন। এই সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশিদের মধ্যে সংক্রমণ বেড়েছে। এই সংখ্যা ৩১২। এই পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, পূর্ববর্তী সাত সাত বছরের তুলনায় গত দুই বছরে স্থানীয়দের মধ্যে সংক্রমণ তিন গুণ বেড়েছে। এই পরিসংখ্যান প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) আশিকুর রহমান বলেন,
‘কক্সবাজারে এইচআইভি আক্রান্তের হার বাড়ছে উদ্বেগজনকভাবে। গত দুই বছরে এই হার আগের সাত বছরের দ্বিগুণের বেশি।’
এদিকে প্রথম সাত বছরে এইডসে আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছে ১১৮ জন। তাদের মধ্যে ৬১ জন রোহিঙ্গা, বাকি ৫৭ জন স্থানীয়। আর সর্বশেষ দুই বছরে ১০৮ জন এইডস রোগী মারা গেছে। তাদের মধ্যে ৮৬ জন রোহিঙ্গা, বাকি ২২ জন স্থানীয়।
চিকিৎসা ও সেবাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা ঢলের পর কক্সবাজারে এইডস রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। এইচআইভি বিস্তারের প্রধান কারণ, রোহিঙ্গাদের মধ্যে অসচেতনতা ও অনিরাপদ যৌন মিলন। তবে এইচআইভি নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন হোটেল, মোটেল ও গেস্টহাউসে পাঁচ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা তরুণীর যাতায়াত রয়েছে। তাঁরা অনিরাপদভাবে দেশি-বিদেশি পর্যটক ও স্থানীয়দের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াচ্ছেন। এ ছাড়া শহরের লালদীঘির পাড়কেন্দ্রিক কিছু আবাসিক হোটেলেও যৌনকর্মীর অবাধ বিচরণ রয়েছে। তাদের অনেকে এইচআইভি বহন করছে, তবে তারা এটা জানেই না।’
এই পরিস্থিতি মোকাবিলা প্রসঙ্গে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের স্বাস্থ্য সমন্বয়ক ডা. আবু তোহা ভূঁইঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, মিয়ানমার এইডস রোগের জন্য একটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। তিনি বলেন, আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গাদের ঘরে ঘরে এ রোগের সংক্রমণরোধে সচেতন করা হচ্ছে; পাশাপাশি স্থানীয় কমিউনিটির সঙ্গে মেলামেশা থেকে বিরত থাকতেও উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সহযোগিতায় এইচআইভি প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ চলমান বলেও জানান তিনি।
জানতে চাইলে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন আসিফ আহমেদ হাওলাদার বলেন, ‘এইচআইভি প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন প্রচার, কাউন্সেলিং ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। আক্রান্তদের শনাক্ত করে তাদের চিকিৎসা দেওয়া এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’
মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার

কক্সবাজারে এইডস রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় সাত বছরের তুলনায় গত দুই বছরে এই সংক্রমণ দ্বিগুণ হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে বড় অংশ উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয়শিবিরে থাকা রোহিঙ্গা। এ ছাড়া স্থানীয়দের মধ্যে এই সংক্রমণ বেড়েছে তিন গুণ।
এইডস রোগীদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন এনজিও ও চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন হোটেল, মোটেল ও গেস্টহাউসে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করানো হচ্ছে রোহিঙ্গা তরুণীদের। তাঁদের সঙ্গে অনিরাপদ মিলনে বাড়ছে সংক্রমণ। এতে করে চলতি বছরের অক্টোবর থেকে পূর্ববর্তী দুই বছর তিন মাসে জেলায় ৩১২ জন স্থানীয় বাসিন্দার এইচআইভির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (এআরটি) সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত প্রায় ৭ বছরে ৭১০ জন এইডস রোগে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা ৬১২ জন, আর বাংলাদেশি ৯৮ জন। তবে পরবর্তী দুই বছর তিন মাসে এই সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। এই সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ৯৬৩ জন। তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা ৬৫১ জন। এই সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশিদের মধ্যে সংক্রমণ বেড়েছে। এই সংখ্যা ৩১২। এই পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, পূর্ববর্তী সাত সাত বছরের তুলনায় গত দুই বছরে স্থানীয়দের মধ্যে সংক্রমণ তিন গুণ বেড়েছে। এই পরিসংখ্যান প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) আশিকুর রহমান বলেন,
‘কক্সবাজারে এইচআইভি আক্রান্তের হার বাড়ছে উদ্বেগজনকভাবে। গত দুই বছরে এই হার আগের সাত বছরের দ্বিগুণের বেশি।’
এদিকে প্রথম সাত বছরে এইডসে আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছে ১১৮ জন। তাদের মধ্যে ৬১ জন রোহিঙ্গা, বাকি ৫৭ জন স্থানীয়। আর সর্বশেষ দুই বছরে ১০৮ জন এইডস রোগী মারা গেছে। তাদের মধ্যে ৮৬ জন রোহিঙ্গা, বাকি ২২ জন স্থানীয়।
চিকিৎসা ও সেবাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা ঢলের পর কক্সবাজারে এইডস রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। এইচআইভি বিস্তারের প্রধান কারণ, রোহিঙ্গাদের মধ্যে অসচেতনতা ও অনিরাপদ যৌন মিলন। তবে এইচআইভি নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন হোটেল, মোটেল ও গেস্টহাউসে পাঁচ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা তরুণীর যাতায়াত রয়েছে। তাঁরা অনিরাপদভাবে দেশি-বিদেশি পর্যটক ও স্থানীয়দের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াচ্ছেন। এ ছাড়া শহরের লালদীঘির পাড়কেন্দ্রিক কিছু আবাসিক হোটেলেও যৌনকর্মীর অবাধ বিচরণ রয়েছে। তাদের অনেকে এইচআইভি বহন করছে, তবে তারা এটা জানেই না।’
এই পরিস্থিতি মোকাবিলা প্রসঙ্গে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের স্বাস্থ্য সমন্বয়ক ডা. আবু তোহা ভূঁইঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, মিয়ানমার এইডস রোগের জন্য একটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। তিনি বলেন, আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গাদের ঘরে ঘরে এ রোগের সংক্রমণরোধে সচেতন করা হচ্ছে; পাশাপাশি স্থানীয় কমিউনিটির সঙ্গে মেলামেশা থেকে বিরত থাকতেও উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সহযোগিতায় এইচআইভি প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ চলমান বলেও জানান তিনি।
জানতে চাইলে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন আসিফ আহমেদ হাওলাদার বলেন, ‘এইচআইভি প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন প্রচার, কাউন্সেলিং ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। আক্রান্তদের শনাক্ত করে তাদের চিকিৎসা দেওয়া এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’

কক্সবাজারে এইডস রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় সাত বছরের তুলনায় গত দুই বছরে এই সংক্রমণ দ্বিগুণ হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে বড় অংশ উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয়শিবিরে থাকা রোহিঙ্গা। এ ছাড়া স্থানীয়দের মধ্যে এই সংক্রমণ বেড়েছে তিন গুণ।
এইডস রোগীদের নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন এনজিও ও চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন হোটেল, মোটেল ও গেস্টহাউসে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করানো হচ্ছে রোহিঙ্গা তরুণীদের। তাঁদের সঙ্গে অনিরাপদ মিলনে বাড়ছে সংক্রমণ। এতে করে চলতি বছরের অক্টোবর থেকে পূর্ববর্তী দুই বছর তিন মাসে জেলায় ৩১২ জন স্থানীয় বাসিন্দার এইচআইভির সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (এআরটি) সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত প্রায় ৭ বছরে ৭১০ জন এইডস রোগে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা ৬১২ জন, আর বাংলাদেশি ৯৮ জন। তবে পরবর্তী দুই বছর তিন মাসে এই সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। এই সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ৯৬৩ জন। তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা ৬৫১ জন। এই সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশিদের মধ্যে সংক্রমণ বেড়েছে। এই সংখ্যা ৩১২। এই পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, পূর্ববর্তী সাত সাত বছরের তুলনায় গত দুই বছরে স্থানীয়দের মধ্যে সংক্রমণ তিন গুণ বেড়েছে। এই পরিসংখ্যান প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (আরএমও) আশিকুর রহমান বলেন,
‘কক্সবাজারে এইচআইভি আক্রান্তের হার বাড়ছে উদ্বেগজনকভাবে। গত দুই বছরে এই হার আগের সাত বছরের দ্বিগুণের বেশি।’
এদিকে প্রথম সাত বছরে এইডসে আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছে ১১৮ জন। তাদের মধ্যে ৬১ জন রোহিঙ্গা, বাকি ৫৭ জন স্থানীয়। আর সর্বশেষ দুই বছরে ১০৮ জন এইডস রোগী মারা গেছে। তাদের মধ্যে ৮৬ জন রোহিঙ্গা, বাকি ২২ জন স্থানীয়।
চিকিৎসা ও সেবাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা ঢলের পর কক্সবাজারে এইডস রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। এইচআইভি বিস্তারের প্রধান কারণ, রোহিঙ্গাদের মধ্যে অসচেতনতা ও অনিরাপদ যৌন মিলন। তবে এইচআইভি নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন হোটেল, মোটেল ও গেস্টহাউসে পাঁচ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা তরুণীর যাতায়াত রয়েছে। তাঁরা অনিরাপদভাবে দেশি-বিদেশি পর্যটক ও স্থানীয়দের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়াচ্ছেন। এ ছাড়া শহরের লালদীঘির পাড়কেন্দ্রিক কিছু আবাসিক হোটেলেও যৌনকর্মীর অবাধ বিচরণ রয়েছে। তাদের অনেকে এইচআইভি বহন করছে, তবে তারা এটা জানেই না।’
এই পরিস্থিতি মোকাবিলা প্রসঙ্গে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের স্বাস্থ্য সমন্বয়ক ডা. আবু তোহা ভূঁইঞা আজকের পত্রিকাকে বলেন, মিয়ানমার এইডস রোগের জন্য একটি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। তিনি বলেন, আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গাদের ঘরে ঘরে এ রোগের সংক্রমণরোধে সচেতন করা হচ্ছে; পাশাপাশি স্থানীয় কমিউনিটির সঙ্গে মেলামেশা থেকে বিরত থাকতেও উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের সহযোগিতায় এইচআইভি প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ চলমান বলেও জানান তিনি।
জানতে চাইলে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন আসিফ আহমেদ হাওলাদার বলেন, ‘এইচআইভি প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন প্রচার, কাউন্সেলিং ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। আক্রান্তদের শনাক্ত করে তাদের চিকিৎসা দেওয়া এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় ট্রাকচাপায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের দুই নেতা নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে বগুড়া–নগরবাড়ী মহাসড়কের ঘুড়কা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে ট্রাকটি জব্দ করেছে।
৪ মিনিট আগে
চিকিৎসক গোলাম আহাদ সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পঞ্চাশোর্ধ্ব এক দম্পতি শিশুটিকে কোলে নিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকের কক্ষে এসে বাচ্চাটিকে ভর্তি করতে বলেন। তাঁরা নিজেদের পরিচয় দেন শিশুটির নানা-নানি হিসেবে।
৬ মিনিট আগে
বগুড়ার আদমদীঘিতে মাছ খাওয়ার জেরে গলা কেটে বিড়াল হত্যার অভিযোগে বুলবুলি বেগম (২৬) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নশরতপুরের দত্তবাড়িয়া গুচ্ছগ্রাম এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বগুড়া আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি ঘিরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ে ভাঙচুরসহ আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১০-১৫টি মোটরসাইকেল ও আশপাশের ১০-১২টি দোকানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা সদরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় এ
৪১ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় ট্রাকচাপায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের দুই নেতা নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে বগুড়া–নগরবাড়ী মহাসড়কের ঘুড়কা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে ট্রাকটি জব্দ করেছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার চান্দাইকানা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক দলের দপ্তর সম্পাদক ও ডুমরাই গ্রামের মৃত বিরু শেখের ছেলে ওমর ফারুক (৩৮) এবং একই ওয়ার্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও একই গ্রামের আকবর আলীর ছেলে ফরিদুল ইসলাম (৪০)।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সন্ধ্যার দিকে ঘটনাস্থল থেকে ট্রাকটি জব্দ করেছি। তবে চালক পালিয়ে গেছে। লাশ দুটি হাসপাতাল থেকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে পুলিশ জানায়, সকালে মোটরসাইকেলযোগে ভূঁইয়াগাঁতী এলাকা থেকে হাটিকুমরুলের দিকে যাচ্ছিলেন ফারুক ও ফরিদুল। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দিলে দুজনই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকেরা ফরিদকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে বগুড়ার টিএমএসএস হাসপাতালে নেওয়ার পথে ফারুকও মারা যান।

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় ট্রাকচাপায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের দুই নেতা নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে বগুড়া–নগরবাড়ী মহাসড়কের ঘুড়কা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে ট্রাকটি জব্দ করেছে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার চান্দাইকানা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক দলের দপ্তর সম্পাদক ও ডুমরাই গ্রামের মৃত বিরু শেখের ছেলে ওমর ফারুক (৩৮) এবং একই ওয়ার্ডের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও একই গ্রামের আকবর আলীর ছেলে ফরিদুল ইসলাম (৪০)।
হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সন্ধ্যার দিকে ঘটনাস্থল থেকে ট্রাকটি জব্দ করেছি। তবে চালক পালিয়ে গেছে। লাশ দুটি হাসপাতাল থেকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে পুলিশ জানায়, সকালে মোটরসাইকেলযোগে ভূঁইয়াগাঁতী এলাকা থেকে হাটিকুমরুলের দিকে যাচ্ছিলেন ফারুক ও ফরিদুল। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলকে চাপা দিলে দুজনই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকেরা ফরিদকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে বগুড়ার টিএমএসএস হাসপাতালে নেওয়ার পথে ফারুকও মারা যান।

কক্সবাজারে এইডস রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৭ বছরের তুলনায় গত দুই বছরে এই সংক্রমণ দ্বিগুণ হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে বড় অংশ উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয়শিবিরে থাকা রোহিঙ্গা।
২৬ নভেম্বর ২০২৪
চিকিৎসক গোলাম আহাদ সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পঞ্চাশোর্ধ্ব এক দম্পতি শিশুটিকে কোলে নিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকের কক্ষে এসে বাচ্চাটিকে ভর্তি করতে বলেন। তাঁরা নিজেদের পরিচয় দেন শিশুটির নানা-নানি হিসেবে।
৬ মিনিট আগে
বগুড়ার আদমদীঘিতে মাছ খাওয়ার জেরে গলা কেটে বিড়াল হত্যার অভিযোগে বুলবুলি বেগম (২৬) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নশরতপুরের দত্তবাড়িয়া গুচ্ছগ্রাম এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বগুড়া আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি ঘিরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ে ভাঙচুরসহ আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১০-১৫টি মোটরসাইকেল ও আশপাশের ১০-১২টি দোকানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা সদরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় এ
৪১ মিনিট আগেদিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের বেডে এক নবজাতক রেখে পালিয়ে গেছেন তার স্বজনেরা। এ সময় নবজাতকের বিছানার পাশে একটি বাজারের ব্যাগে চিরকুট পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি বর্তমানে পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছে। আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা জানাজানি হলে নবজাতককে দত্তক নিতে অনেকেই হাসপাতালে ভিড় করছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নবজাতকটি কন্যাশিশু। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নবজাতকের কাছে রেখে যাওয়া চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘আমি একজন হতোভাগি। পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে বাচ্চা রেখে গেলাম। দয়া করে কেউ নিয়ে যাবেন। বাচ্চার জন্ম তারিখ—৪-১১-২০২৫, রোজ-মঙ্গলবার। এগুলো সব বাচ্চার ওষুধ। আমি মুসলমান জাতির মেয়ে।’
আজ বিকেলে হাসপাতালে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক গোলাম আহাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পঞ্চাশোর্ধ্ব এক দম্পতি শিশুটিকে কোলে নিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকের কক্ষে এসে বাচ্চাটিকে ভর্তি করতে বলেন। তাঁরা নিজেদের পরিচয় দেন শিশুটির নানা-নানি হিসেবে। আমি শিশুটির মাকে খোঁজ করি। তাঁরা বলেন, শিশুটির মা নিচে আছে। আমি মাকে নিয়ে আসতে বললে বাচ্চাসহ ওই দম্পতি বেরিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পরে শিশু ওয়ার্ডের বাইরে একটি বেডে বাচ্চাটিকে একা থাকতে দেখে অন্যরা বিষয়টি আমাদের জানান। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও শিশুটির মা ও স্বজনদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। শিশুটির বিছানায় একটি বাজারের ব্যাগে কিছু ওষুধ, ডায়াপার ও জামাকাপড় পাওয়া গেছে।’ এ সময় চিকিৎসক গোলাম আহাদ জানান, স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের যে সময়কাল, তার আগেই নবজাতকের জন্ম। শিশুটি বর্তমানে সুস্থ আছে। তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, একটি ব্যাগে ভরে বাচ্চাটিকে হাসপাতাল পর্যন্ত এনেছেন তার স্বজনেরা। এরই মধ্যে অনেকেই শিশুটিকে দত্তক নিতে হাসপাতালে যোগাযোগ করছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরে শিশুটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’

দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের বেডে এক নবজাতক রেখে পালিয়ে গেছেন তার স্বজনেরা। এ সময় নবজাতকের বিছানার পাশে একটি বাজারের ব্যাগে চিরকুট পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি বর্তমানে পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছে। আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা জানাজানি হলে নবজাতককে দত্তক নিতে অনেকেই হাসপাতালে ভিড় করছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নবজাতকটি কন্যাশিশু। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নবজাতকের কাছে রেখে যাওয়া চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘আমি একজন হতোভাগি। পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে বাচ্চা রেখে গেলাম। দয়া করে কেউ নিয়ে যাবেন। বাচ্চার জন্ম তারিখ—৪-১১-২০২৫, রোজ-মঙ্গলবার। এগুলো সব বাচ্চার ওষুধ। আমি মুসলমান জাতির মেয়ে।’
আজ বিকেলে হাসপাতালে কর্তব্যরত ইন্টার্ন চিকিৎসক গোলাম আহাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পঞ্চাশোর্ধ্ব এক দম্পতি শিশুটিকে কোলে নিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকের কক্ষে এসে বাচ্চাটিকে ভর্তি করতে বলেন। তাঁরা নিজেদের পরিচয় দেন শিশুটির নানা-নানি হিসেবে। আমি শিশুটির মাকে খোঁজ করি। তাঁরা বলেন, শিশুটির মা নিচে আছে। আমি মাকে নিয়ে আসতে বললে বাচ্চাসহ ওই দম্পতি বেরিয়ে যান। এর কিছুক্ষণ পরে শিশু ওয়ার্ডের বাইরে একটি বেডে বাচ্চাটিকে একা থাকতে দেখে অন্যরা বিষয়টি আমাদের জানান। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও শিশুটির মা ও স্বজনদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। শিশুটির বিছানায় একটি বাজারের ব্যাগে কিছু ওষুধ, ডায়াপার ও জামাকাপড় পাওয়া গেছে।’ এ সময় চিকিৎসক গোলাম আহাদ জানান, স্বাভাবিক সন্তান প্রসবের যে সময়কাল, তার আগেই নবজাতকের জন্ম। শিশুটি বর্তমানে সুস্থ আছে। তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, একটি ব্যাগে ভরে বাচ্চাটিকে হাসপাতাল পর্যন্ত এনেছেন তার স্বজনেরা। এরই মধ্যে অনেকেই শিশুটিকে দত্তক নিতে হাসপাতালে যোগাযোগ করছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরে শিশুটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’

কক্সবাজারে এইডস রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৭ বছরের তুলনায় গত দুই বছরে এই সংক্রমণ দ্বিগুণ হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে বড় অংশ উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয়শিবিরে থাকা রোহিঙ্গা।
২৬ নভেম্বর ২০২৪
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় ট্রাকচাপায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের দুই নেতা নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে বগুড়া–নগরবাড়ী মহাসড়কের ঘুড়কা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে ট্রাকটি জব্দ করেছে।
৪ মিনিট আগে
বগুড়ার আদমদীঘিতে মাছ খাওয়ার জেরে গলা কেটে বিড়াল হত্যার অভিযোগে বুলবুলি বেগম (২৬) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নশরতপুরের দত্তবাড়িয়া গুচ্ছগ্রাম এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বগুড়া আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি ঘিরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ে ভাঙচুরসহ আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১০-১৫টি মোটরসাইকেল ও আশপাশের ১০-১২টি দোকানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা সদরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় এ
৪১ মিনিট আগেআদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার আদমদীঘিতে মাছ খাওয়ার জেরে গলা কেটে বিড়াল হত্যার অভিযোগে বুলবুলি বেগম (২৬) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নশরতপুরের দত্তবাড়িয়া গুচ্ছগ্রাম এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বগুড়া আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৩ নভেম্বর বিড়ালের গলা কেটে হত্যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। বিড়ালের প্রতি এমন নির্মমতার প্রতিবাদে সরব হয় বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। এ ঘটনায় গত বুধবার (৫ নভেম্বর) আদমদীঘি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সংগঠনটির সদস্য এমরান হোসেন।
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার দুপুরে অভিযুক্ত বুলবুলি বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিড়াল হত্যার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বগুড়া আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

বগুড়ার আদমদীঘিতে মাছ খাওয়ার জেরে গলা কেটে বিড়াল হত্যার অভিযোগে বুলবুলি বেগম (২৬) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নশরতপুরের দত্তবাড়িয়া গুচ্ছগ্রাম এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বগুড়া আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৩ নভেম্বর বিড়ালের গলা কেটে হত্যার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। বিড়ালের প্রতি এমন নির্মমতার প্রতিবাদে সরব হয় বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। এ ঘটনায় গত বুধবার (৫ নভেম্বর) আদমদীঘি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সংগঠনটির সদস্য এমরান হোসেন।
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার দুপুরে অভিযুক্ত বুলবুলি বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিড়াল হত্যার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বগুড়া আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

কক্সবাজারে এইডস রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৭ বছরের তুলনায় গত দুই বছরে এই সংক্রমণ দ্বিগুণ হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে বড় অংশ উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয়শিবিরে থাকা রোহিঙ্গা।
২৬ নভেম্বর ২০২৪
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় ট্রাকচাপায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের দুই নেতা নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে বগুড়া–নগরবাড়ী মহাসড়কের ঘুড়কা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে ট্রাকটি জব্দ করেছে।
৪ মিনিট আগে
চিকিৎসক গোলাম আহাদ সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পঞ্চাশোর্ধ্ব এক দম্পতি শিশুটিকে কোলে নিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকের কক্ষে এসে বাচ্চাটিকে ভর্তি করতে বলেন। তাঁরা নিজেদের পরিচয় দেন শিশুটির নানা-নানি হিসেবে।
৬ মিনিট আগে
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি ঘিরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ে ভাঙচুরসহ আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১০-১৫টি মোটরসাইকেল ও আশপাশের ১০-১২টি দোকানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা সদরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় এ
৪১ মিনিট আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি ঘিরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ে ভাঙচুরসহ আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১০-১৫টি মোটরসাইকেল ও আশপাশের ১০-১২টি দোকানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা সদরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা তাৎক্ষণিক জানা সম্ভব হয়নি।
দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক সংসদ সদস্য ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এবং উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ ছাড়া সম্প্রতি বিএনপির মনোনয়ন ও উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। এর মধ্যে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দুই গ্রুপ আলাদা সমাবেশ ও র্যালির আয়োজন করে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ওয়াপদা মোড়ে হারুন শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচির আয়োজন করেন শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু গ্রুপ। অপর দিকে চৌরাস্তা এলাকায় একই কর্মসূচির আয়োজন করে নাসিরুল ইসলাম গ্রুপ। বিকেলে দুই পক্ষের লোকজন বোয়ালমারী বাজারে জড়ো হচ্ছিল। উভয় পক্ষের কয়েক শ মানুষ চলাচলের সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা, ইট-পাটকেল নিয়ে বোয়ালমারী বাজারের ওয়াপদা এলাকায় শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু সমর্থিতদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় বিক্ষুব্ধরা আশপাশের অন্তত ৮ থেকে ১০টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। তারা অন্তত ৮ থেকে ১০টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে ধ্বংসযজ্ঞ। এ সময় ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন অনেকে। অন্যরা দ্রুত সরে পড়েন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরে যান। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি ঘিরে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ে ভাঙচুরসহ আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১০-১৫টি মোটরসাইকেল ও আশপাশের ১০-১২টি দোকানে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা সদরের ওয়াপদা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা তাৎক্ষণিক জানা সম্ভব হয়নি।
দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক সংসদ সদস্য ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম এবং উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ ছাড়া সম্প্রতি বিএনপির মনোনয়ন ও উপজেলা বিএনপির কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। এর মধ্যে ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে দুই গ্রুপ আলাদা সমাবেশ ও র্যালির আয়োজন করে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ওয়াপদা মোড়ে হারুন শপিং কমপ্লেক্সে অবস্থিত উপজেলা বিএনপির একাংশের কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচির আয়োজন করেন শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু গ্রুপ। অপর দিকে চৌরাস্তা এলাকায় একই কর্মসূচির আয়োজন করে নাসিরুল ইসলাম গ্রুপ। বিকেলে দুই পক্ষের লোকজন বোয়ালমারী বাজারে জড়ো হচ্ছিল। উভয় পক্ষের কয়েক শ মানুষ চলাচলের সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের পক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা, ইট-পাটকেল নিয়ে বোয়ালমারী বাজারের ওয়াপদা এলাকায় শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু সমর্থিতদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় বিক্ষুব্ধরা আশপাশের অন্তত ৮ থেকে ১০টি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। তারা অন্তত ৮ থেকে ১০টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে ধ্বংসযজ্ঞ। এ সময় ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন অনেকে। অন্যরা দ্রুত সরে পড়েন।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়ে ফিরে যান। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ফোর্স পাঠানো হয়েছে। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

কক্সবাজারে এইডস রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রায় ৭ বছরের তুলনায় গত দুই বছরে এই সংক্রমণ দ্বিগুণ হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে বড় অংশ উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয়শিবিরে থাকা রোহিঙ্গা।
২৬ নভেম্বর ২০২৪
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় ট্রাকচাপায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের দুই নেতা নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে বগুড়া–নগরবাড়ী মহাসড়কের ঘুড়কা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে ট্রাকটি জব্দ করেছে।
৪ মিনিট আগে
চিকিৎসক গোলাম আহাদ সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পঞ্চাশোর্ধ্ব এক দম্পতি শিশুটিকে কোলে নিয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকের কক্ষে এসে বাচ্চাটিকে ভর্তি করতে বলেন। তাঁরা নিজেদের পরিচয় দেন শিশুটির নানা-নানি হিসেবে।
৬ মিনিট আগে
বগুড়ার আদমদীঘিতে মাছ খাওয়ার জেরে গলা কেটে বিড়াল হত্যার অভিযোগে বুলবুলি বেগম (২৬) নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার নশরতপুরের দত্তবাড়িয়া গুচ্ছগ্রাম এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বগুড়া আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে